………মান্তুকে রেপের ঘটনাটা, কত গভীরভাবে ছুঁয়েছিল চঞ্চলকে, সেটা বােঝা গেল গত বছর | চিত্ররূপ গ্যালারিতে ওর আটটি বড় বড় ক্যানভাস দেখে। কবে যে আঁকল এসব, বুঝতেই দেয়নি। সাদা কালাে ওর এবারের ছবিগুলাের মারাত্মক দিক ছিল দ্রুতসঞ্চরী রেখার অবিশ্রাম ভাঙচুর ও গড়ে ওঠার মধ্যে প্রগাঢ় লাল রঙের হল্কার অননুমেয় ব্যবহার। কোথাও হ্যাঙারে টাঙানাে নারীর চামড়া শুধু স্তনদুটিতে ভলুম— যা ছােট ছােট স্ট্রোকে ভরা। সেখানে আগ্নেয়গিরির আভা:সামনে সাদা কালাে চৌকো টালির মেঝে—তার ওপর পা-হারা হাইহিল লেডিজ জুতাে– অগ্রভাগে পাঁচটি মাংসময় আঙুল। একটি ছবিতে দর্শকের দিকে মুখ ব্যাদানকারী রক্তিম সিংহের প্রকাণ্ড ল্যাজ ঘুরে গিয়ে খুঁটিতে বাঁধা নগ্ন নারীর যােনিদেশ পুচ্ছ দিয়ে ঢেকে রেখেছে। আর একটিতে স্বচ্ছ সেমিজ-পরা নারী আর্চ হয়ে চৌকো টালির মােজায়েকের ওপর—তার তলপেটে স্ট্র্যাপ দিয়ে বাঁধা কালাে চামড়ার চেয়ার কুশন। প্রতিটি ছবিতেই নায়িকারা মুণ্ডহীনা।সব ছবিতেই তাদের স্তন ও যােনিদেশ বাবুই বাসার মতাে ঝুলে রয়েছে। রেপ-১, রেপ-২… এভাবে আটটি ছবির নাম দেওয়া হয়। কাগজে রিভিউ হল খুবই ভাল। যদিও বিক্রি হল মাত্র একটি।…..
……সেদিন যে কী ভয়াবহ কাণ্ড! দরজা খুলে আলাে জ্বালাতেই দেখি মান্তু শুধু শায়া পরে আমার বিছানায় চুপচাপ বসে। হাঁটুতে থুতনি। আলাে জ্বালাতেই যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠেছিল, আঃ’ বলে।
শাড়ি পড়েছিল মেঝেয় ব্লাউজ বিছানার তােশকের নিচে গোঁজা। ব্রেসিয়ার গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে। আমাকে বলেছিল, না। খবর্দার। মমতাদির সঙ্গে তুমি মিশবে না।…..
………কিন্তু হে আমার জীবনের প্রথম পুরুষ, তােমার কথাই আলাদা। কারণ, তােমার কাছে আমি তাে মেয়েমানুষও নই। আমি একটি মাল। ঠিক কিনা? কত না বার আমাকে কাছে টেনেছ ওই প্রিয়-সম্ভাষণে ! তােমার মতে ওই সময় আমাকে মাল-জ্ঞান না করলে তােমার পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত হবে না। অবােধ শিশুকে যেভাবে ভােলায়, নির্বোধ মরণাপন্নকে যেভাবে সান্ত্বনা দেয়, সেভাবে এইসব আমাকে বুঝিয়েছ।
ওই সময়ে? সত্যিই কি তাই? তাহলে আমার সঙ্গে মেলামেশার পরেই তুমি পুরুষবন্ধুদের কাছে, মদ্যপানের কাছে অমন অধীর আগ্রহে ছুটে যেতে কেন? তুমি যদি পুরুষদের প্রতিনিধি হও (ঈশ্বর করুন, যৈন তা না হয়, তাহলে মানতেই হয় যে আমাদের মেয়েদের কামনা শরীরে যতটুকু ফুটে ওঠে, তােমাদের প্রয়ােজন শুধু ততটুকু। যে কামনা তা ফোটায়, তার সঙ্গে তােমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাতে তােমাদের প্রয়ােজন নেই। | বেশ্যা বললে সেদিন। আমাকে। বেশ্যাই ভেবেছ। এবং আগাগােড়া। শুধু পুরুষাঙ্গ দিয়ে মনােহীন প্রহার—মার শালীকে’ ছাড়া আর কোনও জ্ঞানগম্যি কি তােমার তখন থাকত ? তুমি বলবে, বলেছে, তখন আর কিছু থাকার কথা নয়। কিন্তু, বুকে হাত দিয়ে বল তাে, হেপুংলিঙ্গ, তারপর সারাদিন, যখন অফিসে, বন্ধুদের সঙ্গে, মদ্যপানে— একবারও কি আমার কথা মনে পড়েছে।………