অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু
পৃ-৫৫ঃ
………….গ্রাসিয়েলা জামা খুলে ফেলল। পরনে শুধু প্যান্টি আর ব্রেসিয়ার। হঠাৎ কারিল্লো এসে হাজির।
‘সব খুলে ফেলাে, ঘড়ঘড়ে গলায় বলল সে।
গ্রাসিয়েলা বিস্ফারিত দৃষ্টিতে তাকাল তার দিকে। কী? না!’ চিৎকার দিল ও।। ‘আ-আমি পারব না। প্লিজ আমি’, কারিল্লো ওর কাছে চলে এল, ‘আমি তােমাকে সাহায্য করছি, সিস্টার।
টান মেরে গ্রাসিয়েলার ব্রেসিয়ার ছিড়ে ফেলল কারিল্লো, প্যান্টিরও একই দশা হল।
‘না!’ চিৎকার করছে গ্রাসিয়েলা। “থামুন!’ মুচকি হাসল কারিলল্লা। কারিটা, মাত্র তাে শুরু হল। দেখাে, মজা পাবে।’
পেশিবহুল হাতে গ্রাসিয়েলাকে জাপটে ধরল কারিল্লো। ল্যাং মেরে ফেলে দিল মেঝেয়। একটানে খুলে ফেলল নিজের রােব।
গ্রাসিয়েলার সেই দুঃস্বপ্নটা যেন ফিরে এল বাস্তবে। সেই ন্যাংটো মুর লােকটা ঝাপিয়ে পড়েছে ওর ওপরে, ছিড়েখুঁড়ে ঢুকছে ওর শরীরের ভেতরে, গ্রাসিয়েলার মা চিলের মতাে কণ্ঠে চিল্লাচ্ছে।
আতঙ্কিত গ্রাসিয়েলা ভাবছে না, আবার না। না, প্লিজ, আবার না…
প্রচণ্ড ধস্তাধস্তি শুরু করে দিল ও, কারিল্লোকে শরীরের ওপর থেকে ঠেলে সরিয়ে দেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করল, উঠে বসতে চাইছে।
‘গড ড্যাম ইউ,’ খেঁকিয়ে উঠল কারিল্লো।
দুম করে গ্রাসিয়েলার মুখে ঘুসি বসিয়ে দিল সে, চিৎ হয়ে পড়ে গেল মেয়েটা। বন বন ঘুরছে মাথা।…………..
পৃ-৬৬ঃ
……….এক রােববার সকালে গ্রাসিয়েলা ঘুম থেকে উঠেছে চার্চে যাবে বলে। ওর মা আরও ভােরে বেরিয়েছে কিছু ড্রেস ডেলিভারি দিতে। গ্রাসিয়েলা নাইটগাউন খুলেছে, পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকল মুর। উলঙ্গ ।
“তােমার মা কোথায়, গুয়াপা?” ‘মা কাজে বেরিয়েছে।
মুরের স্থিরদৃষ্টি গ্রাসিয়েলার নগ্ন শরীরে। তুমি খুব সুন্দর। নরম গলায় বলল সে।
লজ্জায় রক্তিম হল গ্রাসিয়েলা। ও জানে ওর এখন কী করা উচিত। নগ্নতা ঢাকা দিতে ওর স্কার্ট এবং ব্লাউজ পরে এ লােকটার সামনে থেকে চলে যাওয়া উচিত। কিন্তু জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকল গ্রাসিয়েলা, নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। দেখছে লােকটার পুরুষাঙ্গ খাড়া হয়ে যাচ্ছে। কী বড়! কানে ভেসে এল কণ্ঠগুলাে :
‘জোরে…আরও জোরে।’ গ্রাসিয়েলার মাথাটা কেমন চক্কর দিয়ে উঠল।
ঘরঘরে গলায় মুর বলল, তুমি বাচ্চামেয়ে। জামাকাপড় পরে এখান থেকে চলে যাও।’
নড়ে উঠল গ্রাসিয়েলা। পা বাড়াল মুরের দিকে। লােকটার কোমর জড়িয়ে ধরল দুহাতে, গায়ে লৌহদণ্ডের গরম ছ্যাকা খেল।
‘না,’ গুঙিয়ে উঠল গ্রাসিয়েলা। আমি বাচ্চামেয়ে নই।’
তারপর যে ব্যথাটা ও পেল তার সঙ্গে কোনােকিছুর তুলনা হতে পারে না। অসহ্য একটা যন্ত্রণা, শরীরটাকে ছিড়েখুঁড়ে দিচ্ছিল কিন্তু সেইসঙ্গে অদ্ভুত একটা আনন্দও জাগছিল, পুলক অনুভব করছিল গ্রাসিয়েলা। লােকটাকে দুহাতে জড়িয়ে বুকের সাথে ঠেসে ধরল ও, সুখের আতিশয্যে গােঙাচ্ছে। একের-পর-এক রেতঃপাত হয়ে চলল গ্রাসিয়েলার। ও ভাবছিল রহস্যটা তাহলে এই! সকল সৃষ্টির গােপনীয়তা ওর সামনে উন্মােচিত হল। এমন আনন্দ, এমন সুখ যে আছে পৃথিবীতে জানত না গ্রাসিয়েলা।…………
পৃ-৭৯-৮২ঃ
………………আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে আকর্ষণীয়ই লাগে লুসিয়ার। তার মুখখানা ডিম্বাকৃতির, ক্রিমের মতাে গায়ের রঙ, শাদা মসূণ দাঁত, দৃঢ় চিবুক—খুব বেশি দৃঢ়?-লােভনীয় ওষ্ঠদ্বয়, আর কালাে চোখ। মুখখানা অপূর্ব সুন্দর যদি না-ও হয়, লসিয়ার ফিগার নিঃসন্দেহে মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মতাে। পনেরােতেই পূর্ণ যুবতীর শরীর আশ্রয় করেছে ওর দেহে। গােল, জমাটবাঁধা দুই বক্ষ, সরু কোমর, হাঁটার সময় চমৎকার ঢেউ ওঠে ওল্টানাে তানপুরার মতাে নিতম্বে ।……….
……….একথা সত্য কেউ লুসিয়ার সঙ্গে প্রেম করেনি—অন্তত গত বারাে ঘণ্টায় নয়। লুসিয়ার এক বডিগার্ড, বেনিটো পাতাস ওর পাপা যখন শহরের বাইরে যান, ওই সময় লুসিয়ার বিছানায় আসে। বেনিটোর সঙ্গে প্রেম করার সময় লুসিয়ার শরীরে আরও বেশি রােমাঞ্চ ‘জাগে-এ-কারণে যে সে তার বাবাকে লুকিয়ে “এ-কাণ্ড করছে। বাবা জানতে পারলে দুজনকেই জবাই করবেন।
বেনিটোর বয়স ত্রিশের কোঠায়। সে ভেবে পুলকিত হয় যে বিখ্যাত অ্যাঞ্জেলাে কারমিনের সুন্দরী, কিশােরী কুমারী মেয়েটির রূপসুধা পান করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।
তােমাকে সুখ দিতে পেরেছি তােত প্রথমবার লুসিয়াকে বিছানায় নিয়ে যাবার পরে জানতে চেয়েছিল বেনিটো।
“ওহ্, ইয়েস, হাঁপাতে হাঁপাতে বলেছে লুসিয়া, দারুণ।
তারপর ভেবেছে ও মারিও, টনি কিংবা এনরিকোর মতাে অত সুখ দিতে না পারলেও রবার্টো এবং লিও’র চেয়ে ভালাে খেলুড়ে। অন্যদের নাম মনে পড়ছিল “না লুসিয়ার।………….
…………পাওলাের কাছে সরে এল লুসিয়া। এত কাছে যে পাওলাে দেখতে পেল, মেয়েটি পুরােপুরি নগ্ন ।
‘মাই গড!’ আঁতকে উঠল পাওলাে। তুমি‘তুমি আমাকে নাও।’ ‘তুমি পাজ্জা। বাচ্চা একটি মেয়ে। আমি যাচ্ছি।’ দরজায় পা বাড়াল পাওলাে। যাও। বাবাকে বলব তুমি আমাকে রেপ করেছ।’ ……….
………কারণ আমি তােমাকে ভালােবাসি পাওলাে! ওর হাত তুলে নিয়ে দুই উরুর মাঝখানে রেখে এসে মৃদু চাপ দিল লুসিয়া। আমি নারী । আমাকে নারীত্বের স্বাদ পেতে দাও।
আবছা আলােয় পাওলাে লুসিয়ার মাংসল পিণ্ডজোড়া দেখতে পেল, স্তনের বোঁটা শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে, উরুর সংযােগস্থল ঢাকা নরম, কালাে চুলে।
জেসাস, ভাবছে পাওলাে। একজন পুরুষের এমন অবস্থায় কীইবা করার থাকে?
লুসিয়া পাওলাের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল একটা কাউচে। ত্রস্ত হাতে খুলে ফেলল ওর ট্রাউজার্স এবং শর্টস। ঝুঁকল। মুখে পুরে নিল পাওলাের পুরুষাঙ্গ। চুষতে লাগল। ওর চোষার ভঙ্গিটি এত চমৎকার, পাওলাে ভাবছিল এ মেয়ে নিশ্চয় এ-কাজ আগেও করেছে। পাওলাে উঠে এল লুসিয়ার গায়ের ওপর, এক ধাক্কায় প্রবেশ করল ওর শরীরের ভেতরে, লুসিয়া শক্ত করে দুহাতে জড়িয়ে ধরল পাওলাের পিঠ, পাওলাের কোমরের ধাক্কার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতম্ব ওপরের দিকে তুলতে লাগল লুসিয়া। পাওলাে ভাবছে : মাই গড়, এ মেয়ে তাে অসাধারণ!
স্বর্গে উঠে গেছে লুসিয়া। তার মনে হচ্ছিল এজন্যই যেন তার জন্ম হয়েছে। কীভাবে একজন পুরুষকে আনন্দ দিতে হয় এবং নিজে সুখ পেতে হয়, ওই মুহূর্তে জেনে গেল ও। ওর গােটা শরীরে যেন ধরে গেছে আগুন। টের পেল চরম মুহূর্ত চলে আসছে, সুখের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, অবশেষে যখন ঘটল রেতঃপাত, অসহ্য সুখে চিৎকার দিল লুসিয়া। দুজনে জড়াজড়ি করে শুয়ে রইল। হাঁপাচ্ছে বেদম। অবশেষে কথা বলল লুসিয়া। কাল আবার একই সময়ে।’…………
পৃ-৮৮-৯১ঃ
……………জাজ বুসেত্তা আজ নতুন করে যেন আবিষ্কার করলেন লুসিয়া অপরূপা। কালাে সাধারণ একটা ড্রেস পরেছে ও। কিন্তু দুর্ধর্ষ যৌবন ঢেকে রাখতে পারছে না সংক্ষিপ্ত ড্রেস। লুসিয়ার সুডৌল বুকের দিকে নজর চলে গেল তার। মেয়েটা যে এতবড় হয়ে গেছে আগে যেন চোখে পড়েনি তাঁর।
অ্যাঞ্জেলাে কারমিনের মেয়ের সঙ্গে বিছানায় যেতে পারলে খুব মজা হবে, ভাবছেন বুসেত্তা। লােকটা এখন নিবীর্য, আমার কোনও ক্ষতি করার ক্ষমতা তার নেই। বুড়াে ভামটার ধারণা আমি ওর কাছে দেনা হয়ে আছি। কিন্তু ওর চেয়ে অনেক বেশি চালাক আমি। লুসিয়া বােধহয় এখনও কুমারী। ওকে বিছানায় নিয়ে গিয়ে নতুন কিছু জিনিস শিখিয়ে দেব আমি।…………….
………….শােল্ডার স্ট্রাপে হাত চলে গেল লুসিয়ার, পরমুহূর্তে ড্রেস খুলে ঝপ করে পড়ে গেল মেঝেয়। সম্পূর্ণ নগ্ন লুসিয়া।
‘এখন আমার কথা বিশ্বাস হয়?
মাই গড, ও এতাে সুন্দর! হ্যা, তােমাকে আমার বিশ্বাস হয়,’ ঘরঘরে গলা বেনিটোর।
লুসিয়া বেনিটোর গায়ে গা ঘষল। কামার্ত গলায় বলল, কাপড় খােলাে। জলদি!
বেনিটো দ্রুত কাপড় খুলে ফেলল। লুসিয়াকে পাঁজাকোলা করে ঘরের কিনারের খাটে নিয়ে গিয়ে তুলল । আদর-টাদরের ধার ধারল না। লুসিয়ার শরীরের ওপর উঠে এল বেনিটো, ওর দুপা ফাঁক করে ঢুকিয়ে দিল পুরুষাঙ্গ। ‘পুরনাে দিনের মতাে,’ হাসল বেনিটো। আমাকে তুমি ভুলতে পারােনি, না?’
না, ওর কানের কাছে ফিসফিস করল লুসিয়া। কেন তােমাকে ভুলতে পারিনি জাননা?
না, বলাে শুনি। কারণ আমি আমার বাবার মতােই সিসিলিয়ান। লুসিয়া হাত বাড়িয়ে চুল থেকে খুলে ফেলল লম্বা, ধারালাে চুলের কাটা।
বেনিটো পাতাস কাতরে উঠল। ওর পাজরের নিচে সাঁৎ করে কী যেন ঢুকে গেছে। প্রচণ্ড ব্যথায় হাঁ হয়ে গেল মুখ, চিৎকার দেবে। কিন্তু নিজের মুখ দিয়ে ওর মুখ ঢেকে দিল লুসিয়া। ওকে আগ্রাসী চুমু খাচ্ছে, গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরুতে দিচ্ছে না। লুসিয়ার শরীরের ওপর বেনিটো প্রচণ্ড আক্ষেপে মােচড় খাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ঝুঁকি খেল লুসিয়াও। রেতঃপাত হয়ে গেল ওর।………….
পৃ-১৩৯-১৪০ঃ
………..প্রাইমাের বয়স তেরাে, মেগানের সমবয়েসী। তবে বয়সের তুলনায় অনেক ছােট দেখায় তাকে। ……..প্রাইমাে উঠে পড়ল মেগানের বিছানায়। মেগান টের পেল ছেলেটার চোখ বেয়ে জল পড়ছে। ও ওকে জড়িয়ে ধরে নিজের দিকে টানল। ‘ভয় নেই, ফিসফিস করল মেগান। কোনাে ভয় নেই।’ প্রাইমার পিঠে আদর করে চাপড় দিতে লাগল মেগান। আস্তে আস্তে ফোঁপানি থেমে গেল ওর । মেগানের শরীরের সঙ্গে লেপ্টে আছে সে, ঘনঘন নিশ্বাস ফেলছে, গরম হয়ে উঠছে গা।’ মেগান টের পেল প্রাইমাের পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে যাচ্ছে। ঘষা লাগছে ওর শরীরে।
‘প্রাইমাে… ‘আমি দুঃখিত। আ…আমি নিজেকে সামাল দিতে পারছি না।’ ক্রমে আরও স্ফীত হচ্ছে ছেলেটার লিঙ্গ, টের পাচ্ছে মেগান। ‘আমি তােমাকে ভালােবাসি, মেগান। পৃথিবীতে একমাত্র তুমিই আমাকে দেখতে পারাে, আর কেউ আমাকে পছন্দ করে না।’ তুমি তাে এখনও পৃথিবীই দ্যাখােনি।’ …..
……তােমাকে বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। আমি আমার বিছানায় যাই। | ছেলেটার কণ্ঠে বেদনা । উঠে বসতে গেল ও।
‘দাঁড়াও,’ বাধা দিল মেগান, ওকে জড়িয়ে ধরল। সান্ত্বনা দিতে চাইছে, অনুভব করছে ও নিজেও ভেতরে ভেতরে জেগে উঠছে। প্রাইমাে, আমি তােমাকে আমার সঙ্গে ওটা করতে দেব না। তবে একটা কাজ করতে পারি। তুমি মজা পাবে। করব?
‘আচ্ছা,’ বিড়বিড় করল প্রাইমাে।
প্রাইমাে পাজামা পরেছে। মেগান পাজামার কষি আলগা করে হাত ঢুকিয়ে দিল। একদম পুরুষদের মতাে ওর জিনিসটা, বিস্মিত হয়ে ভাবল মেগান। প্রাইমাের শক্ত পুরুষাঙ্গ ধরে ও হস্তমৈথুন শুরু করে দিল। সুখের আতিশয্যে গুঙিয়ে উঠল প্রাইমাে। “ওহ্, দারুণ লাগছে। করাে! করাে!’ এক মুহূর্ত পরে, গড, আই লাভ ইউ, মেগান। মেগানের নিজের শরীরেও আগুন ধরে গেছে। ওই সময় যদি প্রাইমাে আবার প্রস্তাব দিত ‘ওটা করতে, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যেত মেগান।
কিন্তু চুপচাপ শুয়ে রইল ছেলেটা। কিছুক্ষণ পরে ফিরে গেল নিজের বিছানায় । রাতে আর ঘুম এল না মেগানের। তবে প্রাইমােকে সে আর নিজের বিছানায় | আর কোনােদিন আসতে দেয়নি।……..
পৃ-১৭৬—ঃ
……বিছানায় ন্যাংটো হয়ে শুয়ে আছে ও, কুঁচকিতে ধাক্কা মারছে বেনিটো পাতাসের শক্ত লিঙ্গ। ওর খুব সুখানুভূতি জাগছে শরীরে। বেনিটোর কাছে সরে এল সে, নিতম্ব দিয়ে ধাক্কা মারল, উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গা। বেনিটোকে উত্তেজিত করে তােলার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। কোথাও কিছু একটা ভজকট হয়েছে। আমি তাে পাতাসকে খুন করেছি, ভাবছে ও। পাতাস তাে মরে গেছে। চোখ মেলে চাইল লুসিয়া। উঠে বসল। গা কাপছে। চকচকে চোখে তাকাল চারপাশে। বেনিটো নেই এখানে। আর ও আছে জঙ্গলে, স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে। …………..
………আস্তে আস্তে চাপ চালিয়ে গেল রুবিও। লুসিয়ার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে না আসা পর্যন্ত কাজটা করল। শীতে কাঁপছে লুসিয়া। রুবিও একটা গাছের তলা থেকে বেশ কিছু শুকনাে পাতা কুড়িয়ে এনে লুসিয়ার গা মুছে দিল। ও নিজেও ভিজে সপসপে, ঠাণ্ডা লাগছে। তবে নিজের দিকে নজর নেই রুবিওর। তার ভয়- সিস্টার | লুসিয়া না মারা যায়। লুসিয়ার নগ্নদেহ পাতা দিয়ে মুছে দিচ্ছে, উল্টোপাল্টা চিন্তা ভর করল মনে।
দেবীর মতাে এ মেয়ের দেহলতা। ঈশ্বর, ক্ষমা করাে, এ মেয়ে তাে তােমার সম্পত্তি। একে নিয়ে আমার মােটেই আজেবাজে চিন্তা করা উচিত হচ্ছে না…
আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরে পেল লুসিয়া। ওর মনে হচ্ছিল ইভাে ওকে সাগরতীরে শুইয়ে দিয়ে আদর করছে, জিভ বুলাচ্ছে সারা অঙ্গে। ওহ্, ইয়েস, ভাবছে লুসিয়া । ওহ্, ইয়েস থেমাে না, করাে। চালিয়ে যাও। চোখ মেলে তাকাবার আগেই শরীর জেগে গেল ওর ।…………