অন্তর্গত খেলা – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……পাশের মেয়েটি এখন কোন দিকে তাকিয়ে আছে, ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল। ভারি সুন্দর স্তন। কারণ হাওয়ায় শাড়ি উড়ছিল। সে দেখেছে নিটোল এবং গভীর। আর তারপরেই যা হয়ে থাকে যুবক মাত্রেই, যুবক বলে কেন, পুরুষ মাত্রেই। মেয়েটির সর্বাঙ্গ বড় খােলামেলা এবং তার পাশে দাড়িয়ে আছে নিখিল নামে এক যুবক। মেয়েটি হেমন্তের মাঠ ভেঙ্গে যাচ্ছে, নিখিল নামক যুবক ছুটছে। সুন্দরী মেয়েদের দেখলে নিখিলের এটা হয়। মনে মনে সে মেয়েটার সব কিছু দেখে নেয়।……

……একটা বিতিকিচ্ছিরি পরিস্থিতি সে জীবনেও ফেস করে নি। সে দরজা বন্ধ করে একেবারে দাড় করিয়ে সব শরীর থেকে খুলে দিল মেয়েটির। এক হাতে জড়িয়ে রেখেছে শরীর। ঠিক শিশুর মত ওকে সায়া পরিয়ে ব্রাউজ গায়ে দিয়ে বলল, শাড়িটা পেঁচিয়ে নিন। এবং মেয়েদের শরীরে যে সুবর্ণ বাতিঘর থাকে সে প্রথমে আজ স্পষ্ট দেখতে পেল। আবছা অন্ধকারেও যুবতীর চোখ বােজা!……

………মনে হল মেয়েদের যে কি থাকে। এখন সে ইচ্ছে করলে আদর করতে পারে, চুমু খেতে পারে। এবং সে যেহেতু সবই দেখে ফেলেছে মেয়েটির তার কেমন যেন হক জন্মে গেছে সব কিছুর ওপর। এবং ওর পুষ্ট স্তন, নাভিমূলের রেখা ইত্যাদি সবই এখন চোখের ওপর ভাসছে। এতে নিখিলের শরীর আবার উষ্ণ হয়ে উঠেছিল। মেয়েটি জানেও না, নিখিল এখন এই শরীর বাদে আর কিছুই ভাবছে না।………

Leave a Reply