অঙ্গুরীয়ক – কাওয়াবাতা ইয়াসুমারী

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  ›› ১৮+  

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প

অনুবাদঃ মনীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক গরীব ছাত্র পাহাড়ের গায়ে একটা উষ্ণ প্রস্রবনে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিলাে, যে অনুবাদের কাজটা সে কোরছিল সেটা শেষ করা।

বনের মধ্যে একটা গ্রাম্য আচ্ছাদনের নীচে তিনজন গেইসা মেয়ে ঘুমােচ্ছিল। ওদের প্রত্যেকের মুখের ওপর রাখা ছিল একটা কোরে গোলাকৃতি পাখা।

বনের পাশ দিয়ে কয়েক পা নীচে নেমে গেল ছেলেটি। একটা পাহাড়ী ঝর্ণা বয়ে যাচ্ছিল সেখানে আর এক ঝাক ড্রাগন মাছি উড়ছিলাে ওপরে একটা বিশাল পাথর, জলের ধারাটাকে দুভাগ কোরে দিয়েছিলাে।

পাহাড় কেটে তৈরী করা একটা স্নান করার পুকুরে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে দাড়িয়ে ছিলো একটি মেয়ে।

ছাত্রটির মনে হোল মেয়েটির বয়স এগার বারর বেশী নয়। তাই সে গায়ের ইউকাতাটা (হালকা সতীর পােষাক) খুলে একপাশে রেখে উষ্ণ জলে ডুবিয়ে দিল শরীরটা। পোষাকটা সে রেখেছিলো নদীর ওপর ছড়িয়ে থাকা শুকনাে পাথরগুলাের ওপর। মেয়েটি ছিলাে তার খুব কাছেই।

মেয়েটির মুখে ফুটে উঠলাে একটা হাসি, যেন সে ওর বন্ধুত্তের ভাবটাকে প্রশ্রয় দিচেছ। গরম জলে স্নান করার ফলে ওর সারা নগ্ন শরীরটা গােলাপী হয়ে উঠছিলাে। ছাত্রটি বুঝতে পারলাে মেয়েটি অবশ্যই গেইসা মেয়ে হবে। ওর শরীরে সৌন্দর্যের আভাষ রয়েছে তখনও, যদিও ইতিপুর্বে অনেক পুরুষেরই যৌন লালসা পরিতৃপ্ত কোরতে হয়েছে তাকে, তবুও মেয়েটি এখনও সুন্দরী। ওর চোখেও জলে উঠল লালসার আগুন।

হঠাৎ মেয়েটি তার বা হাতটা তুলে চেচিয়ে উঠলাে। বােললো, হায় এটা খুলে রাখতে ভুলে গিয়েছি একেবারে হাতে নিয়েই জলে নেমেছি আমি।”

ছেলেটির দৃষ্টিটা স্বভাবতঃই গিয়ে পোরলাে ওর হাতের ওপর।

এই ভাবে চাতুর্যের সঙ্গে নিজেকে ওর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য বিরত হয়ে ভাবলাে ছেলেটি, তুমি একটা ক্ষদে উপদ্রব।’

মেয়েটি শুধু দেখাতে চাইছিল তার আংটিটা। ছেলেটি জানতাে না উচ্চ প্রস্রবনে স্নান কেরতে গেলে আংটি খুলে রাখতে হয় কি না। কিন্তু এটা স্পষ্ট হয়ে উঠলাে যে মেয়েটির চাতুর্যে ধরা পড়ে গিয়েছে সে।

ওর মনে হােল আরও বেশী অসন্তােষ প্রকাশ করা ওর উচিত ছিল। কারণ মেয়েটি আংটিটা নাড়াচাড়া কোরতে কোরতে ক্রমাগতই লাল হয়ে উঠছিল। ও বুঝলাে হাসিটা ওর মতাে বয়ঃপ্রাপ্ত যুবকের পক্ষে অনুচিত ও অনুপুযুক্ত তাই সে মন্তব্য কোরল, “আংটিটা খুব সুন্দর দেখি একবার।

“এটা ওপ্যাল পাথর” বােলতে বােলতে মেয়েটি, নেমে এল পকুরে। হাতের আংটিটা দেখাবার জন্যে হাত বাড়াতে গিয়ে হোঁচট খেলাে মেয়েটি। ছেলেটির কাঁধে হাত দিয়ে কোন ক্রমে সােজা হয়ে দাড়ালাে সে।

“ওপ্যাল ?” ওর কথার প্রতিধ্বনি কোরে বােলল সে। ওর মনে হােল মেয়েটির উচ্চারণের ভঙ্গীটা অকালপক্ক মেয়ের মতাে।

“হ্যা। আমার আঙ্গুলগুলাে খুব সরু; তাই অডার দিয়ে করাতে হয়েছে আংটিটা। পাথরটা আবার একটু বড়ো।” মেয়েটি যখন কথা বলছিল, ছেলেটি তখন খেলা কোরছিল ওর ছােট্ট হাতটা নিয়ে। পাথরটির দ্যুতি ওর সাদা হাতে যেন অনেক বেশী উজল হয়ে উঠেছিলাে। মেয়েটি ধীরে ধীরে ওর বুকের কাছে এগিয়ে আসছিল। সে তাকিয়েছিলাে ওর মুখের দিকে। মনে হচ্ছিল খুব আনন্দ পেয়েছে সে।

ছাত্রটির মনে হােল, মেয়েটি আংটিটা আরও ভালাে কোরে দেখাতে চাইলে ওকে তার নিজের হাটুর ওপর চেপে ধরতেও আটকাবে না তা ।

Leave a Reply