অশুভ ১৩ – অনীশ দাস অপু

›› গল্পের অংশ বিশেষ  ›› পেপারব্যাক  

………শাস্তি………

………আসলে ওদের বিহ্বল মুগ্ধতার কারণ, সুইমিং পুলের ভিতর সাতার কাটতে ব্যস্ত এবং পুলের ধারে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা জনা বিশেক চোখ ধাধানাে সুন্দরী। এদের কারুরই বয়স আঠারাের ওপরে নয়। আর সবচে’ তাবাক ব্যাপার হলাে, শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দরী তরুণীদের কারও গায়ে এক চিলতে সূতাও নেই। সবাই নগ্ন!

“চেহারা দেখেই বুঝতে পেরেছি আপনারা টাশকি খেয়ে গেছেন, ঠাট্টা করল . শেখ। চলুন, সামনে এগােই।’ | ওরা বাগানে ঢুকতে সবগুলাে মেয়ে পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে গেল। যারা পানিতে ছিল তারাও সাঁতার বন্ধ করে দিল। বব এবং গ্রান্টের মনে হলাে তারা। | স্বর্গে ঢুকেছে এবং স্বর্গের অপ্সরীরা ওদেরকে গার্ড অভ অনার দিচ্ছে। প্রতিটি নগ্ন। শরীর ওরা দেখল প্রশংসা মেশানাে কামনার দৃষ্টিতে।……..

………শেষে লম্বা, কফি রং ত্বকের একটি মেয়েকে পছন্দ করল। বাগানে ঢােকার সময় ওর দিকেই প্রথম চোখ আটকে গিয়েছিল ববের। সাঁতার কাটছিল মেয়েটি। | ওদেরকে দেখে ঝটপট উঠে দাঁড়িয়েছিল পুল থেকে। তার সুঠাম, নগ্ন শরীর থেকে ফোটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ছিল পানি। এই মেয়েটির বয়স সতেরাের বেশি হবে না কিছুতেই। তবে এই বয়সেই শরীরী সম্পদে ভরপুর হয়ে উঠেছে।

‘এখানকার সবগুলাে মেয়েই সুন্দরী, তবে আমার সবচে’ পছন্দ হয়েছে পুলের পাশে দাড়ানাে ওই মেয়েটিকে, সার, কোনরকম দ্বিধা না করে বলল বব । শেখ মেয়েটির কাছে নিয়ে এল ববকে, হাত দুটো কোমরের পাশে রেখে সটান দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি। তার নিখুঁত দেহসৌষ্ঠব যেন মেহগনি কাঠ দিয়ে খােদাই করা । হাসান কী একটা ইঙ্গিত করতে পাথরের মূর্তি প্রাণ ফিরে পেল, হেঁটে এল ৰবের দিকে। তার শরীরে নদীর ঢেউ উঠল, নিতম্বের দুলুনি দেখে বুক শুকিয়ে এল ববের, প্রতিটি পদক্ষেপে ঝাকি খেল আশ্চর্য সুন্দর দুই বুক। ববের মনে হলাে মেয়েটা তাকে প্রলুব্ধ করার জন্য ইচ্ছে করে শরীর নাচাচ্ছে।……

………হাত বাড়িয়ে ওকে | বিছানার পাশে বসাল বব। মেয়েটির কোমল একটা হাত তুলে নিল নিজের মুঠিতে, সপ্রশংস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল খােলা শরীরের দিকে। তােমার দিকে চেয়ে থেকেই আমি যথেষ্ট আনন্দ পাচ্ছি।’ মেয়েটি আস্তে ববের মুঠো থেকে হাতটা টেনে নিল, সেঁধিয়ে গেল ওর উষ্ণ আলিঙ্গনের ভিতরে । মৃণাল দুই বাহু দিয়ে জড়িয়ে ধরল, ওকে, মাথাটা চেপে ধরে টেনে আনল নিজের মুখের কাছে, দু’জোড়া ঠোট একত্রিত হলাে ।

মেয়েটির রেশম কোমল শরীরের উত্তেজক স্পর্শ তার মন থেকে যাবতীয় জাগতিক চিন্তা-ভাবনাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল, শুধু পার্থিব হয়ে রইল সঙ্গিনীর শারীরিক উপস্থিতি। উন্মাদের মত প্রেম করল ওরা, শুধু কামনা নয়, তরুণীর প্রতি একটা পর্যায়ে বুকের গভীর থেকে ভালবাসা উৎসারিত হলাে ববের। ফলে ওদের মিলন পর্বটা হলাে দীর্ঘস্থায়ী এবং তৃপ্তিদায়ক। মেয়েটি শুধু সুন্দরীই নয়, বয়স কম হলেও, শরীরী খেলার কলা-কৌশলগুলাে দারুণ রপ্ত করা আছে তার। পুলকের সাগরে ভাসতে ভাসতে ববকে মনে মনে স্বীকার করতেই হলাে এত সুখ সে জীবনে, পায়নি।………

Leave a Reply