দ্য লাভার্স গেমস – জ্যাকি কলিন্স

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

রূপান্তরঃ অনীশ দাস অপু

চিত হয়ে শুয়ে আছে সান্ড্রা ট্রিমেন। ধবধবে সাদা সার্টিনের চাদরে ঢাকা বিশাল বিছানা। এয়ার ম্যাট্রেসের গদি। তুলতুলে নরম। শরীরের অনেকটাই ডুবে গেছে তাতে।

ঘরের ওপাশের দেয়াল জুড়ে আয়না। অলস ভঙ্গিতে মাথা ঘুরিয়ে তাকাল সান্ড্রা। নিজের সৌন্দর্য্যে নিজেরই যেন দম আটকে আসতে চায়। সম্পূর্ণ নগ্ন ও। কোমল, গোলাপী শরীরের প্রতিবিম্ব পড়েছে আয়নায়। একটা পা ভাঁজ করে রেখেছে।

এই শরীর দেখার পর পুরুষদের কি দশা হয়, জানা আছে ওর। বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে চোখ। বেড়ে যায় শ্বাস প্রশ্বাসের গতি। নিজের অজান্তেই হাঁ হয়ে ওঠে মুখ। আপন মনেই হাসল সান্ড্রা। একজন রমণীর জন্য এর চাইতে গর্ব আর কিসে?

পেলব উরুর ওপর হাত রাখল সান্ড্রা। মসৃণ চামড়া, ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলে আনছে হাত। সেই জায়গাটার উপর কিছুক্ষণের জন্য স্থির রাখল। কাঁটা দিয়ে উঠল ওর শরীর। সরিয়ে আনল হাত। গুরু নিতম্ব। মসৃন তলপেট। গভীর নাভী। সরু মেদহীন কোমর। পাঁজরের উপর দিয়ে উঠে আসছে হাত। ক্রমেই চওড়া হয়ে উঠেছে বুকের খাচা। তারপর হাতে ঠেকল। নরম তুলতুলে মাংসপিণ্ড। পিনােন্নত স্তনের উপর থাবা ছড়িয়ে দিল ও।

শিহরিত হলাে সান্ড্রা। ওর একান্ত বিশ্বস্ত সম্পদ এই শরীর। মাঝে মধ্যেই আয়নার সামনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরখ করে, চামড়ার কোথাও কোন ভাজ পড়েছে কিনা। প্রতিবারই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ও। কোথাও কোন পরিবর্তন নেই এই শরীরের। আজ বিশ বছর যাবত অটুট ধরে রেখেছে সে যৌবন। বিশ বছরের তরুণীর মতই সজীব, সতেজ, ড়গড়গে শরীর ওর। অথচ সান্ড্রার বয়স এখন চল্লিশ ছুঁই ছুঁই করছে। ব্যাপারটা নিয়ে অহংকার বোধ করে ও।

অন্য মেয়েরা যখন ওর দিকে ঈর্ষার দৃষ্টিতে তাকায় তখন অট্টহাসিতে ভেঙ্গে পড়া থেকে বহু কষ্টে সামলে রাখে নিজেকে। ইদানীং কালের মেয়েগুলােকে দেখে দুঃখ হয় ওর। কেমন শুটকো খ্যংড়া কাঠি একেকটা। বুক, পাছা সমান। কিন্তু নিজের এই ভরাট শরীর নিয়েও চিন্তার শেষ নেই তার। জানে ও, এক সময় না এক সময় বয়সের ছাপ পড়বেই। এই শক্ত গাঁথুনী ঢিলে হয়ে যাবে। তখন? না, সেই অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কপালে ভাঁজ ফেলতে চায় না ও।

বাথরুম থেকে একটা পুরুষ গলা ভেসে আসছে, গুনগুনিয়ে গান। গাইছে। মাথা ফিরিয়ে শাওয়ারের বন্ধ দরজার উপর চোখ রাখল ও। দৃপ্ত তারুণ্যে ভরা গলা। উচ্ছল, সজীব, শক্তিমান এক তরুণের গলা। একটু আগেই বিছানায় এসবের প্রমাণ রেখে গােসল করতে ঢুকেছে যুবক।

সুখ অনুভূতিতে চোখ বুজে ফেলল সান্ড্রা। হাসছে টকটকে লিপিস্টিক মাখা ঠোট দুটো নিঃশব্দ হাসিতে ফাক হয়ে আছে, ঝিলিক দিচ্ছে মুক্তোর মত সাদা দাঁতের সারি। | বাথরুমে গােসল করছে ল্যারী নিলি। সান্ড্রার জীবনের অসংখ্য যুবকদের সর্বশেষ সংযােজন। এক সময় ধূসর অতীতে হারিয়ে যাবে সে ও। কিন্তু শুধু বর্তমান নিয়েই বাঁচতে চায় সান্ড্রা। চায় পৌরুষত্ব। যে পৌরুষ ওকে দলে মলে একাকার করে দিতে পারে। চামড়ায় চামড়ায় ঘর্ষণে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দিতে পারে, সুখের গভীরে নিয়ে যেতে পারে ওকে। ল্যারী নিলি ঠিক তাই। | তৃপ্তির হাসি সান্ড্রার ঠোটে। ওর জন্যে যে এক কথায় পাগল বলা যেতে পারে ল্যারীকে। এই শরীরের জন্যে কোন্ পুরুষই লালায়িত হবে যে? অবশ্য ওদের এই উন্মাদনা কখনই দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয় না সান্ড্রা। মােট কজন পুরুষ ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ফিরে গেছে? এক ডজন, কিংবা তারও বেশি আপন মনে ভাবল ও।

একটাই নীতি সান্ড্রার। পুরুষদের থেকে কিছুই চাইবে না সে। শুধু বিলিয়েই যাবে। নিজের এই সযত্নে লালিত শরীরটা বিলিয়ে দেবে। জীবনের সব ধরনের গভীর, গােপন, নিষিদ্ধ সুখ দেবে ওদের। যা তারা কোনদিন কল্পনাতেও ভাবেনি। কাম সূত্রের কোন আসনই বাদ দেবে না। বিনিময়ে অবশ্য একটা জিনিস চায় সেও। সেই চরম সুখটা। তারপর একসময় অনায়াসে লােকগুলােকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও। স্বর্গ থেকে যেন মর্তে পতন হয় ওদের। শুধু সাথে থাকে কিছু সুখ স্মৃতি।

পাশ ফিরল সাম্রা। সরাসরি তাকাল আয়নার দিকে। বাদামী চুল ঘাড়ের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে বিছানায়। এখনাে সামান্য লালের আভা লেগে আছে বাদামী মুখের চামড়ায়। বড় বড় গভীর নীল চোখ। লম্বা পাপড়ি, কেমন যেন নিস্পাপ একটা ভাব আছে চোখ জোড়ায়। ওর ভেতরের কামুকী রূপটাকে লুকিয়ে রাখে তা। কমলা লেবুর কোয়ার মত ঠোট। লম্বাটে মুখ।

আপন মনেই মাথা ঝাকাল সাস্ত্রী। এই জীবন ছাড়া অন্য কিছুতেই তৃপ্ত হবে না ও। ঘর, সংসার, স্বামী, সন্তান-এসব ওর জন্য নয়। মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়াবে ও। কোথাও কোন বন্ধন নেই। যখন প্রয়োজন পড়বে। একজনকে তুলে আনবে বিছানায়। কিন্তু কিছুতেই নিজেকে জড়াবে না। ওসব বােকা মেয়েরা করে। তাছাড়া স্বামীর নিরাপত্তা ওর দরকার নেই। টাকা পয়সা সমাজের মর্যাদার জন্যে কোন পুরুষের মুখ চেয়ে বসে থাকতে। হয় না ওকে। সান্ড্রার নিজেরই অনেক আছে। | গান বন্ধ হয়ে গেছে বাথরুমে। চোখের পর্দায় ল্যারীর নগ্ন দেহটা ভেসে উঠল ওর। তামাটে কিউপিড় মূর্তি যেন। সুঠাম, বলিষ্ঠ। তােয়ালে দিয়ে ঘসে ঘসে শুকিয়ে নিচ্ছে বুক, পিঠ, তলপেট, নিতম্ব,…।

কাঁটা দিয়ে উঠল সত্ত্বার শরীর। উত্তেজিত হয়ে উঠছে চিন্তা করেই। মাত্র দু’সপ্তাহ হলাে পরিচয় হয়েছে ছেলেটার সাথে। ঠিক ওর মনের মত জিনিস। যেমনি চেহারায় তেমনি বিছানায় । একটানা ক্লান্তিহীন কাজ চালিয়ে যেতে পারে রাত স্ত্র। অরগাজম হয়ে ছিচড়ে যায় সার্ভা। কিন্তু তবুও চরমে। পেীছায় না ল্যারী। অদ্ভুত কৌশলে আটকে রাখে নিজেকে।

খুট করে শব্দ হলাে বাথরুমের দরজায়। বেরিয়ে এল ল্যারী। কোমরের নীচে একটা সাদা তােয়ালে। ওর শরীরের প্রতিটা ইঞ্চি যেন চেটে চেটে খাচ্ছে সান্ড্রা। টের পাচ্ছে ধাঁ ধাঁ করে তাপ বাড়ছে শরীরের।

ঝাড়া ছ’ফুট দুই ইঞ্চি লম্বা ল্যারী। একমাথা এলােমেলাে কালাে চুল। স্বচ্ছন্দ হাঁটার গতি। প্রতিটা পা ফেলার সাথে সাথে নেচে উঠে যেন মাংসপেশী।

‘হাই!’ সাার দিকে তাকিয়ে হাসল ও! জ্বল জ্বল করছে চোখ। 

বুক নাচিয়ে হাসল সান্ড্রা। ওর নগ্ন শরীর দেখা মাত্র পরিবর্তন এসেছে ছেলেটার শরীরে। তােয়ালে ঠেলে ফুসে উঠেছে যন্ত্রটা। সেদিকে চোখ রেখে তর্জনী নেড়ে ডাকল সান্ড্রা।

সম্মােহিতের মত বিছানার পাশে এসে দাঁড়াল ল্যারী। সাার সমস্ত শরীরে খেলে বেড়াচ্ছে দৃষ্টি।

‘হাই ডার্লিং! কি দেখছ অমন করে? আদুরে গলায় বলল মেয়েটা।

ইচ্ছে করেই দু’পা আরও ফাক করে দিল, কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে একটু উঁচু হলাে ও। এক ঝটকায় খুলে নিল তােয়ালে। মুক্তি পেয়ে তিড়িং করে নেচে উঠল ল্যারীর ওটা। “কি ব্যাপার? এখনি ক্ষিদে লেগেছে মনে হয়?

আলতাে করে লম্বা ম্যানিকিউর করা নখ ছোঁয়াল ওখানে। লম্বা করে শ্বাস টানল ল্যারী। ডাইনী!’ ফ্যাসফেসে গলায় বলল ও। কৃত্রিম অভিমানে গাল ফোলাল সান্ড্রা। বেশ। ইচ্ছে না থাকলে করব ।

ঝপ করে বিছানার উপর বসে পড়ল ল্যারী। শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরল সান্ড্রাকে। বুভুক্ষুর মত ওর ঠোট জোড়া নিজের ঠোটে পুরে নিল। অন্য হাত ব্যস্ত বুকে।

‘তারমানে আরেকবার গােসল নিতে হবে আমাকে।’ মুখ তুলে বলল।

ল্যারীর পুরুষাঙ্গ দু’হাতে দিয়ে মুঠি পাকিয়ে ধরল সাপ্তা। ঠিক আছে। কিছু করতে হবে না। এখানেই ক্ষান্ত দিলাম।

হাত সরিয়ে নিতে যাচ্ছিল ও। ঝট করে চেপে ধরল ল্যারী। ওহ্ গড। এ সময় সরিয়ে নিও না। মরে যাব।’ কাতরে উঠল ও।।

খিল খিল করে হেসে উঠল সান্ড্রা। মুখ এগিয়ে এনে গভীর ভাবে চুমু খেল। ওর জিভ চুষছে ল্যারী। কেমন মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ। ভাগ্যিস পার্টিতে গিয়েছিলাম আমি।’ চুমু শেষে বলল ল্যারী, ওখানেই তাে পরিচয় তােমার সাথে।

ওর থুতনী ধরে নাড়িয়ে দিল সান্ড্রা । তােমার সাথে যেই পাটকাঠির মত মেয়েটা ছিল, কোথায়?

‘গােল্লায় যাক!’ কাঁধ ঝাকাল ল্যারী, ‘ওর চেহারাটা পর্যন্ত মনে নেই এখন!” 

অদ্ভুত একটা আত্মতৃপ্তিতে ভরে উঠল সারি মন। হ্যা, সফল হয়েছে। ও। একটা তরুণীর কাছ থেকে ল্যারীকে ছিনিয়ে এনেছে সে।

সামনে ঝুঁকে এল ল্যারী। ঠোট ছোয়াল সার্ভার বুকে। শিউরে উঠল সান্ড্রা। গুঙিয়ে উঠল ও। ল্যারীর পিঠে খামচে ধরল। জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে চোখ বন্ধ। | ‘আর পারছি না। শুরু করে জলদি। সটান শুয়ে পড়ল সান্ড্রা। আমন্ত্রণের ভঙ্গীতে দুদিকে ছড়িয়ে দিল পা।

চুমু খেল ল্যারী। বন্য পশু হয়ে উঠল যেন সে। ঝাপিয়ে পড়ল নগ্ন, পেলব শরীরের উপর। ঠিক পতঙ্গ যেভাবে ঝাপ দেয় আগুনের উপর।

দু’হাতে জড়িয়ে ধরে ওকে গ্রহণ করল সান্ড্রা । পিষে ফেলতে চাইছে। শরীরের সাথে। তীব্র সুখে কেঁপে কেঁপে উঠছে সাঞ্জা। ল্যারীর ধাক্কাটা সইতে মৃদু আওয়াজ বেরোল মুখ দিয়ে। যেন ছিড়ে খুঁড়ে ঢুকে যাচ্ছে টর্পেডাে। সুখকর যাতনা। কিন্তু পরক্ষণেই দ্রুত বেগে উপরে নীচে ওঠা নামা করতে লাগল কোমর। একই সাথে পাশবিক শক্তিতে ওপর থেকে চাপ দিচ্ছে ল্যারী। দ্রুত থেকে দ্রুততর হলো ওদের গতি।

প্রায় একই সাথে নিষ্ক্রমন হলাে দু’জনেরই। সুখের অনুভূতিটা ফুরিয়ে যাওয়া মাত্র অবশ হয়ে এল সাার শরীর। বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটে উঠেছে কপালে, ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে ও।…..

………এই প্রথম বারের মত ভাল করে লক্ষ্য করল রিসেপশনিস্ট মেয়েটাকে। | ওর দৃষ্টিতে নিখুঁত সুন্দরী লিণ্ডা। যে কোন পুরুষের বুকে ঝড় তােলার মত সুন্দরী। সুডৌল স্তনের উপর দৃষ্টি থমকে গেল ওর। কাপড়ের উপর দিয়েই স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে।

মিনি স্কার্ট পরেছে লিণ্ডা। উরুর অনেকটাই অনাবৃত। আরেকটু নীচু হলে আরাে অনেক কিছুই নজরে পড়বে, আপন মনে ভাবল মার্ক। লােমহীন। সুডৌল ফর্সা পা। নীল হাই হিল জুতাে। যত্ন নিয়ে কাটা লম্বা নােখ। মেরুণ রঙের নেল পালিস লাগানাে।

পুরুষদের সন্ধানী দৃষ্টি টের পায় মেয়েরা। তার প্রমাণ রাখল লিন্ডা। ‘কি হলাে। আমার পেছনটাও দেখার ইচ্ছে আছে বুঝি? রাগী গলা ওর, ঘুরে। বসব?

ধীরে ধীরে হাসি ফুটল মার্কের ঠোটে। মন্দ হবে না।’

এবার হঠাৎ করেই লজ্জা পেয়ে গেল মেয়েটা। গালে রংয়ের ছােপ ধরল। এতে আরাে সেক্সি দেখাচ্ছে ওকে। কতকগুলাে ফাইল পত্র টেনে নিয়ে মিথ্যে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল সে।……..

……..একজন নারীর সাথে বিছানায় যেতে হলে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে।

ঘড়ির দিকে তাকাল ও। আটটা বাজতে তিন মিনিট বাকী। অদ্ভুত একটা শিহরণ অনুভব করছে সান্ড্রা। বিছানায় কেমন হবে মার্ক? দেখে মনে হয় ল্যারীর চাইতে অনেক বেশি অভিজ্ঞ আর উদ্দম লােকটার। মেয়েদের চরম সুখ দিতে পারবে। আপন মনেই হাসল ও। সত্ত্বা ট্রিমেনের আগুন। নেভাতে পারবে কি?

আপন মনেই হাসল সান্ড্রা। খুব যত্ন নিয়ে আজ সন্ধ্যার জন্য সেজেছে ও। ডিপ পারপল রঙের মিনি স্কার্ট পরনে ওর। কোনরকমে শুধু প্যান্টিটা ঢেকেছে। স্কার্টের পাশ দিয়ে চেরা। নিতম্বের অনেকটাই নজরে পড়ে। আটসাট হয়ে চেপে বসেছে। গাঢ় নীল রংয়ের লাে কাট ব্লাউজের সাথে অদ্ভুত কন্ট্রাস্ট হয়েছে। ব্লাউজের নীচে ব্রা পরেনি ও। বুকের অনেকটাই অনাবৃত। দুই স্তনের মাঝের গভীর খাদে জ্বলজ্বল করছে নেকলেসের হীরের লকেটটা। যেন সিগন্যাল দিচ্ছে। হালকা একটা সেন্ট লাগিয়েছে। ঠোটে হালকা লিপস্টিক। নখেও একই রঙের নেলপলিস। পায়ে ফ্ল্যাট হিলের স্যাণ্ডেল। মার্কের মাথা ঘুরিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট।………

……নিজে বিপরীতের সােফায় বসল। পায়ের উপর পা তুলে দিল। ইচ্ছে করেই এভাবে বসেছে ও। যাতে স্কার্টটা উরুর আরাে উপরে উঠে যায়। আড়চোখে চট করে দেখে নিল। স্কার্ট সরে গিয়ে ফর্সা উরু ছাড়িয়ে কালাে প্যান্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ঘরের চারপাশে দৃষ্টি বুলিয়ে আনল মার্ক। দামী ফার্নিচার। সান্ড্রার নগ্ন উরুর উপর এসে স্থির হলাে চোখ। আপন মনেই হাসল সান্ড্রা। হ্যা, ধীরে ধীরে ফাদে পা রাখছে ইদুর! মার্ক যে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে দেখতে পাচ্ছে সে। প্যান্টের ওখানটা ফুলে উঠেছে। জিনিসটার সাইজ চিন্তা করে পুলকিত বােধ করছে ও।……

উঠে দাঁড়াল সান্ড্রা। মার্কের সামনে দিয়ে নিতম্বে ঢেউ তুলে চলে গেল। একটা ট্রলি ঠেলে নিয়ে এল। বােতলের মুখ খুলে গ্লাস রাখল মার্কের সামনে। মদ ঢালছে ও। না দেখেও বলে দিতে পারে ওর স্তনের বোটা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে মার্ক। সম্মােহিতের দৃষ্টি লােকটার চোখে।

‘বরফ নিয়ে আসছি।’ সােজা হলাে ও। মুখের উপর এসে পড়েছিল চুল। মাথা ঝাকিয়ে সরিয়ে দিল পেছনে। সেই সাথে কেঁপে উঠল স্তন জোড়া। কিচেনের দিকে এগােল ও। ওর নিতম্বের উপর আটকে আছে মার্কের চোখ।

গ্লাসে বরফ নিয়ে ছােট্ট করে চুমুক দিল মার্ক। দারুণ জিনিস। প্রশংসার গলায় বলল ও।

নিজের গ্রাস তুলে নিল সান্ড্রা। আবারাে স্কার্ট উচিয়ে বসেছে ও। ‘কি ব্যাপার? অমন করে কি দেখছ?’ খোচা মারল।

ঘনঘন নিঃশ্বাস পড়ছে মার্কের। তােমাকে। বােঝার চেষ্টা করছি তােমাকে।’

হাসল সান্ড্রা। তাই? কি বুঝলে এতক্ষণে? ‘এই জীবনই পছন্দ বুঝি তােমার? “অবশ্যই। ড্রিঙ্ক, সেক্স এণ্ড মানি। এই তিনটাই আমার নেশা।’…..

……..বুঝতে পারছে ওর সর্বাঙ্গে সেঁটে আছে মার্কের লােভাতুর দৃষ্টি। ওর শরীরের প্রতিটা ভাজ লক্ষ্য করছে সে।…….

…..কিংবা আরেকটা কাজ করা যায়। ওর হাতে নিজেকে সঁপে দেয়া। চুমােয় চুমােয় ভরিয়ে দেবে। টেনে নিয়ে যাবে বিছানায়। বিছানায় কতটা অভিজ্ঞ লােকটা? ল্যারীর চাইতে নিশ্চয়ই ভাল হবে। অনেক বেশি সুখ দিতে পারবে ওকে। দ্বিতীয় চিন্তাটাই আটকে গেল মনে।

কিচেন থেকে ফিরে এল ওরা। কিছুই ঘটল না। টের পাচ্ছে সান্ড্রা, ক্রমেই উত্তেজিত হয়ে উঠছে ও। অদ্ভুত একটা সুড়সুড়ির মত অনুভূতি দুই উরুর সন্ধিস্থলে। আর কতক্ষণ নিজেকে ধরে রাখতে পারবে ও? পাগল হবার দশা যে!…….

যে মুহূর্তে কিচেনে গিয়ে ঢুকল মার্ক, ঝট করে উঠে দাঁড়াল সান্ড্রা। নিঃশব্দে ছুটে গিয়ে ঢুকল বেডরুমে। ইচ্ছে করেই দরজাটা খুলে রেখেছে। মার্ককে বেরুতে দেখে চেঁচিয়ে বলল, “এক মিনিট! আসছি আমি।’ ইতিমধ্যেই নেশায় পেয়ে বসেছে লােকটাকে। চকচক করছে চোখের মণি। চোখ দুটো সামান্য লাল।

ঝটপট পােশাক পাল্টে ফেলল সান্ড্রা। একটা প্রায় স্বচ্ছ গোলাপী নাইটি গায়ে চাপাল। নীচে কালাে প্যান্টিটা ছাড়া আর কিছু নেই। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে নগ্ন শরীরের প্রতিটি লােমকূপ যেন উদ্ভাসিত। পায়ে লাল টকটকে স্ট্রাপের হাই হিল।

বেডরুম থেকে বেরিয়ে এল সান্ড্রা। ওকে দেখা মাত্র বিস্ফোরিত হয়ে উঠল মার্কের চোখ। গ্লাস থেকে ছলকে পড়ে গেল খানিকটা ওয়াইন। | ‘খুব গরম লাগছিল তাই বদলে ফেললাম পােশাক। মৃদু হেসে বলল সা। ঝুঁকে টেবিল থেকে গ্লাসটা নিল ও। একটা বাটিতে করে বরফ নিয়ে এসেছে মার্ক। সামনে ঝোকার ফলে বুক যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে ওর। | হাতের গ্লাস নামিয়ে রাখল মার্ক। তার পরেই নাইটির ভেতর হাত চালিয়ে দিয়ে চেপে ধরল সত্ত্বার ফর্সা বুক।

পাথর হয়ে গেল সান্ড্রা। পরক্ষণে ঝট করে সােজা হলাে ও। কঠোর দৃষ্টি চোখে। যেন পারলে পুড়িয়ে ফেলত লােকটাকে। ” হাসল মার্ক। এত ভণিতা করতে হবে না!’ বলল ও, তুমি কি চাইছিলে এতক্ষণ বুঝতে অসুবিধা হয়নি আমার।’ সান্ড্রার কব্জি ধরে টানল ও। দু’হাতে জড়িয়ে ধরল। যেন পিষে ফেলবে পেলব শরীরটাকে। প্রথমটায় সামান্য বাধা দেবার চেষ্টা করল সান্ড্রা। কিন্তু একটু পরেই আত্মসপর্ণ করল নিজেকে। সত্যিই তাে! এটাই তাে চাইছিল ও। ওর। নিতম্বে হাত রেখেছে মার্ক। টিপছে। অন্য হাতে ওর তলপেট ডলছে। ম্যাসেজ করে দেবার মত। কেঁপে উঠল সান্ড্রা।

এবার মুখ নামিয়ে আনল মার্ক। চুমু দেবে। কিন্তু মাথা সরিয়ে নিল র। নরম গালের উপর উষ্ণ ঠোটের ছোঁয়া। গাল থেকে কানের উপর ঠোট নিল মার্ক। দুই ঠোটের মাঝে পুরে কানের লতি চুষছে লােকটা। জিভ দিয়ে চাটছে। আগুনের মত গরম হয়ে উঠেছে সান্ড্রা। মৃদু কাঁপছে ও। পুরুষ মানুষের শরীরে যে এমন আশ্চর্য মন্ত্র থাকতে পারে জানা ছিল না ওর। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে স্তনের বোটা। মুখ আরাে নীচে নামাল মার্ক। নাইটির উপর দিয়েই চুমু খেল বোটার উপর। মুখে পুরে নিয়ে কামড় দিল আস্তে করে। গুঙিয়ে উঠল সান্ড্রা।

ঠিক তখনি ওকে ছেড়ে পিছিয়ে গেল মার্ক। অবাক চোখে তাকাল সান্ড্রা। মুচকি হাসছে লােকটা। কিন্তু ততক্ষণে পাগল হয়ে উঠেছে সান্ড্রা। লােকটার ঐ নিষ্ঠুর ঠোট জোড়া নিজের ঠোটে পুরে ফেলার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে ও। কাপা দুহাত বাড়িয়ে ধরল সান্ড্রা। লােকটা ওকে বুকে টেনে নিক। পিষে ফেলুক। কামড়ে রক্তাক্ত করুক। চরম সুখে রোমাঞ্চিত করুক। কিন্তু এ কি! এখনাে আগের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে মার্ক। 

“কি হলাে! এসাে। চেঁচিয়ে উঠল সান্ড্রা। একই সাথে রাগ আর কামনা ফুটে উঠেছে গলায়। বুঝতে পারছে,, এখন ওকে নিয়ে খেলছে মার্ক। চাইছে সে নিজে গিয়ে জড়িয়ে ধরুক ওকে। না, তা করবে না ও। ঘুরে দাঁড়িয়ে সােজা বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেবে। উচিত শিক্ষা হবে দুর্বিনীত পুরুষটার।

কিন্তু পারল না সান্ড্রা। নিজের অজান্তেই এক পা এগিয়ে গেল ও। মার্কের মাথা জড়িয়ে ধরল। টেনে নামিয়ে আনল। তৃষ্ণার্তের মত লােকটার ঠোট দু’টো নিজের ঠোটে পুরে ফেলল। প্রাণপণে চুষছে। জিভে জিভে খেলছে। কামড়াচ্ছে। কিন্তু কি আশ্চর্য! কোন প্রতিক্রিয়া নেই মার্কের।

কয়েকটা অবাক মুহুর্ত কেটে গেল। তারপর সাড়া দিল মার্ক। গভীর। চুমু দিল ও। সার নরম, মিষ্টি ঠোট দুটোয় চেপে বসল ওর ঠোট।

আরাে নীচে নামাল মাথা। থুতনীর উপর স্থির হলাে। তারপর গলা বেয়ে চুমু দিতে দিতে নীচে নেমে যাচ্ছে। কণ্ঠার হাড়ের উপর ঠোট ছোঁয়াল। সেখান থেকে আরেকটু নীচে। দুই ভরাট স্তনের মাঝের খাদে। চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস টানল ও। একই সাথে মিষ্টি এবং পাশবিক একটা ঘামের গন্ধ নাকে এল। কামাতুর মেয়েদের গা থেকে বের হয় এই গন্ধ। পাগল করে তােলে পুরুষদের। বুক ভরে করল মার্ক।

দু’টো ফিতে দিয়ে কাঁধের সাথে বাধা আছে স্বচ্ছ নাইটিটা। দু’ আঙ্গুল দিয়ে ফিতা ধরে টান দিল মার্ক। খসে গেল ফস্কা গেরাে। মসৃণ কাধ বেয়ে মাটিতে পড়ে গেল নাইটিটা। পরণের প্যান্টি ছাড়া সম্পূর্ণ উদোম সান্ড্রা। নগ্ন ভেনাস। দু’চোখ ভরে সেই সুধা পান করছে মার্ক।

ধীরে ধীরে হাঁটু গেড়ে নীচু হচ্ছে মার্ক। বুকের খাচার উপর দিয়ে ঠোট যাচ্ছে। সম্পূর্ণ বুকটাই যেন মুখে পুরে ফেলবে ও। লাল করে তুলেছে। কামড়ে। জিভ দিয়ে লালাসিক্ত করে তুলছে। আরাে নীচে এগােল মার্ক । 

মসৃণ পেট, নাভী। নাভীর গভীরে জিভ পুরে দিল ও। শব্দ করে চুমু খেল। মসৃণ তলপেটে গাল ছোঁয়াল। | অদ্ভুত আনন্দে শিহরিত হচ্ছে সান্ড্রা। দু’হাত দিয়ে মার্কের মাথা চেপে ধরল দুই উরুর মাঝে। কেমন যেন একটা পাগল করা গন্ধ! দ্রুত নাক ঘষতে শুরু করল ও।।

‘আরাে জোরে! কঁকিয়ে উঠল সান্ড্রা। ওর দু’ ফর্সা উরু আঁকড়ে ধরে হাঁটু গেড়ে বসে আছে মার্ক। লােকটা এখন ওর হাতের মুঠোয়। ওর দাস! কথাটা চিন্তা করে পুলক বােধ করল সান্ড্রা। এখন থেকে ওর কথা মত চলবে মার্ক। ও যা বলবে তাতেই রাজী হয়ে যাবে বাধ্য ছেলের মত।

ঠিক তখনি উঠে দাঁড়াল মার্ক। লােকটার চোখে আবারাে সেই শীতল দৃষ্টি। কেমন যেন দূরের নক্ষত্রের মত। | ‘পছন্দ হয়েছে? গা ঝাকিয়ে ভারী বুকজোড়া দুলিয়ে দিল সান্ড্রা। প্যান্ট খুলে ফেল। দেখে নাও জিনিস ঠিক আছে কি না! ‘মার্কের উত্তেজিত পৌরুষে হাত ছোঁয়াল ও। উহ! এখনি খুলে ফেল প্যান্ট। নাহলে জিনিসটা ভেঙ্গে যাবে। যা অবস্থা।’ খিল খিল করে হেসে উঠল ও।

‘অপূর্ব! সত্যিই তুমি অপূর্ব। সান্ড্রা কোমরে হাত রাখল মার্ক।

‘এখনি সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক না। আসল কাজে কেমন সেটা আগে দেখে নাও।’ খপ করে লােকটার হাত চেপে ধরল ও। বেডরুমের দিকে টেনে। নিয়ে যেতে লাগল। ঠিক যেভাবে শিকার টেনে নিয়ে যায় বাঘিনী।

হঠাৎ ঝাড়া মেরে হাত ছাড়িয়ে নিল মার্ক।

‘না।’ দৃঢ় গলায় বলল ও, ভেড়া পেয়েছ নাকি আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যাবে?

পরক্ষণে এক ঝটকায় সান্ড্রাকে কোলে তুলে নিল ও। নরম, উষ্ণ, তুলতুলে দেহটা। খিলখিল করে হাসছে সান্ড্রা। পা ছুঁড়ছে ছেলেমানুষের মত। গরিলার মত দু’হাতে ওকে জড়িয়ে ধরে বেডরুমে ঢুকল মার্ক। বিছানার উপর আছড়ে ফেলল।

এবার দ্রুত হাতে শার্টের বােতাম খুলতে শুরু করল মার্ক। ছুঁড়ে ফেলে। দিল ঘরের কোনায়। প্যান্টের বেল্টে হাত দিল ও। চেন খুলে নামিয়ে দিল নীচে। খিলখিল করে হেসে উঠল সত্ত্বা। আণ্ডারওয়্যারের আবরণীতে আটকা পড়ে ফুসছে যেন সিংহ। কনুইয়ের উপর উঁচু হয়ে একটানে জাঙ্গিয়াটা খুলে দিল ও। সাথে সাথে তিড়িং করে লাফিয়ে উঠল মার্কের বিশাল জিনিসটা। 

‘মাই গড! এ যে রীতিমত মুগুর দেখছি।’ আঁতকে ওঠার ভান করল সা ।

‘মুগুর নয়। ঘুম ভাঙা পশুরাজ সিংহ।’ হাসল মার্ক। সান্ড্রার পায়ের কাছে বসল। কোলে তুলে নিল জুতােসুদ্ধ ফর্সা পা দুটো। খুলে ফেলল। হাই হিল। চুমু খেল ওর পায়ের আঙ্গুলে। মসৃণ পায়ের উপর দিয়ে চুমু খেতে খেতে উপরে উঠছে ও। মুখ ডােবাল উরুতে। সেখান থেকে দুই উরুর সন্ধিস্থলে। কালাে প্যান্টিটার দু’পাশে আঙ্গুল আটকিয়ে টান দিল ও। সরাৎ করে নেমে এল নীচে। | দম আটকে গেছে যেন মার্কের। ওর চোখের সামনে উদ্ভাসিত সেই গােপন, গহীন, জায়গাটা। দু’পা ফাক করল সান্ড্রা! মুখ নামিয়ে ওখানে চুমু খেল মার্ক।

‘আর পারছি না। তাড়াতাড়ি করাে! অসহ্য সুখে গুঙিয়ে উঠল সাপ্তা।। দু’হাতের তালু দিয়ে সে আদর করছে মার্কের ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা সিংহকে।

“এবার ওর শরীরে ওপর উঠে এল মার্ক। মার্ক সামান্য উঁচু করল নিতম্ব। ওর উত্তেজিত সিংহ খুঁজছে গুহা। চট করে হাত দিয়ে ধরে ওটাকে গুহামুখে সেট করল সান্ড্রা। পরক্ষণে উপরের দিকে ঝট করে তুলল নিম্নাঙ্গ। একটা টর্পেডাে যেন ঢুকে গেল ভেতরে। প্রথমটায় সামান্য একটা ব্যথা। দম আটকে আসল ওর। পরক্ষণে সুখের বন্যা বয়ে গেল শরীরের মধ্যে দিয়ে। দ্রুত ওঠা নামা করছে মার্কের নিতম্ব। একই সাথে সার ঠোটে চুমু খাচ্ছে ও।

শব্দ করে গোঙাচ্ছে সান্ড্রা। আনন্দে হিস্টিরিয়া রােগীর মত চিকার করছে। দু’পা দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে মার্কের কোমর। হাত দিয়ে কাঁধ ধরে তীব্র আকর্ষণ করছে। ক্রমেই যেন পশু হয়ে উঠল মার্ক। ঘাড়ের শক্তিতে সঙ্গম করছে সে। যেন ওর শরীরের নীচে পিষে ফেলতে চাইছে মেয়েটাকে। যেন বড় কোন অন্যায়ের জন্য শাস্তি হচ্ছে সান্ড্রার । ঠিক একই তীব্রতায় সাড়া দিচ্ছে সান্ড্রা। এমন সুখ বহুদিন পায়নি সে। | হঠাৎ করে টের পেল সান্ড্রা। লাভা উদগীরনের সময় হয়ে এসেছে। শরীর কাপিয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসবে এখুনি। অর্গাজমের চরমে পৌছে গেছে সে। এখন আর কিছুতেই দীর্ঘায়িত করা যাবে না। পাগলের মত নখ বসিয়ে দিল মার্কের বাহুতে। থর থর করে কাঁপছে ও। 

“তাড়াতাড়ি করাে হয়ে যাচ্ছে আমার। জলদি!’ সাথে সাথে যেন স্পীড বাড়ল গাড়ির। প্রচণ্ড জোরে জোরে নিতম্ব ওঠাচ্ছে নামাচ্ছে মার্ক।

তারপরেই যেন প্লাবন ঘটিয়ে বেরিয়ে এল লাভা স্রোত। কেঁপে কেঁপে উঠল দুটো নগ্ন শরীর। ভেসে গেল সান্ড্রা। চোখ বুজে সুখ নিচ্ছে ও। তৃপ্ত আজ সে।

‘ফ্যান্টাসটিক। চোখ বুজে বিড়বিড় করে বলল ও। স্বাভাবিক হয়ে অসিছে শ্বাস-প্রশ্বাস। মার্কের গালে আঙ্গুল বােলাচ্ছে।

সম্পূর্ণ নেতিয়ে পড়েছে সান্ড্রা। শরীরের বিন্দুমাত্র শক্তিও অবশিষ্ট নেই। ক্লান্ত দেহ। চোখ বুজে ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে। ঘামে চকচক করছে নাকের ডগা। দু’হাত মাথার পেছনে। বগলেও ঘাম।

কিছুক্ষণ পর চোখ মেলে তাকাল। চাইছে ওকে এখন আদরে আদরে ভরিয়ে দিক মার্ক। ওর অবশ মাংসপেশীগুলােকে আরাম দিক। ‘অদ্ভুত ক্ষমতা তােমার।’ তৃপ্ত গলায় বলল সত্ত্বা। এমন সুখ জীবনে পাইনি।’

প্রশংসায় গলল না মার্ক। তৃপ্তি দিয়েই অভ্যাস ওর। ধন্যবাদ।’ মৃদু গলায় বলল। নিরাশ হলাে সাা। এত কিছুর পরেও এতটা শীতল ব্যবহার করবে মার্ক, আশা করেনি সে। ….. কিন্তু পাত্তা দিল না মার্ক। আপন মনে বলে চলেছে ও। তুমি একটা নষ্টা মেয়ে। সেই ধরনের মেয়ে, যাদের সাথে বিছানায় যাওয়া কোন ব্যাপারই না। আজকেই তােমার সাথে পরিচয় আমার। আজকেই বিছানায় গেলাম। মােট ক’জন পুরুষের সাথে বিছানায় গেছ তুমি? ………..

……….এবার মেয়েটার শরীরের দিকে নজর দিল মার্ক। স্বাস্থ্যবতী বলা চলে। বেশ বড় বড় বক্ষ সম্পদ। চওড়া নিতম্ব। একটু মােটার দিকে। কোমরে সামান্য মেদ জমেছে। লাল টকটকে একটা ফ্রক পরনে। এঁটে বসেছে গায়ে। সম্ভবত ব্রা পরেনি। স্তনের বোটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পােশাকটার গলা খুব বড় করে কাটা । সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে থাকায় বুকের অনেক দূর পর্যন্ত দৃষ্টি যায়। পায়ের উপর পা তুলে রেখেছে মেয়েটা। মসৃণ ফর্সা পায়ের উপর দৃষ্টি বুলাল মার্ক।…….

…..পা বদল করল মেয়েটা। সাথে সাথে ড্রেসটা উঠে গেল অনেকখানি। আদুল হয়ে পড়েছে ফর্সা, মাংসল উরু। ঢাকার কোন চেষ্টাই করছে না মেয়েটা। নিস্পৃহ দৃষ্টিতে উরুর দিকে তাকিয়ে আছে মার্ক। কোন প্রতিক্রিয়া নেই ওর মধ্যে। এখনাে ম্লান হয়নি মেয়েটার মুখের হাসি। ……

………মানুষ প্রমাণ আয়নার সামনে নিজের ফর্সা ধবধবে নগ্ন শরীর মেলে দিয়ে দাঁড়াল ও। বিভিন্ন দিক থেকে ঘুরে ঘুরে লক্ষ্য করছে। কোমর দুলিয়ে ঢেউ তুলল নিতম্বে। সামান্য মেদ জমেছে পেটে। ব্যায়াম করে ঝেড়ে ফেলতে হবে। অশ্লীল ভঙ্গীতে তলপেটে নাচাচ্ছে ও। শরীর ঝাকাল। দুলে উঠল স্তন জোড়া। ছােট্ট হিলের নীল স্লিপার ওর পায়ে। স্লিপার সহ এক পা তুলে দিল পাশের বেসিনের উপর। জায়গাটার উপর হাত বুলাল সান্ড্রা। ওর সমস্ত সত্তা এখন চাইছে কোন পুরুষের তপ্ত আঘাত। নিজের অজান্তেই দুটো আঙ্গুল পুরে দিল ভেতরে। ঘন ঘন ঢোকাচ্ছে আর বের করছে। একটু পরেই রাগমােচন হয়ে গেল। | হাঁপাচ্ছে সন্ত্রা। সিঁদুর রঙা মুখ। একটু আগের দৃশ্যটা মার্কের দেখা দরকার ছিল। ও নিশ্চিত, জীবনে এমন উত্তেজক দৃশ্য দ্বিতীয়বার দেখার সৌভাগ্য হয়নি লােকটার। নিশ্চই পাগল হয়ে উঠত লােকটা।

উচু গলায় হাসল সান্ড্রা। দ্বিতীয়বার একই দৃশ্য মার্ককে দেখাতে অসুবিধে কোথায়? আজ রাতেই দেখাবে। মার্কের চেহারা কি হবে চিন্তা। করে পুলকিত বোধ করছে ও।

বুকের উপর হাত রাখল সান্ড্রা। মনে মনে চিন্তা করছে এই হাত মার্কের। সাথে সাথে রক্তের চাপ বেড়ে গেল ওর। ইশ! রাত হতে এখনাে কত দেরি! মসৃণ পেটের উপর হাত ঘষল। সময় কাটতে চায় না কেন। যদি টাইম মেশিন থাকত, তাহলে এই মুহূর্তে সময়টাকে এগিয়ে দিত সান্ড্রা। মিলনের মুহূর্তেই আটকে রাখত সময়। দীর্ঘস্থায়ী করত সেই তীব্র সুখের। মুহূর্তগুলাে।……..

……নিশ্চয়ই ঝড়ের বেগে গাড়ি চালিয়ে এসেছে ল্যারী। নিঃশব্দে দরজা খুলে ধরল সান্ড্রা

‘জেসাস’ চোখ ঠিকরে বেরুচ্ছে যেন ছেলেটার। সম্পূর্ণ উদোম দাঁড়িয়ে আছে সান্ড্রা। একটা সূতাে পর্যন্ত নেই গায়ে।

‘জলদি ভেতরে এসাে। নয়তাে লিফট থেকে কেউ বের হলে এ অবস্থায় আমাকে দেখে ফেলবে।

ঘরে ঢুকল ল্যারী। পা দিয়ে ঠেলে বন্ধ করে দিল দরজা। পরক্ষণে দুহাতে জড়িয়ে ধরল সার নরম শরীরটা। এই মাত্র গােসল করা শীতল শরীর। ল্যারীর মাথা টেনে নিয়ে চুমু খেল সান্ড্রা। রসে টইটুম্বুর হয়ে। আছি। আর এক সেকেণ্ডও নষ্ট করতে চাই না। শুরু করে দাও। আগুন নেভাও অমার।’ ফ্যাশফ্যাশে গলায় বলল ও।

চকচকে চোখে সান্ড্রার নগ্ন শরীরের উপর চোখ বােলাল ল্যারী। ওর হাত খেলা করছে একটা স্তন নিয়ে। ঘাড়ের উপর চুমু খেল। সেখান থেকে কাধে। তারপর আবার ঠোটে। উত্তেজনায় অদ্ভুত গােঙানীর শব্দ বেরুল মুখ দিয়ে।

‘সারাক্ষণ এরকম ন্যাংটো থাকতে পার না তুমি! হাসল সান্ড্রা। তাহলে ঠাণ্ডা লেগে মারা যাব।’ 

অদ্ভুত একটা ঘাের লাগা ভাব ল্যারীর চোখে। উত্তেজনায় লাল হয়ে। উঠেছে মুখ। ফুলে উঠেছে নাক। ঘন ঘন শ্বাস টানছে। কিন্তু বিরক্ত হলাে সান্ড্রা। গাধাটা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি সারা রাত! দুই উরুর সংযােগ স্থলে ল্যারীর আঙ্গুল খেলা করে বেড়াচ্ছে, টের পাচ্ছে ও। অন্য হাত নিতম্বে ব্যস্ত। কিন্তু এসবে আজ শান্ত হবে না সত্ত্বা। ওর শরীরের চাহিদা অনেক বেশি। ওকে ছিড়ে ফুড়ে দিক ল্যারী!

ঝটকা মেরে নিজেকে সরিয়ে নিল সান্ড্রা। হাত ধরে টানল ল্যারীকে। ‘এসাে! জলদি এসাে’ বেডরুমের দিকে এগােল।

বেডরুমে ঢুকেই আবার ওকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছিল ল্যারী। কিন্তু তার আগেই বিছানার উপর গা এলিয়ে দিল সান্ড্রা। দু’পা দুদিকে ছড়িয়ে দিল।

ঝটপট পােশাক খুলে ফেলল ল্যারী। আণ্ডারওয়্যার নামিয়ে দিতেই মুক্তি পেল কুঁসে ওঠা বন্দী পৌরুষ। উর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। লাফিয়ে বিছানায় উঠে পড়ল ও।

উল্টো আসন নিল ওরা। সান্ড্রার ওখানে মুখ রাখল ল্যারী। জিভ দিয়ে সুড়সুড়ি দিল।

একই সাথে ল্যারীকে সাক করছে সান্ড্রা। কেঁপে কেঁপে উঠছে দু’টো নগ্ন শরীর। আদিম উন্মত্ততায় পেয়ে বসেছে ওদের।

এক সময় বিচ্ছিন্ন হলাে ওরা। সােজা হয়ে শুলাে। দীর্ঘ সময় নিয়ে ঠোটে চুমু খেল। ওর একটা স্তন নিয়ে ব্যস্ত ল্যারী। বারবার চুমু খাচ্ছে বোটায়।

দু’পা মেলে ধরে সান্ড্রা। এসাে! হাঁপাতে হাঁপাতে বলল ও। ওর আমন্ত্রণে সাড়া দিল ল্যারী। তবে প্রথমেই প্রবেশ করল না সে।

সাার ওখানটায় এমন কিছু কাণ্ড করল যে একের পর এক বৈদ্যুতিক তরঙ্গ খেলে যেতে লাগল ওর শরীরে। এই উত্তেজনা অসহ্য হয়ে উঠেছে সান্ড্রার জন্য। শেষটার সে নিজের নিতম্ব উঁচু করে লুফে নিল ল্যারীর যন্ত্রটা।

মুগুরের মত জিনিসটা ঢােকামাত্র একটা তীব্র যন্ত্রণা। তার পরেই সুখের আবেশ। উঠা নামা করতে শুরু করল ল্যারীর নিতম্ব। দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে গতি। গুড়িয়ে ফেলতে চাইছে সত্ত্বাকে।

তীব্র গলায় চিৎকার দিচ্ছে সান্ড্রা। শক্ত হাতে আঁকড়ে আছে ল্যারীর। পিঠ। চোখ বােজা। কল্পনায় মার্ককে দেখছে ও। ল্যারী নয়, যেন মার্কের সাথে সহবাস করছে সে। 

শেষটায় ঘটল বিস্ফোরণ। নেতিয়ে পড়ল সান্ড্রা। শরীরের সমস্ত কামনার আগুন নিভে গেছে। কিন্তু মনের আগুন নেভেনি। ও চাইছে, এখনি যেন ফিরে যায় ল্যারী। মার্ককে বলুক কোথায় ছিল সে।

হাঁপাচ্ছে ল্যারী। চোখে মুখে পরম তৃপ্তি। ‘এই সপ্তাহটা খুব ব্যস্ত থাকতে হবে আমাদের।’ বলল সান্ড্রা। বড় জোর দশদিন। তার পরেই পাড়ি জমাব আমরা। বুঝতেই পারছ। এখন। অনেক কাজ হাতে।।………..

 

……..মার্ক, মার্ক, আবেগে-উত্তেজনায় গুঙিয়ে উঠল লিণ্ডা। অক্টোপাসের মত মার্কের ঘাড় আঁকড়ে ধরে আছে ও। প্রচণ্ড নিষ্পেষনে ওর দেহটা মথিত করছে মার্ক। ওর উষ্ণ, কোমল ঠোট জোড়া গ্রাস করে নিয়েছে নিষ্ঠুর দুটো পুরুষালী ঠোট।

কেটে যাচ্ছে মুহূর্তের পর মুহূর্ত, বিরাম নেই ওদের। নাড়িস্পন্দন বেড়ে গেছে দুজনার। শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে হাঁপরের মতাে। থ থর করে কাঁপছে মার্ক। লিণ্ডার কাঁপুনীও টের পাচ্ছে সে। | সহসা মার্ককে হতাশ করে দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল লিণ্ডা। ভেতরে ভেতরে তাজা বিস্ফোরক হয়ে আছে মার্ক। মরিয়া ভঙ্গিতে আবার জাপটে ধরতে গেল লিণ্ডাকে। হাত তুলে বাধা দিল লিণ্ডা।

“প্লিজ, ওভাবে নয়। তাড়াহুড়াে করলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। মজা পাবাে । আগে কাপড়চোপড় খুলতে দাও। সারাটা রাত তাে হাতে আছেই।’

‘লিণ্ডা, ডার্লিং, গলার স্বর ভারী হয়ে এল মার্কের। আর সহ্য করতে পারছি না। তাড়াতাড়ি কাপড় খােলাে। কাঁপা হাতে নিজের কাপড় খুলতে শুরু করল ও। | ব্লাউজটা খুলে এক পাশে ছুঁড়ে ফেলল লিণ্ডা। ব্রা ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে ভরাট সম্পদদ্বয়।

নগ্ন পুরুষ দেহটা জরিপ করে কামনার হাসি-হাসল লিণ্ডা। ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিসফিসে স্বরে ডাকল, ‘এসাে, ডার্লিং। ব্রার হুক খুলে দাও।’

এলােমেলাে পায়ে এগিয়ে এলাে মার্ক। স্ত্রহাতে হুক খুলে ফেলল। ছুঁড়ে ফেলল ব্রা। লাফিয়ে বেরিয়ে এলাে দুটো সাদা কবুতর। ক্ষেপে গেল মার্ক। হেঁচকা টানে মিনি স্কার্টটা খুলে ফেলল। ওটাকেও নিক্ষেপ করল মেঝেতে। পরক্ষণে লিণ্ডার নগ্ন দেহটা দুহাতে জাপটে ধরে কামড় বসাল ওর একটা বুকে। একটা হাত প্যান্টির ভেতর ঢুকিয়ে খামচে ধরল মাংসল নিতম্ব। 

“উহু, বেবি। এখানে নয়, আপত্তি জানাল লিপ্তা। বেডরুমের দিকে অঞ্জলী নির্দেশ করল সে। ওখানে চলাে। নরম বিছানায় শুয়ে যা খুশি কোরাে।”

নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ডান দিকের একটা দরজার দিকে পা বাড়াল। লিণ্ডা। ওর ঢেউতােলা নগ্ন নিতম্বের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে জিব দিয়ে শুকনাে ঠোট ভেজাল মার্ক।

দোরগােড়ায় থেমে আবার ঘুরে দাঁড়াল লিণ্ডা। মদালসা চাহনি। কাম ইন ডার্লিং। আজ মনের সুখে যা খুশি করো। আপত্তি করবাে না, আমন্ত্রণটা জানিয়েই কামরায় অদৃশ্য হলাে ও। | দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে এসে বেডরুমের দরজায় থামল মার্ক। আবছা আলাে কামরায়। আলাে যা আসার লিভিং রুমের খােলা দরজাপথে আসছে। বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে আছে লিণ্ডা। অস্পষ্ট নজরে আসছে ওর। চেহারা। তবে দেহটা নজরে আসছে পরিষ্কার। পাতলা একটা চাদরে নগ্ন শরীর ঢেকে রেখেছে লিণ্ডা। চাদর ঠেলে উঁচু হয়ে থাকা বক্ষ সম্পদে চোখ। বােলাল মার্ক। তারপর চোখ নামাল পেটের ওপর। শেষে ওর দৃষ্টি স্থির হলাে উরুসন্ধিতে। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না ও। প্রায় ছুটে এসে ঝাপিয়ে পড়ল বিছানায়। লিণ্ডার শরীরের ওপর থেকে চাদরটা সরাল কাঁপা হাতে। তারপর দেহের ভার চাপিয়ে দিল ওর কোমল নারী দেহের উপর। | অক্টোপাসের মত দুহাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরল লিণ্ডা। আর এক পা দিয়ে পেঁচিয়ে রাখল নিতম্ব। মার্কের প্রকাণ্ড জিনিসটা সেঁটে আছে ওর দুই। উরুর মাঝখানে। পাগল হয়ে উঠেছে মার্ক। লিণ্ডার গােলাপী অধর মুখে পুরে চুষছে লজেন্সের মত। অর ডান হাতে দলিত মথিত করছে একটা। স্তন। বাঁ হাত দিয়ে ক্রমাগত খামচাচ্ছে লিণ্ডার মাংসল ভরাট নিতম্ব।

“ওহ, ওহ্ মার্ক, কাতরে উঠল লিপ্তা। মার্কের মাথায় পিঠে অনবরত হাত বুলাচ্ছে ও। মাঝে মাঝে খাবলে ধরছে পিঠের মাংস। সারাক্ষণ আরামসূচক শব্দ বেরােচ্ছে ওর মুখ থেকে। | ‘লিণ্ডা বেবী…লিণ্ডা, বেবি আয়েশে চিৎকার করতে করতে ওর কানের লতিতে মৃদু কামড় বসাল মার্ক। সেখান থেকে মুখ নামিয়ে আনল গলায়। উষ্ণ ভেজা চুম্বনে গলা ভিজে গেল লিণ্ডার। ধীরে ধীরে মুখ নামাচ্ছে মার্ক। আবেশে দু চোখ বুজে আছে লিণ্ডা। ওর মুখ হাঁ হয়ে আছে এক আনন্দশিহরনে। দুই বুকের খাজে মুখ ডুবিয়ে চুম্বন করল মার্ক। গুঙিয়ে উঠে দুহাতে মার্কের চুল খামচে ধরল লিণ্ডা। দৃঢ়ভাবে মাথাটা বুকে চেপে রাখল-যেন ভয় পাচ্ছে, ধরে না রাখলে মাথা সরিয়ে নেবে মার্ক।  

“ওহ, মার্ক, প্রবল কামনায় কেঁপে উঠল লিস্তার গলা। আর সহ্য করতে পারছিনা। তাড়াতাড়ি করাে!

‘একমিনিট, বেবী,’ আবেশ-জড়ানাে সুরে বলল মার্ক। আরেকটু চেখে নিই তােমার শরীরটা তারপর। যা অবস্থা, হয়তাে শুরু করা মাত্র আউট হয়ে যাব আমি। মুখ আরও নীচের দিকে নামিয়ে আনল ও। জিভ দিয়ে চাটতে শুরু করল লিণ্ডার নাভী। খানিক পর দু’উরুর মাঝখানে নামল ওর জিভ, চেটে চেটে ভিজিয়ে দিল। তারপর আলতাে কামড় বসাল। ডান হাতটা স্তন থেকে সরিয়ে এনেছে ও, কিন্তু বাঁ হাতটা ব্যস্তই থাকল লিণ্ডার নিতম্বে।

| তিরতির করে কাঁপছে লিণ্ডার সর্বাঙ্গ। চোখ মুখ লাল। তীব্র যৌন উম্মাদনায় দাঁতে দাঁত লেগে গেছে ওর। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। সবচেয়ে সংবেদনশীল জায়গায় মার্কের জিভের ছোঁয়া লাগতেই। চরম মুহর্তে পৌছে গেল ও। সিক্ত হয়ে উঠল মার্কের মুখমণ্ডল।

মার্ক দু’হাতে লিণ্ডার উরু ফাক করে ধরল। তারপর উঠে বসে দুহাতে উঁচু করল লিণ্ডার পা দুটো। অপলক চোখে দেখল কয়েক সেকেণ্ড, তারপর সজোরে প্রবেশ করল ওর শরীরে।

সামান্য কুঁকড়ে গেল লিণ্ডার দেহ। মার্কের শিশ্ন বেশি লম্বা নয়, তবে ভিষণ প্রশস্ত। লিণ্ডার মনে হলাে ছিড়ে যাবে ওর নিম্নাংগ।

স্টীম ইঞ্জিনের মত কাজ শুরু করল মার্ক। দুই হাতের চাপে লিণ্ডার। পেট আর হাঁটু এক করে ফেলেছে ও। কিন্তু এতটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে যে, বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারল না। খলন ঘটল ওর। আবেশে দু চোখ বুজল লিণ্ডা। এত সুখ, এত শান্তি আগে কেউ দিতে পারেনি ওকে।

গভীর আবেগে মার্কের মাথাটা বুকে চেপে ধরল লিপ্তা। ওর সারা মুখে পরিতৃপ্তির ছাপ। ‘ডার্লিং’ ক্লান্ত গলা ওর। এত সুখ কোনদিন পাইনি। ইশ, কেন যে নিজেদের এতদিন বঞ্চিত করলাম আমরা।

মুখ উচু করে লিণ্ডার নাকের ডগায় চুমু খেল মার্ক। ……..পাশাপাশি শুয়ে অনেকক্ষণ সময় কাটাল ওরা। মাঝে-মধ্যে হাত বাড়িয়ে দু’জনই জেনে নিচ্ছে পরস্পরের দেহের গােপন রহস্য। মার্কের নেতিয়ে পড়া জিনিসটা একহাতে নাড়াচাড়া করছে লিণ্ডা। সম্ভবতঃ আবার ক্ষেপিয়ে তুলতে চাইছে। ………

……..নিয়ন সাইনের মত কামনায় চকচক করছে সাার চোখ। এমন প্রকাণ্ড দেহী মানুষ জীবনে খুব কম দেখেছে ও। শরীরের প্রতিটা অঙ্গই কি অমন প্রমাণ আকৃতি? ভাবতেই দম আটকে এল ওর। নিশ্চয় ভীষণ মােটা আর লম্বা। হবে দানবটার জিনিস। চিন্তাটা মাথায় আসা মাত্র পিচ্ছিল হয়ে উঠল ওর ওখানটা, যেন গরম ভাপ বেরােতে লাগল। উত্তেজনায় বসে থাকাও কষ্টকর। হয়ে পড়ল ওর জন্য। | ঝুঁকে পড়ে টেবিলের নীচে একটা হাত ঢুকাল সা। ইঞ্চি ইঞ্চি করে হাতটাকে ক্যালির চওড়া-মাংসল উরুতে নিয়ে ঠেকাল।

এমন ভঙ্গিতে কেঁপে উঠল ক্যালি, যেন গরম সুঁচ ফুটিয়ে দিয়েছে কেউ ওর গায়ে। ক্ষুধার্ত হায়েনার চাহনি ফুটল তার দু’চোখে। বেবী, ফ্যাস ফ্যাসে গলায় বলল ও। আরাম করে প্রেম লীলা চালানাের মত কোন জায়গায় যাওয়া উচিত আমাদের।’

হায়রে বেচারী, লিণ্ডা। দুঃখ না করে পারল না সান্ড্রা। কিন্তু, বেশিক্ষণ মাথা ঘামাবার ধৈর্যও নেই ওর। যােগ্যতা নেই বলেই আজ হয় তাে অপদস্থ হয়েছে মেয়েটা। অবশ্যই, ভেবে দেখল সান্ড্রা। নইলে ওর সামান্য সুরসুরিতেই এমন উত্তেজিত হয়ে উঠবে যেন দানবটা? | ওর কাঁধে একটা হাত রাখল ক্যালি। পরক্ষণে হাতটা ঘুরিয়ে এনে ঢুকিয়ে দিল ওর দুই বুকের মাঝখানে। আর সাথে সাথে শুরু করল রাম টেপা। স্তন দুটো পালাক্রমে মর্দন করছে ক্যালি। এত জোরে জোরে চাপছে যে, অন্য কোন নারী হলে যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠত। কিন্তু সা তো তাই চায়। ও চায় পুরুষরা পিষে ক্ষত-বিক্ষত করুক ওর দেহটা। | হাপরের মত হাঁপাচ্ছে ক্যালি। টানাটানির চোটে কাধের নীচে চলে এসেছে সঞ্জার পােশাকের একাংশ। বেরিয়ে এসেছে ব্রা বন্দী একটা স্তন।।

একটানে জিপারটা নামিয়ে দিল সান্ড্রা। তারপর আণ্ডারঅয়ারটা নিচু করে বের করে আনল ক্যালির যন্ত্রটার অর্ধেক। দেখেই ঢােক গিলল ও। ওর পুসি যদি ছিড়ে ফেলে জানােয়ারটা? যেমন ক্ষ্যাপার মত চটকাচ্ছে বুক, একদিনেই দেবে ঝুলিয়ে। কিন্তু পশুটাকে থামাতে চায় না ও। কোন মতেই। বুক ঝুলে পড়ে বৃদ্ধ মহিলার মত দেখালে দেখাকগে। নিচের অংশ ক্ষত-বিক্ষত হলে হােক। তবু এই অসহ্য যন্ত্রণার সুখ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবে পারবে না সান্ড্রা।

হাতের মুঠোয় ক্যালির গদা চেপে ধরল ও। হঠাৎ দুষ্ট বুদ্ধি খেলল ওর মাথায়, সর্বশক্তি দিয়ে চাপ মেরে বসল। কিন্তু অবাক করে দিয়ে নির্বিকার থাকল ক্যালি। সামান্য আহ উহ না করে এক মনে করে চলল নিজের কাজ।

মনে মনে যুবকের প্রশংসা না করে পারল না সান্ড্রা। এইটুকু ব্যথা সহ্য করতে না পারলে আবার কিসের পুরুষ? পুরষ্কারস্বরূপ ওখানে হাত দিয়ে আদর করতে লাগল ও।

ওয়েট্রেস কখন এসে দাঁড়িয়েছে দুজনের একজনও টের পায়নি। ঘৃণার। দৃষ্টিতে ওদেরকে দেখছে মেয়েটা। ঝটপট নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সােজা। হয়ে বসল সত্ত্বা। সরে যাওয়ায় কতটা ভাল হয়েছে টের পেল ও। উত্তেজনায় হিংস্র কুকুর হয়ে উঠেছে ক্যালি। সময়মত সামাল না দিলে হয়তাে ওকে টেবিলের ওপর ফেলেই চড়াও হতাে। পশুটার চক্ষুলজ্জা বিন্দু। মাত্র নেই! অবশ্য ও নিজেও হারিয়ে ফেলেছিল নিয়ন্ত্রণ।

ওয়েট্রেস চলে যাবার পর বিতৃষ্ণায় মুখ বাঁকাল ক্যালি। একদম ফালতু একটা জায়গায় বসে আছি আমরা।’ আসলেও তাই, বিড়বিড় করে সায় দিল সান্ড্রা।

ঝুঁকে সাার মুখের কাছে এল ক্যালি। ভাল কোন জায়গা চেনা আছে। তােমার?

বলিষ্ঠ পুরুষালী ছোঁয়ার এখনাে অবশ হয়ে আছে সাার শরীর। সর্বাঙ্গে জ্বালা ধরে গেছে ওর। | ‘আছে।’ কাঁপা গলায় ঘোষণা করল ও। লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল ক্যালি। তাহলে আর দেরি কেন কুইক।……..

……দরজা দিয়ে বেরােবার সময় একহাতে সান্ড্রার পাছায় সজোরে চাপ দিল। সে। ব্যথা পেয়ে উফ করে উঠল সান্ড্রা। কিন্তু মুখে ফুটল দুষ্টামীর হাসি। ‘তােমার মত লম্পট জীবনে খুব কম দেখেছি।’ 

সেঁতাে হাসি দিল ক্যালি। সবে শুরু বেবী। এখনাে কিছুই দেখনি।’ হ্যা, দেখতে চাই, মনে মনে আওড়াল সাব্রা। আরও অনেক বেশি আমার চাওয়া। দেখতে চাই কতটা নিপীড়ন তুমি করতে পার। খালি একটা ট্যাক্সি দেখে হাত উঁচিয়ে ওটাকে দাঁড় করাল ও।

টেক্সিতে উঠেই আবার বেহায়াপনা শুরু করে দিল ক্যালি। সময় অথবা পরিবেশ, কোনটারই পরােয়া করে না সে।

গাড়ি চলতে শুরু করা মাত্র সান্ড্রাকে অস্থির করে তুলল। হিংস্র নেকড়ের মত কামড় বসাতে শুরু করেছে ওর সর্বাঙ্গে। রিয়ারভিউ মিররে চোখ পড়তেই বিব্রত বােধ করল সান্ড্রা। ডিমের মত বড় হয়ে গেছে ড্রাইভারের বিস্ফোরিত চোখ। গাড়ি চালানােয় মনযােগ না দিয়ে ওদের লক্ষ্য করছে ব্যটা। কোমরের কাছে গােটা কাপড়টা টেনে নামাল সত্ত্বা। তারপর ফিস্ ফিস্ করে বলল, “থামাে, মাইক। অ্যাক্সিডেন্ট ঘটাবে তুমি। পেশীবহুল হাতটাকে জোর করে সরিয়ে দিল ও।

‘কোন চুলােয় থাক তুমি? উত্মার সুরে বলল ক্যালি। দুনিয়ার শেষ মাথায়?

অধৈর্য অবশ্য সান্ড্রাও কম হয়নি। আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে ওর কাছে। মার্ক আর ল্যারীর কথা পলকের জন্য ভাবল ও। চুলােয় যাক দুই হারামজাদা। কানাকড়িও দাম নেই এখন অকর্মা দুটোর।।

ড্রাইভারের বিল শােধ করার পর পা বাড়াল ওরা। অনিয়ন্ত্রিত এলিভেটরে ঢােকা মাত্র আবার ক্ষেপে উঠল ক্যালি। হ্যাচকা টানে কাছে টেনে অনিল সান্ড্রাকে। কামড়ে কামড়ে ফুলিয়ে দিল ওর নীচের ঠোট।

দরজা খুলতেই ঝটকা মেরে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল সান্ড্রা। দ্রুত পা বাড়াল প্যাসেজ ধরে। গায়ে গায়ে লেপ্টে এগােচ্ছে ক্যালি। হাতের কাঁপুনীর চোটে দরজার তালায় চাবি ঢুকাতে বেগ পেতে হলাে সান্ড্রাকে।

ময়দার তাল পেষার মত দু’হাতে ওর মাংসল নিতম্ব চটকাচ্ছে ক্যালি। হঠাৎ একটানে ওর পােশাক কোমরের ওপর তুলে আনল। পর মুহূর্তে প্যান্টিটা সামান্য নামিয়ে জিপার খুলে ভীম দণ্ড বের করে এনে স্থাপন করল সার পেছনে। এক হাতে কোমর পেঁচিয়ে ধরে মারল একটা ধাক্কা।

ব্যথায় আর্তনাদ করে বসে পড়ল সান্ড্রা। থাম, মাইক, ওফ! পেছনটা ছিড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিন্তু ভেতরে ঢুকতে দেব না। কিছুক্ষণ বসে থাকল ও ওইভাবে। তারপর ব্যথাটা কোনমতে সামলে নিয়ে একহাতে কোমর ডলতে ডলতে উঠে দাঁড়াল। 

“ক্লিক’ শব্দ হবার পর দরজাটা খুলতে গেল সান্ড্রা, কিন্তু পাল্লায় হাত ছোঁয়াবার পর্যন্ত ফুরসত পেল না, লাথি মেরে সম্পূর্ণ খুলে দিল ক্যালি। ঠেলতে ঠেলতে সান্ড্রাকে ভেতরে নিয়ে এল সে।

“উহু,’ আপত্তি জানাল সান্ড্রা। এত তাড়াহুড়ো করছ কেন? রসিয়ে রসিয়ে উপভােগ করাে আমাকে। হাতে সময় আছে অনেক।’ | আত্মতৃপ্তির হাসি হাসল ক্যালি। মুহূর্তকাল দাঁড়িয়ে থেকে ক্ষুধার্ত হায়েনার দৃষ্টিতে লেহন করল সার চমৎকার ফিগারটা।

মাথাটা পেছনে হেলে আছে সার। চোখ দুটো আধ বােজা। ভয় আর কৌতুহল মিশ্রিত একটা অনুভূতিতে ছেয়ে আছে ওর মন। আঁচুড়ে খাচে ওকে রক্তাক্ত করে দেবে না তাে ধর্ষকামী টা? | এক লাফে এগিয়ে এসে ওকে দুহাতে জাপটে ধরল ক্যালি। পরক্ষণে ওর মুখ থেকে গলা পর্যন্ত ভরিয়ে দিল উষ্ণ-ভেজা চুম্বনে। রুক্ষ ঠোটের পীড়নে পাগল হয়ে উঠল সাম্ৰা। ওর দেহের প্রতিটা অংশে ঘুরছে ক্যালির হাত। মাঝে মাঝে ব্যথায় কাতরে উঠছে ও, যন্ত্রণাদায়ক ভঙ্গিতে এখানেওখানে কামড় বসাচ্ছে ক্যালি।

হঠাৎ নির্যাতন থামিয়ে স্থির হয়ে দাঁড়াল যুবক। একটা হাত রাখল সান্ড্রার পােশাকের গলার কাছে। মেয়েদের শরীরে কাপড় থাকবে কেন? ঠাট্টার সুর তার কণ্ঠে।

‘এই, না প্লিজ,’ কি ঘটতে যাচ্ছে বােঝা মাত্র প্রতিবাদ করে উঠল সা। খুব দামী পােশাক-কথা শেষ হলাে না আর, ফড়ফড় শব্দ বন্ধ করে দিল ওর মুখ। পােশাকটার সামনের অংশ সম্পূর্ণ ছিড়ে ক্যালির হাতে চলে এল। ছেড়া টুকরােটা সে এমন ভাবে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলল যেন নরক থেকে আনা জঘণ্য কোন বস্তু ওটা। | ‘অবশ্য বহু পুরােন ছিল ড্রেসটা, দুঃখের সুরে বলল সান্ড্রা। যদিও চেহারায় দুঃখের ছিটেফোঁটাও নেই। কতবার যে ওটা পরেছি হিসেব করা মুশকিল।’  বাকি অংশটাও টেনে ছিড়ে ফেলল ক্যালি। তারপর মুঠো করে ধরল ব্রা। হেঁচকা টান পড়তেই কঁকিয়ে উঠল সাত্রী। পিঠের নরম মাংসে বসে গেছে ব্রার ফিতে। পট করে একটা শব্দ করে খুলে গেল হু। ব্রাটাও অনুসরণ করল মেঝেতে পড়ে থাকা কাপড়ের স্তুপ।

প্যান্টির কোমর বন্ধনীটা এত শক্ত যে হাল্কা টান পড়া মাত্র। আর্তচিৎকার বেরিয়ে এল সত্ত্বার মুখ থেকে। কোমরের চামড়ায় গভীর লালচে দাগ এঁকে দিয়ে ছিড়ে গেল ইলাস্টিকের বেল্টটা। স্টকিংটাও ছিড়ে 

কুটি কুটি করে মেঝেতে ছুঁড়ল ক্যালি। ঝট পটু খুলে ফেলে জুতাে জোড়া রক্ষা করল সান্ড্রা।

সান্দ্রার নগ্ন দেহটা এক পলক দেখেই হাঁ হয়ে গেল ক্যালির মুখ। “জিসাস,’ বেরিয়ে এল ওর বিস্মিত কণ্ঠ চিরে।

চিতা বাঘের মত লাফ মেরে নগ্ন শরীরটা জাপটে ধরল সে। নিষ্ঠুর হাতে মর্দন করতে লাগল প্রতি ইঞ্চি নরম মাংস। সর্বত্রই সৃষ্টি করে চলেছে। নীল আর কাল রঙের কালশিটে। | “উহ, আহ’ শব্দে অনবরত কোঁকাচ্ছে সাঞ্জা। মাঝে-মধ্যে হেসে উঠছে খি বিক্ করে-শয়তানীর হাসি। ওর একটা হাত চলে গেছে ক্যালির পুরুষাঙ্গের ওপর, জিপার খােলা থাকায় সম্পূর্ণ বেরিয়ে আছে ওটা।

‘চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক, বেবী, হাঁপাতে হাঁপাতে বলে পিছু হটল ক্যালি। ‘কাপড় খুলে আসছি আমি।

তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আরও দেরি করতে লাগল সে। শার্টের একটা বােতাম খুলছে, আবার ভুল করে লাগিয়ে ফেলছে অন্যটা। হাত দুটোও কাপছে প্রবলভাবে। খানিক পরই অধৈর্য হয়ে পড়ল সান্ড্রা। দ্রুত পায়ে এগিয়ে এল সামনে। ওর শার্টের সামনেটা খামচে ধরল একহাতে। জোরে টান পড়তেই পট পট শব্দ তুলে ছিড়ে গেল দুটো বোতাম। সাথে সাথে ওর হাতটা ধরে ফেলল ক্যালি। ঠেলে দুরে সরিয়ে দিল ওকে। | ‘আমারগুলাে ছিড়তে যেও না, বেবী। অল্প কিছুক্ষণ পরই বেরােতে হবে। আমাকে।’

পিছিয়ে এসে ওর পােশাক ছাড়া দেখতে থাকল সান্ড্রা। জানি, খানিক পর চলে যাবে তুমি, মনে মনে বলল ও, হয়তাে কাজ শেষ হলেই। কিন্তু, ফিরে তােমাকে আসতেই হবে, বাছাধন। কুটিল হাসি ফুটল ওর মুখে।

জাঙ্গিয়াটা হাঁটু গলিয়ে নামিয়ে আনছে ক্যালি। তাকিয়ে থাকতে থাকতে আদিম ক্ষুধায় চক্ চক্ করে উঠল সান্ড্রার চোখ। এত বড় পুরুষাঙ্গ দেখার সৌভাগ্য খুব কমই হয়েছে ওর। জাঙ্গিয়াটা লাথি মেরে দুরে সরাল ক্যালি। তারপর মুখে কুৎসিত হাসি ফুটিয়ে তাকাল সার মুখের দিকে।

খেকি কুকুরের মত পরস্পরের দিকে ছুটে গেল ওরা। কামড়ে খামচে একাকার করে তুলতে লাগল একে অপরকে।

হঠাৎ উন্মত্ততা থামিয়ে ক্যালির কোমর একহাতে পেঁচিয়ে ধরল সান্ড্রা। টানতে শুরু করল বেডরুমের দিকে। | বাধা দিয়ে বলে উঠল ক্যালি, ঐ পর্যন্ত গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করব কেন? এখানে হলে অসুবিধে কি? 

কথা শেষ করেই দুহাতে ওর দেহটা শূন্যে তুলে নিল ক্যালি, শুইয়ে দিল মেঝের উপর। পাশে শুয়ে পড়ার সময় আবার বলল, ‘কতটুকুইবা জায়গা থাকে একটা বিছানায়। প্রচুর জায়গা দরকার পড়বে আমার।’

হাঁ হয়ে গেল সান্ড্রার মুখ। দুচোখ হয়ে উঠল বিস্ফোরিত। অত্যন্ত নিষ্ঠুর-রুক্ষ ভঙ্গিতে অগ্রসর হচ্ছে ক্যালি। রক্তাক্ত করে তুলছে ওর কোমল দেহ। | ইঞ্জিনের পিস্টনের মত তীব্রবেগে সাত্তার শরীরে ঢুকল মাইক। দাঁতে দাঁত চেপে চিৎকার ঠেকাল সাঞ্জ। যন্ত্রণায় চোখ ফেটে পানি বেরিয়ে এল ওর। এতটা কষ্ট কেউ ওকে দিতে পারবে আগে কখনাে ভাবেনি। তবে, এটা ঠিক, কষ্টের পরই আসে প্রকৃত সুখ, আরাম পেতে চাইলে প্রতিটা নারীকেই যন্ত্রণা সইতে হবে প্রথমে।

ওর নরম শরীরটা পিষে চেপ্টা করে দিতে চাইছে ক্যালি। গরিলা সদৃশ দেহের নীচে চাপা পড়ে পাগল হয়ে উঠেছে সান্ড্রা। এত সুখ আগে কেউ দিতে পারেনি ওকে। ক্যালির পিঠের মাংসে বসে গেছে ওর তীক্ষ্ণধার নখ। ঝড়ের বেগে কোমর ওঠা নামা করছে ক্যালি। শুরু হয়ে গেল বাঘে-মােষে লড়াই। কেউ মেনে নিতে চাইছে না পরাজয়।

যৌন মিলনের সময় মুখ দিয়ে বিজাতীয় শব্দ করে কোন কোন নারীপুরুষ। তাদেরই একজন ক্যালি। অনবরত ‘আউ, ইয়া, উ-উহু,’ ধরনের আওয়াজ করে চলেছে সে। প্রচুর জায়গা যে তার আসলেই প্রয়ােজন, হাড়ে হাড়ে টের পেল সান্ড্রা।

ওদের গড়াগড়ির ঠেলায় উল্টে পড়ল ছােট একটা টেবিল। ভয়ানক শারীরিক নির্যাতন ভােগ করছে সন্ত্রা। তবু চেঁচামেচি করে আরও জোরে করতে বলছে। ও চাইছে ওকে ছিড়ে কুটি কুটি করে ফেলুক কামুক পুরুষটা।

সহসাই ভাটা পড়ল ওদের প্রেমের জোয়ারে। একই সাথে চরম তৃপ্তি ঘটল। ঘুম ঘুম একটা আবেশ এসে গেল সান্ড্রার দুচোখে।………

…….“আমি শুধু তােমার কথায় সম্মতি জানিয়েছি,’ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বলল মার্ক। একটা হাত লিণ্ডার কাঁধে রাখল ও। হঠাৎ করেই যেন জমে গেছে মেয়েটার শরীর। হাতটা গলার কাটা অংশ দিয়ে পােশাকের ভেতর ঢুকিয়ে দিল ও। নরম মাংসের ছোঁয়া লাগল আঙুলে। সাড়া দিল লিণ্ডা। নড়েচড়ে আরও সুবিধা করে দিল। ওকে। হাতের মুঠোয় একটা স্তন চেপে ধরল মার্কি। | ‘লিণ্ডা, লিণ্ডা, আবেগ তাড়িত কণ্ঠ মার্কের। স্তনটা বন্ধনী মুক্ত করে ফেলেছে। সে।

ওখানে ভেজা চুম্বন এঁকে দিল ও। এক দিকের কাধ গলে বগলের কাছে নেমে এসেছে লিখার পােশাক। ওর হাতটা চেপে ধরল লিণ্ডা। রুদ্ধশ্বাসে বলে উঠল, “অযথা সময় নষ্ট করছি আমরা।’ বিরক্তির সুর ওর কণ্ঠে। দু’চোখে মদির চাহনি।

হতাশার ভঙ্গি করে শ্বাস ফেলল মার্ক। হায়রে নারী, একটুও তর সয় না। কই রসের আলাপ করবে, তা না। শরীর গরম হলেই ব্যস্ত হয়ে ওঠে। লাল হয়ে উঠল লিণ্ডার মুখ। তুমি আসলে একটা লম্পট,’ মুখে দুষ্টামীর হাসি। উঠে দাঁড়াল মার্কের কোলের ওপর থেকে। “ডাকলেই হাজির হবে কিন্তু। ও বেডরুমে ঢােকা মাত্র পােশাক ছাড়তে শুরু করল মার্ক। ডাক আসা মাত্র ছুটে গেল বেডরুমের দিকে। এক মুহূর্ত নষ্ট করার পক্ষপাতি নয় সে। 

চিত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে লিপ্তা। এবার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখেনি শরীর। আলােতে চক চক্ করছে ওর অপূর্ব নগ্ন সৌন্দর্য। যেন আকাশ থেকে নেমে এসেছে ভেনাস।। | ‘কেমন লাগছে আমাকে?’ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল লিণ্ডা। খাটের কাছে এসে দাঁড়াল মার্ক। ওর মুগ্ধ দৃষ্টি কোমল দেহটার ওপর স্থির।

‘মাই গড! এত অপরূপ দেহ আগে কখনাে দেখিনি।’

পাশাপাশি শুয়ে আছে দু’জন। দৃঢ়ভাবে চেপে রয়েছে দু’জোড়া ঠোট। উত্তেজিত হয়ে উঠেছে লিপ্তা। সাঁড়াশীর মতাে দু’হাতে পেঁচিয়ে ধরে আছে। মার্ককে। গলা থেকে চুমাে খেতে খেতে বুকে নেমে এলো মার্কি। দুই বুকের খাঁজে নাক ডুবিয়ে রাখল কিছুক্ষণ। তারপর পালা করে কিস করতে লাগল।

“মার্ক, ফিস্ ফিস করে বলল লিপ্তা। আর পারছি না। এবার এসাে।”

হঠাৎ ওকে ছেড়ে দিয়ে একপাশে চিত হয়ে শুয়ে পড়ল মার্ক। তারপর দৃঢ় সুরে বলল, ‘না।’ | ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল লিপ্তা। হঠাৎ ক্ষেপে গেল । খেলা পেয়েছ নাকি? যত্তসব!’ | না। আগের মতােই মার্কের কণ্ঠস্বর। কাল সকালে যদি আমাকে বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা না কর, একচুলও নড়ছি না আমি।’

ঠেলা মেরে লিণ্ডার হাতটা সরিয়ে দিল ও। কথাটা আদায় করার এটাই একমাত্র সুযােগ। সুযােগটা হাতছাড়া করতে চায় না ।

আবার ওর দিকে হাত বাড়াল লিণ্ডা। ইচ্ছে করলে তোমার জেদ ভুলিয়ে দিতে পারি আমি।’

‘পারবে না,’ হাতটা সরিয়ে দিতে দিতে বলল মার্ক। পাপের পথে থেকে কিছু করা আর সম্ভব নয় আমার দ্বারা। অস্তুত তােমার সাথে তা পারবাে না।

চোখ কুঁচকে তাকাল লিখা। মন থেকে বলছ? আমাকে পেলে তুমি সুখি হবে?’

‘অবশ্যই,’ দৃঢ় সুরে জানাল ও। সত্যি সত্যিই সিরিয়াস হয়ে উঠেছে। অনিশ্চিত সম্পর্কে আর বিশ্বাসী নয় মার্ক। ল্যারীর ঘটনাটা দেখে শিক্ষা হয়ে গেছে। বিয়ে না করে প্রেম করছে না আর ও।

‘ক্যালিফোর্নিয়াতে হানিমুন করবাে, লিণ্ডা, আশা ব্রা গলায় আবার বলে উঠল মার্ক। জায়গাটা খুব ভাল। তােমার পছন্দ হবে। চারদিকে কমলালেবুর গাছ মাঝখানে সুন্দর একটা সুইমিং পুল। এমন নিরিবিলি জায়গা কোথাও খুঁজে পাবে

জন্মদিনের পােশাকেও ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে পারবাে আমরা দুজন, কেউ বিরক্ত করতে আসবে না। হাসল মার্ক। ভেবে দেখ, লিপ্তা। কত সুন্দর হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।

Leave a Reply