…..মিলিত বাদনধ্বনি ধীরে ধীরে উচ্চকিত হতে হতে ঝুপ করে থেমে গেল। দেখা গেল—প্রেমদাশ আসরে ঢুকছে চারদিকে মৃদু গুঞ্জন উঠল । প্রেমদাশ ছেলে না মেয়ে তা বােঝার কোনাে উপায় নেই। পায়ে ঝুনঝুনি, মুখে কড়া রঙ, উঁচু স্তন; শাড়ির পাড়ের বাধাকে অমান্য করে ডানপাশের স্তনটা বেরিয়ে আছে।…..
…..বিজনবিহারী এই জেলেপল্লীর আসরের সামনের দিকে সে বসেছে। প্রেমদাশ নাচতে নাচতে কখনাে এর কোলে বসছে, আবার কখনাে ওর গায়ে উদ্ধত স্তনের ধাক্কা দিচ্ছে। সাথে সাথে হাসির দমকও উঠছে আসরে। একসময় সে নাচতে নাচতে বিজন সর্দারের কোলে বসে পড়ল। তার গলা জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করতেই আসরে হাসির ধুম পড়ে গেল। সর্দার কোনােরকমে প্রেমদাশকে ঠেলে দিলাে তার কোল থেকে। নিজের ইজ্জত বাঁচাতে বাঁচাতে প্রেমদাশের দিকে দশ টাকার একটি নােট ছুঁড়ে দিল।….