দাম্পত্য – চন্দন চক্রবর্তী

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

……….আরে এমন সুন্দর গম রঙা মসৃণ শরীর। ডালিম পাপড়ি ঠোঁট। সমুদ্র শঙ্খের মতাে উদ্ধত দু’টো বুক। দু’টো গােলাপ কুঁড়ি স্তন। কলমি ফুলের মতাে নাভিকুন্ডলি। আর হরিণ চোখ দু’টো কিসের জন্য? একটু ঢলাঢলি করলে যদি মাইনে ডবল হয়। বসের নেকনজরে আসা যায়, আর রুনাকে লেঙ্গি মারা যায় মন্দ কি। সবচেয়ে বড় কথা ব্যাটা মিত্তালের যে অবস্থা সাপের তেলেও কিসসু কাজ হবে না। অতএব লেগে পড়াে মুন্নিবাই। রত্না লেগে পড়ে।………

……….রুনার যা নেই। রত্নার তাই আছে। প্রথম কয়েকদিন শুধু টপের টপ বােতামটা খােলা রেখে দু’টো মারাদোনা ভাঁজ মেরেছে। ব্যস মিত্তালের চোখ রুনা থেকে সরে এসে রত্নাতে এসে পড়ল। রুনা কমপিটিশন থেকে ছিটকে গেল। আর রত্না বাজিমাত করে এগােতে লাগল। ……….

……….. “যদি না স্বচক্ষে দেখতাম তােমায়? বসার ঘরে কবিতাপাঠের অনুষ্ঠানে। উর্মির উরুতে হাত বােলাতে। ছিঃ!”

“ইস ছি ছি তুমি এত নীচে নামতে পারলে?”

“উরুটা কি শরীরে উপরের দিকে? নীচেই থাকে। অসভ্য লুজ ক্যারেক্টর সাহিত্যিক। তখন মেয়ে পটাবার কবিতা লিখতে আর এখন সেক্স পটাবার। লজ্জাও করে না।”……..

………রত্না স্নানঘরে পােশাক ছেড়ে টেলিফোন-শাওয়ারের তলায় শরীর মেলেছে। টপ সিক্রেট’ সাবান ঘষছে বুকজোড়ার সন্ধিস্থলে। হঠাৎ দরজার একটা ফুটোতে একটা চোখ দেখতে পায়। ও, ‘কে’ বলে চিৎকার করে। সঙ্গে সঙ্গে দরজায় হালকা শব্দ করে চোখ সরে যায়। রত্না ওকে অশ্লীলতার দায়ে ওকে ফাঁসাবে বলে হুমকিও দেয়। রাহুল তখন চুপ। রাহুলের তখন কাজ সারা।

চুপ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ওর হঠাৎ সেক্স জাগ্রত হয়নি। হয়েছে কবিতার ভাবনা জাগ্রত। নারীর স্তনযুগলের রং একজাক্টলি বাদামি নাকি কফি কালার? সেটা জানার জন্যই বেচারা দরজার ফুটো দিয়ে উকি মেরেছিলাে।……..

Leave a Reply