দ্য স্টোরি টেলার – হ্যারল্ড রবিন্স

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ শুভদেব চক্রবর্তী

প্রস্তাবনা

……ডাক্তার মেয়েটা দেখতে সত্যিই সুন্দরী, টিভিতে ওষুধ-বিষুধ নিয়ে যেসব মামুলি প্রােগ্রাম দেখায় তাতে মেয়ে ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় রার মত সুন্দরী একথা মানতেই হবে।……..

….“বিছানায় শুয়ে কসরত দেখানাের কাজ-বেডগেম, বুঝলেন এবার? আমার হয়ে ওটা কে করে দেবে?”

ডাক্তার হলেও এমন একটা বিশ্রি নােংরা চাচাছােলা জবাব মেয়েটি আমার মুখ থেকে শােনার আশা করেনি তা তার ফ্যাকাসে মুখ আর অপ্রস্তুত চাউনি দেখেই বুঝলাম। তবে মেয়েটা বেশ চালাক তাই সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নিয়ে স্মার্ট গলায় জবাব দিল, “তাইত! যে কাজের কথা বলছে আপনার এই অবস্থায় ওটা করা সত্যিই মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। কি বলতে চাইছি বুঝেছেন? যে কাজের কথা বলছেন সেটা করতে গেলে আপনাকে বারবার কোমর আর পাছা নাচাতে হবে ; এখন মুশকিলের ব্যাপার হল আপনার হাড় এমন জায়গায় ভেঙ্গেছে যার ফলে নাচানাে দূরে থাক আপনি মের নাড়াতেই পারবেন। না।”

‘তাহলে মুখমৈথুন?” তার সুন্দর ফুটফুটে মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলাম, “ওতে ত অসুবিধে নেই?”

“আপনি এখন অসুস্থ এই কথাটাই বারবার ভুলে যাচ্ছেন।” চোখ নামিয়ে জবাব দিল সে।………

……..“খুব বিপদে আপনি পড়েন নি।” আশ্বস্ত করার গলায় বলল সে। আমি মুখ তুলতেই তার চোখে চোখ পড়ল। হয়ত আমার চোখের চাউনিতে এমন কিছু ছিল যা দেখে লজ্জায় রাঙা হল তার নিস্পাপ সরল সুন্দর মুখখানা।

“বিপদে পড়িনি বলছেন” আমি বললাম, কিন্তু এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন কি করে?”

“তাহলে কাল রাতের কথা বলতে হয়, সপ্রতিভ গলায় সে বলল, “আমরা ডিমেরল ইনজেকশন দিতেই আপনার তলপেটের নীচের দিকটা খাড়া হয়ে উঠল। খানিকক্ষণের জন্য আপনার হুশ ফিরে এল। চোখ মেলে আপনি আমায় দেখলেন তারপর মুখে আনা যায়না এমন সব নােংরা কথা বলে আমায় গালিগালাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লেন।”…….

……সেদিন সকাল থেকেই গরমে টেকা যাচ্ছিল না আজও মনে আছে প্রচণ্ড ভিড়ের চাপ ট্রেনের ভেতরে মেয়েটিকে ঠেসে ধরেছে আমার সঙ্গে, একসময় আর থাকতে না পেরে মুখ তুলে তাকাল সে, মিহি গলায় বলল, “আপনার হাতটা বুকের ওপর থেকে সরালে আমি একটু দাড়ানাের জায়গা পাব।”

কথা না বাড়িয়ে হাতটা সরিয়ে এনে রড ধরলাম যাতে টাই আর জ্যাকেট খসে না পড়ে। নিঃশব্দ হাসিতে ঠোটে ধন্যবাদ ফুটিয়ে ঘুরে দাঁড়াল সে, নিজের কোমর জোরে চেপে ধরল আমার তলপেটে। ট্রেন স্টেশন ছাড়াই শুরু হল কামরার দুলুনি, দেখতে দেখতে বেড়ে গেল ট্রেনের স্পিড। সে কিন্তু দাড়িয়ে রইল একইভাবে, ফলে এখনও বেশ মনে আছে আধ মিনিটের মধ্যে আমার গা গরম হয়ে উঠল তলপেট শক্ত হয়ে উঠতে লাগল।..

…..চোখ নামাতে দেখি সে তখনও ঠায় একভাবে দাড়িয়ে যেন তার কোমর সেটে গেছে আমার তলপেটে, বারবার চেষ্টা করেও মনটা অন্যদিকে ফেরাতে পারছিনা। ট্রাউজারের নীচে আঁটো শর্টস পরেছি তাই উদ্ধত পেটও কিছুতেই বাগে আসছে না। আমার বিপজ্জনক আর অসহায় অবস্থা মেয়েটি টের পাবার আগেই হাত ঢােকালাম পকেটে, তলপেট আর তার লাগােরা জায়গাগুলাে টেনেটুনে খানিকটা বাগে এনে ঘাড় হেট করলাম, মনে হল ও কিছুই টের পায়নি। এতক্ষণে নিজেকে একটু সুস্থ মনে হল। দুটো স্টেশনের মাঝখানে সুড়ঙ্গে ঢােকার মুখে আচমকা ট্রেন থেমে গেল। সাধারণ আলােগুলি তখনই নিভে যেতেই এমার্জেন্সি আললাগুলো ঢিমে হলদে আভা ছড়িয়ে জ্বলে উঠল দপ করে। ডান কাঁধের ওপর দিয়ে মুখ তুলে এতক্ষণে জনতে চাইল সে, “কেমন, ঠিক আছে ত?”

মনটা অন্যদিকে ঘােরাতে চাইছি তাই কথা বলবার ক্ষমতা তখন আমার নেই, সংক্ষেপে মাথা নেড়ে বললাম, “খাসা”।

আপনার ছোঁয়া আমি ঠিক টের পাচ্ছি,” মুখ টিপে হাসল সে। এবার না মুখ নামিয়ে সরাসরি তার চোখে চোখ রাখলাম, সেখানে রাগ বা বিরক্তি দেখলাম । সাহস পেয়ে বললাম, “দুঃখিত, আমায় অন্যরকম ভেবাে না।” সে বলল, “না না ও কিছু না। এই পাতাল রেলের ভেতরে কত লােক যে আমার সঙ্গে ঐ এক খেলা খেলতে চায় বললে বিশাস করবেন না। আমার জবাব শুনবে বলে কয়েক সেকেন্ড থামল সে কিন্তু বলার মত কিছুই আমার মাথায় এল না। এ হপ্তায় আপনাকে নিয়ে দাড়াল চারজন। মানুষ ত নয়, একেকটা ঢ্যামনা শুয়াের! মনে ধরার মত জীব কমই আছে ওদের মধ্যে। কিন্তু তােমার কথা আলাদা, যেমন দেখতে ভাল, তেমনই সাফসুতরাে, তুমি। মােটেও বাকি সবার মত নও।”

“অশেষ ধন্যবাদ,” তার মুখের দিকে তাকাতে এইটুকুই শুধু বেরােল আমার মুখ থেকে।

“তােমার হয়ে গেছে। আমার চোখের ভাষা পড়তে গিয়ে হেঁয়ালি করে জানতে চাইল সে।

না, হয়নি, সংক্ষেপে ঘাড় নেড়ে বােঝালাম।
“মন চাইছে?” যে, জানতে চাইল সে।

উত্তর না দিয়ে তার চোখে চোখ রাখলাম আর তখনই আমার তলপেটের কাছে তার হাতের ছোঁয়া পেলাম। ব্যস, বাকি যেটুকু ছিল তা ওতেই হয়ে গেল। ঠিক তখনই ট্রেনের গতি গেল বেড়ে, যে আলােগুলাে নিভে গিয়েছিল সেগুলাে ফের জ্বলে উঠল।

আমার অবস্থা সেইমুহুর্তে শিশুর মত অসহায়, ভেতরের অবদমিত পৌরুষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। রড ধরে কিভাবে পােশাক সামলাচ্ছি বলে বােঝাতে পারব না।
“বেশ খানিকটা মজা হল”, বলতে বলতে বােলা দরজা দিয়ে সে চট করে নেমে পড়ল প্ল্যাটফর্মে।………

প্রথম পর্ব ১৯৪২

“আমার ঠিক মনে আছে, জো অল্প গলা চড়াল “গা মােছানাের ফাকে তুই রােজ আমার তলপেটে ওটা নেড়েচেড়ে দুহাতে কচলে দেখতিস কেমন জিনিস। তাের ঐ সময়ের চোখের চাউনি জীবনে ভুলব না।”

“কক্ষণাে না!” এবার মটি গলা চড়াল, “আমি মােটেও ওসব অসভ্যতা করিনি।”

“ওহাে, না বুঝে তখন অসভ্যতা করেছিল বলে এখন লজ্জা হচ্ছে এইত। লজ্জা কিসের, করেছিস বেশ করেছিস।” বলতে বলতে তলপেট থেকে হাত সরালাে জো, “অ্যাই, মটি, আমি তৈরি, ছােটবেলার মত এখন আমায় একটু চান করিয়ে দিবি?”…..

……..কেন কে জানে জোর ধারণা তার বাবা ফাঁক পেলেই জোসির পেছনে ঘুরঘুর করে, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবার ফিকির খােজে। বুক, কোমর, পাছা জোসির সবই এখনও অটোসাটো, ফেটে পড়ছে যেন–তার বাবার যেমনটি পছন্দ।……

……..“তােমার গল্পের শেষ দৃশ্যটা মনে আছে?” হ্যাজল বললেন, যেখানে আরবী শেখটা ওর তলােয়ার দিয়ে হনিসােনার ব্রা ছিড়ে দিল আর ভেতর থেকে হনির পুরুষ্ঠ বুক বেরিয়ে পড়ল, মনে পড়ে?”….

…….সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে দোরগােড়ায় লুটেসিয়াকে দেখল জো। পেছনে হলঘরের ঠিকরে আসা জোরালাে আলােয় লুটেসিয়ার শিফনের ড্রেসিং গাউনের ভেতরের উদোম শরীরের আভাস স্পষ্ট চোখে পড়ছে। ………সামনে বিশাল কৌচ তার ওপর আচমকা হাত পা ছড়িয়ে আলুথালু হয়ে শুয়ে পড়ল লুটেসিয়া। পা জোড়া তুলতেই পরণের ড্রেসিং গাউন পা থেকে সরে কোমর পর্যন্ত উঠে এল। ……

…..ককটেল ক্যাবিনেটের ওপর ঝুকে পড়েছে লুটেসিয়া ঝাকড়া চুলগুলাে উন্টে পড়ে তার মুখ ঢেকে ফেলেছে। সেইসঙ্গে চাপ পড়ায় গাউনের ওপরের টিপ বােতামগুলাে খুলে গিয়ে পুরু স্তনজোড়া উঁকি দিচ্ছে ভেতর থেকে। …….

…….“আই জো, আমি কিন্তু গরম হয়ে উঠছি,” আচমকা বলে উঠল লুটেসিয়া।
“ও তের ব্যাপার-স্যাপার। নিজেকে সামলানাে তাের দায়িত্ব,” বলল জো।

আজ গােটা বিকেলটা আমার কি বিশ্রি কেটেছে আর কি বলব,” নেশা জড়ানো গলায় আক্ষেপ করল লুটেসিয়া, বাথরুমে দরজা বন্ধ করে একা একা আঙ্গুল চালানাের খেলা! ধ্যাৎ! অতি যাচ্ছে তাই!”

“হস্তমৈথুনের খেলাটা যে একাই খেলতে হয় রে,” জো সান্তনার সূরে বলল। ……

…কড়া নেশার ঘােরে স্থান কাল পাত্র চান পুরােপুরি হারিয়ে ফেলল লুটেসিয়া, জোকে উত্তেজিত করতে হাটু ফাক করে ডানহাতের তর্জনি আর মধ্যমা উল ইংরেজি ভি’ এটা উল্টো করে দেল সে, তার পরণের অন্তর্বাস খুলে গােপনাঙ্গ দেখাতে লাগল জোকে।

“কিরে, তাের হলটা কি?” জো একদৃষ্টে সেদিকে তাকিয়ে আছে দেখে হাসি চাপতে পারল না লুটেসিয়া “এবার তাহলে তাের নিজেরও গা গরম হচ্ছে বল?”

“হতেই পারে,” সহজ গলায় কথাটা বলেই জো টের পেল লুটেনিয়া ঠিক ধরেছে, তার তলপেটের নিচের দিকটা এরই মাঝে উত্তেজিত হয়ে কাপতে শুরু করেছে। আমি সাধু সন্নাসী নই, তার ওপর এখনও জল জ্যান্ত বেচে” মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে যতদূর সম্ভব স্বাভাবিক গলায় জো বলল, “কবরের নিচে যাবার আগে পর্যন্ত আমার শরীর গরম হতে চাইলে কেউ তাকে রুখতে পারবেনা।”
‘ফালতু জ্ঞান না দিয়ে এদিকে দ্যাখ,” লুটেসিয়া হাসল “এটা কামড়ে খেয়ে ফেলবি?” “খেতে আপত্তি নেই,“জো বলল, “কিন্তু এতে আমার কি ছাই হবেটা কি?”

“তােকে এমন আরাযম দেব যা বলে বােঝানাে যায় না”, লােভ দেখাল লুটেসিয়া “ছােট একটা কামড় দিয়েই দ্যাখ–গরম যেটুকু জমেছে সব ঠাণ্ডা মেরে যাবে।”

“ ঐ কাজটা তাের চেয়ে আমি আরও ভালভাবে করতে পারব,” জো হাসল “জিভ, নয়ত তলপেট, একদিক দিয়ে খেলেই হল,” বলতে বলতে সবকটা বােতাম খুলে ফেলতেই পরনের ট্রাউজার্স কোমর থেকে খসে পড়ল পায়ের পাতায়। ভেতরে অন্তর্বাস নেই; জো তখন পুরাে উলঙ্গ। এতটুকু দ্বিধা না করে ঐ অবস্থাতেই এগিয়ে এল সে, লুটেসিয়ার মাথা দু’হাতে চেপে ধরে নিয়ে এল নিজের তলপেটের কাছে। এদিকে তার মতলব আচ করে লুটেসিয়া আগেই দাতে দাত চেপে মুখ বন্ধ করেছে, তা দেখতে পেয়েই হেঁকে উঠল জো, ” অ্যাই মাগী। মুখ খােল বলছি! হা কর। বড় হা কর!”।

কিন্তু হা করা দূরে থাক, উল্টে টেসিয়া বার বার তার মাথাটা এদিক ওদিক ঘােরাতে লাগল। ……..

লুটেসিয়া ভিতু ভিতু চোখে দেখছিল এবার বলে উঠল, “তুই যাচ্ছিস কোথায়?” “কেটে পড়ছি,” স্বাভাবিক গলায় বলল জো! .

“না এখন আমায় এই অবস্থায় ফেলে তুই কোথাও যাবিনা!”কাদো কাদো গলায় লুটেসিয়া বলল “আমার মাথাটা তুই দু’হাতে আবার জোরে চেপে ধর!”

“জোরে চেপে ধর।” লুটেসিয়াকে ভেঙিয়ে বলল তাে, “ধরেছিলাম ত, তুই ত বারবার মাথা সরিয়ে নিচ্ছিলি!”

“আমার মাথা তুই ছাড়া আর কার হাতে দেব। ঠিকই দিতাম, তার আগে ভেতরটা একটু তাতিয়ে নিচ্ছিলাম। তুইও তেমনই সামলে রাখতে পারলিনা, আমি তেতে ওঠার আগেই তাের মাল বেরিয়ে গেল। বল, সেও কি আমার দোষ?”

“বাঃ, বেড়ে বলেছিস রে মাগী! তুই ভালই জানিস এর পরে আমার বলার আর কিছু থাকবেনা। আর, আরেক রাউণ্ড খেলছি তোর সঙ্গে, তবে তার আগে …. জাপানি কিমােনাের মত ঐ হোঁৎকা মাল যেটা সন্ধ্যেবেলা গায়ে চাপিয়েছিস এটা খুলে ফ্যাল। তাের ওটা আমায় খাওয়াতে চেয়েছিলি? দাড়া তাের কোমর আর পাছা খসে না পড়া তক আমি ওটা দাঁত দিয়ে কেটে কুটি কুটি করছি! বড় গুমাের বেড়েছে তাের না? দাঁড়া, এবার দেখাচ্ছি মজা!”

পূরাে দুটো ঘটা কোথা দিয়ে কেটে গেল দু’জনের একজনও টের পেলনা……..

………“রাগ করে লাভ নেই, সােনা,” হাসল জাে, “আমি ভুল বলিনি, রেপ্ড হতে সব মেয়েই চায়। এখনকার মেয়েগুলাের দিকে একবার চোখ মেলে দ্যাখ ওদের জামাকাপড় আর সাজের বহর দেখলেই বুঝবি আমার কথা সত্যি কিনা।” একটু থেমে বলল জো, আর সবাইকে দিয়ে দরকার কি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একবার নিজেকে দ্যাখ! জামাটা ছাঁটতে ছাঁটতে এত ছােট করেছিস যে বুক জোড়া ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। তেমনই কোমরের কাছটা এত চাপা যে দেখলে যে কেউ ভাববে পাছাটা হয়ত ফেটেই পড়বে। এসব পরে হাঁটাচলা করলে যারা রেপ করার তালে রয়েছে তারা যদি ধরে নেয় তুই ওদের আহ্বান করছিস তাহলে তাকে অন্যায় বলা চলে না। ………“যা স্বাভাবিক তাতে রাগের আছেটা কি,” হাসল জো,“তােদের বুক আর পাছা দেখলেই যে কোন পুরুষেরই গা গরম হয়ে ওঠে।”………

…..আওয়াজ হতে জো সেদিকে মুখ ফেরাল। একটা ছােটখাটো সােফাকাম-বেড ঘরের মাঝখানে পড়ে, অবাক হয়ে জো দেখল তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবতী সেই সােফায় ঘেষাঘেষি হয়ে শুয়ে। সুশ্রী ঐ তিন যুবতী সম্পূর্ণ নগ্ন, পােশক বলতে তাদের পরণে কিছু নেই।………

…………কাউন্টারের পেছনের দরজা খুলে তিন লােলিটার এক লােলিটা বেরোল, সস্তা রঙিন ছাপার কাপড়ে তৈরি বাড়িতে পরার জামা গায়ে গলিয়েছে মেয়েটা, পুরুষ্ট বুক আর পাছা যেন ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ………

…..আয়নার সামনে এল । ….. বুকের কাছে হাত এনে ব্রা খুলে ফেলল সে, খুলে ফেলল কোমরে আটা গার্ডসের ফিতের ফাস। এখন  তার গায়ে একটুকরাে সূতোর আবরণও নেই। আয়নার বুকে নিজেকে এমন খোলাখুলি ভাবে দেখতে কি যে ভাল লাগে ভাষায় বােজাতে পারবে না মটি আর ঠিক তখনই অন্তবাস যেখানে মজবুত হয়ে এটে থাকে সেখানটার চামড়ায় লাল লাল দাগ দেখতে পেয়ে ভুরু কোচকালো মটি। হাতের তালু দিয়ে দাগগুলাে দাবিয়ে দিতে লাগল সে। উরুতে আর কোমরে ঐরকম ঐরকম লাল দাগ হাতের তালু দিয়ে চেপে দিতে লাগল মটি। এরপরে দু’হাতের মুঠোয় দুদিকের স্তন চেপে ধরল মটি। স্তনদুটো খুব ভারি ঠেকতে অবাক হল, ওদের আয়তন দিনে দিনে বাড়ছে কিনা এই প্রশ্ন উকি দিল মনে। ব্রা’-র হিসেবে তার একেকটি স্তনের মাপ ৩৬, যা তার বয়স আর শরীরের অনুপাতে যথেষ্ট বড় বলে তার ধারনা। ও দুটো অস্বাভাবিক বড় মনে হয় বলে ভেতরে ভেতরে অস্বস্তি পায় সে। দোকানেও খদ্দের থেকে ওপরওয়ালা সবাই কেমন হা করে তাকিয়ে থাকে তার বুকের দিকে তা লক্ষ্য করেছে মটি। ওরা যে ও দুটো ছুঁয়ে নয়ত হতের মুঠোয় নিয়ে দেখতে চায়, নিদেনপক্ষে তাদের অস্বাভাবিক আকার নিয়ে কি বলতে চায় তাদের চোখের চাউনি দেখে তা বেশ বুঝতে পারে মটি। তার বুক ছুঁয়ে দেখতে ওদের সবার হাত যে নিশপিশ করছে তা দিব্যি টের পায় সে।…………….

……হরফগুলাে দেখতে পেল সে। নিছক কৌতুহলের বশে ….. গল্প পড়তে লাগল মটি—

‘খাড়ার একদিকে ক্ষুরের মত ধারালাে তার ছোঁয়া লাগতে কেটে খসে পড়ল সূন্দরীর ব্রা, চমকে উঠে সে দেখল তার বুকে আবরণ নেই, উম্মুক্ত হয়েছে দুটি স্তন। লজ্জায় দুহাত জড়াে করে বুক ঢাকতে গেল সে, কিন্তু তাতে লাভ হল না যেহেতু তার কুচযুগল আকারে অস্বাভাবিক বড়। বরং হাত দিয়ে ঢাকতে যেতে ফল হল উল্টো ভারি স্তনের আড়ালে ঢাকা পড়ল তার দু’হাতের নরম দশটি আঙ্গুল। সঙ্গে সঙ্গে হিংস্র আরবের উষ্ণ ঠোট দুটো নেমে এল তায় গলার কাছে—গলায়, ঠোটে আর ঘাড়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের উত্তাপ অনুভব করলে সে। দুহাতের আঙ্গুলরগুলো বুকের কাছে নেমে এসে প্রলুব্ধ করে তুলল তাকে। সাহায্যের আশায় বুকফাটা চিৎকার করে উঠতে চাইল সুন্দরী, কিন্তু এই বৃদ্ধ দানবের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করতে পারে এমন কাউকে ধারে কাছে দেখতে পেল না। এই দানবের কবল থেকে তাকে বাঁচাবার মত কেউ নেই। তবু দেহের সর্বশক্তি প্রয়োেগ করে তাকে ঠেলে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করল সে। সঙ্গে সঙ্গে চারদিক কাপিয়ে অট্টহাসি হেসে উঠল দানব। সুন্দরীর ঢেউখেলানো সুগােল নিতম্ব আর সরু কোমর ঢাকা পড়েছিল প্যান্টের আড়ালে, খাড়া চালিয়ে দানব সেই প্যান্ট কাটতে যেতেই সুন্দরী বুকফাটা আর্তনাদ করে উঠল। “না! দোহাই না! আর এগিয়াে না। আমি এখনও অধরা কুমারী।”

“সে ত একশােবার?” সুন্দরীর কথা শুনে আবার অট্টহাসি হেসে উঠল শেখ হারুন রশিদ, হাসতে হাসতে বলল, “শেখের পৌরুষের সঙ্গে কুমারীর রক্ত মিশবে এত ভাল।” কথা শেষ করেই খাড়া চালিয়ে সুন্দরীর প্যান্ট কেটে ফেলল সে।

পরণে একটুকরাে কাপড়ও নেই সেটা তখনও আঁচ করতে পারেনি সুন্দরী, লাফিয়ে উঠে একদৌড়ে সে ছুটে গেল তাবুতে ঢােকার প্রবেশ পথের দিকে; কিন্তু বাইরে পা রাখবার আগেই দৈত্যের মত ভয়ংকর দেখতে দুই আরব ক্রীতদাস হাত বাড়িয়ে দু’দিক থেকে চেপে ধরে ফেলল তাকে। | ওটাকে নিয়ে আয় এখানে,” হেকে উঠল শেখ হারুশ রশিদ। ক্রীতদাস দুটো টানতে টানতে অসহায় সুন্দরীকে নিয়ে এল তাবুর মাঝখানে। তাদের শক্ত হাতের বাঁধন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে তখনও থেকে থেকে ছটফট করছে সে, সেইসঙ্গে বারবার আর্তনাদ করে উঠছে বচাও! বাচাও!’ বলে।

প্রভুর হুকুমে তাবুর মাঝখানের দুটো বড় খুটির সঙ্গে তার দুহাতের কবজি আর দু’পায়ের গােড়ালি টানটান করে বেধে বেরিয়ে গেল তাবু থেকে। সুন্দরী দেখল এমনভাবে তাকে বাঁধা হয়েছে যাতে সে এতটুকু নড়তে না পারে হারুন রশিদ এবার উঠে এসে সামনে দাড়াল, ঝাপটে পড়া চুলের গােছা সরিয়ে কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল ফুটফুটে মুখের দিকে। মােটা মােটা মাংসল আঙ্গুল দিয়ে শেখ তার মাথা থেকে পা, দেহের প্রতিটি জায়গা ছুল, শরীরের কোনও খানাখন্দ, অনাচ কানাচ, পর্বত, গিরিখাত, স্রোতধারা, নদীকূল ছুয়ে দেখতে বাকি রাখল না। এরপর তার পেছনে এসে দাঁড়াল শেখ। সুন্দরী এখন আর তার ভয়ানক মুখ দেখতে পাচ্ছে , শুধু কোমর আর নিতম্বের নরম পাতলা বাকগুলােতে মাংসল আঙ্গুলের ছোঁয়া পেয়ে বারবার শিউরে উঠছে পুলকে। এ পুলক, এ সুখানুভূতি অনন্ত, অনাস্বাদিত। “এবার আমায় নিয়ে কি করবে?” একরাশ ভয় আর উৎকণ্ঠা মেশানাে কৌতুহলে জানতে চাইল সুন্দরী।

“দেখতেই পাবে”, বলে পেছন থেকে সামনে এসে আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ল শেখ পাথরের মুর্তির মত নিশ্চল হয়ে। তারপরে ডানহাত মেলে ধরতেই সুন্দরী দেখল শেখের হাতের মুঠোয় ধরা হাতলের মাথায় আটা একরাশ নরম রেশমী ফিতের চাবুক। শুনে শুনে সে দেখল মােট নটা ফিতে। ওগুলাে দেখতে বেড়ালের লেজের মত নরম আর তুলতুলে। যে ভয় এতক্ষণ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে তাকে তা এবার বিস্ময় মেশানাে একরাশ সীমাহীন আতংকের চেহারা নিল, “এবার তুমি এটা দিয়ে আমায় মারবে?” ভয়ে ভয়ে জানতে চাইল সে।

“না গাে, সােনা,”নরম গলায় জবাব দিল শেখ, “তােমায় মারব আমি কি এতই অমানুষ? কি করব জনতে চাইছিলে না? মন দিয়ে শোন, এটা দিয়ে এবার আমি তােমায় শুধু আরাম আর সুখ দেব। বিশ্বাস করো, আরাম আর সুখ ছড়া কোনরকম ব্যথা বা জ্বালা যন্ত্রণা টেরই পাবে না তুমি। এই চাবুকের একেক ঘায়ে এমন উত্তেজনা তােমার শরীরে আমি জাগিয়ে তুলব যা ভাষায় বলে বােঝানাে যায়না। আমাদের দুজনের মিলন ছাড়া আর কিছু দিয়ে সে উত্তেজনাকে তুমি শান্ত কমতে পারবে না।”…….

…….গলা কাধ, আর হাতাখােলা ব্লাউজের ভেতর থেকে মাথা তুলেছে শার্লির উত্তঙ্গ স্তন। জো ঢুলুঢুলু চোখে একদৃষ্টে চেয়ে রইল সেদিকে।

“কি দেখছ এমন হা করে?” বুকে হাত দিল শার্লি, “দেখতে ভাল লাগলেও রং কিন্তু কালাে কুচকুচে কালাে।।

“তবু সুন্দর অদ্ভুত সুন্দর, অকল্পনীয়।” নেশা জড়ানাে গলায় ভাবের ঘােরে বলল জো। জোর মুখে প্রশংসা শুনে শার্লি আঙ্গুল চালিয়ে রাউজ খুলে ফেলল।

“এ জিনিস আগে দেখেছো?” নিজের স্তন ইশারায় দেখিয়ে বলে উঠল শার্লি, জোকে উত্তেজিত করতে তার ট্রাউজার্সের ফ্রাই-এ হাত রাখল।

“অ্যাই কি হচ্ছে।”চাপাগলায় ধমকে উঠল জো, সামনের দরজা খােলা, এখন ওসব করতে যেয়ে।”
“অত ঘাবড়ানাের কি আছে” শার্লি বলল, “এখন কেউ আসবে না, এসাে আমার সঙ্গে।”
নেশার ঘােরে জের মুখে একটি কথাও জোগাল না, মন্ত্রমুগ্ধের মত সে শার্লির পেছন পেছন এগিয়ে চলল। কাউন্টারের পেছনে দেয়ালের এক কোণে তাকে দাড় করাল শার্লি, সিগারেটে জোরে দম দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল তার সামনে। পরমুহুর্তে জো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ট্রাউজার্সের ফ্লাই একটানে খুলে দু হাতে জোর অণ্ডকোষ দুটো আলতাে করে ধরে পরম মমতায় জিভ বােলাতে লাগল পুরুষাঙ্গের চারপাশে।……….

স্কুলে পড়ার সময় লেখার হাত তার বরাবরই খুব ভাল ছিল। লেখকের সত্তা যে তার মধ্যে আছে, চর্চা করলে সে খুব ভাল লেখক হতে পারবে এ আশ্বাস সেই যুবতী শিক্ষিকার মুখেই প্রথম শুনেছিল সে। আন্টির পরনের চৌকো প্যাটার্নের খােলামেলা পােশাকের ভেতর থেকে তার উত্তঙ্গ দুটি স্তন আর তাদের গােলাপি বোটার উত্তেজক সরস বিবরণের সঙ্গে তার লেখক হবার সিদ্ধান্ত নেবার কোনও সম্পর্ক ছিল না। তবু তা জোকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল, সেটাই ছিল গল্পের বিষয়বস্তু—এক হাইস্কুলের ছাত্র তার ইংরেজির আন্টির প্রেমে পড়েছে কারণ সে ধরেই নিয়েছে নিজের উদ্ভিন্ন যৌবন দেখিয়ে তার কাছে নিজের তনুমন সপে দিতেই মহিলা খােলামেলা পােশাক পরে স্কুলে আসেন যার ভেতর দিয়ে তার শরীরের প্রতিটি বাক স্পষ্ট দেখা যায়।………..

…..একসময় প্রকৃতির দুর্বার আকর্ষণ জোর পৌরুষের সব কঠোর অহমিকাকে দাবিয়ে দিয়ে দুকুল ছাপিয়ে উঠল। হাত ধরাধরি করে দুজনে শুয়ে পড়ল খাটের ওপর একে অপরের সংলগ্ন হয়ে। তার আগেই জোর কোমরে জড়িয়ে থাকা মাটির দেয়া তােয়ালে খসে মেঝেতে গড়াচ্ছে মেঝেতে, মটিও ততক্ষণে তার নাইট গাউন আর তার ওপর জড়ানাে পাতলা চাদর খুলে ফেলেছে মেঝেতে।………

……“চোপ!” চাপা গলায় গর্জে উঠল মটি, “ফের কথা বললে টুটি টিপে ধরব বলে দিচ্ছি। আমি বড় জ্বালায় জ্বলছি রে জো। পারিস ত এই জ্বালা জুড়িয়ে দে। ইচ্ছে মত ছিড়েঘুড়ে খা আমায় যত খুশি, যেমন খুশি! শেষ করে ফ্যাল আমায়!”…….

……ঘুমের ভেতর জো, মটির হাতের ছোয়া টের পেল কিনা কে জানে, তবে এতক্ষণ সে শুয়েছিল কাত হয়ে, এবার পাশ ফিরে চিৎ হল। মটি দেখল জো নিজে ঘুমিয়ে আছে বটে, কিন্তু তার তলপেটের নিচের দানব শিশুর ঘুম গেছে ভেঙ্গে, এই সাতসকালেই ব্যাটাছেলে খিদের চোটে উঠে দাড়িয়েছে। দেখে যেমন মজা পেল তেমনই নিজেও তেতে উঠল মটি। দুষ্ট ছেলের কান পেচিয়ে ধরার ঢং-এ হাত বাড়িয়ে সেই দানব শিশুকে মুঠোর ভেতর চেপে ধরল সে। সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলল জো, একটি কথাও না বলে তার মাথা থেকে পা ভাল করে জরিপ করল সে অবাক চাউনি মেলে।

“সুন্দর,” ভােরের হালকা বাতাসের ছোঁয়ার মত লাজুক হাসল মটি, “এটা খুউব ভাল।” জো কোনও জবাব দিল না!………

দ্বিতীয় পর্ব ১৯৪৬-১৯৪৭

১৪

….. আড়চোখে তাকিয়ে দেখল হালকা পা ফেলে রান্নাঘরে ফিরে যাচ্ছে রােজা। একরাশ চকচকে কালাে চুলের রাশ পিঠের ওপর ঝাপটে পড়ে নিতম্বের ওপর দুলছে পা ফেলার তালে, সেদিকে তাকাতে জো আর চোখ ফিরিয়ে নিতে পারল না, রােজার এলিয়ে পড়া একরাশ কালাে চুলে সেটে গেল তার চাউনি। ………

……..পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে চেয়ারের ধার ঘেঁষে দাড়াল রােজা। বুকে সামনের দিকে, অনেক ঝুকে ট্রেটা নামিয়ে রাখতে যেতেই ঢােলা গাউনের কাধের কাছটা অনেকটা ফাক হল। লােভ সামলাতে না পেরে সেই ফাঁকে উঁকি দিতেই একজোড়া আপেলের মত দুটি স্তন থেকে তার নজর ঠিকরে নেমে এল তলপেটের নিচে বেড়ালের পশমের মত কুচকুচে কালাে লােমের জঙ্গলে। তাকে দেখানাের জন্যই যেন তখনও বুকে আছে রােজা। কাপে গরম কফি ঢেলে দুধ চিনি মিশিয়ে সােজা হল সে, জোর দিকে তাকিয়ে বলল, “চেখে দেখুন কেমন হয়েছে।”………….

১৫

…..এবার মুখ তুলে তাকাল মটি। কিন্তু ওপরওয়ালটি তার মুখের দিকে তাকিয়ে নেই, তার দুচোখের চাউনি তার খোলা কাধ আর গলায় অস্থিরভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে, বড় বেশি জৈবিক চাউনি। ব্রার আড়ালে স্তনও শক্ত হয়ে উঠছে টের পেল মটি। টের পেল লজ্জায় মুখ তার রাঙ্গা হয়ে উঠছে ভেতরে ভেতরে এবার তার অস্বস্তি হতে লাগল। ঢােলা ব্লাউজের বদলে সিলকের ব্লাউজ পরে আসার জন্য নিজের ওপর তার ভীষণ রাগ হল। আঁটোসাটো সিলকের ব্লাউজ পরলে তার দুটি স্তনের ওপর চাপ পড়ে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন জামা ফেটে বেরিয়ি আসবে। ………..এ ব্যাপারে আগে আমার স্বামীর সঙ্গে আমায় কথা বলতে হবে”, মিঃ মার্কসের উগ্র চাউনি তার দুটি স্তনের দিকে নিবদ্ধ টের পেয়ে মটি বলল। ………..

২০

……….ওপরওয়ালা মিঃ মার্কস যে মটিকে ভালমতই খাচ্ছেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই জোর মনে। নইলে রাতারাতি এই প্রােমােশন আর এত বাড়তি টাকা কোনমতেই জোটাতে পারতো না সে। শুধু কি তাকানাে, মটির সহবাসের ধরণও যে আগের মত নেই অনেক পাল্টে গেছে তাও খেয়াল করেছে জো, সেখানেও যেন কেমন পােশাকী কৃত্রিমতা আর রাখোঢাকো ভাব অমদানি করেছে মটি। আগে একেক রাতে মটিকে থামানাে যেত না, তার ঠেলে বেরিয়ে আসা আবেগের উচ্ছ্বাসকে ঠাণ্ডা করতে জোর মত ওস্তাদ রাতের খেলােয়াড়ের কালঘাম বেড়িয়ে যেত। কিন্তু নিজেকে গুটিয়ে নেবার পরে মটির শরীরের খিদে একেবারের চরম পুলকেই মিটে যায়, আগের মত বারবার জো সঙ্গে মিলিত হতে চায়না মটি। আগে বারবার মিলিত হবার পরে মটি দৌড়ে গিয়ে ঢুকত বাথরুমে, পাছে কোনও শুক্রকীট ডিম্বাশয়ে ঢুকে পড়ে এই ভয়ে ডুশ চালিয়ে মটি গরম সাবান জল দিয়ে তার যৌনাঙ্গের ভেতরটা ভাল করে ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলত। …………

“চুপ করে আছিস যে বড়!” জো ঠাস্ করে এক চড় মারল তার গালে, “বল, এটা তাের ছুয়ে দেখার সাধ হয়েছে কিনা! ভাল চাস ত ছুয়ে দখ নয়ত…….. শ্রদ্ধা সহকারে আস্তে আস্তে আলতাে করে রােজা জোর অণ্ডকোষে আঙ্গুল বােলাল। কি সুন্দর?” চাপা গলায় আপন মনে বলেই মুঠো করে চেপে ধরল জোর পুরুষাঙ্গ। সঙ্গে সঙ্গে জো দুহাতে তার কাধ খিমচে ধরে টেনে দাড় কালাে, রুক্ষ গলায় বলল। “ওভাবে নয়, কাপড় খােল? একদম নাঙ্গা হয়ে যা!”

জোর দিকে না তাকিয়ে রােজা তার ঢােলা পােশাক খুলে ফেলল, খুলে ফেলল সূতি কালাে রংয়ের ব্রাসিয়ার, খসালাে প্যান্টি, সব আবরণ মেঝেতে পড়ে যেতে দুহাতে নিজের তলপেটের নিচের দিক আড়াল করল, জো এক পা এগিয়ে আসতে চাপা গলায় বলল, “না, আপনার পাশে আমায় শুতে বলবেন না, সেনর, আমি এখনও কুমারী, অক্ষতযানি।”

“ধূর মাগী!” ………..

২৩

………..“আপনি বেশি বিনয়ী নন ত?” নিজের গ্লাসে চুমুক দিয়ে গায়ে জড়ানাে তােয়ালে অল্প খসালাে ব্ল্যানচে তার ফলে তলপেটের নিচে ঘন কুচকুচে লােমে ঢাকা যৌনাঙ্গের খানিকটা স্পষ্ট দেখতে পেল জো। ফ্যালফ্যাল করে সেদিকে তাকিয়ে রইল সে।

“কি হল”, জানতে চাইল ব্ল্যানচে, “অমন বড় বড় চোখ করে কি দেখছো? আমার বাপু অত রাখােঢাকো নেই, লােকে বলে, পেটে খিদে, মুখে লাজ। না মশাই, আমি ওর মধ্যে নেই, রােদেপুড়ে গায়ের চামড়া বাদামি করব বলে যেখানে এই সাগরতীরে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকি, সেখানে মিছিমিছি লজ্জা সম্ভ্রম দেখাতে একগাদা জামাকাপড় গায়ে চাপাতে যাব কেন দুঃখে, আপনিই বলুন? ……..

….“কারণ এমনিতেই আমার গা যথেষ্ট তেতে উঠেছে”, জো বলল, “তার ওপর—”

“সে ত দেখতেই পাচ্ছি,” ব্ল্যানচে বলল, “ট্রাংকের ভেতর থেকে পেটের শত্রুরর মত মুখ বের করেই আছে দেখছি”, বলে হাত বাড়িয়ে খপ করে জোর পুরুষাঙ্গ ডান হাতের মুঠোর মধ্যে চেপে ধরল ব্লানচে।

“সত্যি ব্ল্যানচে, জো হাসল। “আপনি দারুণ খ্যাপা তাতে সন্দেহ নেই।”

“খ্যাপা হলেও আমি মানুষটি ত ভাল, নাকি?” ব্ল্যানচে বড় বড় চোখ মেলে বলল, ‘আমি আপনার বস-এর বৌ, সেই সুবাদে কিছু বাড়তি সুবিধা দাবি করতেই পারি।”

“গল্প নিয়ে কি আলােচনা করবেন বলেছিলেন, জো মনে করিয়ে দিতে চাইল।

“গল্প একটাই। চিরকালের আদি ও অকৃত্রিম, আর তা হল এই “বলে ডানহাতের মুঠোয় চেপে ধরা জোর পুরুষাঙ্গ কোনও সংকোচ না করে নিজের মুখে পুরে নিল ব্লানচে।………..

২৫

“যে মিছে কথা!” রেগে গলা চড়াল জো, “ঘুরে দাঁড়া, আমার দিকে পেছন ফিরে দাঁড়া বলছি।”

কাছে এসে জোর নির্দেশে তার দিকে পেছন ফিরে দাড়াল রােজা। বা হাতের দু’আঙ্গুলে রােজার স্বার্টের নিচের দিকটা ওর তলপেটের কাছাকাছি তুলে ধরল জো, তারপর ডানহাতে ঠাস ঠাস করে দুটা থাপ্পড় মারল তার পাছার দুদিকে। থাপ্পড় খেয়ে ফর্সা চামড়া রাঙা হয়ে উঠল। “আন্ডারওয়ার পরতে ভুলে গিয়েছিলি বলে তােকে একটু শিক্ষা দিলুম”, জো বলল, “আর কখনও যেন ভুল না হয়।”

বা হাতে তখনও স্কার্টখানা তুলে রেখেছে জো, ঘাড় ফিরিয়ে রােজা বলল, “আপনি ঠিক আমার বাবার মত, সেনর, তবে বাবা আমার ওখানে আরও জোরে, বেশি জোরে থাপড় মারে।

“বুঝেছি”, স্কার্ট ছেড়ে দিয়ে জো বলল, “এখানে থাপ্পড় খেতে তােমার ভারি আরাম লাগে। এই বয়সেই খানকি তৈরি হচ্ছ, কচি খানকি!”

“পুরুষানুষকে সুখ দেয় মেয়েদের কর্তব্য, সেনর”,বলল রােসা…….

……..“তােকে অশেষ ধন্যবাদ,” জো বলল যা এবার গিয়ে শুয়ে পড়।” “যদি চান ত আপনাকে আরও শান্ত আর ঠাণ্ডা করে দিতে পারি সেনর।” “আগের চেয়ে এখন অনেক শান্ত আর ঠাণ্ডা লাগছে” বলল জো।
‘না সেনর” তার তলপেটের দিকে তাকাল সােসা, “ঐ দেখুন অবস্থা।
চোখ নামাতে জাে দেখন রোসা ঠিক ধরেছে, তলপেটের নিচের দানব শিশুর ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠছে, বাথরোবের ভেতর থেকে মাথা তুলেছে সে। রােসাকে নিয়ে একটু মজা করার নেশা চাপল তার মাথায়। গম্ভীর গলায় বলল, “ভাল চাস ত শুতে যা বােসা, নয় ত এর হাল দেখছিস ? রেগে কাই হয়ে আছে। আমি চাইলে তাের পেছনে-
‘ঠিক আছে, পেছনে”, রোজা বলল “কিন্তু সামনে নয়, বিয়ের আগে পর্যন্ত আমায় কুমারী থাকতে হবে।” বলতে বলতে এগিয়ে এল রোসা, জো বিড়িতে আৱেকবার টান দিতে সেটা হাত থেকে নিয়ে রেখে দিল অ্যাশট্রের খাজে তারপর পরনের স্কার্ট দুহাতে তুলে আচমকা বসে পড়ল জোর কোলে।
“উ: না গাে !” যন্ত্রণা মেশানাে সুখের চিৎকার করে উঠল রােসা। কোলে বসা অবস্থাতে বারবার লাফাতে লাগল সে।……….

……জাহান্নামে যাও। তুমি নিজে যেমন অপদার্থ নচ্ছার ছাড়া কিছু নও …… শুধু লিখতে অক্ষম তাই নও সহবাসের ক্ষমতাও তােমার নেই, সেদিক থেকেও তুমি অযােগ্য অপদার্থ: এদিনে একজন খাটি পুরুষমানুষ আমার জীবনে এসেছে আসল স্বাদ আর তার কাছ থেকে পেয়েছি আমি। মাত্র এক মিনিটে যে আরাম আর তৃপ্তি আমাকে দেন সেই ক্ষমতা অর্জন করতে তােমার কম করে কয়েকশাে বছর লাগবে। হামবড়াই ছাড়া আর কিছু ত জীবনে করতে শেখােনি মিছেই এতদিন পুরুষাঙ্গের বড়াই করেছে। তােমার চেয়ে ওরটা দ্বিগুণ আর তাই দিয়ে উনি এমন অনেক কিছু করতে পারেন যা তুমি ভাবতেও পারবেনা। শরীরের খেলায় তুমি এখনও শিশু মানুষ হতে তােমার ঢের দেরি।

প্রিয়তমা মটি ………..

৩য় পর্ব ১৯৪৯

২৮

………‘আমরা ইটালিয়ান” সানটিনি হাসলেন। “মেয়ে মানুষের স্তনের শােভা বর্ণনার দিক থেকে আমাদের মত সেরা সমজদার দুনিয়ায় আর কেউ নেই, ইটালিয়ান মেয়েরা তাদের স্তনের জন্য বিখ্যাত।”……..

৩০

…….”সুন্দর দেখাচ্ছে মানতেই হবে,” জো বলল, “কিন্তু গাউনের আড়ালে বড্ড নগ্ন সে। বড় বেশি উলঙ্গ, যাকে বলে উদোম গা। তােমার স্তনের বোটা, পেটের ‘খুকুমণি’,  এমনকি ঘুরে দাঁড়ালে তােমার পাছার মাঝখানের খাজটাও পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি।” ………

৩৫

……..“তাহলে তােমার এই দশা কেন,” জোর চোখ থেকে চোখ নামাল লরা, দেখল তার তলপেট শটসের ভেতর থেকে ফুলে ঢােল হয়ে উঠেছে, কাপড় যেন ছিড়ে ফেটে যাবে, সেদিকে ইশারা করেই প্রশ্ন করল সে। “ধ্যাত!” জো লজ্জা পেল, বালিশটা তুলে তলপেটের ওর চেপে বলল, “কনটেসা নয়, এর জন্য দায়ী তুমি। ………

…..আড়চোখে তাকাতে দেখল তার গায়ের চাদর মেঝেতে পড়ে আছে, এই মুহুর্তে তার পরনে কিছুই নেই, চাদরটা মেনে থেকে তােলার কোনও তাগিদ বােধ করল না লরা, জোর সামনে উলঙ্গ অনুভব করল না।

“তাই বলাে,” লরা হাসল। “এই তাহলে ব্যাপার। অনেকক্ষণ থেকেই লক্ষ্য করছি তুমি কেন যেন চাপা অস্বস্তিবোধ করছ!”।

“ঠিকই লক্ষ্য করেছে,” সায় দিল জো।

“এত লজ্জায় আর কাজ নেই বাপু,” হাসল লরা। বালিশ সরাও, তারপর খুলে ফেল তােমার শর্টস। তলপেট এখন ফুলে উঠেছে এরপর আবার হার্ণিয়া না হয়!”

লরার দিক থেকে এই তাগিদটুকু অপেক্ষাতেই ছিল জো। তার অনুমতি পেতেই একলাফে মেঝেতে দাড়িয়ে শর্টস খুলে ফেলল সে।

“বাঃ, এবার খুব সুন্দর দেখাচ্ছে তােমায়!” লরার হাসিমাখা গলায় একরাশ প্রশংসা উপছে পরল, “তুমি একা নও, তােমার ওটাও দারুণ, কম করে আট ন’ ইঞ্চি ত হবেই।”
“ হবে,” তাে বলল, “আমি কখনও মেপে দেখিনি।”
বা, কি সুন্দর!” অভিভূত গলায় বলল লরা, “কি অদ্ভুত সুন্দর!………….

……..জো বসল তার পাশে, লরার দু’পায়ের মাঝখানে হাত দিয়ে বলল, “একি, তােমার খুকুমণির যে বড্ড তেষ্টা পেয়েছে দেখছি, বেচারির জিভ দিয়ে জল গড়াচ্ছে। দ্যাখাে, ওর গাটা কেমন ভিজে উঠেছে দ্যাখাে?”
“তুমি ওকে একবার চুমু খাও, জো,” তার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলল লরা, জান, গত প্রায় ছয় বছর ধরে এক চ্যাংড়া উকিল আমায় বিয়ে করবে বলে শুধু ফাকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। বারকয়েক রাতে পাশে নিয়ে শােয়া ছাড়া আর কোনও সুখ আমার দেয়নি সে, তাও শােবার আগে কণ্ডোম’ লাগাত হতভাগা। আমার খুতুমণিকে একবার চুমু যাবে এমন কাউকে এজন্যে পেলাম না।” বলে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল লরা।

“এবার পেয়েছো,” বলল জো, “খুকুমণিদের চুমু খেতে আমি খুব ভালবাসি,” বলে লরার দুই পায়ের ফাকে নিজের মুখ গুজে দিল জো, “আরে রাম! একি কাণ্ড!” মুখ না সরিয়ে উত্তেজনায় চেচিয়ে উঠল জো,……..

….দেরি করল না জো, দুহাতে লরার উরু দুটো ফাক করে বিছানায় চিত করে ফেলে চেপে বসল তার পেটের ওপর। মিলনােন্মুখ দুটি সত্ত্বা নিমেষে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল, চাপা গােঙানির আওয়াজ বেরিয়ে এল লরার মুখ থেকে। দু’হাতে লরাকে জড়িয়ে ধরে জো উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল।……..

৩৬

……….“তাহলে একটা কাজ করুন,” হাসিমুখে কনটেসা বললেন, “দু’ আঙ্গুলে খানিকটা কোকে তুলে নিন, তারপর ওটা আমার তলপেটের নিচে ডলে মাখিয়ে দিন।”
অ্যানা,” হাসতে হাসতে জো এই প্রথম তার নাম ধরে বলল। “কাণ্ডজ্ঞানের পরোয়া না করে রসিকতা করতে সত্যিই আনার জুড়ি নেই। ……
 নিন, আর দেরি করবেন না। আমার তলপেটের নিচের দিকটা জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেল যে, কোকেন ছাড়া আর কিছুতে ওটা ঠাণ্ডা হবে না।”

“আপনি ত বলেই খালাস,” জো বলল, “চাদরের নিচে যে অটো বেদিং সুটখানা চাপিয়েছেন ওটার কথা ভেবেছেন? ওর ভেতর দিয়ে আমার আঙ্গুল?”

“ও নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না,”বলে জোর ডানহাতের তিনটি আঙ্গুলে শিশি থেকে খানিকটা কোকেন মাখিয়ে কনটেসা বললেন, “এবার চটপট ডানহাতখানা টেবিলক্লথের নিচে নিয়ে আসুন।

বাপরে! মেয়েমানুষ বটে! কনটেসার মুখের দিকে একপলক তাকিয়ে নিজের মনে বলে উঠল জো। …………

Leave a Reply