শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
প্রথম পাপ / লালসা
সৃষ্টির প্রথম উদ্যানে নারীর কাছে পুরুষ,
তুমি এক সুগন্ধী উন্নত বৃক্ষের মত ছিলে,
তোমার মদিরতা তাকে আচ্ছন্ন করেছিলো,
প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা পাতার মত সতেজ
তোমার নিরাবরণ শরীরের আলো
তীব্রতর মোহে আবিষ্ট করেছিলো
তার অপাপবিদ্ধ দুটি চোখ,
দ্বিধাময় কামনার দৃষ্টিতে
মনে মনে ছুঁয়েছিলো তোমার দু’ বাহু,
তারপর ছুঁয়েছিল কোমল কঠিন ওই বুক,
তারপর তলহীন নাভী আর ঊরু,
সে তার প্রথম পাপ, অবিকল আগুনের মত,
যদিও আগুন নারী চেনেনি তখনো,
তবু তার আঁচে গলে যেতে যেতে
উপহার দিয়েছিলো নিষিদ্ধ আপেল আর সুখ,
জ্বলন্ত তরলের মত সে আগুনে ডুবেছিলে তুমিও সেদিন,
সেইতো প্রথম পাপ নারী আর পুরুষের,
প্রেম এসেছিলো তারও বেশ কিছু পরে।
দ্বিতীয় পাপ/ক্রোধ
আমার সমস্ত পাপের কথা তুমি জানো,
পার্থিব যত সব কামনা বা বদলার কথা
তোমার স্মৃতিতে ধরা আছে,
তাই তোমার সামনে আমি বেপর্দা হয়ে যেতে পারি,
সেই যে বিশ বছর আগে
বাবলা গাছের নীচে লোকটাকে পুঁতে দিয়েছিলাম,
লোকটা তা জানেনা এখনো,
দিব্যি সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করে,
এখনো বালিকা দেখে ওর লালা ঝরে,
আবার যে কোনও দিন ওকে পুঁতে দেব,
অথবা যেসব লোক রুটিচোর শিশুদের বাঁধে
কিম্বা লাগামহীন গাড়ির তলায় পিষে মারে
ফুটপাথে শুয়ে থাকা লোকেদের আগাছার মত,
আমার আশৈশব সাধ যে ওদের অচল দেহের উপর
একটা আস্ত বট গাছ হব,
শিকড়ের চাপে দুমড়ে দেব ওদের বেপরোয়া লোভ,
আর তুমি তো আমার সব পাপ ইচ্ছার কথা জানো,
এইসব পাপকাজ সেরে
তাই দুহাতে তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো।
তৃতীয় পাপ/লোভ
মনে পড়ে?
যেইদিন রুটি আর পানপাত্র হাতে এসেছিলে,
তোমার রক্ত ও দেহে পৃথিবীর খিদে মিটেছিল,
সেইদিন তেরোতম অবয়ব হয়ে মসৃণ পাপাচারে
কাঁটার মুকুটখানা তোমায় দিয়েছি,
আর ছুঁয়ে পড়া অমরতা।
কতযুগ পরে,
যেদিন ভক্তিময় উচ্ছাসের সাথে
মিশেছিল তোমার সে সংস্কার ভেঙ্গে দেওয়া
গভীর মনন আর উচ্ছাসী সমাজচেতনা,
সুচতুর পাপে আমি সমাজের চাকা থামিয়েছি,
তুমি রয়ে গেছ চিত্রার্পিত করুণ দেবতা।
আজও গুপ্তরোগের মত
অনায়াসে বলিষ্ঠ পাপের ছাপ ফেলে যাই
আপামর মন থেকে আস্বর্গীয় পবিত্র জীবনে,
দুর্বল ধিক্কার ধুলিসাৎ হয়ে যায় যুগ যুগ ধরে,
আমি কৃষ্ণগহ্বর, আমি তোমার অন্তঃস্থিত লোভ
নিকৃষ্টতম দুর্বলতা।
চতুর্থ পাপ/ অতিলোভ
থামো অতিলোভ,
তোমার মুখব্যাদানে ভয় লাগে,
আর কত, আর কত গ্রাস
এখনো করতে বাকী আছে?
অগ্নিরও অজীর্ণ হয় জানি,
তুমি থামতে শেখোনি।
পৃথিবী শশ্মশান হলে খাদ্যহীন হবে,
তখন কি অন্তরীক্ষ খাবে?
পঞ্চম পাপ, অলসতা
অলসতা আসে,
অথবা পাখীর গ্রীবায়,
সেকি পাপ হবে? ভাবিনি কখনো।
সমস্ত উত্তুরে পাখী
দক্ষিণ মুখী হয়ে ওড়ে,
তাদের ডানার গতি
সুখ হয়ে এলে
অথবা বসন্তের শরীরে
যদি তখনো আলস্য ভাঙে শীত,
কতটুকু পাপ তাতে বাড়ে?
তবে মাথার ভিতর
ওই ডানা মেলা নীলচে অসুখ
যদি আলসেমি করে থেকে যেতে চায়,
কেন পাপ ভেবে তাকে ঠেলে দাও দূরে?
আকাশে সমস্ত মেঘ অলসতা করে,
বাতাসও তো স্থাণু হয়ে
অনড় পাতার গায়ে থেমে থাকে,
তবে আমার দুচোখ জুড়ে
নীলাভ স্বপ্ন এলে কেন পাপ হবে?
ষষ্ঠ পাপ/ ঈর্ষা
পবিত্র নদীতে ডুব দিলে পাপ ধুয়ে যায় অরুণেশ,
তোমার দুচোখের উপত্যকা লাল হয়ে আছে,
তুমি পবিত্র নদীতে ধুয়ে এসো,
জলে মোট তিনধাপ নেমে হাত বাড়ালেই দেখো,
জাদুময় তলোয়ার খোলা গাঁথা আছে,
দুহাতের জোরে তুলে নিয়ে এসো আর
সমূলে বিধিয়ে দাও পড়শীর বুকে,
শত্রুর প্রেম ঠিক বিস্মরণের স্রোতে ধুয়ে মুছে যাবে,
দুঠোঁটে ঈর্ষা জ্বেলে ধোঁওয়ার আড়াল থেকে
রোজ ওর প্রেমিকার আনমনা খোলা পিঠ দেখো,
চিত্রলেখার মত চাঁদের আলোয় ধোওয়া পিঠ,
স্বপ্নে যেমন তুমি সর্পিল হাত মেলে
ভয়ে ভয়ে ছুঁয়েছিলে তার দুই অনিচ্ছুক ঊরু,
তাও এবারে অবাধ হয়ে যাবে,
ক্রুরদৃষ্টিতে দেখা ক্রৌঞ্চমিথুন বড় পীড়াদায়ী, জানি-
তাই এবার চরম পাপ কর,
যে পাপ নিয়ত কর অবচেতনার ঢাল নিয়ে,
ঈর্ষার বাহু তুলে ক্লীবের মতন জুড়ি ভাঙো,
তারপর জানোই তো পাপ ধুয়ে চলে যাবে
পতিতপাবনী নদী জলে।
সপ্তম পাপ। দম্ভ
খাঁজকাটা পাথরের মত মসৃণ এক নারী,
দীর্ঘ সময় ধরে আমি তার ক্ষয়তা দেখেছি,
তার গর্বিত খোঁপায় প্রথম বসন্তের পেলবতা ছিল,
ভুরুতে উড়ন্ত ডানার বিভঙ্গের হাতছানি,
স্বরবৃত্ত পদক্ষেপে আপাত অদৃশ্য এক গণ্ডী এঁকেছিল
আপন সত্তার চারপাশে,
সমুদ্র আঁচলে নিয়ে ছুঁড়ে দিত ঢেউ,
সমুদ্র থাকলেই বালুরাশি ভীড় করে আসে,
আজন্ম চাতক ওরা
শুষে নেয়, মেনে নেয় অবহেলা, অপমান সব,
দৰ্প বেড়েছিলো
ফুঁসে ফুঁসে উঠেছিলো দম্ভের ঢেউ…..
পাথরের মত মসৃণ সেই নারী
ঢেউয়ের চূড়ায় বসে কথা বলেছিলো আকাশের সাথে,
ভুলে গিয়েছিলো নারী মাটির বুকের ঘ্রাণটুকু,
নোনাজল ধীর লয়ে পাথরের দেহখানি ঘিরে
অবিরাম আগ্রাসী চুম্বন এঁকেছিলো নারীর শরীরে,
ধীরেধীরে ক্ষয়েছিলো দর্পিতা সেই অবয়ব,
মৃত্যুর মত এসে সপ্তম পাপ
নোনাজল হয়ে দাম্ভিক রমণীর পাথুরে সত্তাটুকু
নীরবে মিশিয়ে দিলো বালি আর মাটির শরীরে।
কোনো গণিকার খুন ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া
শুভ আঢ্য
১
প্রতিটা সাদা লোকের চোখই সন্দেহের
তাদের মধ্যে আমি দেখেছি খুনের চেষ্টা প্রতিটা কালো
মানুষকে, অথচ তোমাকে নয়
তোমার বিভিন্ন অঙ্গে প্রত্যঙ্গে যে কালো
জমে আছে, তারা ওভারলুক করে গেছে সবসময়
সেই কালো কি করে যে ভালো লাগে তাদের
এই দ্বিচারিতা আমি ঘেন্না করি, যেমন
প্রিয় গণিকা, তোমার স্তনের মাংসের সাদাটাকে আমি
দেখি যতটা, ঈষৎ কালো বোঁটা আমার মণির মধ্যে
লেন্সে ঢুকে থাকে তার চেয়েও বেশী
তা নিরসন হোক,
তাদের চোখের সন্দেহভাজন
জায়গাগুলো দান করো ছুরির জন্য
এ হত্যা না, পাপস্খলন। কারণ তুমিও সেই সাদা অংশগুলোকে
কুসুম থেকে পারোনি আলাদা করতে
২
স্নেহ ভর করছে তোমার ওপর
তীব্র চুমুর ইচ্ছে দেখে অভ্যস্ত তুমি দেওয়ালে কুঁকড়ে যাওয়া
ছেড়ে দিয়েছ, আমার নখ এখন আঁচড়ের বদলা নিতে ভুলে যাচ্ছে
ভারী হচ্ছে স্তন, একটা বড় কাপের সাইজ
দেখছে আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি কফি থেকে
ওহ্ প্রিয় গণিকা, তোমাকে বোলাবার সময়
আশেপাশের মেদ এখন আটকে দিচ্ছে হাত
ডুবুরিরও তো পেনিট্রেশনের একটা ক্ষমতা থাকে
পলি পড়া ও ড্রেজিং থেকে বদলে যায় নদীও
আমূল পরিবর্তনের মধ্যে একটা বিপ্লব
আনার জন্যে কিছুটা শহীদের ঢঙেই তোমায়
হত্যা করবে ছুরি, সহযোগিতা ছাড়া শুধুমাত্র অপ্রয়োজনীয়
রক্তপাতে কোনো ইতিহাস নেই, তুমি স্নেহবর্জন করলে
এসবের কিছুই প্রয়োজন হত না
৩
শতক থেকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য আলাদা করাই কাজ যখন
তুমি ভুলে যাচ্ছো পেগের অনুপাত
এখন তুমি জানাচ্ছো আমাকে শরীর ভালো রাখার দশ’টা উপায়
তুমি জানাচ্ছো পবিত্রতার কথা, লাস্ট সাপারের কথা
গান্ধীর শেষ সময়ের কথায় আমাকে ভুলিয়ে দিচ্ছো কাম
আমার শেষ সময়েও যে একটা
কামগন্ধ দরকার, তা তো জানোই প্রিয় গণিকা
অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে যাওয়া একটা রক্ত ছুরি না পেলে
কি অবস্থা হয়, তুমি বোঝো না
শুধু ছুরিটাকেই বাঁচাবার কথা ভেবে তোমাকে
পরখ করতে হচ্ছে, ভালো তো ছুরিটাকেও থাকতে হবে
8
একটা পাহাড়ের নুড়ির কাছে গিয়ে বসে থাকো
ঢেলে দাও সতীত্ব সমুদ্রে, আমি জানি তুমি ভালো নেই
সতীচ্ছদ থেকে আমি গোটা তোমাকে দেখতে পাই
পৃথিবীর বাকি সব রক্ষিতার কথা ভেবে কাজল লাগাও তুমি
প্রিয় গণিকা, কোনো দুর্যোগ তোমাকে সুখী করবেই
এই চুরি জানে সুখের পর
লাগানো ওষুধের নাম ট্যাটু, সন্তানের কথা ভেবে
তুমি একটা স্তন বের করো না আর
আমি সেই স্তনেই চুমু দিতে না পেরে ভাবি
অয়দিপাউসের কথা আর সেখান থেকেই জারিত খুন
মাথায় ওঠে, শানিয়ে উঠি নিজেকে, তোমার পুরোপুরি সুখ
নিশ্চিত করতে অন্য কোনো রাস্তার কথা সেখানে লেখা থাকে না।
৫
ব্রাজিলের রাস্তার কথা ভেবে কপালে হলুদ মাখো
সেখানকার দেহোপজীবিনীর বিভঙ্গ কোথায়
লাতিন আমেরিকা কতটা আর কতটাই বা ক্যালিপসো
ভাবতে ভাবতে দেখো খুনীর লাল এসে জানলা খুলছে
আমি সেই এক ময়লা জামা, ছেঁড়া চাদরে তোমাকে মুড়িয়ে দিই
ঠাণ্ডা সে তো কোথায় কখন লাগে, জানে না কেউ
গরমের সময় থার্মোমিটার ভরে দিই তোমার ভেতর
আহ প্ৰিয় গণিকা, তোমাকে তড়পাইয়ে মারার মধ্যে
আমাকে সুখ দাও, তোমার পায়ের বনাঞ্চলে আমি এখন আফ্রিকায়
শাহীদ লোটাস
তোমাকে চেয়েছিলাম
বেশ্যার চিতার গলিতে সুখের লালায় আসে কামনার স্রোত।
এখানে তুমি আছ
আমিও আছি
কিন্তু সে নেই,
তার দেহের জমিনে তোমাকে বুনি
অতঃপর চুম্বন করি একের পর এক।
অন্ধকারে উষ্ণ-শ্বাসে নগ্ন দেহে বৈশাখ এনে দেয়
সে তোমাদের কারো নয়,
কোন পতিত প্রাসাদের পেঁচার প্রেমিকার
বা ছয়শ বেশ্যার অভিশাপ মাখা আমার যৌন জীবনের
অথবা কোন এক মরীচিকার নোনা ঢেউয়ের তাল
যেখানে নারীর সৃষ্টি কামনা নিয়ে।
হয়তো এই প্রেমেই আমি তোমাকে চেয়েছিলাম।
ঐন্দ্রিলা মহিন্তা
১
কৃষ্ণকাদা মেখে যে শরীর শাওনে আগুন হয়ে
উঠতো — সেখানে সে নিজেই কর্ম ; পদ্মপাতার
অলিখিত ফুলশয্যায় তন্বী শান, জলের চোখে
একটিও পাতা নেই : ইভযোনি ঢাকতে তা দান
করেছে । ভবিষ্যৎ ঝরঝরে কচুপাতার জল,
যেখানে সদ্য যৌবনবতী মাছেরা ইভটিজিং-এর
স্বীকার! জলভেজা বকশরীরের হিমরক্ত —
কাদামাখা পা দুটোর উলঙ্গ আহ্বান ঠেকাতে
পারেনি অরণ্য; সেদিন সারারাত দাবানলে
ছাড়খার হয়ে যাওয়া পাতা মীরা-স্তন অনাবৃত
করেছে — হীরকচূর্ণ ছেটানো বকদেহে একটা
মৃত বাঁশী নিঃশ্বাস ফেলে !
দুটো লাল + দুটো সাদা ভোররাতে দুধপুকুরে
পদ্ম ফোটায় ; পরদিন সামাজিক দুঃস্বপ্ন
পদ্ম তুলে অষ্টমী-পুজোয় আহুতি দেয় ৷
*যে ইতিহাস লেখা হয়নি*
২
আমি যতবার প্রেমে পরি, ক্ষুধার্ত
প্রেমিকেরা ততবার আমাকে স্নান করায় ;
গা মুছিয়ে মঞ্চের পর্দা গায়ে জড়াতে থাকে ;
আমি গোল গোল ঘুরতে থাকি……..
ব্রাউনিশ পিংপং — মাথা চক্কোর খাচ্ছে খাটে
ঘুমন্ত একটা লাশ !
প্রেমিকেরা জড়ো হয়ে, অজ্ঞান করা মাটিতে
জল ছেটায় — তখনও সংজ্ঞাহীণ — এবার
ব্রান্ডি ঢেলে ক্ষুদাকে প্রশ্রয় দেয় ।
ভোররাতে শুকনো চোখ — দেখতে থাকে…..
অসংখ্য উলঙ্গ প্রেমিক — তাদের নপুংশক
সত্তা, ব্রাউনিশ সার্কেলে সভ্যতার সুনামি
অ্যারেঞ্জ করে ॥
*স্নান*
৩
শরীরে শরীর ঠেকলে বোধহয় অযাচিত
কারফিউ জারি হয়, কাউকে সে ঘরে
আলো জ্বালতে দেয় না…….
লীলাময় এসে মাঝরাতে হুজ্জুতি করলে,
কালশিটে পড়া তেজে — বেলপাতা নত
হয় । পরাধীনতার ভ্যানিশিং ইঙ্ক তার গায়ে
কেউ ছেটাতে থাকে — দৃশ্যমান দুটি মণি —
সাদা কাগজে লালচে দাগ — বকিটা অদৃশ্য !
জ্বরে ভোগা শরীরদুটো জিভ বার করে —
তেতো আদান-প্রদান সারে; ভোররাতে
ড্রাগঅ্যাডিক্ট ভেনে পরস্পরের প্রেতছায়া
মিশতে থাকে ॥
*বদঅভ্যেস*
কবিতা সিরিজঃ ঈশ্বরের হাতপাখা
সোমনাথ বেনিয়া
#
শুকনো স্তনের মতো খালপাড় আর স্তনের গায়ে লেগে থাকা
মরা দুধের দাগের মত এই বস্তি অঞ্চলে খিদের আর্তনাদ
শুনে খালের জলস্তর কমে যায়। ঘোলা হয় অন্তর্দেশে পাকা
পাঁকের থিতিয়ে পড়া বাৎসরিক সঞ্চয়। কাকে সম্পূর্ণ বাদ
দিয়ে নতুন করে সাজাবে পৃথিবীর এই ক্ষত। রূপের শতচ্ছিন্ন –
অবস্থায় অতিক্রম করে সভ্যতার বরপুত্র জনপদ। চুপিসারে
আহ্লাদে স্রোত ধমনীতে রেখে স্বীয় বাঁচার মনোনিবেষে আচ্ছন্ন
কোরে পদশব্দ ভাসায় নিখিল মহিমায়, নিবিড় অজ্ঞাতসারে!