দি মাতিস স্টোরিজ – এ. এস. বায়াট

›› অনুবাদ  

অনুবাদঃ কবীর চৌধুরী

আর্ট ওয়ার্ক

………শঙখলিত রমণীর গায়ের রঙ কাঁচা মাংসের মতাে, তার শরীর দুমড়ানাে, বাঁকানাে, চূর্ণিত, একটা বড়াে প্রস্তরখণ্ডের সঙ্গে তাকে আটকে রাখা হয়েছে, তার লম্বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গােলাপি নাইলনের, তার শেকলগুলি বাঁকানাে বক্ষবন্ধনী, দিশেহারা পেটিকোট, পাজামার ফিতা, আর অমঙ্গলসূচক খুব আটো প্যান্ট। তার চেহারার মধ্যে একটা জ্যামিতিক গঠন আছে, আবারাে ইফিসিউসের ডায়ানার স্মৃতি জাগানিয়া, তার স্তনযুগল দুমড়ানাে-মােচড়ানাে  কাঁধের প্যাডের একটা মালা, দুটোর উপরে তৃতীয়টি, তার যৌনকেশ শুকিয়ে যাওয়া একটা অ্যাঙ্গোরা উলের মাথার টুপি। তার মুখমণ্ডল একটা ক্ষুদ্রাকার। ক্যানভাসে এমব্রয়ডারি করা, ফ্রেমটা গােল, আঁকা এখনাে শেষ হয়নি,  চকখড়ি দিয়ে বাইরের প্রান্তগুলির কাজ শেষ হয়েছে…….

মাতিস গল্পাবলি মেডুসার গােড়ালি

…….. এখন ওরা সবাই বালিকা রমণী নয়। গােলাপি নগ্নমূর্তিটি ছিল নিখাদ এক রঙের, তবে তার মধ্যে সুস্পষ্ট আভাস ছিল অনেকটা পরিমাণের। তার পশ্চাদদেশ ছিল বিশাল, তার একটা পর্বতপ্রমাণ হাঁটু অলসভাবে উঁচু করে ওঠানাে ছিল। তার স্তনযুগল ছিল গােল, বৃত্তের আভাস দেখা যায় সেখানে, মাংসের উপর ওঠা-নামার ছায়াও লক্ষিত হয় ।……..

চীনামাটির গলদা চিংড়ি

………..নারী-শরীর নিয়ে মাতিসের ‘বিকৃতি’ সম্পর্কে আমি কিছু লিখেছিলাম, বিশেষ করে নারীর থানাঙ্গ, স্তনযুগল, যােনিদ্বার প্রভৃতির ক্ষেত্রে তিনি যা করেন, তাছাড়া নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশে তিনি মাংসের যেরকম প্রাচুর্য দেখান, যা তা স্ফীত করে প্রায় অনড় করে তােলে, বিশেষ করে উরু আর পেটের পুরুষদের কাছে যা বিশেষ আকর্ষণীয় মনে হয়। আমি ঠিক করেছি। যথাসময়ে আমি নারী ক্রীতদাস ওডালিস্কদের রূপায়ণের ঐতিহ্যের স বিষয়টিকে যুক্ত করবাে, কিন্তু ওই বিষয়ে লিখতে হলে যে গবেষণা করা দরকার তা আমি এখনাে করে উঠতে পারি নি।……..

Leave a Reply