আফটার দ্য ডার্কনেস – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

কাহিনী বিন্যাসঃটিলি ব্যাগশ || অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

………কোরাম বলের পরের দিনের সকাল, শনিবার, জন মেরিভেল তার স্ত্রীর সঙ্গে শুয়ে আছে বিছানায়।
“প্লিজ, ক-ক-ক্যারােলিন। আমি পারব না।’
তুমি কী পারবে আর পারবে না তাতে আমার কি আসে যায় না, ইউ প্যাথেটিক লিটিল ওয়ার্ম । ডু ইট!’
চোখ বুজে চাদরের নিচে ঢুকে পড়ল জন। চোখ মেলল যখন মুখটা তার স্ত্রীর সুন্দর করে ছাঁটা কালাে যােনি লােমের সামনে নিয়ে এসেছে। ক্যারােলিন ওকে বিদ্রুপ করল। তুমি যদি এরকম ধ্বজভঙ্গ না হতে তােমাকে এটা করতে বলতাম না। যেহেতু তােমার ওটা আর দাঁড়াবে না তাই এ কাজটা তােমাকে করতেই হবে।’ | জন মেরিভেলকে যা করতে বলা হলাে তাই সে করল। সে ওরাল সেক্সের ব্যাপারটি খুবই অপছন্দ করে। কিন্তু নিজের ইচ্ছেমতাে কিছু করার দিন গত হয়েছে বহুদিন আগেই। তার যৌনজীবন পরিণত হয়েছে নৈশ নির্যাতনের সিরিজ হিসেবে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলােতে অত্যাচার সইতে হয় সবচেয়ে বেশি। শনিবারের সকালে ক্যারােলিনকে মুখ মেহন করে দিতে হয়, কখনও কখনও রােববার দুপুরেও। জনের কাছে মাঝে মাঝে অবাক লাগে ভেবে যে মহিলা উঠতে বসতে তাকে গালমন্দ করে সে কীভাবে এ অবাধ যৌনলীলা চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ক্যারােলিন বােধহনিজের খেয়ালখুশি মতাে জনকে ব্যবহার করে এভাবে অপমান করতেই পছন্দ করে।

সুখে গােঙ্গাচ্ছে ক্যারােলিন….ভাগ্যই বলতে হবে ক্যারােলিনের রেতঃপাত হতে বেশি সময় লাগল না। মুখমেহন  শেষ হতেই সে বিছানা থেকে নেমে ঢুকে পড়ল শাওয়ারে ।……..

……ইলসি করছেটা কী?পরিবারের তরুণী নতুন ডাচ পরিচারিকাটি খুব চমৎকার মুখ মেহন করতে পারে তবে বাচ্চা লালন-পালনে তার দক্ষতার অভাব রয়েছে।……..

……….ও যদি জানত লেনি ব্রুকস্টিনের হাত কোথায় কোথায় গেছে-আমার বুকে, আমার পাছায়, আমার দুই উরুর ফাঁকে- তাহলে আর ও হাত কামড়াত না ।………

……..শারীরিক পরীক্ষার বিষয়টি ছিল সবচেয়ে কঠিন এবং বাজে। এক নিষ্ঠুর, অসম্মানজনক অভিজ্ঞতা। কয়েদীদের সমস্ত মানবিক মর্যাদা হানি করার জন্য এ পরীক্ষা করা হয়। এতে কাজও হয়। ঘর ভর্তি মানুষের সামনে নগ্ন হতে হলাে গ্রেসকে। কারাগারের এক ডাক্তার ওর যৌনাঙ্গের ভেতরে স্পেকুলাম ঢুকিয়ে পরীক্ষা করল। তারপর ওকে উপর হতে হলাে এবং ল্যাটেক্স গ্লাভ পরা একটি আঙুল ঢুকিয়ে দেয়া হলাে ওর মলদ্বারের ভেতরে, ওখানে কোন মাদক লুকিয়ে রেখেছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য। পিউবিক হেয়ারে উকুন টুকুন আছে কিনা দেখার জন্য জোরে জোরে টেনে দেখা হলাে যৌনকেশ। খুব ব্যথা পেল গ্রেস। পুরাে প্রক্রিয়া চলাকালীন নারী এবং পুরুষ উভয় প্রিজন গার্ডরা হাসাহাসি করছিল আর বিশ্রী সব মন্তব্য ছুড়ছিল। গ্রেসের মনে হচ্ছিল ওকে ধর্ষণ করা হচ্ছে।……..

……..মাথা নাড়ল গ্রেস। কম্বলের নিচে উষ্ণতার জন্য দু’জনে গাদাগাদি করে শুলাে। পিঠে গ্রেসের নরম বুকের স্পর্শ পাচ্ছে ক্যারেন । ওর ত্বকের গন্ধ, মৃদু নি:শ্বাসের আদর মুহূর্তে উত্তেজিত করে তুলল ওকে। একটা হাত চলে গেল গ্রেসের নাইট ড্রেসের ভেতরে, দুই উরুর মাঝখানে, ভেজা ভেজা মখমলের ছোঁয়া পেল।……

……..ভ্যানের পেছনে, মেঝেতে মুখ চেপে থাকা অবস্থায় জেগে গেল গ্রেস। ওর উলের স্কার্টটি নিতম্বের ওপর তুলে ফেলা হয়েছে, প্যান্টি টেনে নামানাে হয়েছে গােড়ালি পর্যন্ত। ড্রাইভারটা ওর শরীরের ওপর । লােকটার হাত ওর দুই পায়ের ভেতরে নড়াচড়া করছে।

“ঠিক আছে, লিজ্জি। পা দুটো আরও ছড়াও দেখি, সােনা। আরও ফাঁক করাে।’

গুঙিয়ে উঠল গ্রেস। নড়ার চেষ্টা করল কিন্তু শরীরটা মনে হলাে সীসার মতাে ভারী । তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গায়ের ওপর ড্রাইভারের ওজন। একদমই নড়তে পারছে না ও। লােকটা মুক্ত হাত দিয়ে তার ফেঁপে ওঠা পুরুষাঙ্গ গ্রেসের ভেতরে প্রবেশ করা৷

‘না!’ গ্রেস জানে না শব্দটি ও চিৎকার করে বলেছে নাকি মাথার তেরে আওয়াজ হয়েছে। অবশ্য তাতে কিছুই আসে যায় না। লােকটা সবলে ধাক্যতে শুরু করেছে। যদিও তার নড়াচড়ায় কোন উন্মত্ততা নেই। কাজটা সে করছে সেয়ে, রসিয়ে রসিয়ে । গ্রস টের পেল লােকটার হাত সরসর করে ওপর দিকে উঠে আসছে, এবারে ব্রা-র নিচে ঢুকে পড়ল খসখসে থাবা।

‘বুকে আদর খেতে কেমন লাগছে?’ গ্রেসের কানে ফিসফিস করছে লােকটা। ওর বুকে নির্দয় অত্যাচার চালাচ্ছে হাত দিয়ে ।

‘তুমি জেগে আছ, তাই না, লিজ্জি? তােমার উত্তেজনা টের পাচ্ছি।’ আবার একটা জোর ধাক্কা। কেমন লাগছে, বেবি? মজা পাচ্ছ তাে? আমি জানি পাচ্ছ। চিন্তা কোরাে না, লিভিজ । আমাদের কাছে সারাটা রাত আছে।’ …….লােকটা ওকে অবিরাম ধর্ষণ করে চলল। গায়ের ওপর জগদ্দল পাথরটা নিয়ে বিন্দুমাত্র নড়াচড়া করতে পারছে না গ্রেস।…..

…..লােকটার গতি দ্রুততর হয়ে উঠল । বােধহয় স্থলনের সময় হয়ে এসেছে। দাঁতে দাঁত চাপল গ্রেস, চূড়ান্ত মুহূর্তটির জন্য প্রস্তুত হলাে, কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল লােকটা। ওর কাছ থেকে নিজেকে বিযুক্ত করল সে, তারপর ধাক্কা মেরে চিৎ করে শুইয়ে দিল। লােকটার মুখের দিকে তাকাল গ্রেস। কুতকুতে চোখদুটি পৈশাচিক আনন্দে নাচছে। গ্রেস মনে মনে বলল ও আমাকে খুন করবে।

ধর্ষণটা ছিল স্রেফ একটা শৃঙ্গার। মুখ খােলো হুকুম দিল সে।

শূন্যে পা তুলল গ্রেস, লােকটার পিঠ জড়িয়ে ধরল, ওকে নিজের দিকে টানল। ‘আমাকে করাে।’ লােকটার চোখে চোখ রাখল ও, উত্তেজনায় চোখের তারা স্ফীত হলাে ।

হাসল লােকটা। ‘বেশ, বেশ, বেশ । তাহলে তুমি ব্যাপারটা উপভােগ করছ, ছােট্ট লিজ্জি। নাহ, আজ রাতটা সত্যি দারুণ কাটবে আমার।’

গ্রেসকে আবার রমন শুরু করল সে। এবারে আগের চেয়ে দ্রুত গর্তিতে গ্রেস দু’পা দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে থাকল লােকটাকে। বাম পায়ের জুতাের ভেতরে আঙুল নাড়তে লাগল। অবশেষে কোরার দেয়া স্টিলেটোর সন্ধান পেয়ে গেল।

ইয়াহ! দ্যাটস ইট, বেবি!’

গ্রেস টের পেল লােকটার কাঁধের পেশী শক্ত হয়ে গেছে সে স্থলন শুরু করেছে, মাঝপথে হঠাৎ পুরুষাঙ্গ বের করে নিল গ্রেসের ভেতর থেকে। তারপর ওটা এক হাতে ধরে ঝুঁকে পড়ল ওর ওপর, অপর হাত দিয়ে জোর করে গ্রেসের মুখ ফাক করল । গ্রেস টের পেল ওর মুখে গরম বীর্যপাত হচ্ছে, গড়িয়ে নেমে যাচ্ছে গলায়। ওর দম বন্ধ হয়ে এল। লােকটা দাঁত বের করে, চোখ বুজে সুখের আতিশয্যে খ্যাখ্যা করে হাসছে।………..

…….‘ফিরে এলাম। সুন্দরী কৃষ্ণকেশী এসেই ওর গলা জড়িয়ে ধরল, উম, আম করে চুমু খেতে লাগল। লুকাও ওর চুম্বন ফিরিয়ে দিল। সে এবাবে কৃষ্ণকেশীর পাছা দু’হাতে খামচে ধরে রেখেছে।……

………জেসমিন ডেলিভনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নগ্ন দেহবল্লরী সপ্রশংস দৃষ্টিতে দেখছে। তার বয়স চব্বিশ, ক্রিমের মতাে গায়ের রঙ, মসৃণ ত্বকে যেন আলাে পিছলায়, লম্বা, সুঠাম একজোড়া পা, সিলিকন করা পারফেক্ট দুটি বুক। তার এক শক্তিশালী ক্লায়েন্টের কাছ থেকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে পেয়েছে সিলিকন ব্রেস্ট। ভরাট, গােল বুকজোড়া হাতের মুঠোয় চেপে ধরে জেসমিন মনে মনে বলল, না, ও ক্লায়েন্টের চেয়েও বেশি। ও আমার লাভ। আমি তাকে খুব পছন্দ করি।……

…….ঘণ্টা তিনেক আগে লাভারের সঙ্গে বিছানায় কাটিয়ে এসেছে সে। তৃপ্তিতে ভরে আছে দেহ-মন। এই লােকটির সঙ্গে মিলনে যে কী সুখ! লােকটি তাকে খুবই পছন্দ করে মারিয়া বহু পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছে, বেশিরভাগই তার বর্তমান প্রেমিকের চেয়ে লাভ মেকিংয়ের টেকনিকে দক্ষ এবং তারা সকলেই এ লােকের চেয়ে অনেক বেশি শারীরিকভাবে আকর্ষণীয়।……..ওর প্রেমিক গত সপ্তাহে বিছানায় অসহ্য সুখে গােঙাতে গােঙাতে মারিয়াকে তার প্ল্যানটা বলেছে। আজও মিলনের সময় সে মহা উত্তেজিত ছিল এবং এমন আবেগ নিয়ে মারিয়ার সঙ্গে মিলিত হয়েছে যা সচরাচর তার মধ্যে অনুপস্থিত থাকে ।……

……..‘মিসেস ক্যারােলিন।’ সেসিলিয়া, মেরিভেলদের হাউস্কীপার, সন্ত্রস্ত টোকা দিল তার মনিবীনীর ঘরের দরজায়। এক ভদ্রলােক নিচে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চায়।’ | ক্যারােলিন কটমটে চোখে ঘুরে তাকাল। কোমর থেকে ওপরের অংশ নগ্ন, মুখে ক্রিমের ঘন আস্তরণ, তাকে উল্কিবিহীন মান্ডেত্তরি যােদ্ধাদের মতাে লাগছে। আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে গেস্টদের স্বাগত জানাতে রেডি হয়ে আছি?

খেঁকিয়ে উঠল সে। মনিবীনীর গাঢ় বাদামী রঙের বড় বড় স্তনজোড়ার ওপর থেকে চোখ সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করল সেসিলিয়া। দেখতে লাগছে পচা মাশরুমের মতাে।……….

Leave a Reply