অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
১. দিল্লী
…..বিদেশের মাটিতে বেশ্যাদের সঙ্গে যৌনলীলায় নিজেকে সুপ্ত করে আমি যখন দিঘীতে ফিরে। আসি, তখন ফিরে আসি আমার কামসঙ্গিনী ভগমতীর কাছে।……..মেঘবর্ণের ভাগমতী যখন তার গুরু নিতম্ব দুলিয়ে এগিয়ে আসে তখন তাকে মনে হয় মন্দিরের নর্তকী। তার মুখে তাজা লবঙ্গের গন্ধ আর সে কথা বলে হিন্দুস্থানের মহামান্যা সম্রাজ্ঞীর মতাে। যখন সে যৌনকাতর হয়ে পড়ে তখন প্রতিটি কামুক মহিলার মতোই আচরণ করে। এটা খুবই সহজ ফর্মুলা- এ কাজে তােমার মাথা নয়, হৃদয় ব্যবহার করাে। যুক্তি নয়, আবেগ প্রকাশ করে।..
……বুধ সিং আমার মিস্ট্রেস ভাগমতীকে পছন্দ করে না। কারণ, সে তাকে বলে পাগল সিং। বুধ সিং তাকে ক্ষমা করতে পারে না। সে তাকে বলে মরদ অথবা হিজড়া। ভাগমতীর স্তন ক্ষুদ্রকার এবং কন্ঠ কর্কশ।……
…….‘দিল্লী আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর একটি কপি কিনলাম। একটি টেবিল দখল করে বসলাম। টেবিল ঘিরে তিনটি চেয়ার। দিল্লীর সাপ্তাহিক কেলেংকারির রিপাের্টে মন দিলাম। একজন কেবিনেট মন্ত্রী (যার নাম আগামী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে) তার পুত্রবধুকে গর্ভবতী করে ফেলেছে। এটা এক ধরনের পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি। বিনে পয়সায় পুত্রকে সার্ভিস দান।….
…….কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্র তার চিঠিতে উল্লেখ করেছে। যে, তার পিতা কার্যোপলক্ষে বাইরে অবস্থানকালে তার সৎমা তাকে ধর্ষণ করেছে। সম্পাদক এই চিঠির নিচে তার ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, যা ইটালিক অক্ষরে মুদ্রিত হয়েছে, “তােমার পিতা যে যন্ত্র দ্বারা তােমার জন্ম দিয়েছে, সেটির কর্মস্থলে কী করে তােমার নিজের যন্ত্র স্থাপন করলাে….তােমার সৎমা ভারতীয় নারী সমাজের কলংক।”…..
…….আমাদের আড্ডার দু’জন এসে গেছে। একজন ফটোগ্রাফার, আরেকজন সাংবাদিক। দু’জনকেই দিল্লীর চ্যাম্পিয়ন মাগিবাজ বিবেচনা করা হয়। আমাকে দেখামাত্র উভরে হস্ত প্রসারিত করে এগিয়ে এলাে, হ্যাল্লো। ছোট বাবু কেমন আছে?’ ফটোগ্রাফার জিজ্ঞেস করলাে, “মেম সাহেবদের কাছে সে কি তার দায়িত্ব ঠিকমত পালন করেছে?’ আমি পাল্টা জানতে চাই, সিঙ্কীর। এফোঁড় ওফোঁড় করা চ্যাম্পিয়ন ষাড়ের খবর কী?’ সে কাধ ঝাকালাে, পনের দিন কোনাে কোনাে অ্যাকশন নেই। কিন্তু আমার লক্ষ্যে আমি, অবিচল- ‘যখন তুমি কোনাে কুমারী মেয়েকে লাভ করাে, যখন তুমি কৌমার্য অক্ষুন্ন রাখাে না; তখন কোনাে রকম আত্মপ্রতারণা নয়, হস্তমৈথুন নয়, বালক বা হিজড়া নয়। সে কারণে আমার মধ্যাহ্ন ক্ষিপ্ত।’
‘আর এই যে মহান মসীচালক, তােমার কুতুব মিনারের খবর কী?’ আমি সাংবাদিক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করি । সে আকৃতিতে বিপুল এবং মুখমন্ডলে নিম্নাঙ্গের কৃষ্ণ কেশমের মত দাড়ি বেড়েছে। সেও কবিতা আউড়ে উত্তর দেয়, “যখন কোনাে নারীকে পাই, আমি সঙ্গম করি। যখন পাই না, আমি হস্তমৈথুন করি। কোনাে অভিযােগ নেই। মহান গুরু স্বর্গে আছেন, আর মাশুকা আমার শয্যায়।”………
২. লেডী জেএইচটি
………লেডি হয়টিটয়টি তার আশ্রয় থেকে বের হলেন। আমি তাকে পুরােপুরি দেখলাম। পঞ্চাশাের্ধ, ক্ষুদ্রাকৃতির (পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি হতে পারে) স্তনহীন, নিতম্বহীন, যৌন আণহীন এক নারী। কাদার রং এর মতাে এলােমেলাে চুল।…….
………আর্ম চেয়ারের দুই হাতলে দুই পা এমনভাবে তুলে নিলেন যেন তার মধ্যে প্রবেশের জন্যে কোনো লােককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। এমন অবাধ্য অবস্থায় দুই উরু প্রসারিত করে রাখলে আমার পক্ষে কি করে তােমার রাজপুতদের সম্পর্কে বলা সম্ভব? তার মধ্যাঙ্গ থেকে আমার মনকে দূরে সরাতে চেষ্টা করলাম।…….
………এখন কটা বাজে?” আমি তাকে সময় বলি। তিনি আড়মােড়া ভাঙ্গেন। তার বগলের লোম হলদেটে। বালিশের সাথে নিজেকে পিষ্ট করে বেডশীট জড়াে করে থুতনির নিচে রাখলেন। ‘ভালাে ছেলের মতাে একটি সিগারেট ধরিয়ে দাও।’ আমি তাকে সিগারেট ধরিয়ে দেই। সিগারেটে সুখটান দিয়ে নাক দিয়ে ধুয়া ছাড়েন। তৃপ্তির আওয়াজ তুলেন। আমার ড্রেসিং গাউনটা দাও।’ বাথরুমের দরজার হুকে ঝুলানাে ড্রেসিং গাউনের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলেন। আমি তাকে ড্রেসিং গাউন দেই। তিনি বিছানা ছেড়ে ওঠেন। সম্পূর্ণ উদোম শরীর। ছােট্ট, কুঞ্চিত স্তন। বােটা নিচের দিকে ঝুঁকে আছে। ভাজ করা পেট এবং নাভীর নিচে সামান্য স্ফীতি। কোকড়ানো ধূসর লোম উরুসন্ধিতে। আমি তার কাঁধের উপর দিয়ে গাউন পেচিয়ে হাত দুটো স্তনের উপর এনে চাপ দেই। তিনি পাথরের মতাে স্থির। তুমি কি করতে চেষ্টা করছে, বলবে কি?’ তিনি জানতে চান। “আমি…আমি…’।
‘ভালাে কথা…তুমি…তুমি কী? মাথায় কোনাে কুবুদ্ধি এনাে না।’ নিজের প্যান্ট ও শর্ট হলে নিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করেন। তিনি দরজা বন্ধ করেন না। আমিও সেদিকে তাকিয়ে থাকতে ইতঃস্তত করি না। তিনি ফিরে আসেন। আমার কাঁধে হাত রাখেন। ‘সীমা লংঘন কোরাে না।’……..
……….অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বললেন, তুমি কি আমাকে ভালোবাসতে?
‘অবশ্যই! ভিতরে চলুন। আমরা বারান্দায় উঠেছি। এ সময়ই প্রেসিডেন্টের রােলস রয়েসের হেডলাইটের আলো এসে পড়লাে। আমি সংকল্পবদ্ধ। সঙ্গম অনিবার্য। কিন্তু মিলনটা হতাশাব্যঞ্জক! একেবারে পানসে, সাদামাটা। তবু কোনােভাবে দেহের জ্বালা থেকে নিষ্কৃতি লাভের তৃপ্তি তাে আছে। এমন একটি বিধ্বস্ত মহিলার মধ্যে আমার বীর্য বিনষ্ট করার মানে হয় না। ভাগমতীর জন্যে সংরক্ষণ করতে পারি। সে সব সময় নববিবাহিতার মত আনন্দদায়ক এবং তার মুখে এলাচের সুগন্ধ থাকে।……….
৩. ভাগমতী
…….অন্যদিকে তার স্তন ও নিতম্ব ছেলেদের চেয়ে আকৃতিতে বাড়লাে, অথচ তার বয়সী মেয়েদের মতােও হলাে না। কিন্তু তার ঋতুস্রাব শুরু হলাে। গােপনাঙ্গের গঠন মেয়েদের মত হলেও তাতে বৈচিত্র্য ছিল। তার ভগাঙ্কুর আকৃতিতে বড়, বাকি সবকিছু মেয়েদের মত। এ সময় সে নিজেই ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার বললাে, একটা মেয়ে যা করতে পারে, তার সবই তুমি করতে পারবে; কিন্তু তােমার বাচ্চা হবে না।’………
………আমি লক্ষ্য করলাম মেয়েটির বুক ওঠানামা করছে। তার স্তন খুব ছােট। প্রায় অস্তিত্বহীন স্তন আবৃত রয়েছে সস্তা ফুলওয়ালা সিঙ্কের ব্লাউজে। আর কী দেখলাম? পা দুটো খুব কালো। পায়ের নখে উচ্ছল নেলপলিশ। হাতের তালুতে মেহেদীর রঙ। সে খাটো এবং একটু মােটা। বয়স বিশের মতাে। সব মিলিয়ে তার গায়ের কৃষ্ণবর্ণ ভারতীয় রূপের মানদণ্ডে আকর্ষণীয়। ………..
…………আমি আবার বাতি জ্বেলে ম্যাগাজিনের পাতায় মনােনিবেশ করতে চেষ্টা করলাম। বেডরুমের দরজাটা ঠেলে খােলা হলাে। টেবিল ল্যাম্পের আলাে ভাগমতীর ছায়াকে দুভাগে বিভক্ত করেছে। তার গায়ে কিছু নেই। আমার যা সন্দেহ হয়েছিল- ওর আসলে কোনাে স্তন নেই, শুধু স্ফীতি। দুই হাত দিয়ে উরুসন্ধি ঢেকে রেখেছে। সে অনুমতি চাইলাে, “আমি কি কক্ষে প্রবেশ করতে পারি? আপনি আমাকে যে দয়া প্রদর্শন করেছেন, তার বিনিময়ে এই গরীবের দেয়ার মত কিছু নেই।’
আমার পাশে তার জায়গা করে দিলাম। সে মুখটা ঘুরিয়ে বসলাে । আমি তার পেট ও নাভির নিচে হাত দিলাম। আমার অনুভূতি দ্রুত জেগে উঠলাে। তাকে টেনে আমার পাশে অনলাম । বিছানার নিচ থেকে কনডম বের করে সেটি পরলাম এবং তার উপর উপগত হলাম। সে নিজেই এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করলাে। একটি নারী থেকে মােটেই ভিন্ন কিছু নয়। সে ঘামছে। আমি তার মুখ এড়িয়ে থাকলাম। সে চরমে পৌঁছে যাচ্ছে এমন ভান করে দুই পা দিয়ে আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরে গােঙাতে লাগলাে। আমি নিঃশেষিত হয়ে অবতরণ করলাম। নিজেকে অপরিচ্ছন্ন মনে হলাে।……….
……..দৈহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফ্রাউলিন ইরমা খুব আগ্রহী ছিল না। প্রতিবার আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হয়। এরপর আমার হাত তার দেহের বিভিন্ন স্থান ‘আবিষ্কার করে বেড়ায়। কখনাে কখনাে সে বাধা দেয়। কিন্তু একজন মহিলার স্তন পুরুষের হাতে নিষ্পিষ্ট হতে থাকলে সে কতক্ষণ নিজেকে প্রতিরােধ করে রাখতে পারে । আমার হাত আরাে কিছু আবিষ্কার করে। হাত যদি তার মধ্যাহ্নের খুব কাছে পৌছে সে তার ধূসর চোখ বড় বড় করে তাকায় এবং দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করে না। কিন্তু সেটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এক সন্ধ্যায় আমি নিজেকে তার দুই উরুর মাঝখানে অনুভব করলাম। বললাম, “তুমি এর জন্য প্রস্তুত? তার শরীরটা যেন কেঁপে ওঠে এবং বলে, না এ কিছুতেই হাতে পারে না।’ হাতটা তার কটির নিচ থেকে বের করে দেয়। আমি ক্ষমা প্রার্থনা করে মর্মাহত হয়েছি এমন ভান করি । সে জবাব দেয়, এ জন্য আমিও দায়ী। আমাকে একটা চুমু দেয় সে, যা আমার মনে জ্বালা ধরায়। তার সঙ্গে সম্পর্ক চিরতরে ঘুচে গেল এমন ভাবিনা।………
……….বাবুর্চি চলে যাওয়া মাত্র আমরা ড্রয়িং রুমে সোফায় বসি এবং জড়াজড়ির জন্য অগ্রসর হতে থাকি। তার কানে ফিস ফিস করি, “আমরা কি মিলিত হবাে?’ সে বিড় বিড় করে ‘যদি তােমার ইচ্ছা হয়। আমাকে প্রস্তুত হতে দাও।’ সে হ্যান্ডব্যাগ তুলে নিয়ে বাথরুমে যায় । আমি বেডরুমে গিয়ে এয়ারকন্ডিশনার ছেড়ে দেই। গ্রাউলিন ইরমা আমার ড্রেসিং গাউন গায়ে জড়িয়ে এসেছে। সে বলে, “আমার দিকে তাকিও না। আগে লাইট অফ করে দাও।’ আমি হেসে তার কোমর জড়িয়ে ধরে বলি, “হিন্দুস্থানীতে একটি কথা প্রচলিত আছে, তুমি যদি গর্ভবতী হও তাহলে দাইকে পেট দেখাও। তুমি যদি ভালােবাসার খেলা খেলতে চাও তাহলে তােমাকে ‘উদোম হতে হবে।’ সে গাউন রেখে আমার সঙ্গে বিছানায় আসে।
গ্রাউলিন ইরমা চিৎ হয়ে শোয় এবং উরু প্রসারিত করে। আমি খুব আবেগ ছাড়াই তার উপর উপগত হই। সে আদৌ কুমারী নয়। সে যথেষ্ট সিক্ত, কিন্তু উত্তেজিত নয়। গােটা প্রক্রিয়ার মধ্যে সে চরমাবস্থায় শুধু সামান্য গােঙানির মতাে ‘আহ আওয়াজ তুলে চোখ দুটো বন্ধ করলাে। আমরা কােনাে কথা না বলে দীর্ঘক্ষণ জড়াজড়ি করে থাকলাম।……
৪. হযরত খাজা নিজামুদ্দিন ও মুসাদ্দি লাল……
……….যদি আমি ভাগ্যবান হই তাহলেই আমি বিধবা কিংবা খাটি তুর্কি, ইরানী বা আফগান বউও পেতে পারি। একজন তাে বলেই ফেললাে, “তুমি যদি মুসলিম হও, তাহলে যে নারীকে পছন্দ করবে তাকেই পাবে। শুধু তাই নয়, যদি একটিতে টিকে যেতে পারাে, তাহলে এক সাথে চারটি বউও রাখতে পারবে।”
“তুর্কী নারী কখনাে ক্লান্ত হয় না।
হিন্দুস্থানীয় সুগােল স্তন
দুগ্ধভারে বিস্ফোরিত যেন
ইরানী নারীর প্রতিটি অঙ্গ যেমন দৃঢ়
ছিনালিপনায় তেমনি চৌকশ।
উজবেক নারীর কাছে পরাজয়
জনা তিনেকের জন্যে চরম শিক্ষা।………
……..রাম দুলারী একজন হিন্দু স্ত্রীর মতই আচার ব্যবহার শুরু করলাে।….একমাস পরও আমার পক্ষে জানা সম্ভব হলাে না যে আমার স্ত্রী দেখতে কেমন। কারণ সে তার ওড়নার প্রান্ত দিয়ে সারাক্ষণ মুখ ঢেকে রাখতে। শুধু তার গলা ও হাত দেখে। আমার ধারণা হলাে যে সে ফর্সা। আমি এটাও লক্ষ্য করেছিলাম যে, তার স্তনযুগল সুগঠিত এবং নিতম্ব আকর্ষণীয়। আমার স্ত্রী যে আমাকে শয্যায় নিতে আগ্রহী নয় এটা বুঝতে আমার কয়েক সপ্তাহ লেগে গেল। সে পৃথক হাঁড়িতে তার খাবার রান্না করতাে এবং মথুরা থেকে নিয়ে আসা থালায় খেতে। তার কাছে আমি ছিলাম নােংরা ও মুসলিম ম্লেচ্ছ। আমি তাকে শয্যায় নিতে বলপ্রয়ােগ করলাম। তাকে মারধাের করলাম। কোন ফল হলাে না। ……….
……..আমি তার পাশে শুয়ে পড়লাম । মাসের পর মাস আমি যে আবেগকে জড়াে করে রেখেছিলাম তা উথ্থলে উঠলাে। বন্যার তোড় যেমন সামনে যা কিছু পায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার কামনাও একইভাবে আমার ভয়কে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। ক্ষুধার্ত সিংহের মত আমি তার উপর পতিত হলাম। তার শাড়ি ছিন্ন করে ভিতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করলাম। সে আমাকে গ্রহণ করার জন্য উরুদ্বয় প্রসারিত করলো। কিন্তু কিছু ঘটার আগেই আমি নিঃশেষিত হলাম। নিজের কাছেই লজ্জিত হলাম।
রাম দুলারী উঠে গেল পরিচ্ছন্ন হতে। কলসী থেকে লােটায় পানি ভরলাে। শাড়ির প্রান্তদেশ তুলে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন হলাে। তারকার মৃদু আলােতে আমি তার দেহ, সুগোল স্তনের উপস্থিতি। এবং শুরু নিতম্বের রেখা ও স্ফীতি দেখলাম। শাড়ি ঠিক করে ঘরে প্রবেশের পর সে স্থির করতে পারছিল না কোন খাটিয়ায় শােবে। আমি তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম। সে হাতটা নিয়ে আমার পাশে শুয়ে পড়লাে। আমার কামনা আবার জাগ্রত হলাে। তার শাড়ি অপসারিত করে আমার আলিঙ্গনে দেহ উষ্ণ করতে সে সম্মতি দিলাে। এবার দীর্ঘ সময় নিজেকে ধরে রাখতে সক্ষম। হলাম সেও আমাকে গ্রহণ করতে অধিকতর আগ্রহী ছিল। তার ঠোট দিয়ে কাতর ধ্বনি বের হলাে। আমি উপলব্ধি করলাম, অবশেষে রাম দুলারীকে আপন করতে পারলাম। আমি পুনরায় প্রদীপ জ্বালালাম এবং বিছানার চাদরে লেগে যাওয়া রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলতে তাকে সহায়তা করলাম । এ কাজ শেষ করতে না করতেই পরস্পরকে পাওয়ার জন্য আমাদের দেই আবার ক্ষুধার্ত হয়ে উঠলাে। এভাবে আমরা পুরাে রাতটা কাবার করে দিলাম।……..
৭. ভাগমতী
……কার্লাইল আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় জর্জিনের সাথে। জর্জিন মিসেস কালাইলের ভাতিজী। দিল্লীতে এসেছে ক্রিসমাস ছুটি কাটাতে। কার্লাইল তার দ্বিতীয় নামটি আমাকে না জানিয়েই বলে, এই হচ্ছে জর্জিন। আমার দিকে দেখিয়ে বলে, ‘এ তােমার গাইড।’ জর্জিন বলে, ‘হাই।
আগেই বলেছি সে ষােড়শী। মুখে ব্রণ। স্তন বিশাল। গাধার ওলানের চাইতে বড়। ARIZONA লিখিত একটি টাইট ফিটিং সােয়েটার তার পায়ে এবং ততােধিক আঁটোসাটো জিনসের ট্রাউজার।………
…….কোন পর্যটককে লালকিল্লা ঘুরিয়ে দেখতে আমার দেড় ঘন্টার বেশী সময় লাগে। জর্জিনের লাগলাে মাত্র বিশ মিনিট। আমি আপন মনে বিড় বিড় করি, ‘কুত্তী!’ ওকে যা করা প্রয়ােজন তা হচ্ছে পা দুটো প্রসারিত করে জিনসের ট্রাউজার ফেড়ে ফেলে ওর তরমুজ আকৃতির বিশাল নিতম্বে প্রবলভাবে কয়েকটি চাপড় মারা এবং এর পর অস্বাভাবিক যৌনকর্ম সম্পন্ন করা।……..
……….সেই সন্ধ্যায় আমি ভাগমতীকে বললাম জর্জিন সম্পর্কে বরাবরের মতই সে শুধুমাত্র তাকে ছাড়া অন্যান্যের ব্যাপারে আমার অতিরিক্ত আগ্রহ দেখানােকে পছন্দ করতে পারলাে না। আমি তাকে এ কথা স্মরণ করিয়ে ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে নিতে চেষ্টা করলাম যে, জর্জিন আমার চাইতে চল্লিশ বছরের ছােট। কিন্তু তাতে সে আশ্বস্ত হলাে না। অতঃপর আমি যখন তাকে স্বাভাবিকের চাইতে বেপরােয়াভাবে গ্রহণ করলাম, সে জানতে চাইলাে, আজ আপনার কি হয়েছে?’ যার অর্থ, আপনি আসলে আমাকে গ্রহণ করছেন না, বরং গ্রহণ করছেন বিশাল নিতম্বের অধিকারিনী ষোড়শী শ্বেতাঙ্গিনীকে। তার ধারণাই সঠিক।…….
……..‘আমি নিশ্চিত, ভালাে লাগবেই। আমাদের ভাষায় একটি শব্দ আছে’ জামাজেবী’ অর্থাৎ যে কোন পােশাকে মানানাের যোগ্যতা। আমি বিশ্বাস করি, তুমি যাই পরবে সেটাই ভালো লাগবে। (কিন্তু বাস্তবে তা সত্য নয়। কারণ তার বিশাল স্তন ও গুরু নিতম্বে কোন পােশাকে তাকে মানানো বা শােভনীয় করার মত নয়।……..
…….যে কোন অভিজ্ঞ খেলােয়াড় জানে যে, একজন টিন এজারের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করা অনুচিত। কারণ যখন আসল সময় আসে তখন তার জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে যায় অথবা শুধু বলে না। অতএব এটাই উত্তম, হাত দিয়ে দেহের সাথে কথা বলা। এর ফলে তার মাঝে বাকহীন গ্রহণযোগ্যতার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমি তাই করি। তার কোমর পেঁচিয়ে ধরি এবং আমার দিকে আকর্ষণ করে তার ঠোট, চোখ, নাক, কান, গলায় চুমু দিতে থাকি। সে অসহায়ের মতাে গােঙ্গাতে থাকে। তার কামিজের নীচে হাত গলিয়ে স্তনের বােটা দিয়ে খেলতে শুরু করি। এরপর পায়জামার ফিতা খুলি এবং সিক্ত উরুর মাঝে আঙ্গুল দেই। অত্যন্ত নম্রভাবে নাড়াচাড়ায় সে চরম অবস্থায় উপনীত হয়ে গােঙ্গাতে শুরু করে, ও গড, ও গড,’ সে মানুষের আকৃতির একটি রবারের পুতুলের মত নিঃসাড় পরে আছে। তার স্তনে হাত দেই। সে আমার হাতে চাপড় দিয়ে সরিয়ে দেয় এবং উঠে পড়ে। নিজের কাপড়গুলাে তুলে বেডরুমে প্রবেশ করে। জীনস পরে সে বেরিয়ে আসে। সালােয়ার কামিজ ও ওড়না দলামােচড়া করে ছুড়ে ফেলে এবং অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হয়ে যায়। জর্জিনাকে সেই শেষবার দেখি । ……..
৯. ভাগমতী
……..তিনি হেসে উঠেন,এক মৃত সম্রাটকে নিয়ে একজন মহিলার সঙ্গে আলােচনার চাইতে চমকপ্রদ কিছু কি আপনি ভাবতে পারেন না?’
‘একজন আকর্ষণীয়া মহিলার সঙ্গ লাভ করাটা কতটা ভাগ্যের ব্যাপার, আমি তা বলতে পারি। কিন্তু তাতে আমি কি লাভ করবাে?
‘আপনি আমার সম্পর্কে খুব কম জেনেছেন। এমনকি আমি কতটা আকর্ষণীয় হতে পারি তাও জানেন না। তা জানার কোন চেষ্টাও আপনি করেননি তিনি বলেন। তিনি তার শাড়ীর প্যাচগুলাে খুলে ফেলেন। ব্লাউজের হুক খুলে ফেলায় তার স্তন আমার চোখের সামনে। আপনি এ রকমটা আগে কখনাে দেখেছেন? এবং বিশেষ করে তেমন কোন মহিলাকে, যে তিনটি বাচ্চাকে স্তন চুষতে দিয়েছে?”
নিশ্চয়ই আমি দেখিনি। মেহগিনির মতাে কালাে। আকৃতিতে নিখুত এবং সােড়শী কুমারীর মত দৃঢ় স্তন। স্তনের ঘোর কালাে বােটা সরাসরি আমার দিকে তাক করা। তাকে বলি, আপনার স্তন সবচেয়ে নিখুঁত আকৃতির, এমনকি নগ্ন চিত্রের নারীদেরও এমন স্তন দেখিনি। আমার প্রচন্ড ইচ্ছা হচ্ছিল সােফা থেকে উঠে গিয়ে তার পাশে বসার। তিনি আমার দ্বিধা লক্ষ্য করলেন, এগুলাে অনুভব করুন। আমাকে নিয়ে সংকোচ করার কিছু নেই।’
আমি উঠে তার পাশে বসি। আমার হাতের তালু তার স্তনের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে আনি। সত্যিই তার স্তন সুদৃঢ়। আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এমন স্তনের মােকাবিলার ঘটনা নেই। আমি তার মাথা বালিশে স্থাপন করে স্তনের বােটায় জিহ্বা চালনা করি। আমার মাথা থেকে পাগড়ী অপসারণ করে তিনি বলেন, ‘এটি আপনার পথেই আসছে। আমার দীর্ঘ চুল তার মুখের উপর ছড়িয়ে পড়ে। চুল ধরে মাথাটা তার বুকের উপর এনে চেপে ধরেন। দম নেয়ার জন্য আমি একটু থামি এবং তার মুখের দিকে তাকাই। তিনি চোখ বন্ধ করেছেন। ভারী নিঃশ্বাস বইছে। আমি তার ঠোটে ঠোট স্থাপন করা মাত্রই তিনি মুখ খুলে তার জিহবা আমার মুখে দিয়ে দেন। আমার হাত তার নিতম্বের নীচে চলে যায় এবং তার দুই উরুর মাঝে আসে। তিনি বিড়বিড় করেন, ‘আমার ভিতরে প্রবেশ করে আপনার প্রতিশ্রুত বাচ্চা আমাকে নিন।’
আমি তার ইচ্ছা পূরণ করি। তিনি দ্রুত পরিতৃপ্ত। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার উত্তেজনা। প্রশমিত । আমি আবার রাম পান করতে শুরু করি। তিনি বিছানা ছেড়ে উঠেন। বিছানার পাশের টেবিল থেকে সিগারেট নিয়ে ধরান। এবং বলেন, ‘এখন আমরা মন থেকে এসব ঝেড়ে ফেলেছি। আপনি আমাকে আওরঙ্গজেব সম্পর্কে বলতে পারেন।…….
১২. নাদির শাহের দিল্লী অভিযান
……..পান করার জন্য নূর বাঈ আমাকে পীড়াপীড়ি করলাে না। সে মাথাটা ইষৎ তুলে তর্জনী গালে ঠেকিয়ে জানতে চাইলাে, আমি কি মহামহিমকে সন্তুষ্ট করার মত?’
আমি উত্তর দিলাম, তােমার অনিন্দ্য সুন্দর মুখ আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দিয়েছে। অন্য সব সম্পর্কে আমার এখনাে কোন ধারণ হয়নি।’
আমি কি বুঝাতে চেয়েছি সে তা অনুমান করতে পেরেছে। আমার পা দু’খানি একটি টুলের উপর রেখে সে উঠে দাঁড়ালাে। পাজামার ফিতা খুলে ফেলায় পাজামা পায়ের উপর লুটিয়ে পড়লাে। এরপর শেমিজ খুলে সেটিকে গালিচার উপর নিক্ষেপ প্রলো। লজ্জার আতিশয্যে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢাকলাে। এর ফলে তার পুরাে দেহ আমার দৃষ্টির সামনে। এর আগে আমি তার মত মেয়ে আর দেখিনি। তার পায়ের রং দারুচিনির মত। তার স্তন দুটি ঔদ্ধত্যে বিস্ফোরণােন্মুখ। কটিদেশ এতাে সরু যে, আমি হাত দিয়ে তা ধরতে পারি। সে ছােটখাট হলেও তার নিতম্ব হিরাতের তরমুজের মত সুবিশাল। . তাকে প্রশ্ন করলাম, তােমার বয়স কত নূর বাই? এর আগে কি কোন পুরুষ মানুষের সাথে মিলিত হয়েছ?’
সে আহত হয়েছে এমন ভান করলাে, “অন্যের দ্বারা কলঙ্কিত কাউকে মহান বাদশাহর কাছে অর্পণ করায় ধৃষ্টতা কে দেখাতে পারে? আপনাকে তৃপ্তি দেয়ার জন্যই আমাকে গড়ে তােলা হয়েছে। কোনাে পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেনি এবং মহান বাদশাহর দ্বারা সম্মানিতা হবার পরও আমার দেহ কেউ স্পর্শ করবে না।’
হয়তাে কয়েক বছর আগে সে ছিল ক্ষুদ্র বালিকা । কিন্তু তাকে শিখানাে হয়েছে মানুষকে অবসাদগ্রস্ত করার মত বাকচারিতায়। আমি তাকে কাছে ডাকলাম। আমার হাত দিয়ে তার মুখ এবং শরীরের অন্যান্য স্থান স্পর্শ করলাম। তার শরীর মসৃন ও সুদৃঢ়। যেন ঘষে ঘষে মসৃন করা। আখরােট কাঠ। তার কোন অঙ্গে, বগল কিংবা গােপন স্থানে লােমের লেশমাত্র নেই। সে দেহে সুগন্ধি তেল মেখেছে । আমার নাকে জেসমিনের গন্ধ আসছে। আমার শয়ন কক্ষে এমন উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণীকে পাঠানাের পিছনে মােগল সম্রাটের কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে আমার সন্দেহ হলাে।
পঞ্চাশটি গ্রীস্ম কঠোর পরিশ্রম ও টানাপােড়েনে কাটালে নারীর জন্য পুরুষের ক্ষুধা কমে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি মােগলদের কাছে এটা প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানীরা যেমন শক্তিশালী, হারেমেও তারা ততটা বীর্যবান ও পারঙ্গম। পালঙ্কের উপর বিছানাে ছিল তুষার ধবল একটি চাদর। আমাকে পুরােপুরি উত্তেজিত করে তােলার কামলা প্রয়োগ করার জন্য নুর বাঈকে নির্দেশ দিলাম। সে যথার্থই পরিপুষ্ট।
তার সেবার জন্য যা উপস্থাপন করা হলাে তা দেখে নুর বাঈ-এর শিশু সুলভ ঔৎসুক্যর দৃষ্টি আতংকে পর্যবসিত হলাে। আমি তার প্রতি অত্যন্ত সদয় ছিলাম । বেদনায় সে দিলাে এবং বিছানার চাদরে তার কুমারীত্ব ও আমার পৌরুষের পর্যাপ্ত আলামত রয়ে গেল ।…….
১৩. ভাগমতী
………..সাব-ইন্সপেক্টর মাথা নেড়ে আমাকে বুধ সিং-এর মেয়েদের উত্যক্ত করা সম্পর্কে বলেন। সে কনট সার্কাসের বারান্দা দিয়ে হাঁটছিল এবং বিড়বিড় করে কি বলছি (আমি মাঝখানে বলি, প্রার্থনা, সে সব সময় প্রার্থনা করে।) হঠাৎ সে এক তরুণীর স্তন আঁকড়ে ধরে তাতে চাপ দেয় এবং মুখে উচ্চারণ করে ভেঁপু, “ভেঁপু।’ এই আচমকা ঘটনা মেয়েটি সামলে উঠার পূর্বেই বুধ সিং আরেক স্তন আঁকড়ে ধরে এবং একইভাবে চাপ দিয়ে মুখে ভেঁপু ভেঁপু’ উচ্চারণ করে।
‘ওহ, এই ব্যাপার! কেমন হতচ্ছাড়া! জানেন, লােকটি এক সময় ‘আর্মির ট্রাক ড্রাইভার ছিল। সে নিশ্চয়ই ভেবেছিল যে, এগুলাে বাঘ হর্ন’, আমি ব্যাখ্যা করি। সাব-ইন্সপেক্টর নট সার্কাসের মেয়েটির চাইতে ব্যাপারটা সহজে বােঝে। দৃশ্যতঃ বুধ সিং আরাে অনেক মহিলার বা হর্ন টিপেছে। ফলে ঘটনাস্থলে হুলস্থুল পড়ে গেছে এবং কিছু ছাত্র তাকে ধরে পিটিয়েছে। এতেই শেষ হয়নি। বারান্দায় ঝুড়ি ভর্তি কলা নিয়ে বসেছিল এক মহিলা কলা বিক্রেতা। বুধ সিং কলা বাছাই করে দাম জিজ্ঞাসা করে। মহিলা যে দাম হাঁকে, তা বুধ সিং-এর কাছে অতিরিক্ত মনে হয় এবং অনেক সস্তা মূল্যে নিজেরটা বিক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। সে মহিলাকে তার কলা বের করে দেখায়। বুধ সিং-এর এই আচরণ মহিলার পছন্দ হয়নি, সে তাকে বলে, তার মাকে কলাটি প্রদান করতে। বুধ সিং আর কি করবে? সে কলা বিক্রেতা মহিলার দুই স্তন আঁকড়ে ধরে উচ্চারণ করে ‘ভেঁপু ‘ভেঁপু। এরপর পুলিশ তাকে পাকড়াও করে।
আমি আবার ব্যাখ্যা করি, সে নিশ্চয়ই তার ট্রাক চালানাের দিনগুলাের কথা স্মরণ করছিল। ব্যাপারটা হঠাৎ তার উপর আছর করে বসে। সাব-ইন্সপেক্টর অত্যন্ত দয়ালু ব্যক্তি। লােকগুলো বুধ সিংকে ধােলাই দিয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর বললেন, ‘চারটি স্তন টেপা এবং তার লিঙ্গ প্রদর্শনের জন্য যথেষ্ট শাস্তি হয়ে গেছে। সে তো কারাে মাকে সঙ্গম করেনি; করেছে কি? কিন্তু সে যাতে ভবিষ্যতে এমন না করে।’……..
১৪. কবি মীর তকী মীর
……..সেই মেয়ের নাম সালিমা। ওকে বিয়ে করার পর আমার কাছে বেগম সাহেবার উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠলাে। আমার বিবি বাস্তবিক পক্ষে কোন হুরী ছিল না। বাঁশের মতাে শুকনাে সে। হাতের আঙ্গুল দিয়ে ওর কোমর আঁকড়ে ধরতে পারতাম। ওর স্তনের অস্তিত্ব বুঝাই যেতো। না; মুখ বন্ধ করে থাকলেও ওর সামনের দাঁতগুলাে বেরিয়ে থাকতো।…..
…….রাতে আমার হাডিড চর্মসার স্ত্রীর সাথে বিছানায় শুয়ে বেগম সাহেবার বিশাল নিতম্বের প্রসঙ্গ তুলে মস্করা করতাম, যা আমাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।…….
………আমার কাছে সকল রহস্য উদঘাটিত হলাে। তিনি আমার কাছে এমনভাৰে আগমন করলেন, যেন শয্যায় প্রতীক্ষারত স্বামীর কাছে আসছেন। দীর্ঘদিনের বিবাহিত লােকদের মতো আমরাও প্রেমের বাক বিনিময়ে অহেতুক কালক্ষেপণ করলাম না। প্রেমের পূর্বে প্রেমিক-প্রেমিকারা যেসব বাক্যালাপ করে আমরা উভয়ে কবিতার মাধ্যমেই তা শেষ করেছিলাম। আমাদের চোখ প্রথম সাক্ষাতের দিন থেকেই কথা বলে আসছে।
বাতি নিভানোর ব্যাপারটাকে তোয়াক্কা না করেই তিনি একে একে তার সকল বসন পরিত্যাগ করলেন। আমারগুলােও খুলে দুই হাত দিয়ে আমাকে নিষ্পেষণ শুরু করলেন। যতক্ষণ সাধ্যে কুলােয়, আমরা একে অন্যের মুখে মধু পান করলাম। তিনি আলতোভাবে আমাকে বিছানায় ফেলে আমার উপর তার দেহ ছড়িয়ে দিলেন। গ্রীষ্মের ভােরে গোলাপ পাপড়ির ওপর শিশির বিন্দুর মতাে তার দুই উরু সিক্ত। আমার দন্তে ব্যথা পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি আমার মুখে মুখ চেপে থালেন। কিছুক্ষণ পরই তিনি উত্তেজনায় গােঙাতে শুরু করলেন। সারা শরীরে তার অদ্ভুত কম্পন অনুভব করলাম। দেহ ঘামে সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। এ ধরনের উত্তেজনা সম্পর্কে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই এবং ভাষায়ও এর প্রকাশ সম্ভব নয়।
তিনি উঠতে চেষ্টা করলেন। আমি তাকে আঁকড়ে রেখেছিলাম। ফলে তিনি নড়তে পারলেন না। এ খেলায় তিনি পাকা খেলােয়াড়। তার অভিজ্ঞতাও অনেক। বয়সে আমি তরুণ, কামনাও অধিক। বেগম সাহেবা আমাকে অনুমোদনের হাসি উপহার দিয়ে অধীনতা স্বীকারের দৈহিক ভাব প্রকাশ করলেন এবং এবার চিৎ হয়ে আমাকে পুরাে ভূমিকা পালনের সুযোগ দিলেন। আমি তার মুখমন্ডল, গলা, স্তনে কামড় বসালাম এবং জিভ দিয়ে কানে সুড়সুড়ি দিলাম। এবার আমি নিঃশেষিত হবার আগে তিনি বহুবার চরমে উঠে গেলেন। অর্ধ ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার প্রেমের খেলা শুরু করলাম। এভাবে সারারাত চললাে। আমার মনে নেই, কখন এর সমাপ্তি ঘটলো অথবা তিনি কখন আমার কক্ষ হতে নিদ্ৰান্ত হয়ে তার কক্ষে বিশ্রাম নিতে গেলেন। যখন জাগ্রত হলাম, মনে হচ্ছিল চোখের পাতা আঠা দিয়ে জোড়া লাগানাে। কিন্তু ক্লান্তির বদলে নিজেকে অনেক ঝরঝরে মনে হচ্ছিল। তার স্বামীর বিশ্বাসের প্রতি প্রতারণা এবং আমার স্ত্রীর কাছে অবিশ্বাসী হওয়ার জন্যে অপরাধবােধের বদলে আমার মনে হলো, অন্তর্যামী আমাদের হৃদয় ও দেহের এই মিলনে তুষ্ট হয়েছেন এতে পাপ নেই, বরং এ হচ্ছে স্বর্গীয় প্রেম।…….
……..আমার ভিতরে ক্রোধের বাম্প জমে আছে। যে ছাদে শুয়েছিলাম, তার নীচেই সেই রমণী তার দুই উরুর মাঝে অন্য এক পুরুষকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। সে তাে আমাকেও তার শয্যাসঙ্গী করেছিল। ….
……..অপরাহ্নে আমি বিবিকে শয্যায় টেনে নিয়ে বর্বরের মতাে তাকে উপভােগ করলাম। প্রথমবারের পর এভাবে আমি আর কখনাে ওর উপর উপগত হইনি। নিরীহ রমণী কৃতজ্ঞচিত্তে আমার দলনকে সহ্য করলাে। কারণ আমি প্রমাণ করতে পেরেছি যে, তাকে আমি ভালবাসি।…….
১৬. ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ
এলিস অন্ডওয়েল
………কয়েকদিন পর জর্জ অ্যাটকিন আমাকে তার বাংলোতে নৈশভােজে ডাকলেন। রাতটা সত্যিই রােমান্টিক। মােমবাতির আলো, শ্যাম্পেন এবং আরাে অনেক কিছু ইংলিশ হ্যাম, পনির এবং কলকাতার শ্রেষ্ঠ দোকানের সর্বোত্তম সব জিনিস। আমি জানতাম, সে কি চায়। আমি কি চাই, তাও জানি। ভোজনের পর আমরা যার যার উদ্দেশ্য সাধনে তৎপর হলাম। আমি তাকে যথার্থই সুন্দর সময় উপহার দিলাম। আগেই বলেছি, আমার স্বামী নিঃশেষিত। আমার বয়স মাত্র ছাব্বিশ এবং এক বছরের অধিক সময় ধরে আমি কোন পুরুষ মানুষকে জানি না।
জর্জ অ্যাটকিন প্রেমের ক, খও জানে না। কিন্তু আমি জানি বিশ শিলিং-এ এক পাউন্ড হয়। সে তার অঙ্গটা প্রবেশ করিয়েই নিঃশেষ হয়ে গেল। কিন্তু নিজে নিজেই দ্বিতীয়বারের জন্য চাঙ্গা হয়ে উঠলাে। এবার সে কঠোর, ক্ষিপ্ত। সে আমার স্তনে কামড় বসালাে; আমার ক্ষুদ্র নিতম্বে তার নখ বসালাে এবং যত প্রবলভাবে সম্ভব সেভাবে আমাকে যেন পিষে ফেললাে। আমি কারােক্তি করলাম, “প্রিয়তম, আমাকে তাে মেরেই ফেললে।’ এবার দীর্ঘলয়ে চাপ দিয়ে জোরে ‘ওয়াও’ শব্দ তুলে সে নেতিয়ে পড়লাে। আমি ভান করলাম যে, খুবই বিপর্যস্ত হয়েছি। তাকে সেন্ট জর্জের মত লাগছিল। নরম সুরে জিজ্ঞেস করলাে, আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও।’ “আমাকে আঘাত দেয়া, এতােই সােজা! অত্যন্ত ক্লান্ত কণ্ঠে বললাম, না প্রিয়, আমি আহত হইনি। অনুভূতিটা ছিল চমৎকার। তােমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’ জর্জ অ্যাটকিন আমার। দিকে এমনভাবে তাকালাে যেন তার বেতন দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং ক্রিকেট খেলায় সেঞ্চুরী করেছে। আমরা পাশাপাশি শুয়ে ছিলাম। সে এমনভাবে চিতিয়ে ছিল যেন বুকের উপর অনেকগুলাে সােনার মেডেল লাগানাে রয়েছে। আমি অ্যাটকিনের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ স্পর্শ ও মর্দন করে তাকে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করলাম। এই পক্রিয়ায় সাপের ঝাপি থেকে যেন সাপ বেরুচ্ছে। আমি আরাে সক্রিয় হলাম। প্রথমবারের পরই তার ছােট বাবু নেতিয়ে ছিল। আমার চঞ্চল হাত তার গােপন লালচে কোকড়ানাে কেশ ও ছােটবাবুর উপর দ্রুত চালনা করলাম। ছােট বাবুকে পূর্ণ অবয়বে আনতে জিড ব্যবহার করলাম। আমি তাকে এমন একটি রাত উপহার দিতে চাচ্ছিলাম যে রাতের কথা সে যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন মনে রাখবে। হাত দিয়ে সে আমার পিঠ আঁকড়ে ধরে বললাে, ‘তোমার মধ্যে নিশ্চয়ই হিন্দুস্থানী প্রাবল্য রয়েস্থে যার কারণে তুমি এতােটা প্রেমিক। তার মন্তব্য আমার মনঃপুত হলাে না। তাকে বললাম, “প্রিয় জর্জ, প্রেমের মধ্যে হিন্দুস্তানী বলে কিছু নেই। আমি তােমার মতই পরিপক্ক। একশ ভাগ বৃটিশ এবং এ জন্য গর্বিত। এখন একটা প্রতিজ্ঞা করতে হবে- তুমি দেশের উন্নত কোন স্থানে অ্যালেককে একটি চাকরি জুটিয়ে দেবে। আমি তখনাে সক্রিয়। সরাসরি তার চোখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কি আমাকে কথা দিছাে।’ সে অন্যদিকে চোখ ফিরাতে চাইলাে। কিন্তু আমি তার মাথা দু’হ্যত দিয়ে ধরে সােজা রাখলাম, প্রতিজ্ঞা করাে। আনন্দটা শেষ পর্যন্ত তােমাকেই দেব, সে বললাে, আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবাে।’ এটুকুই যথেষ্ট। আমার মুখ তার মুথে আঠার মত যুক্ত করলাম। জিহ্বা তার মুখের ভিতর চালনা করলাম এবং দুজনই জানােয়ারর মত আচরণ শুরু করলাম। কামড়, নখের আঁচড় সব চললাে। চুড়ান্ত সময়ে একে অন্যকে মেরে ফেলার অবস্থা হলাে। অ্যাটর্নি অফিসে যেমন বলা হয়, এবার তেমনটিই হলাে- স্বাক্ষর, সিলমােহর ও হস্তান্তর । রাত তিনটায় তার সহিস আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিল।……..
……..বােকার মত হেসে সে উত্তর দিলাে, “অয়েল মেমসাহেব, এটা যৌবন ও সৌন্দর্যের প্রশংসাসূচক একটি কবিতা। আপনার ব্লগের কোনাে কারণ নেই। রাগান্বিত মেয়েদের সম্পর্কে একই কবি শেখ সা’দী বলেছেন, ফারসীতে সে আকুতি করলােঃ
“যে নারী অতৃপ্ত অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করে
সে তার পুরুষের সাথে ঝগড়া ও বিবাদ করবে
যে বৃদ্ধ লাঠির সাহচর্য ছাড় দাড়াতে অক্ষম
কি করে তার নিজের লাঠি দাড়াবে?”……..
……মির্জা আবদুল্লাহ আমার হাঁটুতে হাত রাখলাে। আমার হাঁটুতে চাপ প্রদান ও চিমটি কাটতে ও করলাে। ক্রমে স্তনে হাত দিয়ে স্তনের বােটা নিয়ে খেলা শুরু করলো। তার বন্ধুরা উঠে বললো, “আপনি অনুমতি দিলে আমরা পাশের কক্ষে বিশ্রাম করতে পারি।’ মির্জা মাথা ঝাকিয়ে অনুমতি দিলাে। আমাদেরকে একই তাকিয়ায় হেলান দেয়া অবস্থায় রেখে দু’জন টলতে টলতে পাশের কক্ষে গেল।
মিজা আবদুল্লাহ খানিকক্ষণ স্তনের বােটা নিয়ে খেললাে। তার আরেক হাত আমার কোমরের চারদিকে ঘুরাফেরা করছে। এক ফাকে সে তার পাজামার ফিতা খুলে ফেলে আমার হাতটা টেনে তার মধ্যাঙ্গে স্থাপন করলাে। তার তখন ক্ষিপ্তাবস্থা। আমি সুরাপাত্রটা টেনে নিয়ে তরল আগুন টুকু পেটের মধ্যে চালান করে দিলাম। এখন আমাকে কে কি করছে আমি তার তোয়াক্কা করি না । আমি নিজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করাই বুদ্ধিমানের কাজ বিবেচনা করলাম। গালিচার উপর শয়ন করে মির্জাকে আহ্বান করলাম। মাতাল লােকের চরম সময় বিলম্বেই আসে। যখন সে চরমে উঠলাে, তখন বন্ধুদের ডাকলাে সে কি করছে তা দেখার জন্য। আমার গালে দাত বসিয়ে সে। বীর্যপাত করলাে। সে উঠে যাওয়া মাত্র তার বন্ধুরা হামলে পড়লো। আমি যেন এক টুকরা সাদা। মাংস এবং দুটি কুকুর তা নিয়ে লড়াই করছে। সারাটা রাত ধরে এ অবস্থা চললাে । একজন যখন। শেষ করে আরেকজন চেগিয়ে উঠে। তাছাড়াও ছিল হিজড়াটা। সে তার আঙ্গুল, জিভ এবং তার । যা আছে তা ব্যবহার করলাে। আমি ঘেমে ভিজে গেছি এবং ক্লান্তিতে মৃতপ্রায়। ভাের পর্যন্ত মির্জা। আবদুল্লাহ ও তার দুই বন্ধু তাদের দূষিত দেহের সমুদয় বিষাক্ত বীর্য নিঃশেষ করে ফেলেছে। বিশ্বস্তালাপ ও বেসুরো গান গাইতে গাইতে তারা বের হয়ে গেল। রইলাে শুধু হিজড়া। আমি মৃতের মতাে পড়ে আছি, আর সে মৃতদেহকে কুকুরের মত ছিন্নভিন্ন করছে। কামানের গোলার শব্দ সংযমের দিবসের সূচনা ঘােষণা করা পর্যন্ত এভাবে চললাে। সূর্যের দু’টি উদয়ের মাঝে। কতটা সময় অতিক্রান্ত হয়েছে।……
বাহাদুর শাহ জাফর
………বেগম জিনাত মহলের আগমন ঘটলাে। সে এমন পােশাকে সেজেছে ঠিক যেন সতের বছর পূর্বে আমি যেদিন তাকে বঁধু হিসেবে হারেমে এনেছিলাম, সাপের ফণার মতাে করে বাধা চুলের উপর দিয়ে সােনালী কাজ করা সাদা ওড়না ছড়ানাে। তার বড় বড় হরিণ চোখে কামনার ঔজ্জ্বল্য।……তার মুখের গন্ধ এতাে সুবাসিত। তার তুলতুলে মাংসল নিতম্বের উদার উষ্ণ আমন্ত্রণে আমার বিরাশি বছর বয়সের শৈথিল্য, দীর্ঘ গােলযােগপূর্ণ সময়ের জড়তা কাটিয়ে আমার অঙ্গগুলাে সচল হয়ে উঠলাে।…..আমার জন্য হাকিম আহসান উল্লাহর তৈরী কামোদ্দীপক দাওয়াই গ্রহণ করলাম বড় এক চামচ। অল্পক্ষণ পরই আমি আমার বেগমকে আমাদের প্রথম মিলনের আবেগ নিয়ে গ্রহণ করলাম।……..
নিহাল সিং
….আমার বন্ধুরা বললো, ‘তুমি যদি দিল্লী না দেখে তাহলে তােমার কিছুই দেখা হয়নি। দিল্লীতে তুমি সব কিছু পাবে। আমের গুটির আকৃতির স্তন উঠেছে এমন কিশোরী বেশ্যা……..মহিলা উঠে দাড়ালাে। তার দু’চোখ বন্ধ। ঠোট নড়ছে। সে নীচের দিকে ঝুঁকলাে। তার মসলিনের জামার ভিতর দেখতে পাচ্ছি স্তনজোড়া: অতি পাকা ফলের মত ঝুলছে।……..
বাহাদুর শাহ জাফর
……..সে বছর আমি জিলত মহলের বােন অর্থাৎ আমার শ্যালিকা। তাজমহল বেগমের সম্মানে একট ছােট মুশায়রার আয়ােজন করি। জিনাত স্বয়ং তাকে আমার হারেমের সদস্যা হওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে। জিনাতের সম্মতিতে আমি তার কুমারী বােনকে। মর্যাদা দান করে আমার শয্যা সঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ করি।………