অনুবাদঃ মাসুদ মাহমুদ
……..নিজের মেয়ের অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের রহস্যটা ঠিক বুঝতে পারেন না নােয়েলের বাবা। তিনি নিজে খর্বাকৃতি এবং কুৎসিত চেহারার। ভেজা বালি-রঙের চুল তার। আর নােয়েলের মা ঝুলেপড়া স্তন, থলথলে উরু এবং মাংসল পশ্চাদ্দেশ সর্বস্ব এক মহিলা। একেক সময় মনে হয় তার, স্বর্ণকেশী নােয়েল আসলে তাদের কন্যা নয়। এটা প্রকৃতির ভুল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নায়েলের রূপ ক্রমশ মিইয়ে যাবে এবং পরিণত হবে সে সাধারণ মেয়েতে। কিন্তু তাঁর ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিন দিন ফুটে উঠতে লাগল তার অসহনীয় সৌন্দর্য।
নােয়েলের মা অবশ্য তাঁদের পরিবারে স্বর্ণকেশী সুন্দরীর আবির্ভাবে বিস্মিত হননি মােটেও। নােয়েলের জন্মের মাস দশেক আগে তাঁর পরিচয় হয়েছিল নরওয়ের এক নাবিকের সঙ্গে। স্বামী জ্যাকস পাজ-এর অনুপস্থিতির সুযােগ নিয়ে ব্যস্ত পনেরােটা মিনিট তিনি কাটিয়েছিলেন সােনালি চুলের অতি সুপুরুষ সেই নাবিকটির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে।…….
……….একদিন সন্ধেবেলা দোকান বন্ধ হবার ঠিক আগে নােয়েল কাপড় পাল্টাচ্ছিল। ড্রেসিং রুমে। দোকানে তখন লাশ আর তার স্ত্রী, আর সবাই যে যার বাড়ি চলে গেছে। এই সময় লাশ আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়লেন তার রুমে। নােয়েল তখন ব্রেসিয়ার এবং প্যান্টি পরে দাড়িয়ে। নােয়েলের দিকে লােলুপ দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলেন তিনি। সে তাড়াতাড়ি হাত বাড়াল তার কাপড়গুলাের দিকে। কিন্তু এর আগেই অতি দ্রুত নােয়েলের কাছে এসে তার প্রায় নগ্ন শরীরে হাত রাখলেন লাশ। বিতৃষ্ণায় তরে উঠল নােয়েলের মন। ছাড়া পাবার চেষ্টা করল তার হাত থেকে। কিন্তু তার শক্তিশালী বাহুর কঠোর আলিঙ্গনে পিষ্ট হতে লাগল সে। তুমি অসম্ভব সুন্দরী, নােয়েল, ফিসফিসিয়ে বললেন লাশ।………..
……….ঘরে ঢুকেই নােয়েলকে বিবস্ত্র করতে শুরু করলেন তিনি। স্থির হয়ে বসে রইল নােয়েল-হতবাক হয়ে গেছে প্রচণ্ড মানসিক আঘাতে। সারা পথে একটা কথাও বলেনি। এখনও চুপ। ‘তােমার বাবা বলেছিল, তুমি এখনও কুমারী, নােয়েলের কানে কানে বললেন তিনি। তুমি তাে অনভিজ্ঞ, তাই আমি তােমাকে শেখাব মেয়েরা কী রকম বােধ করে পুরুষদের সঙ্গে। শরীরের সমস্ত ভার তিনি ছেড়ে দিলেন নােয়েলের ওপরে।……..
……..শান্তভাবে উঠে দাঁড়িয়ে তার বেডরুমে গেল নোয়েল। হায় ঈশ্বর! ফিলিপ সােরেল যদি জানতেন তার ভাবী-বধূ এখানে এসেছে রাত কাটাতে! হায় নারী! সবাই বেশ্যা। আরমাদ এক পেগ ব্রাণ্ডি ঢাললেন গলায়।….
…..বিবস্ত্র অবস্থায় নােয়েল তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছিল বিছানায়। আরমাদ মনে মনে স্বীকার করতে বাধ্য হলেন, অসাধারণ সুন্দরী নােয়েল। ত্রুটিহীন তার মুখ এবং শরীরের গঠন, মধু-রং তার গায়ে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আরমাদ জানেন, অধিকাংশ মেয়েই বিছানায় কাঠের গুঁড়ির মত পড়ে থাকে। নারী পুরুষের ভালবাসাবাসির এই পর্যায়ে মেয়েরা তাদের উপস্থিতি দিয়েই ধন্য করে দিতে চায় পুরুষদের।…….
………ফ্রেজারের সামনে কাপড় ছাড়তে ব্রিতকর অবস্থায় পড়তে পারে সে, এটা ভেবেই সুযােগ করে দেয়া,-তা বুঝতে কষ্ট হলাে না তার। ঝটপট কাপড় খুলে নিজের বিবস্ত্র শরীরের দিকে তাকিয়ে ক্যাথরিন মনে মনে বলল, ‘বিদায়, কুমারী ক্যাথরিন, বিদায়।
কম্বল গায়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল সে।
ফ্রেজার এলেন ড্রেসিং গাউন পরে। শায়িত ক্যাথরিনের দিকে এক মুহূর্ত তাকিয়ে কী যেন ভাবলেন। ক্যাথরিনের কালাে চুল সাদা বালিশের সঙ্গে দারুণ বৈপরীত্য সৃষ্টি করেছে। কী নির্মল, নিস্পাপ তার মুখ!
ফ্রেজার ঢুকে পড়লেন কম্বলের ভেতরে। তার হাত বিচরণ করতে লাগল ক্যাথরিনের সারা শরীরে। মুহূর্তে সব ভুলে গেল সে। তীব্র অসহনীয় উত্তেজনায় দুমড়ে-মুচড়ে উঠল তার শরীর।………
………কর্নেল মুলারের দৃষ্টি ননায়েলের চোখ থেকে নামলাে তার অনাবৃত স্তনের দিকে, তারপর আরও নিচে তলপেটের কাছে চিকন পাতলা প্যান্টির দিকে। দৃষ্টি ওপরে তুলে আবার নােয়েলের চোখে চোখ রাখলেন তিনি। সৌন্দর্য খুব ভালবাসি আমি। …….
…….মৃদু একটা শব্দ ভেসে আসছিল বাথরুম থেকে। দরজা খােলা। ল্যারি সেদিকে এগিয়ে যেতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে এল নােয়েল। সম্পূর্ণ নিরাবরণ। মাথায় শুধু তােয়ালে জড়ানাে। ক্ষমাসূচক একটা কিছু বলতে চাচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই অন্যমনস্কভাবে নােয়েল বলল, “ওই তােয়ালেটী এগিয়ে দাও আমাকে।
মুহূর্তের মধ্যে সে জড়িয়ে ধ্বল নােয়েলকে। সস্তা কিছু তৃপ্তির জন্য নিজের বাকি জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে জেনেও নিজেকে নিবৃত্ত করার প্রবৃত্তি তার হলাে মাসের পর মাস অপমান সহ্য করতে হয়েছে তাকে। নােয়েল তাকে কম অবজ্ঞা করেছে? শুধু নােয়েলের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে তাকে। প্রতিশােধস্পৃহা দাউ দাউ করে জ্বলছে ল্যারির মনে।………ল্যারির হিংস্র চাউনি লক্ষ করল নােয়েল এবং শব্দ করল না কোনও। ল্যারি তাকে পাজাকোলা করে নিয়ে এল বিছানায়।…….নােয়েলের নগ্ন শরীরের দিকে মনােযােগ দিল ল্যারি। ভবিষ্যৎ-চিন্তা দূর করে দিল মাথা থেকে। ডেমিরিস জানতে পারলে কী করবেন, তা সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না তার। কিন্তু শাস্তিটা যে মারাত্মক হবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবু নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না নিজেকে। নােয়েলকে উন্মত্তের মত আদর করতে করতে সে উপলব্ধি করল, মৃণামিশ্রিত এই কামনা বহুদিন পুষে রেখেছিল মনে। নােয়েলও দুহাতে তাকে জড়িয়ে ধরল প্রবল শক্তিতে। ফিসফিস করে বলল, ওয়েলকাম ব্যাক।……..