এই আমি – কিরণ শঙ্কর মৈত্র

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…..রাত প্রায় দেড়টা। দেখতে দেখতে কখন তিনঘণ্টার বেশী কেটে গেছে—ৰুঝতেই পারিনি।
শুনলাম ‘জলুদ’ না ‘লাগ’ বেরোতে বেরোতে রাত তিনটে।
কবীর রোডের পাশে একটা উঁচু জায়গায় প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্যে সমীরের কাঁধে ভর দিয়ে কোনোরকমে দাঁড়িয়েছিলাম । আমার বাঁ দিকের স্তনে সমীরের হাতের স্পর্শ টের পাচ্ছি। হাতটা সরিয়ে দিলাম -এই, কি হচ্ছে !
…কি, ফিরে যাবে ?
একটু চুপ করে থেকে বললুম এতটা সময় যখন থেকেছি—আর একটু না হয় দেখেই যাই।
কিন্তু —
সমীরের হাত চঞ্চল হয়ে উঠছে। আমি সামলাতে পারছি না—কোমরে, স্তনে, নিতম্বে …
বরং মাশুল দিলাম । কিশোরী বয়স থেকে সেই অনাবৃত নিষ্ঠুর সত্যটা বার বার কঠোর রূপে দেখা দেয় : কিছু না-দিয়ে কিছু পাওয়া যায় না। এই তো প্রহর খানেক আগেও আমার নগ্ন দেহে অনুভব করেছি এক সরীসৃপের লোভী জিহ্বার ক্ষুধা । সমস্ত দেহে ক্ষুধার ক্লেদ স্পর্শ করে গেছে। আমি বাধা দেই নি । দেখুক না, থাবলাক না, করুক না পীড়ন। ও তো একটা অন্ধ উজবুক মাত্র । আমার অস্তিত্বকে আমিই খুঁজে পাচ্ছি না, একটা সাময়িক ইচ্ছার তীব্রতা তার নাগাল পাবে কি করে ?…..