দেয়ার ইজ আ হিপ্পি অন দা হাইওয়ে – জেমস হ্যাডলী চেজ

›› অনুবাদ  

সম্পাদনাঃ অনীশ দাস অপু

…..হাইওয়ে ওপর দিয়ে হিপ্পি আর হিপ্পিনীরা দল বেঁধে চলেছে, চার-পাঁচজন মিলে একেকটা দল। হিপীদের কাঁধে ব্যাগ, গীটার, পরনে ঢিলেঢালা শার্ট, স্ন্যাক্স। আর হিপ্পিনীদের পরনে বােম খােলা শার্ট, মিনি ঝুল হটপ্যান্ট। নাচের ভঙ্গিতে হাঁটছে তারা, ঠোটে সস্তা সুরের চটুল গান। মাঝে মাঝে ঢলে পড়ছে সঙ্গী পুরুষের গায়ে। পুরুষ দল করতে খুব বেশি সময় লাগে না এদের। কখনও কখনও চারজন হিপ্পিকে একজন হিপ্পিনী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। পালা করে সেই হিপ্পিনী তার চার সঙ্গী পুরুষকে সঙ্গ দিয়ে থাকে। তাদের মনােরঞ্জন ক্লান্তিবিহীন দেহ দিয়ে। ট্রাক দেখলেই হিপীরা তাদের সঙ্গিনীকে ধাক্কা মেরে এগিয়ে দেয়। হিপ্পিনী হাত নেড়ে ট্রাক থামাতে যায় কিন্তু থামে না। তাদের নাকের ডগা দিয়ে হাইওয়ের ধুলাে ছড়িয়ে দ্রুত বেগে ছুটে যায় সামনের দিকে, অরেঞ্জভিলে। ট্রাক থামেনি দেখে পা ফাক করে অশ্লীল ভঙ্গী করে হিপ্পিনীটা তার আব্রুহীন শার্টের শেষ বােতামটা খুলে নাড়া দেয় রাগে উত্তেজনায়।…..

…..রেন্ডির কথা মনে পড়ে গেল তার। অপরূপ সুন্দরী নীনা। মুখােমুখি না দেখলে ওর রূপ ঠিক বিচার করা যায় না। বয়স একুশ-বাইশ। মেয়েটির উচ্চতা গড়পড়তা হলেও দেখতে বেশ লম্বা লাগছে, বোধ হয় স্লিম ফিগারের কারণে। পুরুষ্ট বক্ষ যুগল, সুডৌল পা। ঘন কালো চুল ছড়িয়ে পড়েছে কাধের ওপরে। তার চোখে মুখে একটা বন্য লাবণ্য উপছে পড়ছে যেন।…..

….তুমি! দরজা পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল নীনা এবং হ্যারীর মুখােমুখি এসে দাঁড়াল। তার ভারী নিঃশ্বাস পড়ছিল হ্যারীর বুকে। ম্যাজেন্টা হল্টার নেক ব্লাউজের আড়াল থেকে নিটোল বক্ষযুগল ফেটে বেরিয়ে পড়তে চাইছে। সাদা স্ট্রেচ প্যান্টের আড়ালে ভারী নিতম্ব আর দীঘল পা দুটো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এখন।…..

…..হঠাৎ নীনা একটা অদ্ভুত কাণ্ড করে বসল, হ্যারীর গালে চড় মারতে গেল সে, হ্যারী চট করে সরে দাঁড়াতেই নীনা ব্যালান্স হারিয়ে তার বুকের ওপর আছড়ে পড়ল। আঁটো ব্লাউজের আড়ালে নিটোল বক্ষযুগল হ্যারীর বলিষ্ঠ বুকের ওপরে চেপে বসে। হ্যারীর খুব আরাম লাগছিল। দুহাত দিয়ে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল, নীনার পাখীর মত নরম বুক হ্যারীর বুকের পেষণে নিষ্পেষিত হতে থাকে।…..

…..এক সময় তার চোখের সামনে ভেসে উঠল নীনার শরীর। লাল হল্টার নেক ব্লাউজের আড়াল থেকে ওর নিটোল গােল বক্ষযুগল ফেটে বেরিয়ে পড়তে চাইছে, সাদা প্যান্টের আড়ালে ভারী নিতম্ব আর দীঘল পা দুটো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।…..

…..নীনার পরনে লাল বিকিনি, হাতে তােয়ালে। একটু জোরে পা চালিয়ে সী-বীচের দিকে নীনাকে এগিয়ে যেতে দেখে হ্যারীর বুকটা কেমন মােচড় দিয়ে উঠল। ব্রাবিহীন নীনার স্তনজোড়া এবং ভারী নিতম্বের দোলদোলানি দেখে তার দেহের উত্তাপ হঠাৎ যেন বেড়ে গেল।…..

……নৈশ ভােজের আগে হ্যারি তার কেবিনে ফিরে যেতে পারল না কেননা একের পর এক সুন্দরী যুবতী নানারকম প্রশ্ন করে তাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলল। হ্যারী জানে তারা তাকে বােকা বানাবার চেষ্টা করছে। একথা ঠিক যে সাঁতার কাটা শেখার সময় সে মেয়েদের খুশি করতে পেরেছে। তাদের হ্রস্ব ব্রার নিচে পুরুষ্ট স্তনজোড়া মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে হ্যারীর বুকের মধ্যে চেপে ধরছিল ডুবে যাওয়ার ভান করে। হ্যারীও তাদের মতলব বুঝে হাতের চাপ দিয়েছে ছাড়েনি মুখােশের সদ্ব্যবহার করে। সেই মুহূর্তে যুবতীদের চোখের চাহনির মধ্যে আরও অনেক প্রত্যাশা সে লক্ষ্য করেছিল।…..

…..বারে প্রায় চল্লিশজন খদ্দের মদ খেয়ে মাতলামি করছিল যে যার সঙ্গীদের নিয়ে। ম্যানুয়েল টেবিলে টেবিলে ঘুরে তদারক করতে ব্যস্ত। ওদিকে নীনা একটি টেবিলের সামনে চারজন পুরুষের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় মশগুল। ওর পরনে স্কারলেট পাজামা স্যুট, পুরুষদের দৃষ্টি ওর উদ্ধত যৌবনের প্রতীক স্তনজেড়ার ওপরে।…..

…..এদিকে নীনা তাকে কাছে টেনে নিয়ে তার ঠোটে নিজের ওষ্ঠদ্বয় চেপে ধরে। চুম্বন অতি দীর্ঘায়িত হয় হ্যারীর আপত্তি সত্ত্বেও। তারপর হঠাৎ হ্যারীকে ছেড়ে দিয়ে নিজের পায়জামা টপ এবং ট্রাউজার খুলে ফেলে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে দাড়াল নীনা। তারপর হ্যারীর দিকে ঝুঁকে পড়ে তার জামা এবং ট্রাউজারের বােতাম খুলে ওকে নগ্ন করে ফেলল। হ্যারী বাধা দিতে গিয়েও লাভ হয়নি। নীনা তারপর হ্যারীর মুখটা ওর পাহাড়ের চূড়ার মতাে একজোড়া স্তনের মাঝে চেপে ধরল আর তখনি হ্যারীর সব বাধা-আপত্তি ভেঙে রেনু রেনু হয়ে গুড়িয়ে গেল। হ্যারী শেষ পর্যন্ত নীনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে বাধ্য হল। তার উষ্ণ হাতের ছোঁয়ায় নীনা বার বার শিউরে ওঠে। নীনা ধীরে ধীরে সুডৌল পা দুটো ভালাে করে দুপাশে ছড়িয়ে দেয় যাতে নগ্ন শরীরে হ্যারীর হাতের ছোঁয়াটা আরও স্পষ্ট অনুভব করতে পারে। নীনা বুঝতে পারে হ্যারী আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। নীনা ওর স্তনবৃন্তের চারপাশে অনুভব করল তার দাঁতের নিষ্পেষণ, সমস্ত শরীর বেয়ে ধীরে ধীরে ছলকে ওঠে উষ্ণ রক্তস্রোত। নীনা অনুভব করল তার রক্তের সম্পন্দন, হ্যারীর নগ্ন দেহটা তখন ওর নগ্ন দেহতটে প্রতিটি কূলে উপকূলে আছড়ে পড়ছিল। হ্যারীর শরীরটাকে শক্ত করে আঁকড়ে কয়েক মুহূর্তের জন্যে ও অনুভব করল বিপুল শিহরণ, তারপর সবকিছু ধীরে ধীরে কেমন যেন শিথিল হয়ে গেল।……

…..সােলাের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার তখনও কিছু সময় বাকি। সিগারেটে টান দিতে গিয়ে গত রাত্রের কথা মনে পড়লাে। সঙ্গে সঙ্গে নীনার নগ্ন দেহটা তার চোখের সামনে ভেসে উঠল। দৈহিক মিলনে যে এত সুখ, এর আগে কখনও সে পায়নি। এমনকি তার বিবাহিতা স্ত্রীর কাছেও নয়। নীনাই বােধ হয় প্রথম মেয়ে যে নিজের থেকে তাকে যৌন সংসর্গ করতে আহ্বান জানাল। তার মতাে নীনাও যৌন সুখে গা ভাসিয়ে দিতে চায়। তার এবং নীনার চাহিদা যেন একই সূত্রে গাঁথা।…..

…..নীনা ওর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে এক চিলতে ব্রা, হ্রস্ব নাইলনের স্বচ্ছ প্যান্টি, দুই উরুর সন্ধিস্থলের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ভাসিত। নীনাকে দেখে হ্যারীর দেহের রক্ত যেন ছলকে উঠল । নীনার আহ্বান অস্বীকার করতে না পেরে পায়ে পায়ে কখন যে সে নীনার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল সে খেয়াল তার ছিল না। সম্বিত ফিরে পেলাে সে নীনাকে ওর দেহের ওপর থেকে পােষাকগুলাে। এক এক করে তার চোখের সামনে খুলে ফেলতে দেখে। নীনা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দু’হাত বাড়িয়ে আহ্বান জানাচ্ছে তাকে ওর কাছে যেতে।…..

…..একটু পরে নীনা এসে সমুদ্রে হ্যারীর সঙ্গে যােগ দেয়। জলের তলায় হ্যারী নীনার স্তনবৃন্তে মৃদু চাপ দিয়ে বলল, “গতকালের মিলনের দৃশ্য তােমার বাবা দেখেছে। কথার ঝঝে মনে হল ভীষণ চটে গেছে সে। অতএব-‘…..

……হ্যারীকে দেখে ক্যারল ভাবে, কি সুন্দর লম্বা চওড়া শক্ত সমর্থ চেহারার পুরুষ। ওকে আজ আমার বিছানার সঙ্গী করলে কেমন হয়। ক্যারল নিজের মনে ভাবতে থাকে, একটু পরেই হ্যারী আমার গা থেকে পােষাক ব্রা, প্যান্টি সব কিছু টেনে খুলে ফেলবে, তার পরেই ও আমার দেহটা খুশীমতাে ব্যবহার করবে। আমি সেই উত্তেজনায় আনন্দে চিৎকার করে উঠব। হ্যারী চলে যেতে চাইলে মিসেস লেপস্কি তাকে বাধা দেয়, বলে-“আজ রাতটা তুমি আমার কাছে থাক, উপভােগ কর, আমাকে গ্রহণ কর।’ একথা বলে একটা অদ্ভুত কাজ করে বসলাে, স্কার্টটা কোমরের ওপর তুলে ধরে পা দুটো ফাঁক করে দিল হ্যারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। হ্যারী ওর প্রায়-নগ্ন দেহের ওপর থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ঘরের আলােটা নিভিয়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে নিঃশব্দে। ক্যারল বুঝতে পারে না, সে তখন। হ্যারীর স্পর্শের অপেক্ষায় ছিল। একটু পরে গাড়িতে স্টার্ট দেওয়ার আওয়াজ শুনে বুঝতে পারল হ্যারী চলে যাচ্ছে। তখন সে কান্নায় ভেঙে পড়ল।…..

Leave a Reply