পৃ-৫ঃ
………প্যারিসে শীত পড়েছে। বেশ শীত। অথচ ফরাসি নারীর শরীরে শীত নেই কেন? অনন্য বাঙালিটির আমন্ত্রণে যে অভিজাত মহিলারা এসেছে। নৈশ প্রমােদে যােগ দিতে, তারা সবাই পরেছে বুকখােলা পােশাক। কারও বেশি খোলা। কারও চিলতে কম। বাঙালিটি লক্ষ করছেন, এদের মধ্যে এক রমণীর বুকের আড়াল বিপজ্জনক কিনারে এসে আরও একটু গড়িয়ে যাবার ইশারা দিচ্ছে অনবরত। এ-জিনিস বানাতে পারে শুধুমাত্র ফরাসি দরজি। তিনি নিজেকে প্রশ্ন করেন, কীসের এই গরমি? নিছক কামনার গরম?………..
পৃ-৯-১০ঃ
………দ্বারকানাথ ঠাকুর, বয়েস ৪৮, দেখতে পেলেন ফরাসি সুন্দরীর শাঁখের মতাে সাদা বুকের ডান ধারে একটি ছােট্ট ব্রাউন তিল। লাল তিল দেখেছি। কালাে তিল দেখেছি। কিন্তু খয়েরি তিল! এই প্রথম। আলাের গতিতে ভাবে দ্বারকানাথ ঠাকুরের মন। মনের ইচ্ছে মুহূর্তে চলে যায় তার জিভে। দ্বারকানাথ বলে ফেলেন যা তিনি বলতে চাননি : I wish I could be that brown beauty-spot right there! দ্বারকানাথকে নিবিড় আলিঙ্গনে শিথিল নরম উথলে-ওঠা দুটি বুকের ওপর টেনে নেয় সুন্দরী। দ্বারকানাথ জড়িয়ে ধরেন সুন্দরীর কোমর। এ কী! যে-মেয়ের বুক এমন থইথই। যে-মেয়ের নিতম্বের ওপর হাজার লাইন লিখতে পারতেন কবি কালিদাস। সেই মেয়ের কোমরে হাত দিয়ে দ্বারকানাথের মনে হল, তিনি যেন একটি ভরপুর ফুলের তােড়ার গােড়াটি ধরেছেন!……….
পৃ-১৬-১৮ঃ
……….একজন আমার মুসলমান অশ্বপালক। উত্তর ভারতের এক তরুণ। ঘােড়ার মতােই তেজি। বলবান। কঠোর। অন্যজন লাহােরের মুসলমান। আমার শেফ। যেমন তার হাতের রান্না। তেমনি তার মনভােলানাে মসৃণ ব্যবহার। যৌনতার দুই মেরু, ভাবে রানি ভিক্টোরিয়া। বয়েস ২৩। লুকিয়ে প্রেম করার মধ্যে অন্য একটা আগুন, ভিন্ন মাদকতা। তুলনায় স্বামী ফিলিপের বিছানা স্যাতসেতে, শীতু, মাপা আদর, ঠান্ডা কথা নিভিয়ে দেয় শরীর। অশ্বপালকের সঙ্গে অরণ্যে হারিয়ে যেতে ভাল লাগে ভিক্টোরিয়ার। অশ্বারােহীর বুকে হেলান দিয়ে বসে সে। দুরন্ত বেগে ছুটে চলে ঘােড়া। ঘন ছায়া। গভীর গাছপালার আড়াল। ভিজে ভিজে জমি। দুজনেই নেমে পড়ে ঘােড়া থেকে। ভিক্টোরিয়ার তর সয় না। সে নেমেই বুকে টেনে নেয় অশ্বপালকের লােহার মতাে পেটানাে শরীর। ছায়ার মধ্যে, বুনাে ঘাসের ওপর, ভিক্টোরিয়া বিছিয়ে দেয় তার গােলাপি অঙ্গ। তার তেইশ বছরের ছিপছিপে তনুর সমস্ত তৃষ্ণা, সমস্ত খিদের ওপর তেজি বলবান অশ্বপালক বিস্তার করে নির্ভীক দ্বিধাহীন আদিম প্রাবল্য।। এই বহ্নিমান তীব্রতা, বলিষ্ঠ পুরুষটির রমণক্ষমতার সবটুকু, পরনারীগমনের সমস্ত উন্মাদন, শােষণ ও তাপন সারা শরীর। দিয়ে উপভােগ করে যৌবনবতী নারীটি। এক সময়ে দুজনেরই আসঙ্গলিপ্সা সম্পূর্ণ তৃপ্ত হয়। অরণ্যের ছায়া তখন তাদের দেহের মতােই ঠান্ডা হয়ে এসেছে। এবার তাে ফিরতে হবে দায়িত্বশীল, নিষ্ঠাবান, নিয়ন্ত্রিত প্রাত্যহিক জীবনে।……….
………লাহােরের মুসলমান শেফ মধ্যবয়সী। তার হাতের রান্না খেয়ে মুগ্ধ ভিক্টোরিয়া। এই মুগ্ধতাই তাকে টেনে নিয়ে গেছে শরীরের স্বাদ-আহ্লাদে। লাহােরের পাচক ভিক্টোরিয়ার ব্যক্তিগত শেফ। স্বামী অ্যালবার্ট ডিনার সেরে নেয় সন্ধে ছটার মধ্যে। ডিনার খেয়ে চলে যায় লাইব্রেরিতে। অনেক রাত পর্যন্ত বইয়ে ডুবে থাকে পণ্ডিত অ্যালবার্ট। তার শরীরের চাহিদা নেই। ডাক পড়ে শেফের। ভিক্টোরিয়া গল্প করে। ধীরে ধীরে লাল সুরার ঘাের লাগে তার মনে। শয়ন ঘরের পাশেই ছােট্ট একটি অ্যান্টিরুম। একান্তভাবেই ভিক্টোরিয়ার। শেফকে ডাকে ভিক্টোরিয়া। শেফ জানে কী করতে হবে। পােশাকটি ধীরে ধীরে খুলে দিতে হবে শরীর থেকে। সেলিম, কী সুন্দর আঙুল তােমার। শিল্পীর আঙুল। তুমি বাঁশি বাজাও না কেন? কেন আঁকো না ছবি? শেফকে প্রায়ই বলে ভিক্টোরিয়া। —তুমিই তাে আমার সুর। আমার ছবি। —ঠিক তাে? সেলিম দুটি গােলাপি জাগ্রত রূপের ওপর দীর্ঘ ঘন চুমু খায়। —তােমার চুমুতে আলাদা মশলা আছে শেফ। এই ম্যারিনেশন আর কারও চুমুতে নেই। মধ্যবয়সী শেফ শুধু তৃষ্ণা জাগায়। সেই তৃষ্ণা তৃপ্ত করে অশ্বপালক। নারীটি মনে মনে হাসে। তার কোনও অভাব নেই। এই ভাল।…………
পৃ-২২ঃ
……….ভিক্টোরিয়া দ্বারকানাথের দেওয়া শালটিকে সরায় তার বুক থেকে। তার পাতলা রাত্রিবাসটি খােলা রেখেছে তার বুকের অনেকটা। ভিক্টোরিয়া উঠে যায় আয়নার সামনে। ফুল-সাইজ মিরর-এ ফুল-সাইজ ভিক্টোরিয়া। শরীর থেকে ঝরিয়ে দেয় রজনীবাস। অগ্নিকুণ্ডের হলকা কাপে সারা শরীর জুড়ে। স্তনসন্ধিতে জ্বলছে একটি রক্তবর্ণ অরুণােপল! এমন বৃহৎ এবং অনুপম রুবি ভিক্টোরিয়া এই প্রথম দেখল! ডােয়ার্কির উপহার। একটি আশ্চর্য সুন্দর মণিমঞ্জুষায় এই অলংকারটি ভিক্টোরিয়াকে উপহার দিয়েছে প্রিন্স। আজ রাত্রে আর কোনও অলংকার নেই ভিক্টোরিয়ার অঙ্গে। তার দুটি উদ্ধত স্তনের মাঝখানটি জুড়ে প্রিন্সের অপরূপ অরুণােপল! মাই প্রিন্স! মাই ডারলিং। ভিক্টোরিয়ার কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ে গাঢ় মধুবিন্দু। আর্শিতে নিজের শরীর দেখে ভিক্টোরিয়া। নিজেকে দেখতে আজ কী ভাল যে লাগছে তার! নিরাবরণ শরীর।………
পৃ-৪৩ঃ
……….অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা লাভা। সেই অগ্নিস্রোত দ্বারকানাথকে ভাসিয়ে নিয়ে ফেলে পালঙ্কের ওপর। তারপর সেই অগ্নিস্রোত মুক্ত করে নিজেকে আবরণের সমস্ত বাধাবন্ধন থেকে। দ্বারকানাথ হাত রাখেন সেই শরীরবহ্নিতে। নারী কম দেখেননি তিনি। কিন্তু এমন কামনাবহ্নিত তারল্য দেখেছেন কি কখনও ! দ্বারকানাথের মনে পড়ে! তিনি জামাটি খুলে ফেলার আগে পকেটের ভিতর থেকে বার করে আনেন বৈদুর্যমণিটি। ভিক্টোরিয়ার চোখের সামনে ধরেন সেটি। ভিক্টোরিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে। তার মুখে কথা নেই। নীলা যে এত বড় হতে পারে, সে ভাবতেই পারছে না। নীলকান্তমণিটিকে সেজের আলাের সামনে ধরেন দ্বারকানাথ। মায়াময় নীলচে আলােয় ভিক্টোরিয়ার স্তনদুটি যেন নীল দুটি পদ্ম, মনে হয় দ্বারকানাথের। তিনি ধীরে ধীরে নীলকান্তমণিটিকে রেখে দেন নীল দুটি পদ্মের মাঝখানে। তারপর মৃদুকণ্ঠে বলেন, ঈশ্বর তাঁর সবচেয়ে সুন্দর কবিতাটি আজ এই মুহূর্তে রচনা করলেন।……..
পৃ-৮৩-৯২ঃ
…….জয়রামের দুই বউ ভাবে, যেমন শরীর তেমন স্বভাব। তাদের স্বামীটি দেহতৃষ্ণায় অবিরল, অতৃপ্ত। বিয়ের প্রথম ক’বছর দুই বউকে দু-পাশে নিয়ে রাত কাটায় জয়রাম।। ব্যাপারটা মন্দ লাগে না গঙ্গার। ব্যাপারটা একেবারেই ভালাে লাগে না রামধনির। শরীর খােলার ব্যাপার গঙ্গার কুণ্ঠা নেই তেমন কোনও। সার্থক নাম গঙ্গা। জয়রামের জন্যে সে যেমন খুশি সাঁতার বিছিয়ে দিতে রাজি। স্বামীর কাছে কীসের লজ্জা? কীসের কুণ্ঠা সতিনের কাছে গা খুলতে? এ রকম মিলেমিশে সঙ্গম ক্রমেই যেন নেশার মতাে পেয়ে বসেছে গঙ্গাকে। রামধনির ঠিক উল্টো। গঙ্গার চেয়ে লজ্জা তার অনেক বেশি। সতিনের সামনে একটু আদরটাদর চলতে পারে। কিন্তু তাবলে একেবারে সবটা? জয়রামের নাকি এতেই বেশি তৃপ্তি! লােকটা বড্ড বেশি কামুক। কখনােই ক্লান্তি নেই তার। গঙ্গা কী করে পারে? রামধনির যে হাঁফ ধরে যায়। বয়েসে গঙ্গাই বড়। অথচ ওর শরীর এতটুকু টসকায়নি। রামধনি সব খুলে নিজের শরীরের দিকে তাকায়। সুন্দর। কিন্তু আলগা হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে যে! গঙ্গা এখনও তিরতির করে বইছে। সতিনের ওপর রাগ হয় রামধনির।
—আমার এসব আর ভাল্লাগে না, জয়রামকে একদিন একলা ঘরে বলে রামধনি।
-কী ভাল্লাগে না?
—এই তিনজনে একসঙ্গে শােয়া।
–বাড়িতে তাে ঘরের অভাব নেই। আলাদা শুলেই পার। জয়রামের কাছে এই উত্তর আশা করেনি রামধনি।
—শুধু গঙ্গাকে নিয়ে মন ভরবে তােমার? ও একাই মিটিয়ে দেবে তােমার তেষ্টা? জয়রাম কোনও উত্তর দেয় না।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে রামধনি বলে, নতুন আর একটিকে ঘরে তুলছ কবে? খুঁজে পেয়েছ আমার বাবার মতাে কুলীন। বামুন যে তােমার মতাে মােচরমানের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবে?
জয়রামের বুকের মধ্যে আগুন জ্বলে ওঠে। সে অতি কষ্টে রাগ চেপে বলে, কলকাতা শহরে হাতে টাকা থাকলে মেয়েমানুষ পেতে বিয়ে করতে হয় না।
-ছিঃ, ম্লেচ্ছদের সঙ্গে মিশে মুখে আজকাল তােমার কিছুই আটকায় না। তা, বিয়ে না করে কোনও মেয়েকে শােবার ঘরে ঢােকালে গঙ্গাদিদি মেনে নেবে তাে?
–গঙ্গা একাই যথেষ্ট, বলে জয়রাম। যেন বজ্রপাত ঘটে রামধনির বুকে।
—আমার কাছে কিছুই পাওনা তাহলে?
—তুমি বিছানাতেও ধােয়া তুলসি। গঙ্গা নামেই গঙ্গা। ওর মধ্যে পাপের চোরাস্রোত আছে। ও আমাকে উত্তেজিত করে। তৃপ্তিও দেয়। তুমি বয়েসে ছােট। গঙ্গার কাছে পুরুষমানুষ কী চায়, না চায়, সে-বিষয়ে তােমার অনেক কিছু শেখার আছে।
–তােমার গঙ্গার কাছে আমি কিছুই শিখতে চাই না। যা শিখতে হবে, তুমিই শিখিয়ে দিও। আমি আজ থেকে অন্য ঘরে শােবাে।……….
……….গঙ্গা অন্ধকারের মধ্যে জয়রামের প্রবল শরীরটিকে বুকের মধ্যে টেনে নেয়। তারপর গাঢ় কণ্ঠে বলে, ডুব দাও তােমার গঙ্গায়। জয়রামের হাতটিকে নিজের হাতের মধ্যে ধরে গঙ্গা।
–না না ওখানে নয়। ওখানে আজ সাড়া নেই। আজ অন্য জায়গায়। তােমার গঙ্গার এক এক রাতে এক এক জায়গায় সাড়া। বােঝাে না? এতদিনেও জানলে না?
—মেয়েমানুষের শরীর চিরকালের রহস্য। বুঝি না বলিই তাে ফুরােয় না। রামধনির শরীরও তাই?
-না। গঙ্গার।
—তাহলে বললে কেন মেয়ে মানুষের শরীর? গঙ্গা অন্য। গঙ্গা আলাদা।
—তাই তাে বলেছি, তুমি একাই যথেষ্ট। -কথা বােলাে না তাে। আজ শুধু আমি কথা বলবাে, বলে গঙ্গা। সে জয়রামের হাতটিকে নিয়ে যায় তার উরুসন্ধিতে। তারপর বলে, আঁচ পাচ্ছ?
—আজ বুঝি এখানে সাড়া? বলে জয়রাম।
—বলছি না, কোনও কথা বােলাে না। আঁচ নাও। আমার আগুনের হলকা। জয়রামের হাত ছেড়ে দেয় গঙ্গা। জয়রামের আঙুলের স্পর্শ গঙ্গার উরুসন্ধির গনগনে পথ ধরে এগােতে থাকে। তাড়াতাড়ি নয়। একটু একটু করে। আঁচের প্রতিটি স্তর ছুঁতে-ছুতে এগিয়ে চলে জয়রামের আঙুল। জয়রামের হঠাৎ মনে হয়, সে যেন প্রাগৈতিহাসিক মানুষ। গুহার অন্ধকারে স্পর্শ করছে এক আদিম নারীকে। তখনও চালু হয়নি বিবাহপ্রথা। স্থায়ী সম্পর্ক বলেও কিছু নেই। নিবিড় আদিম অন্ধকারে কে কার পাশে, কী করে বােঝা যায় ? চেনা স্পর্শ, চেনা কণ্ঠস্বর, চেনা শরীরের উঁচুনীচু, চেনা ভাষা—এইসব নিশ্চিত ইশারা থেকে হয়তাে অন্ধকারেও চেনা যায় যাকে চিনতে চাইছে মন। কিন্তু অচেনা নতুন শরীর পাওয়ার উত্তেজনা নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে! না, আর কোনও কথা নেই। সমস্ত অন্ধকার তখন শরীর হয়ে জ্বলছে। আগুন কী অন্ধকার। হলকা কী উত্তেজক! আজ জয়রামের ঘরে কোনও আলাে নেই।
শেজের শিখাটুকু কাপতে কাপতে নিভে গেছে। গঙ্গা আজ আলাে চায় না। জয়রামও। গঙ্গার অরণ্যে দাবানল। জয়রামের আঙুল পৌছে গেছে সেখানে। গঙ্গা তুলে আনে সেই আঙুল তার একটি স্তনবৃন্তের ওপর। গঙ্গার বুক?
না কি অন্য কোনও রমণীর? শ্যামল মেয়ের কালাে বৃন্তটি কতবার দেখেছে জয়রাম এত বছরের বিবাহিত জীবনে। সে নিজে গৌরবর্ণ বলেই তার ভালােলাগে শ্যামলবর্ণা নারী। গঙ্গার বৃন্তটি নিটোল। মিলন মুহূর্তে বৃন্ত দুটি জেগে ওঠে। কালাে আরও ঘন কালাে হয়। চারপাশের বৃত্তটি কুঁচকে ছােট হয়ে আসে। বৃন্তের গায়ে উঁচুউঁচু হয়ে ফুটে ওঠে কামদানা। কিন্তু কোনওদিন তাে গঙ্গার বৃন্ত দুটি এমন শক্ত আর দীর্ঘ আর উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখিনি, মনে হয় জয়রামের। সে প্রথমে ঠোট রাখে গঙ্গার বৃন্তে। গঙ্গা বৃন্তটি ঠেলে দেয় জয়রামের মুখের মধ্যে। অস্পষ্ট স্বরে বলে, আঃ, কী ভালাে! জয়রামের সমস্ত ইন্দ্রিয় একসঙ্গে চিৎকার করে ওঠে, এই তাে অমৃত। জয়রামের মনে পড়ে, গঙ্গার নাভির নিচে সরু হয়ে নেমে যাওয়া ঘন কালাে একটি রােমরেখা। ছিপছিপে স্রোতের মতাে মিশে গেছে তার বিস্তৃত অরণ্যে। আর কোনও রমণীর নাভির নিচে এমন সরু ঘন লােমের রেখা দেখেনি জয়রাম। জয়রাম নাম দিয়েছে কামরেখা। গঙ্গার শরীরের এই বিশেষত্বটি জয়রামের রতিসম্ভোগকে আরও বেশি উত্তেজনা আনে। গঙ্গা জানে সেকথা। বলে, এবার তােমার কামরেখায় যাও। হাত দাও সেখানে। অন্ধকারে গঙ্গার কামরেখায় হাত রাখে জয়রাম। এই প্রথম জয়রাম অনুভব করে, গঙ্গার কামরেখায় তিরতিরে ঢেউ! আগে কখনও তার আঙুল পায়নি এই সুখ।। এ-গঙ্গা সে-গঙ্গা নয়, নিশ্চিত জয়রাম।
—এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলে কেন? বলে জয়রাম।
—কথা বােলাে না। গঙ্গাকে নাও। জয়রামের ওই পাঠান শরীরটাকে এক ঝটকায় নিজের শরীরের ওপর তুলে ফেলে গঙ্গা। জয়রাম আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। এই মুহূর্তটি বেছে নেয় গঙ্গা। বলে, সব দেব। রােজ দেব। শুধু আমার ওইখানে হাত দিয়ে বলল, তােমার ওই বউয়ের ছেলেদের কিচ্ছু দেবে না তুমি। জয়রাম চুপ। বলাে, তুমি ওদের ত্যাগ করবে, তােমার ও বউটাকেও তাড়িয়ে দেবে। জয়রাম চুপ।
—কী হলাে তােমার! বলাে, ওইখানে যেমন ছুঁয়ে আছে, বলাে এবার, কথা দাও আমাকে। জয়রাম অসহায় বােধ করে। কী করবে সে? % তার মন কি বলছে, এই তীব্র সুখ সে ছাড়বে কীসের জন্যে? কার জন্যে? ‘এই সুখের জন্যেই তাে বেঁচে আছে জয়রাম! ভিতর থেকে চিৎকার করে ওঠে শরীর।………