গডফাদার – মারিও পুজো

›› অনুবাদ  

অনুবাদঃ মােহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

………..হাসছে মেয়েটি । হাত পা ছড়িয়ে মাটিতে শুয়ে আছে ব্রাকেডের গাউন ঊরুর ওপর উঠে গেছে, তবু হাসির ফাঁকেফাকে ওকে বিদ্রুপ করছে , “এসাে না, আমার ভেতরে ঢােকাও জনি, আসলে তাই তাে চাও।”……

……….নাজোরিনি চতুর চোখে ওর দিকে তাকালাে। খুব সেয়ানা তার এই মেয়েটা। নাজোরিনি লক্ষ্য করেছে এজো যখন তন্দুর থেকে গরম-গরম রুটি বের করে খদ্দেরদের টেবিলের টুকরি বােঝাই করে তখন ক্যাথারিনের পেছনে একটুখানি জায়গা দিয়ে তাকে যাওয়া-আসা করতে হতাে আর ক্যাথারিন তার পরিপুষ্ট পশ্চাৎভাগটি ইচ্ছে করে ওর গায়ে ঘষে। সময়মতাে ব্যবস্থা না করলে এই হারামজাদার গরম রুটি ঐ মেয়ের তন্দুরে ঢুকবে।…….

………..ষাঁড়ের মতাে শক্তিশালী শরীরের গড়ন, সবাই বলে প্রকৃতি নাকি ওকে এমনই মুক্তহস্তে দান করেছে যে অবিশ্বাসীরা সেকালে যে রকম ব্ল্যাক’ নামক যন্ত্রকে ভয় করতাে, ওর উৎপীড়িত স্ত্রী বেচারাও ওদের দাম্পত্য-শয্যাকে তেমনি ভয় করে। কান-কথা শোেনা যায়, প্রথম যৌবনে সনি যখন বেশ্যাবাড়িতে যেতাে সেখানকার সবচাইতে দুর্দান্ত মেয়ে মানুষরাও ওর বিশাল লিঙ্গটা দেখার পর দ্বিগণ টাকাই করতাে।

আজকের এই বিয়ে বাড়িতেও কয়েকজন ৰূয়সী চওড়া-কোমর আর বড়-মুখের বউঝিরা গম্ভীরভাবে এবং অভিজ্ঞ চোখে সন্মিলিয়নির ঐ জননেন্দ্রিয়টার মাপ নিচ্ছে।……….

……….এক সপ্তাহের বেশি একটাও টেকেনি । দ্বিতীয় প্রেমিকটি মাঝখানে বিড়বিড় করে কি যেন বলেছিলাে, লুসির ওটা নাকি অনেক বড়। মানেটা লুসি ঠিকই ধরেছিলাে, তারপর থেকে আর কারাে সঙ্গে ওভাবে মিশতে রাজি হয়নি।…..

…….এক রােববার দুপুরে কর্লিয়নিদের রান্না-ঘরে সনির স্ত্রী সান্ড্রা প্রাণ খুলে গল্পগুজব করছিলাে। সান্ড্রা মেয়ে হিসেবে একটু অমার্জিত হলেও মনটা ভালাে, ইতালিতে জন্মেছে তবে ছােটবেলাতেই আমেরিকায় নিয়ে আসা হয় তাকে। লম্বাচওড়া, বিশালবক্ষা, বিয়ের পর পাঁচ-বছরে তিনটি ছেলে-মেয়ের মা হয়েছে। সান্ড্রা আর অন্যান্য মেয়েরা কনিকে দাম্পত্য শয্যার ভয়াবহ ব্যাপার নিয়ে ঠাট্টা করছিলাে। ফিক্‌-ফিক করে হেসে সান্ড্রা বলেছিলাে, “আরে বাপরে! সনির ঐ ডাণ্ডা প্রথম দেখেই যে-ই বুঝলাম ওটা আমার মধ্যে ঢােকাবে আমি তাে চেঁচিয়ে-মেচিয়ে একাকার। বছর খানেকের মধ্যে আমার ভেতরটার যা অবস্থা, যেন এক ঘণ্টা ধরে ম্যাকারনি সেদ্ধ করা হয়েছে, নরম থলথলে! যখন শুনলাম অন্য মেয়ে নিয়ে কারবার শুরু করেছে, গির্জায় গিয়ে মােমবাতি জ্বেলে জির মাকে ধন্যবাদ জানালাম।”

কথাটা শুনে সবাই হাসলেও শুধু লুসির দুই পায়ের মাঝখানে একধরণের শিহরণ বয়ে গিয়েছিলাে। এখন সিঁড়ি বেয়ে সনির কাছে যাবার সময় সমস্ত দেহের মধ্যে কামনার আগুন জ্বলে উঠছে আবার। সিঁড়ির ওপরে পৌছাতেই সনি ওর হাত চেপে ধরে হল-ঘরের পাশে একটা খালি শােবার ঘরে টেনে নিয়ে গেলাে। দরজাটা বন্ধ হয়ে যেতেই লুসি পায়ে জোর পেলাে না, অনুভব করলাে তার গাউনের নিচে সনির রেশমী কাপড় কিছুটা ছিড়ে গেছে। সনির গলা জড়িয়ে ধরলাে লুসি। সনি তার পােশাক খুলতে লাগলাে। তারপর লুসির নিতম্বের নিচে দু’হাত দিয়ে সনি তাকে তুলে ধরলাে শুন্যে লাফিয়ে উঠে লুসি আঁকড়ে ধরলাে তাকে। সনির জিভ লুসির মুখে, লুসি সেটা চুষতে লাগলাে। সনি ওকে ঠেলে দিতেই দরজায় মাথা ঠুকে গেলাে লুসির । জ্বলন্ত অঙ্গারে স্পর্শ অনুভব করলাে লুসি। সেই মিলনের অভাবনীয় আনন্দে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলাে লুসির। জীবনের এই প্রথম পরম তৃপ্তি লাভ করলাে সে। হাফিয়ে উঠলাে তারা, একে অন্যের গায়ে ঠেস্ দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাে কিছুক্ষণ।

হয়তাে শব্দটা কিছুক্ষণ ধরেই হচ্ছিলাে, ওরা খেয়াল করে নি, এবার কানে গেলাে দরজায় যেনাে কে আস্তে আস্তে টোকা দিচ্ছে । দরজা ঠেসে ধরে, যাতে বাইরে থেকে খােলা যায়, সনি তাড়াতাড়ি কাপড়-চোপড় ঠিক করে নিলাে । লুসিও খ্যাপার মতাে গােলাপী। গাউন হাত দিয়ে সমান করতে লাগলাে, ওর চোখ জ্বলছে। তারপর শােনা গেলাে নিচু গলায় টম হেগেন বলছে, “সনি, আছে নাকি?”……..

………আর মেয়েদের নানান অপ্রত্যাশিত দিক দেখে ও মুগ্ধ হতাে । সলজ্জ-কুমারী মিষ্টি মুখের কোনাে মেয়ের সঙ্গে সন্ধ্যা কাটাতে গিয়ে, যখন তার বক্ষ উন্মুক্ত করে দেখতাে কি অভাবিত পরিপূর্ণতা কাটা-কাটা চিকণ মুখটার সঙ্গে তার কতাে প্রভেদ, জনি আহাদে পূর্ণ হতাে। ওদিকে কামুক চেহারার মেয়েদের মধ্যে যখন দেখতে ভীরু লাজুক যৌন-সঙ্কোচ, তাও ভালাে লাগতাে।………

……..জনি কুমারী মেয়ে পছন্দ করতাে বলে হলিউডের লােকরা কতাে হাসাহাসি করতাে। বলতাে সেকেলে রুচি, অস্বাভাবিক। তাছাড়া কুমারী মেয়েদের রাজি করাতেই কতাে সময় কেটে যায়, কতাে ঢাক-ঢােল পেটাতে হয়, তারপর শেষকালে দেখা যায় ওরা কোনাে কর্মের নয়। কিন্তু জনি জানতাে সবটাই নির্ভর করে মেয়েটির কাছে কিভাবে এগােনাে যায় তার ওপর । ঠিক ভাবে এগােতে পারলে, কুমারী মেয়ের প্রথম যৌন-আস্বাদনের মতাে মধুর আর আছে কি? আহ্, তাদেরকে ভেঙে-চুরে দিতে কতাে যে উপভােগ্যের! কতাে ওদের বৈচিত্র্য, উরুগুলাে ভিন্ন আকারের, নিতম্বের গড়ন আলাদা, গায়ের রঙ কতাে রকমের-সাদা, বাদামী, তামাটে। সেবার যখন ডেট্রয়টে সেই কৃষ্ণ মেয়েটির সঙ্গে শুয়েছিলাে-জনি যে নাইট-ক্লাবে। পাইতাে, ওর বাবাও সেখানে জ্যাজ গাইতাে-মনে হয়েছিলাে অমন মিষ্টি মেয়ে সে জন্যেও দেখেনি। ঠোট দুটির স্বাদ আসলেই এমন মধুর সঙ্গে একটু গােলমরিচ মেশালে যেমন হয়, গাঁয়ে মেটে রঙের চামড়ার কি জৌলুস, মাখনের মত মসৃণ, ওর চাইতে মধুর করে খােদা কোনাে মেয়ে গড়েননি। সে মেয়েও ছিলাে কুমারী…….

………সপ্তাহে একদিন সনি ওর কাছে আসতাে, কখনাে বেশি, কিন্তু কখনাে তার চাইতে কম নয়। সনিকে পুনরায় দেখার আগের দিনগুলিতে ওর সারা দেহে সে কি যন্ত্রণা। পরস্পরের জন্য ওদের এই কামনা ছিলাে নিতান্ত আদিম, প্রাথমিক, তার মধ্যে কাব্যের কিংবা মনীষিতার মিশ্রণ ছিলাে না। এ ছিলাে সব চাইতে স্কুল ধরনের প্রেম, স্রেফ দৈহিক প্রেম, বিপরীত মাংসের জন্য মাংসের কামনা।

সনি যেই ফোন করে বলতাে সে আসছে, লুসি অমনি দেখে রাখতাে বাড়িতে যথেষ্ট মদ আছে কিনা, রাতের ও সকালের জন্য যথেষ্ট খাবার আছে কি না, কারণ সনি বেশ বেলা করে বিদায় নিতাে। প্রাণ ভরে ওকে পেতে চাইতাে সনি, সেও তাকে প্রাণ ভরে পেতে চাইতাে। সনির নিজের চাবি ছিলাে, ও দরজা দিয়ে ঢুকমাত্র লুসি ওর বিশাল বাহুবন্ধনে ছুটে যেতাে। পর মতাে সােজাসুজি কারবার ছিলাে ওদের, পঞ্জ মতাে আদিমভাবে। সুসির বাড়ির হলঘরে দাঁড়িয়ে-দাড়িয়ে প্রেম করতাে ওরা, সেই প্রথম দিনের প্রেম করার পুনর্ঘটন হতাে, তারপর লুসিকে তুলে শােবার ঘরে নিতে যেতাে সনি।

বিছানায় শুয়েও করতাে ওরা। খালি গায়ে ষোল ঘন্টা কাটাতো বাড়ির মধ্যে। মহা ঘটা করে রাধতাে লুসি। মাঝেমাঝে সনির ফোন আসতাে, সম্ভবত কাজের কথা হতাে, সুসি কখনাে নতাে না। সনির দেহটাকে আদর করতে ও ব্যও থাকতাে, হাত বুলাতাে, চুমু খেতাে, মুখ গুঁজে রাখতাে। মাঝে-মাঝে সনি পানীয় আনার জন্য উঠতাে, ওর পাশ দিয়ে যেতেই, লুসি হাত বাড়িয়ে ওর নগ্ন দেহ স্পর্শ করতেরে রাখতাে, প্রেম নিবেদন করতাে, যেন সনির দেহের অঙ্গগুলাে ওর খেলার জিনিস ৰ্ধির্ষ ভাবে তৈরি, বিচিত্র, নির্দোষ খেলনা, বড় পরিচিত, তবু তার মধ্যে কতাে অপ্রত্যাশিত আনন্দের বিকাশ। প্রথম প্রথম নিজের এই উচ্ছাসের জন্য লুসি লজ্জা বােধ করতােরে দেখলাে এতে সনি খুশি হয়, তার দেহের আকর্ষণের কাছে লুসির সম্পূর্ণ নতিকোরে সনির আত্মতৃপ্তি বাড়তাে। এই সবের মধ্যে একটা পশুসুলভ নির্মল ভাব ছিলাে দুজনে দুজনকে পেয়ে ওরা বড় সুখি ছিলাে।……..

………দু’জনের জন্য জুলস্ দুটি লম্বা গ্লাসে পানীয় ঢাললাে। বাইরের চোখঝলসানাে রােদে আর নিজের কামার্ত চিন্তার ওপর ঐ পানীয় লুসির মাথায় চড়ে গেলাে, মাথা ঘুরতে লাগলাে। তখন জুস্ ওকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরলাে, সাঁতারের পোশক্তিপরা প্রায় অনাবৃত দেহের সঙ্গে দেহ মিশে গেলাে । নিচু গলায় লুসি বলেছিলাে, “লোৱো না।” কিন্তু কন্ঠে কোনাে প্রত্যয় ছিলাে না, জুও কান দেয়নি। তাড়াতাড়ি ওর অন্সে খুলে ওর ভারি বক্ষে আদর করলাে জুলস্, ওর সাঁতারের পােশাক খুলে ওর সর্বাপেটে, উরুতে চুমু খেতে লাগলাে। উঠে দাঁড়িয়ে নিজের সাঁতারের পােশাক খুলে ওকে জড়িয়ে ধরলাে জুল। তারপর বিছানার ওপর ওদের মিলন হলাে, এতােটুকু স্পর্শ লাগতেই লুসির দেহে চরম মুহূর্ত উপস্থিথ হলাে, তার পরেই জুলুসের দেহের ভঙ্গি থেকে বােঝা গেলাে সে খুব আশ্চর্য হয়ে গেছে । সনিকে পাবার আগেকার সেই লজ্জা আবার লুসিকে গ্রাস করলাে, কিন্তু জুলস্ লুসির শরীরটাকে বিছানার কিনারায় নিয়ে পুনরায় মিলন ঘটালাে, ওকে চুমাে খেলাে জুলস, এবার সেও চরিতার্থ করলাে নিজেকে।………

…….তােমার সমস্যাটা বরং থুতনিতে একটা আঁচিল কিংবা জুড়ল থাকার মতাে, কিংবা কানের গড়নে দোষ থাকার মতাে। যৌন দিক থেকে ওবিষয়ে চিন্তা করা ছাড়াে। এ-কথা ভাবা বন্ধ করাে যে তােমার শ্রোণীর আকার বড় ব’লে কোনাে পুরুষ সঙ্গম করে সুখ পেতে পারে না। কিছুটা গড়নের দোষ আছে বটে, ডাক্তাররা তাকে বলে শ্রোণীর তলদেশের দুর্বলতা। সাধারণত সন্তান প্রসবের পর ওরকম হয়ে থাকে, হাড়ের আকৃতির দোষেও হয়। অনেক মেয়েরই এমন থাকে, তারা অসুখি অবস্থায় জীবন কাটায়, অথচ সামান্য একটা অপারেশন করিয়ে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায় । ……..লুসি গিয়ে শাওয়ারে গােসল করলাে। ওর আপত্তি সত্ত্বেও অনেক ধৈর্য ধরে জুস্ ওকে পা আলগা করে খাটে শোয়ালাে। ঘরে একটা বাড়তি ডাক্তারি ব্যাগ থাকতাে, সেটা খােলাই ছিলাে। খাটের পাশে ওপরে কাচ দেয়া একটা ছােট্ট বিল ছিলাে, তার ওপরেও কিছু যন্ত্রপাতি ছিলাে। পেশাদারী ডাক্তার হযে গেলাে , লুসিকে পরীক্ষা করলাে, ভেতরে আঙুল দিয়ে ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে ভালাে করে দেখলে লুসি একটু কুষ্ঠিত হলাে, কিন্তু জুলস ওর নাভির ওপর চুমাে খেয়ে বললাে, “এই কাজ করে আনন্দ পেলাম। তারপর ওকে উপুড় করে শুইয়ে গুহ্যদ্বারও পরীক্ষা কী । পরীক্ষা করার সময় সস্নেহে ওর গলায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাে জুলস। পরীক্ষা গেলে আবার ওকে সােজা করে শুইয়ে দিয়ে ঠোটে চুমু খেয়ে বললাে, “প্রিয়, আমি জেমার শরীরটাকে আবার নতুন করে গড়ে দেবাে, তারপর নিজে পরীক্ষা করে দেখবাে। এ বিষয়ে এই আমার প্রথম ডাক্তারি প্রচেষ্টা, এই নিয়ে ডাক্তারি পত্রিকায় একটা প্রবন্ধ লিখে পাঠাতে পারবাে।”……

……..এবার শােবার ঘরে ফিরে এসে দেখে ঘর একেবারে অন্ধকার, কেউ জানালাটা পুরােপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। হাতড়ে হাতড়ে বিছানার কাছে গিয়ে, আবছায়াতে চাদরের নিচে অ্যাপলােনিয়ার দেহের আকৃতি দেখতে পেলাে, ওর দিকে পিঠ ফিরিয়ে আছে, শরীরটা কুঁকড়ে অন্য দিকে ফেরানাে। কাপড় ছেড়ে মাইকেলও চাদরের নিচে ঢুকলাে। হাত বাড়াতেই রেশমের মতাে কোমল ত্বকের স্পর্শ পেলাে । গায়ে নাইটি নেই; তার এই সাহস দেখে মাইকেল খুব খুশি। আস্তে আস্তে, খুব যত্নে ওর কাঁধে একটা হাত রেখে একটু চাপ দিলাে মাইকেল, যাতে সে ওর দিকে ফেরে। আস্তে আস্তে ফিরলাে সে, তার কোমল বক্ষের স্পর্শ পেলাে মাইকেল, তারপরেই বিদ্যুতের ঝলকের মতাে ওরা আলিঙ্গনাবদ্ধ হলাে। অবশেষে ওকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে মাইকেল ওর উষ্ণ ঠোটে গাঢ় চুম্বন দিলাে, অ্যাপললানিয়ার কোমল দেহ নিজের দেহের সঙ্গে জাপটে ধরলাে মাইকেল। | ওর শরীর, ওর চুল যেন রেশমী অ্যাপলােনিয়া পরম আগ্রহে, কুমারী মেয়ের অধীর কামনায় মাইকেলকে জড়িয়ে ধরলাে। চরম মিলনেরূহুর্তে তার মুখ দিয়ে একটা নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলাে। প্রেম যখন চরিতার্থ হলাে, দু’জন্জ নের দেহের সঙ্গে এমন প্রচন্ড আকর্ষণে আকৃষ্ট হয়ে রইলাে যে পরস্পরকে ছেড়ে দেছিলাে যেন মৃত্যুর আগের শিহরণের মতাে ।

সেই রাতে এবং পরবর্তী সপ্তাহের সপ্তাহ ধরে মাইকেল কর্লিয়নি বুঝলাে অনগ্রসর সমাজের লোেক কৌমার্যকে এতাে মূদয় কেন। এর আগে কখনাে সে এমন গভীর ভাবে ইন্দ্রিয়সুখ উপভােগ করেনি, সেই ইন্দ্রিয়সুখের সঙ্গে এবার নিজের পৌরুষকেও উপলব্ধি করেছিলাে মাইকেল। প্রথম দিকে অ্যাপলােনিয়া ওর ক্রীতদাসীর মতাে হয়ে গিয়েছিলাে। বিশ্বাস থাকলে, প্রেম থাকলে, স্বাস্থ্যবতী তরুণীর যখন প্রথম যৌন চেতনা জাগ্রত হয়, সে হয় পাকা ফলের মতাে মধুর ।……

…….খুব যত্ন করে সাজ-পােশাক, মেক-আপ করলাে সে। যাবার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখলাে । মাইকেল অদৃশ্য হয়ে যাবার সময় থেকে চেহারাটা কি এখন আরাে ভালাে হয়েছে? নাকি বয়স বিশ্রী রকম বেশি মনে হচ্ছে? গড়নটাতে আরাে নারীত্ব প্রকাশ পাচ্ছে, কোমরের কাছটা আরাে সুগােল, বুকটা আরাে ভারি। শােনা যায় ইতালিয়রা ঐ রকমই ভালােবাসে………

…….মেয়েটাও ওর দিকে চেয়ে ঠোট ফুলিয়ে ধন্যবাদের হাসি হাসলাে, চোখ দুটো কেমন ধোয়াটে হয়ে গেলাে, শরীরটা কাঙ্গা , জালি কাটা মােজা পরা, ক্রমশ: সরু হয়ে আসা লম্বা পা দুটো সােজা রেখে, কোমর ওপরের অংশটাকে পেছন দিকে হেলিয়ে দিলাে। মনে হলাে ওর সমস্ত শরীরের ভেঙ্গে দিয়ে ক্রমে একটা চাপা উত্তেজনা জমে উঠছে; এমন কি বুকটাও কেমন ফুলে উঠে শরীর-র্দেখানাে ব্লাউজটা ফেটে যাচ্ছে যেন। তারপর সারা দেহে কেমন একটা শিহরণ লাগলাে, আরেকটু হলেই বােধ হয় বীর্য স্থলন হয়ে যেতাে। সবটা দেখে মনে হলাে জনি ফন্টেন ওর দিকে চেয়ে হেসে ধন্যবাদ জানিয়েছে বলে মেয়েটার চরম। যৌন পরিতৃপ্তি হলাে।……..

Leave a Reply