আমি যাকে স্বপ্না ভাবি নামে অভিহিত করেছি তিনি অসম্ভব ধবধবে সাদা আর দুধে-আলতা মেশানো শরীরের অধিকারিণী। লম্বা একহারা গড়নের স্বপ্না ভাবি হাটতেন ছন্দময় ভঙ্গিতে। হাসতেন গভীর উচ্ছ¡লতায়। তার চলা এবং হাসিতে এক ধরনের মাদকতা থাকত যা তাকে অনুসরণ করা লোকজন বুঝতে পারতেন, কিন্তু তিনি বুঝতেন না। আমি ছিলাম স্বপ্না ভাবির মদ-মাদকতার ফাদে আটকেপড়া এক অসহায় পতঙ্গ।……
…..তিনি বলতেন, চায়ের কারিগরকে দেখতে হবে না? কারিগর যে এই আমি। তিনি বুকে হাত রেখে তার অস্তিত্ব শনাক্ত করতেন। চা পানের ফাঁকে ফাঁকে আমি স্বপ্না ভাবিকে দেখতাম। তিনি কোটাকাটা অথবা এটাসেটা বাটাবাটি করতেন। তার শরীর খলবলাতো। তার বুকের কাপড় সরে যেত, বেরিয়ে পড়ত ধবধবে দুই স্তনের অংশবিশেষ। আমার অস্বস্তি বেড়ে যেত।….
…..আমাকে নিয়ে স্বপ্না ভাবি আরও বহুবিধ পাগলামি করতে পছন্দ করতেন। দেখা গেল, দুপুরে ভাত খেয়ে তিনি তার নিজস্ব রুমে শুয়ে আছেন। বাচ্চারা কেউ ঘরে নেই। ভাবি আমাকে ডাকতেন। তার পাশের চেয়ারে বসাতেন। তারপর শুরু করতে নানাবিদ উত্তেজক কথাবার্তার।
ভাবি বলতেন, সাগর তুমি কি মেয়ে মানুষের ভেতরে ঢুকেছো কখনো?
কেমন ভেতরে-আমি জানতে চাইতাম।
ধরো, এই আমি এখন যেমন শুয়ে আছি। এ অবস্থায় তুমি আমার ভেতরে ঢুকলে।
আমি বলতাম, আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন? আপনার মাথা ঠিক আছে। আপনি কি বুঝতে পারছেন আপনি কী বলছেন?
ভাবি বলতেন, সাগর তুমি উত্তেজিত হয়ে পড়ছো কেন? তোমার শরীর কি গরম হয়ে যাচ্ছে?
আমি চোখ নামিয়ে নিতাম। শুয়ে থেকেই এ সময় ভাবি তার দু পা দুলাতে থাকতেন। তার বুক ও পেট থেকে কাপড় সরে যেত। বড় হতে থাকতো দুই স্তনের মধ্যকার ফাক। নাচের ভঙ্গিতে দু পা দুলাতে দুলাতে ভাবি এ সময় গেয়ে উঠতেন……