দাহ – সমরেশ বসু

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………মেয়েদের বিয়ের পরে স্বাস্থ্য ভাল হলেই বলে, ‘বিয়ের জল লেগেছে। বিয়ের জলটা, সেটা আসলে কোন বস্তু কী না, ও ঠিক জানে না। তবে কেন যেন কথাটার সঙ্গে পুরুষের বীর্যের কথাটা মনে আসে, অথচ বিয়ে, একটা বিশেষ আনন্দ, বিশেষ সুখ মেয়ে পুরুষের, কোনরকম লুকোচুরি না করে, অবাধ মেলামেশা, শেষ পর্যন্ত একটা শারীরিক ব্যাপার বলেই তাে মনে হয়, তবু হতে পারে, কথাটার মধ্যে অশরীরী কোন ইঙ্গিতও আছে।……..

………একটা শাড়ি জামা নীলিমা বেছে নিচ্ছে পরবার জন্য, কারণ কুঁচকে যায়, দলা মােচড়ার দাগ থাকে, এমন শাড়ি জামা পরবে না। এখন, সমীরের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে তাে তা-ই। ওদের প্রেম, ওদের ভালবাসাবাসি আছে। তাই, ওরা এখন গিয়ে কোথাও নিরিবিলি একটা ঘরে দেখা করবে, ভালবাসাবাসি করবে, তাতে জামাকাপড় দলে মুচড়ে যেতে পারে। এখন কীভাবে নীলিমা আর সমীর স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করে, ও জানে না—অর্থাৎ জন্মনিয়ন্ত্রণকে চালিয়ে নিয়ে যায়। সমীর তো আবার ওরও বন্ধু, নীলিমা ওর বােন, বছর দুয়েকের ছােট হবে হয়ত। সমীরের কাছ থেকেই প্রথম ও জেনেছিল, মেয়েদের সঙ্গে মিশতে হলে, ‘পিরিয়ড’ ব্যাপারটা কী। সমীর বলেছিল, আঠার উনিশ বছর বয়সেই পিরিয়ড মেইন্টেন বিষয়টা ওর বৌদির কাছে নাকি শিখেছিল, আর ওকেও বুঝিয়ে দিয়েছিল, যদিবা বৌদির সঙ্গে সমীরের কোনরকম শরীরের সম্পর্ক ছিল না বলেই বলেছিল, নিতান্ত বন্ধু হিসাবেই, বৌদি ওকে ব্যাপারটা বুঝিয়েছিল এবং একথা স্বীকার করতেই হবে, সমীর এ বিষয়ে হানড্রেড পার্সেন্ট সাকসেসফুল। সমীরের একটা অহঙ্কার, ও কখনও কোনরকম কষ্ট সেপটিভ বা ক ব্যবহার করেনি; অথচ আজ পর্যন্ত নীলিমার একবারও কসেপশন হয়নি।……….

……..সেই সময়েই মেয়েটি এল, কী যেন নাম, নীলিমা বলেছিল নামটা, এখন মনে পড়ছে না। দেখতে তেমন ভাল না, কিন্তু সব মিলিয়ে দেখতে বেশ ভালই লাগল, টুলুর সমবয়সীই হবে, কিংবা এক আধ বছরের কম বেশি। খুব বড় করে কাঁধ কাটা, স্লিভলেশ জামা, পেটের সবটাই প্রায় খােলা, একেবারে নাভির নিচে শায়া শাড়ির বন্ধনী, কচি আম পাতার মত আমলা খামলা রঙ, আবাঁধা খােলা চক্ষু চুল, কিছু নেই হাতে ঘড়ি ছাড়া।…….

……..সেই অন্ধকারে, সতের বছরের নন্দিতার সেই চেহারাটাই, প্রথমে ওর চোখে ভেসে উঠেছিল কেন না, ভাবা যায় না, এই সেই নন্দিতা, যে ওর সামনে, একেবারে উলঙ্গ হয়ে ওকে জিভ ভেংচে, দেখেছিল, আর ও কী রকম হতভম্ভ হয়ে দাড়িয়েছিল। যেন ঠিক বুঝতে পারে নি। ওর সেই সতের বছর বয়সে, যেন বুঝতে পারে নি।…….

………নন্দিতা এমনিতেই যেন একটু অন্যরকম ছিল। সেটা কীরকম, কীভাবে বােঝানাে যায়, এই যেমন, মােটা শরীরটাকে একটু দুলিয়ে দুলিয়ে চলা যাতে ওর সমস্ত শরীরটাই বুক, পাছা, বিশেষ করে পাছার পিছন দিক, এত বড় ছিল, সেই সঙ্গে একটু মােটা ঠোট, যে ঠোটে ও গােলাপী রঙের লিপস্টিক মাখত, কিন্তু ফরসা মুখে, খুব একটা রঙটঙ মাখত না, বেশ একটা তেলতেলে ভাব ছিল ফরসা রঙের শরীরে, হাতে পায়ে মুখে, সব কিছুই যেন বড় বেশি করে চোখে পড়ত। অবিশ্যি এখনকার মত পেটটা এত বড় ছিল না, ভুড়ি যাকে বলে, যেন ভুড়ির ওপরেই বুকের পিণ্ড দুটো থপাস করে পড়তে গিয়ে, হঠাৎ একটা ঠেকে দিয়ে উচু করে ভােলা হয়েছে। সতের বছর বয়সে, ভুড়ি না থাকায়, বুক দুটো তখন অনেকটা স্তন’ শব্দের মতই একটু বড় বড় হলেও, সুন্দর ছিল। অন্য মেয়েদের সঙ্গে তফাত, ও ঠোট দুটো সব সময়েই কী রকম ফুলে ফুলে করে রাখত, আর সব সময়েই যেন, একটা কী রকম হাসি হাসত, সেই সময়ে সেই সতের বছর বয়সে যখন নন্দিতা কলেজে সবে ভর্তি হয়েছে।…..

…..আর ঠিক তখনই বাথরুমের-একটা না, দুটো বাথরুম, এবং দ্বিতীয় বাথরুমের দরজাটা খুলে গিয়েছিল, নন্দিতা সেখানে দাড়িয়েছিল সেই অবস্থায়, একেবারে উলঙ্গ ওকে জিভ ভেংচে দিয়েছিল, আর সঙ্গে সঙ্গেই আবার দরজাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।…….সম্ভবত মিনিট খানেক তারপরেই আবার দরজাটা খুলে গিয়েছিল, খােলা ফাকের মাঝখানে, নন্দিতাকে আবার দেখা গিয়েছিল, তেমনি উলঙ্গ যা ভাবা যায় না মাত্র দু তিন হাত দূরে তেলতেলে বাম ঘাম, নন্দিতার মুখ কেমন যেন অন্যরকম দেখাচ্ছিল, চোখ দুটো ঠিক রােদ ঝলসালে আয়নার মত, এবং গােটা শরীরটাই ফরসা ফরসা তেলতেলে ভাৰ, বিশেষ বুকের দিকেই ও হাঁ করে তাকিয়েছিল। তারপরেই, কোমরের কষির দাগ পেরিয়ে, নিচে ওর চোখ পড়েছিল, আর তখনই, আর নন্দিত জিভ ভেংচে দিয়েছিল, দরজাটা আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পুরােপুরি না, অল্প একটু ফাক ছিল, নন্দিতাকে দেখা যাচ্ছিল ।….

…….সেই অন্ধকার ঘরেই দম বন্ধ অবস্থায় ছিল। দরজার সামনে কেউ ই ছিল না, বাঁ দিকের দেওয়ালে, পাশ ফিরে হেলান দিয়ে নন্দিত দাড়িয়েছিল। ডান হাতটা তুলে, বন্ধ জানালার ওপর রেখেছিল, তার নিচে বুকের একটা পাশ দেখা যাচ্ছিল, ডান পা-টা একটু মুড়ে কেমন যেন একটু বেঁকে দাড়িয়েছিল। নন্দিতা ওর দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকায় নি, কিন্তু ঠোটের শক্ত কোণে টেপা টেপা হাসি ছিল, চোখের কোণ দিয়ে ওকেই দেখছিল, এবং ও এই অদ্ভুত নগ্ন ছবিটাকে যেন তখনও বিকাস করতে পারছিল না, কারণ, বিশ্বাস করবার মত, কোন কার্যকারণ ভাবনা-চিন্তা, কিছুই ওর মাথায় ছিল না, তথাপি, দমবন্ধ শরীরে যেন ওর সমস্ত শরীর পেশী শক্ত হয়ে উঠছিল, আর তখনই নন্দিতার ফিসফিস গলা শশানা গিয়েছিল, ‘হাদা বলেই, নন্দিতা, যেন স্বাভাবিকভাবেই, জামাকাপড় পরা অবস্থায় যেমন সবাই করে, তেমনিভাবে, ওর গা দুয়ে, ডিঙিয়ে গিয়ে দরজার ছিটকিনিটা আটকে দিয়েছিল, ওর সামনে এসে পঁড়িয়েছিল, ওর সেই অবাক হতভম্ব অথচ রক্তের আঁচ লাগা চোখের দিকে তাকিয়ে, আলতাে করে ওর গালে একটি চাটি মেরে, মাথার চুল আস্তে টেনে দিয়েছিল, এবং হঠাৎ যেন লজ্জা পেয়েছে, সেইভাবে, চোখ নামিয়ে নিজের শরীরের দিকে তাকিয়েছিল।……..

…….ও তখনও অবাক, এবং নন্দিতার শরীরের দিকে তাকিয়ে ওর কেমন একটা খারাপ ভাব লাগছিল, সমস্ত শরীরটা কী রকম খারাপ আর একটা ভয় ধরানাে ভাব, নাকি যেন, একটা ভীষণ অন্যায়ের মত লাগছিল, তেলেতেলে ফরসা ফরসা পেঁয়া রোয়া ভাবের গা, কেমন যেন অদ্ভুত, মানুষের না, একটা অন্য কোন জীব বিশেষ, নন্দিতার তলপেটের দিকে যখন ওর চোখ পড়েছিল, ওর গায়ের মধ্যে কী রকম করে উঠছিল, একটা বিরূপতা, প্রতিবাদ, বিদ্রোহের ভাব, অথচ চোখ ফেরাতে দেরি হচ্ছিল, এবং ওর শরীরের মধ্যে আপনা থেকেই কী রকম পরিবর্তন দেখা দিচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, সমস্ত শরীরটা একটা প্রকাণ্ড মশালের মত জ্বলছে। ওর মনে হয়েছিল, নন্দিতার শরীরের প্রত্যেকটি জায়গা কঁপছে, গা থেকে ভাপ বেরচ্ছে। কেমন করে, নন্দিতা ওকে জড়িয়ে ধরেছিল, মনে করতে পারে না। ঠিক যেন একটা পকেটমারেব মত নন্দিতার হাত ওর কোমরে গায়ে ঘােরাফেরা করেছিল। আর ওর ট্রাউজারটা বাথরুমের ভেজা মেঝের ওপরে খুলে পড়েছিল, এবং নকতা যেন একটা অদ্ভুত খেলায় মেতে গিয়েছিল, যে-খেলাতে, এখনও স্পষ্ট মনে আছে, ও হঠাৎ খিলখিল করে হেসে, মেঝের ওপর ধপাস করে পড়ে গিয়েছিল, ঠিক যেমন ভীষণ সুড়সুড়ি এবং কাতুকুতু লাগলে হয়। নন্দিতার কোনও ঘৃণা ছিল না, লজ্জা ছিল না, মুখের স্বাদ এবং সাধের যেন কোন অন্ত ছিল না, এবং সমস্ত ব্যাপারটার মধ্যে একটা বিরাগ থাকলেও, হাসতে হাসতে, গড়িয়ে পড়েছিল, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার ভয়ে হাত ‘জাড় করে, ছেড়ে দিতে বলেছিল। আর তখন মনে হয়েছিল জামাকাপড় পরা থাকলেও, নন্দিতা এরকম করতে পারত, কেননা, সমস্ত ব্যাপারটা যেন তা ছিল না। নন্দিতার সহজভাবে উলঙ্গ হওয়ার কারণটা ছিল যেন, ওকেও যাতে উলঙ্গ করা যায়, এবং একথা মানতেই হবে, ওর উলঙ্গ মূর্তি দেখে দেখে যেন নন্দিতার সাধ মিটত না, ঘেটে চটকে আশ মিটত না ওর, কষ্ট হচ্ছে কী না, সে কথাও যেন নন্দিতার মনে থাকতনা, যাকে বলে,অপার কৌতুহল বা চির-কৌতুহল, তা-ই জেগে থাকত চোখে, এবং সেই কৌতুহলের সঙ্গে, চোখের দৃষ্টিতে, সারা শরীরে, দারুণ উত্তেজনায়, নন্দিতা ওকে নিয়ে খেলা করত। কিন্তু ও জানত সেটাই শেষ না, আরও কিছু বাকী, এবং প্রথম প্রেম, ইচ্ছা জানাতে লজ্জা করলেও, পরে যখন জানিয়েছিল, তখন নন্দিতা বলেছিল, ওটা একটা জঘন্য ব্যাপার, আমার বিচ্ছিরি লাগে, ঘেন্না করে। না, ওটা না, তােমাকে তত কষ্ট দিই নি। ও মনে করেছিল, ওটা বােধহয় নন্দিতার লজ্জা বা ভয়—না, লজ্জা না, ভয়ই মনে করেছিল। নন্দিতা নিশ্চয়ই ভয়ে ও কথা বলেছিল, পরে আর ভয় থাকবে না, ও ভেবেছিল, কিন্তু ও ভুল ভেবেছিল, কারণ পরে যতদিন গিয়েছিল, ও বুঝতে পেরেছিল, বিশ্বাস করেছিল, মেয়ে পুরুষের একটা স্বাভাবিক ব্যাপারকে, নন্দিতা সত্যি সত্যি জঘন্য ব্যাপার মনে করে, ঘৃণা করে। নন্দিতার ভয় সত্যি ছিল না, কিংবা হয়ত ভয় থেকেই ওরকম ঘৃণা জেগেছিল, হয়ত সেটাকেই নন্দিতা একমাত্র পাপ মনে করত, যদি বা, নন্দিতা সত্যি সুখী ছিল, সেই খেলাতেই তৃপ্ত ছিল।…….

………মেয়েটির বয়স বােধহয়, চব্বিশ পচিশ হবে। খাটের ওপরে, দেখতে শুনতে মন্দ না। লাল লাল ভাবের শাড়ির সঙ্গে, ম্যাচ করে, লাল লাল স্লিভলেস জামা গায়ে দিয়েছে। বুক আর কাঁধ বেশ চওড়া করে কাটা। টুলুর বন্ধুর মত, সেই মেয়েটির নাভির নিচে শাড়ি পরা। জামাটাও অনেকখানি ভােলা, কেবল বুক দুটো কোন রকমে ঢাকা দিয়েছে, আর নিচে, কোমরের বেশ খানিকটা অংশ খােলা, যেন আর একটু টেনে দিল, নােমশ বন্তিদেশ দেখা যাবে। মাথার পিছনে অনেক কিলিপ এঁটে, একটা বিনুনি করেছে।…….

…যে কোন কারণেই হােক, নিচে থেকে ঠেলে দেবার জন্যই তােক বা জামাটা অতিরিক্ত কাটা বলেই হােক, রুশুর বুকের মাঝখানের খাঁজ এবং মাংসের বেশ অনেকখানি দেখা যাচ্ছে। সে নিশ্চয়ই হাসছে না বা ইচ্ছা করে শরীর কাঁপাচ্ছে না, বুলুর মনে হল, খুব শরীরটা কেবলই দুলছে, বুক কাঁপছে থেকে থেকে।….

………. বুলু দেখল রুণু যেন চোখ দুটোকে একটু বড় করে, চকচকে করে তুলতে চাইছে, আবও ওর শবীবটা যেন সামনের দিকে কেমন উচু হয়ে উঠছে। রুণুর গভীব নাভিটা, পবিষ্কার দেখা যাচ্ছে। এটা গভীর কেন, নিশ্চয়ই ছেলেমেয়ে হয়নি। অবিশি তেমন মেদও নেই, রুণুব গড়নটাই ভাল। রুণু কাপড়টা যেন একটু বেশি নামিয়ে পবেছে, টুলুর বন্ধুর ঠিক এতটা নামানো ছিল না যেন।…….

…….রুনু যেভাবে শরীরটা দোলাচ্ছে, সে কারণে ওর বুক নাচছে এমনকি নাভির কাছটাও যেন কেঁপে কেঁপে যাচ্ছে, এসব দেখে এখন যেন মনে হচ্ছে, রুণুকে পিষতে পারলে হয়। অথচ, সেটা একটা খুব সুখ আর আনন্দের সঙ্গে মনে হচ্ছে না। রুণুর রঙ লাগানন ঠোঁট, যে-ঠোট থেকে থেকে কখনও ফুলে উঠছে, কুঁকড়ে যাচ্ছে, টিপে হাসছে, সেই ঠোট দুটো, নখ বসিয়ে চিমটি কেটে দিতে ইচ্ছে করছে। কেন এরকম মনে হচ্ছে, বুলু বুঝতে পারছে না, যেন রক্তের মধ্যে একটা সুখের ইচ্ছায়, এরকম এক যুবতী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে ইচ্ছা করে, সেরকম ইচ্ছা করছে না। রক্তের মধ্যে মুখটা যেন একটা রাগ হয়ে আছে, ক্রুদ্ধ যাকে বলা যায়।……..বুলু রুনুর দিকে তাকাল, সেই একইভাব রুনুর, এখন যেন ও কোমরটাকে কেমন একরকম মােচড় দিয়ে রেখেছে। বুলুর ইচ্ছা কল, একটা লাথি মেরে রুণুর কোমরটাকে সােজা করে দেবে। দিয়ে, ওর কোমরে, পাছায় কাঁটা চামচটা দিয়ে খোঁচাবে।……রুনু আরও ঝুকে পড়ায়, ওর বুকের গােল অনেকখানি দেখা গেল এবং এখন ওর দাড়িতে, কুশুর বুক ছুয়ে ছুয়ে যাচ্ছে। রুশ এক হাত দিয়ে, বুলুর হাত টেনে ধরে বলল, এস খাটে এস কথা বলি, আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না, আমার বােধহয় নেশা হয়ে গেছে।….

সংযােজন

অবশিষ্টাংশ দাহ-১

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়

এ………ই কথা যখন বুলু বলল, তখন কণুর ব্রেসিয়ার সহ জামাটা টেনে, সবটা একেবারে ফঁসের মত কণ্ঠার কাছে তুলে দিল। তাড়াতাড়ি উঠতে চাইল, বলল, ‘একি, একি অসভ্যতা, সব খুলে দিচ্ছ।’…….কিন্তু রুণু উঠতে পারল না, বরং পা দাপিয়ে বলে উঠল, “উহু, ওকি, খামচে দিচ্ছ কেন আমার লাগছে। বুলুর মনে হল, ও যেন শরীরে ঠিক শক্তি পাচ্ছে না, যা ও করতে চায়, অথচ ওর নিঃস নিজের কাছেই এত গরম লাগছে, নিজেরই তাতে হালকা লাগছে, এবং শয়তানের হাসিটা এখন ভীষণ কুটিল বিপাক আর ধারাল হয়ে উঠেছে যেন। বলল, তােমার শরীরটা বেশ নরম।…….

……..বুলুর একটা লম্বা সবল হাত, ওর বুকের ওপরে স্তন আর নাতির কাছে, আর একটা হাত, বুলুর আঙ্গুল গুলো ঠিক যেন কাঁকড়া বিছের মত সুড়সুড় করে বেড়াচ্ছে। যে কোন মুহূর্তেই হুল বিধিয়ে দেবার মত, নখ বিখিয়ে দিতে পারে।……

সংযােজন

অবশিষ্টাংশ দাহ-২

কঙ্কাবতী দত্ত

…….রুনুর চোখের মণি কুচকুচে কালো নয়, গাঢ় বাদামী। সেই জন্যই বােধহয়, নেশা নেশা লালচে ভাবটা আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে চোখে। কাজল ধেবড়ে গিয়ে চোখটা ফ্যাকাসে লাগছে। বুলুর পচা মাছের কথা মনে পড়ে গেল সেই দিকে তাকিয়ে। সেইসঙ্গে গা গুলিয়ে ওঠা আকর্ষণ তার দুই উরু বেয়ে কি লিকিয়ে উঠে এল পুরুষাঙ্গে।

সে কর ওপর ঝুকে পড়ে তার দুই কঁধ শক্ত করে চেপে ধরে সামান্য বকাল। “তােমার কে হয় সমীর?”

রুনু হাল ছেড়ে দেওয়া ভঙ্গিতে পা দুটো সামান্য ফাঁক করে, হাত দুটো দুপাশে ছড়িয়ে অভদ্রের মতাে পড়ে রইল। আমাকে এসব জিগ্যেস করবেন না…”

“কদিন মানে?” বলতে বলতে বুলুর দৃষ্টি রুণুর বুকের দিকে চলে গেল। জামাটা তুলে দেওয়ায় খানিকটা অংশ বেরিয়ে আছে। মাংসপিণ্ড থলথল করছে। আবার সেই শয়তানের হাসিটা যেন বিকৃত উল্লাসে বাজছে বুলুর মধ্যে।…….

……ব্লাউজ দিয়ে রুণুর বুক ঢাকার দৃশ্যটা বুলু নিস্পন্দ হয়ে দেখল। কোথায় যেন অস্পষ্ট রহস্যের ইঙ্গিত বা প্রতীক জড়িয়ে আছে এই ভঙ্গিমার মধ্যে। কর মধ্যে যদি এভােই সঙ্কোচ তাহলে সে এতক্ষণ তার চোখের সামনে এরকম উন্মুক্তভাবে শুয়ে রইল কি করে? অনেক আগেই বুক দুটো ঢেকে নেওয়া স্বাভাবিক ছিল না কি?……….

Leave a Reply