….রাশেদ আশা করেছিলো দুঃখে কাতর হয়ে পড়েছে শহর, চোখ মেলে তাকাতে পারছে না, কাঁদতে কাঁদতে ব্লাউজ উপচে তার প্রকাণ্ড স্তন বেরিয়ে পড়েছে, এমন ভাব দেখবে শহরের শরীরে; কিন্তু শহরের দেহের সহ্যশক্তি দেখে মুগ্ধ হলো রাশেদ।…..
….লোক দুটি এখন কী দেখতে পাচ্ছে? ছেলেবেলার খেজুরগাছ, মাছের লাফ, কার্তিকের চাঁদ, লাল ঘুড়ি, কাঁচা আম, কোনো বালিকার মুখ দেখতে পাচ্ছে? অমন কিছু দেখছে না বলেই মনে হচ্ছে, তারা কোনো পতিতার নোংরা উরুর দিকে তাকিয়ে আছে বলে মনে হলো রাশেদের। তার ঝুলেপড়া স্তন দেখছে, রোগা উরু দেখছে, ভজ দেখছে, অন্ধকার দেখছে…..
…..দু-তিন জোড়া তরুণতরুণী নাচছে, তাদের আন্দোলন ও আলিঙ্গন সারা ঘরে অসম্ভব সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। চোখে এসে। আগুনের মতো ঢুকছে তাদের পোশাক, পোশাক উপচে এসে চোখে ঢুকছে তাদের মাংস; বিশেষ করে মেয়েদের বাহু ও বুকের তাতাথৈথৈ সারা ঘরটিকে উত্তেজনায় টানটান করে তুলেছে।….
….একটি মেয়ে মাথায় দেয়ার মতো কিছু জোগাড় করতে পারে নি, সে নিজের স্তন দুটি টেনে মাথায় তুলে দিতে চেষ্টা করছে।…..
….থানায় কি খবর পৌঁছে গেছে যে রাশেদ আজ পান করেছে, হুইস্কি ও বিয়ার দুটোই, এবং মাঝেমাঝে পান করেছে তরুণীদের বাহু গ্রীবা স্তন থেকে গলে পড়া আবেদনঃ একটি মেয়ের গ্রীবা সে আজ একটু বেশি করেই পান করেছে, তাতে একটু মত্ততাও এসেছিলো, এ-সংবাদ কি থানায় পৌঁছে গেছে?……
…..একটি যুবক পুলিশ দেখেই দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে চিৎকার করতে লাগলো, আমারে মাপ কইরা দ্যান, আমি নতুন বিয়া করছি, আমারে মাপ কইরা দ্যান, আমি নতুন বিয়া করছি। যুবকটির জন্যে খুব দরদ বোধ করলো রাশেদ; আহা, চাইলে সে এখন, রাত দুটোর সময়, ঘুম থেকে জাগিয়ে বা না জাগিয়ে নতুন বউয়ের সাথে আরেকটি সঙ্গম করতে পারতো, কিন্তু সে এখন পায়খানায় ঢুকে কাঁদছে, বহুদিন আর সুযোগ পাবে না। পাশের ঘরে তিনটি সুন্দর বালিকা, মোলো সতেরো বছর হবে, প্রায় নগ্ন বসে আছে। এ-বালিকা তিনটিকে রাশেদ বহুবার উঠতে নামতে দেখেছে, মুখে। ইংরেজিও শুনেছে, ওদের প্রায় নগ্ন শরীর দেখে একবার কেঁপে উঠলো রাশেদ। …..
…..এরা সবাই সঙ্গমের ফলে উৎপন্ন হয়েছে? এদের প্রত্যেককে আজ দুপুরে গুলিস্থানের চৌরাস্থায় আসার জন্যে সঙ্গম করতে হয়েছে একটি মেয়েমানুষ ও একটি পুরুষমানুষকে, পুরুষমানুষটি আর মেয়েমানুষটি চিৎ আর উপুড় না হলে তারা এখানে আজ আসতো না? সঙ্গম ছাড়া এদের কেউ উৎপন্ন হয় নি?…..
……কোটি কোটি সঙ্গমের দৃশ্য তার চোখের সামনে; চটের ওপর, মেঝের ওপর, খাটের ওপর, গলির অন্ধকারে, একতলায়, বস্তির ভেতরে, কুঁড়েঘরে, দোতলায়, দালানে, তেতলায়, শনের ঘরে, ঘেঁড়া পলিথিনের নিচে, ইস্টিশনে, ইটের পাঁজার ভেতরে শুধু নিরন্তর নগ্ন নোংরা সঙ্গম। মেয়েমানুষ পা ফাঁক করে দিয়েছে, ফাঁক করতে চাইছে না, তবু ফাঁক করছে, পুরুষমানুষ প্রলম্বিত একটি প্রত্যঙ্গ ভেতরে ঢুকোতে চেষ্টা করছে, ঢুকোতে পারছে না, পিছলে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে, ঢুকোচ্ছে বের করে আনছে, পারছে না, পারছে, শিথিল হয়ে পড়ে যাচ্ছে। খুব ঘিনঘিনে লাগছে রাশেদের, বারবার তরল পদার্থ ছরকে পড়ে পাঁচতলা দালান ভাঙা বাস রিকশা। দোকান প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড অভিনেত্রীদের বক্ষদেশ প্লাবিত করে ফেলছে, সব কিছু চটচট করছে। কী সুখ পেয়েছিলো তারা? …..
…..একটি বোম্বায়ি নায়িকা পর্দায় মাংসের রঙিন উৎসব শুরু করে দিয়েছে, ওপরেই পবিত্ৰগৃহ, তার শত শত স্তন দুলছে, শত শত উরু দুলছে, শত শত নিতম্ব দুলছে, বাহু দুলছে, কাম। দুলছে, বিশ্ব দুলছে,…..
…..বিলু আপা, আর তার সইরা, পুষু আপা আর পারুল আপা, এতো মিষ্টি ছিলো! তাদের শাড়ি থেকে উঠতো এতো মিষ্টি গন্ধ, চুল থেকে উঠতো এতো মিষ্টি গন্ধ, তারা যেখানে দাঁড়িয়ে গল্প করতো সেখানকার বাতাস গন্ধরাজ ফুলের গন্ধে ভরে যেতো। হাঁটলেই শরীর দুলতো তাদের, মনে হতো তাদের হাড় নেই, তাদের ভেতরে আছে। দুধের জমাট সর, অনেক মাখন আছে তাদের চামড়ার ভেতরে। তারা যখন বসে বসে গল্প করতো, তাদের ব্লাউজের নিচের প্রান্তের পরে মাংসের ঢেউ দেখা যেতো, ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হতো রাশেদের; পুষু আপা রাশেদকে তার মাংসের ঢেউ ধরে দেখতে দিতো, রাশেদ দু-আঙুলে ওই ভাজ ধরে জোরে টান দিতো আর পুষু আপা চিৎকার করে উঠতো, তারপর খিলখিল করে হাসতো। মেয়েরা অদ্ভুত চিৎকার দিতে পারে, রাশেদ সেই তখনই বুঝেছিলো, কষ্টের সাথে সুখ মিশিয়ে তারা চিৎকার দিতে পারে।…..
…..বিলু আপার মুখের দিকে আর ভালো করে তাকাতে পারছে না, পুষু আপার ব্লাউজের প্রান্তরে নিচের মাংসের ভাজ চোখে পড়তেই অন্ধের মতো চোখ বুজে। ফেলেছে। মাংসে সে কাঁপন বোধ করে চলছে যা আগে কখনো বোধ করে নি;…..
…..সে স্বপ্ন দেখে, যেমন স্বপ্ন আগে দেখে নি, এক স্বপ্নের মতো নারী যাকে সে কখনো দেখে নি যার রূপের মতো রূপ সে কখনো দেখে নি যার ঠোঁট ডালিম ফুলের মতো হিজল। ফুলের মতো রঙিন সে রাশেদের আঙুল নিয়ে খেলা করছে রাশেদ তার হাত নিয়ে খেলা করছে নারী রাশেদের গ্রীবায় হাত রাখছে রাশেদ তার গালে হাত রাখছে তার শাড়ি উড়ছে তার বুক ধবধব করছে রাশেদ হাত বাড়াচ্ছে আর তখন শরীর কেঁপে কেঁপে উঠে স্বপ্ন ভেঙে যায় স্বপ্ননারী শূন্যে মিলিয়ে যায়। চাপা হতাশার মধ্যে ঘুম ভেঙে যায় রাশেদের, তার শীত শীত লাগতে থাকে, ভিজে গেছে বলে তার বোধ হয়, সে হাত বাড়িয়ে ছোঁয়, আঙুলে আঠা আঠা লাগে, ঘেন্নায় অবসাদে রাশেদ কুঁকড়ে ওঠে।….
….সেলিমাকে দেখা আনন্দের ব্যাপার ছিলো, সে নিজেও বুঝতো সেটা, ব্যবহারও করতো; বাহু একটু বেশি দেখাতো, ওর বাহু সুন্দর ছিলো, যদিও বুক দেখাতো না, ব্লাউজের নিচপ্রান্তের নিচের ঢেউগুলো তার সুন্দর দেখাতো। তার চেয়ে সুন্দর ছিলো।….
…..দুপুরের খাওয়ার পর রাশেদ চিৎ হয়ে শুয়ে ওই পত্রিকাটি খুলে রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে মৃদুর থেকেও; এতো দিন পর পড়ার মতো একটা জিনিশ সে পেয়ে গেছে, এর পর সে এসবই পড়বে, বালিকা আর বালিকা, লাস্য হাস্য যৌবন নিতম্ব ওষ্ঠ স্তন জংঘা জঘনবতী কিশোরীরা পাতার পর পাতা, রঙিন শাদা কালো বালিকা লাল নীল সবুজ হলুদ বালিকা কালো নীল সবুজ বালিকা রঙিন শাদা কালো লাল নীল সবুজ হলুদ। বালিকাদের সময় চলছে এখন, যুবতী কেউ চাইছে না, বালিকা চাইছে সবাই, আরো বালিকা। এই বালিকার বাহু তুলনাহীন। ওই বালিকার নিতম্ব অতুলনীয়। ওই বালিকার বক্ষ অনির্বচনীয়। আক্কাস আলির বালিকাটিও আছে এর মধ্যে, বড়ো বেশিই আছে, তার সব কিছু উপচে পড়ছে, মাধ্যমিক পেরোয় নি, হয়তো আর পেরোরে না, কিন্তু উপচে পড়ছে সম্মুখ পেছন ওপর নিচ,…..