……..আমি জানি না, লজ্জায় না কীসে, আমার ঠাণ্ডা কুপের মধ্যেও গরম লাগতে আরম্ভ করেছিল যেন, আর ভীষণ অস্বস্তি, এবং হয়তো আরও কিছু আমার মনে হয়ে থাকবে, যা আমি বুঝতে পারি না, আমি ঘাড় ফিরিয়ে সুদীপ্তা চ্যাটার্জির দিকে তাকিয়েছিলাম, উনি আমার দিকে তাকিয়েই, সেই সেই চোখে হাসছিলেন, যা দেখে আমার সুন্দর লেগেছিল, বরাবরই লেগেছে, ওঁকে সব সময়েই আমার সিনেমার হিরোয়িনের মতো মনে হয়েছে, খুব রূপসী আর যৌ যৌ যৌবন ভরা, হিরোয়িনদের শরীরে যেমন থাকে, সত্যি ওঁর চোখ, মুখ, চুল বুক, কটি (আমি ওঁর খোলা নাভিও দেখেছি, যখন নাভির নীচে শাড়ি পরেন।) কোমর পা-পানা না, পাছা না, নিতম্ব উরু জঙ্ঘা, সবখানেই যৌবন যেন উপছে পড়ছে, কোনও পোশাকের ঢাকাটুকিই যেন মানতে চায় না, তাকালেই। আমার কেমন লজ্জা করে, বা সেটা আর কিছু, যে কারণে আমি তাকিয়ে থাকতে পারি না। …….
…..তারপরেই কয়েক সেকেন্ড চুপচাপ, অথচ গদিটা যেন ঢেউয়ের মতো নড়ছিল, আর লুঙ্গির খসখস শব্দ এবং সুদীপ্তা চ্যাটার্জির গলা, নো, নট নাউ’ আর আমি এমনই একটা ইডিয়ট, ওঁদের দিকে তাকিয়েছিলাম, দেখেছিলাম মিস্টার জে. বিশওয়াস সুদীপ্তা চ্যাটার্জিকে পাশ ফিরে জড়িয়ে ধরেছেন, সুদীপ্তা চ্যাটার্জির মুখ বা শরীরের অনেকখানি অংশ দেখতে পাচ্ছিলাম না, আমি তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। তৎক্ষণাৎ সুদীপ্তা চ্যাটার্জির গলা শুনতে পেয়েছিলাম, না না, যাবেন না মদনবাবু, আপনি খুব ভাল ছেলে আমি জানি, বসুন।……..
……নো, নট নাউ, বোঝ না কেন?’ সুদীপ্তা চ্যাটার্জি চোখের পাতা কাঁপিয়ে, ভুরু কুঁচকেছিলেন। সেটাকে কী ভঙ্গি বলে, আমি জানি না, একটা ইশারার মতো মনে হয়েছিল, তা ছাড়া আরও কিছু, কেন না, ওঁর ম্যাকসি আর জ্যাকেটে কেমন যেন একটা ঢেউ খেলে গিয়েছিল, আর ওঁর বেশ কী বলে, সিনেমার হিরোয়িনদের মতো সুন্দর সুন্দর? তা হবে হয়তো, আসলে ওঁর বুক দুটো যেন জীবন্ত, কথা বলতে পারে–সত্যি জানি না, বুক কথা বলতে পারে কি না, মনে হয়েছিল, জ্যাকেটের বাইরে এসে বুক দুটো যেন কিছু বলতে চেয়েছিল। তারপরে আমার দিকে তাকিয়ে আবার হেসেছিলেন, এবং মিস্টার জে. বিশওয়াস জিজ্ঞেস করেছিলেন, চ্যাটার্জি কী করছে?…..