……কথা বলতে-বলতে পায়চারি করছিলেন শেখর। পায়চারি করতে-করতে টেবিলের পাশ দিয়ে ঘুরে চলে এলেন মৌরীর কাছে। কয়েক সেকেন্ড ওর শরীরকে জরিপ করার পর তিতিয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘শুরুর দিকে যেসব ফিমেল ম্যানিকিন তৈরি হত সেগুলাের বুকের সাইজ ছিল ছােট, কিংবা বড়জোর অ্যাভারেজ। কিন্তু মডার্ন ম্যানিকিন আর্টিস্টরা সেক্সি ভলাপচুয়াস ফিমেল ম্যানিকিন তৈরি করা শুরু করল। মানে, সরু কোমর, অথচ বুকজোড়া বেশ ভারী। যাকে আর কি দুধেল বুক বলে। এই যে, মৌরীর মতন…।’ হঠাৎই হাত বাড়িয়ে মৌরীর বাঁ-দিকের বুকের নীচে হাত রাখলেন। হাতটা আলতাে করে দুবার নাচিয়ে যেন বুকের ওজন পরখ করতে চাইলেন।
শেখরও পালটা হেসে মাথা নাড়লেন, বললেন, ‘ই..ই.. প্রাইমারি অ্যাট্রাক্টর। মানে, মেয়েদের বুক। মৌরীর চেয়ারের পিছনে গিয়ে দাঁড়ালেন। হাতের তালু দিয়ে চেপে ধরলেন ওর দু-গাল। গালে হাত ঘষে-ঘষে বােধহয় কোমলতা মাপলেন। তারপর ওর হাত-দুটো গাল বেয়ে-বেয়ে নামল গলায়। গলা থেকে নীচে, আরও নীচে..।…..
…..তিতিয়া চোখ বুজতে চাইল, কিন্তু ওর চোখের কোনও পেশিই কাজ করল না। ওকে দেখতে হল যে, শেখরচন্দ্রের দুটো হাত দুটো ফণা ছড়ানাে গােখরাে সাপের মতাে ধীরে-ধীরে মৌরীর কামিজের ভেতরে ঢুকে পড়ল। | ‘সক্টনেস। প্রাইমারি অ্যাট্রাক্টর। মানে, মেয়েদের বুক। ওগুলাের সল্টনেস ফিমেল ম্যানিকিনে ক্রিয়েট করাটা ভীষণ কঠিন। তা ছাড়া মেয়েদের বডি একটা দারুণ রহস্যময় ব্যাপার নানা জায়গায় সফটনেস তার নানানরকম।’ শেখরচন্দ্রের দু-হাতের তালু তখন তাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছে এবং সক্টনেসের ডিগ্রি মাপার ডেমাে দিচ্ছে।
‘কোনও জ্যান্ত যুবতীর শরীরের সটনেসের ভ্যারিয়েশানের যা ম্যাপ সেটাকে কোনও ফিমেল ম্যানিকিনে রিক্রিয়েট করাটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। সারা পৃথিবীতে আমিই একমাত্র মানুষ যে এই চ্যালেঞ্জটার একটা মুখের মতন জবাব দিতে পেরেছে…।……..
মৌরীর দু-চোখ আদরের আবেশে বুজে এসেছে। ঘন শ্বাস পড়ছে বারবার। চিবুকটা তুলে আছে ওপরদিকে।
একটু পরে গােখরাে সাপের ফণাদুটো বেরিয়ে এল কামিজের বাইরে। হাতে হাত ঘষলেন শেখর। তিতিয়ার কাছে এলেন।