…..হেলেঞ্চা, থানকুনি কিংবা খুইরা উঁটাশাক দিয়া ভাত খায়া ফজুর এই বউ, গুলনেহার, তার স্তন এবং নিতম্ব এবং জ ফুলায়া ফালায় এবং কার্তিকের কিংবা হেমন্তের মরা বিকালে আবদুল কাদের মিঞা তার দিকে তাকায়া বিষন্ন হয়া থাকে।…..
…..গরিবের বউয়েরজন্য সামনে দিয়া যাওয়াও ভালাে দেখায় না, ফলে পিছনের চিপা দিয়া পার হওয়ার জন্য তার হাতে থাকে দুইটা উপায়, হয় সে চ্যাপটাভাবে আবদুল কাদেরের দিকে বুক রেখে পার হতে পারে কিংবা পিঠ রেখে; এবং হয়তাে নারী বলেই প্রায় কোনাে চিন্তা না করেই সে টিনের বেড়ার দিকে ফিরা এই চিপা পার হওয়ার চেষ্টা করে নারী হয়া জন্মালে এবং উপায় না থাকলে, বুক না, প্রথমে নিতম্ব আগায়া দেও! তখন কাঠের চেয়ারের পিছন দিকটার সঙ্গে গুলনেহারের নিতম্ব ঘষা দিয়া বের হয়া যায়, হয়তাে আবদুল কাদের টের পায়, কিন্তু দেখে মনে হয় যে, সে তখন চোখ বন্ধ করে ঘুমায়া আছে।……
……আঠারাে বছরের নারী পঁচাত্তর বছর বয়সের পুরুষের সামনে ভ্যাবাচেকা খায়া থাকে, তার সামনে তখন, পুলসিরাত পার হওয়ার মতাে সমস্যা, তাকে চেয়ারের পিছন দিয়া যেতে হবে, এবং সে যায়; তবে তারও হয়তাে বিহ্বলতা দেখা দেয়, ফলে তার আচরণ উল্টাপাল্টা হয়া যায়, নারীর সম্মুখে এবং পশ্চাদ্ভাগের পার্থক্যের বিষয়ে তার খেয়াল থাকে না, সে টিনের বেড়া পিছনে রেখে কাত হয়া চিপাটা পার হওয়ার চেষ্টা করে এবং তার অপরিণামদর্শীর মতাে স্ফীত-হয়া-ওঠা স্তন পিছন থেকে ধাক্কা দিয়া আবদুল কাদের মিঞা বুড়া মাথা নড়বড়ে করে দেয়। ফলে যা ঘটার তাই ঘটে।…..
……ফলে সে তখন চেয়ারের সামনে এসে আবদুল কাদেরের হাঁটু ঘেঁষে তেরছা হয় এমনভাবে খাড়ায় যে, বাইরের মাঠ কিংবা মিঞাবাড়ির উঠান থেকে দেখলে কেবল তার পিছনটা দেখা যায়, এবং সে তার বাম হাতে ব্লাউজের টিপবােতাম খুলে বক্ষ অনাবৃত করে আবদুল কাদেরের মুখের কাছে আগায়া নিয়া বলে, ধরেন; তখন আবদুল কাদের মিঞার জ্বরতপ্ত, খসখসে এবং ক্ষয়িত দুই করতলের মধ্যে গুলনেহারের দুইটা তরুণ স্তন কোমল, উষ্ণ এবং কম্পমান দুইটা ঘুঘু পাখির মতাে ধরা পড়ে।…..