অনুপমা – মণীন্দ্র গুপ্ত

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……..অহেতুকী আবরণ থেকে নিজের উত্তমাঙ্গ বিদ্যুৎ গতিতে মুক্ত কোরে আনলাে অরুণা রায়—তারপর আয়নার কাছে এসে খুব ভালাে কোরে নিজেকে লক্ষ্য কোরবার পর একটা পাতলা সিল্কের কালাে রংএর ব্লাউজ ধীরে সুস্থে নিজের গায়ের সঙ্গে জড়ালাে। তার স্ফীত শক্ত অসমতল বুকের উপর কালাে ব্লাউজটায় মনে হােল যেন পত্রপুটে আবৃত রয়েছে দুটি অনাঘ্রাত অনাস্বাদিত পুষ্প স্তবক। শেষে নীবির বন্ধন একটু শিথিল কোরে দিয়ে এক লাফে ঝাপিয়ে পড়লে এসে বিছানার সাদা সমুদ্রে। কিন্তু সে আকস্মিক আবেগের ভার বহন করার সাধ্য ছিল না তার নীবির সূক্ষ্ম গ্রন্থির—তাই শেষ বসন হীনতায় অরুণা রায় হােল সম্পূর্ণ নীবি মুক্ত। অরুণা। তারপর এসে বিছানায় আবার সমাহিত হােল। ইচ্ছে কোরেই সুইচটা অফ কোরলাে না।…..

…….আর অরুণার ঘুমের গােলিতে তার দেহ-সরােবরে দরজা দিয়ে যার ছায়া এসে পড়লাে—সে একটি নারীমূতির। অরুণার কাছে খুবই পরিচিত তার পদধ্বনি।

অতি সন্তর্পণে ঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ কোরে দিলাে সেই নারীমূর্তিটি। তারপর আস্তে আস্তে দেহের ওপর থেকে সাড়ীখানা যখন মুক্ত কোরলােতার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলাে আর্কেডিয়া কলেজের বাংলা সাহিত্যের তরুণ অধ্যাপক। অরুণা দেখতে পেল না তার এই অভিসারের দীণতা—এমন কুষ্ঠিত পরিবেশ। ঘুমের অতল সমুদ্রে সে তখন স্নিগ্ধ হােয়ে আছে একটি মাত্র আবেদনে—একটি মধুর মিনতিতে। আর সাড়ীর দুটি প্রান্ত অঙ্গ থেকে তার উধাও হয়ে গেছে কোন্ পৃথিবীতে যেন কার খুসীর নিমন্ত্রণে হােয়েছে নিঃশেষ।……..আর ইলেকট্রিকের উজ্জ্বল আলাের নীচে সুকুমার দেখলে শুভ্র সুপুষ্ট দুটি উরুর কিছু নীচে বিচলিত হােয়ে আছে অরুণার পেটি কোটের অপর একটি প্রান্ত। আলগােছে একটা হাত রাখলে বাম উরুতে সুকুমার–আর একটা হাতে অরুণার তরঙ্গিত বক্ষের আবেদন থেকে উত্তমাঙ্গের বন্ধনী ধীরে ধীরে মুক্ত কোরে দিলাে। মুক্তির স্বাদে, বাতাসের নতুন আমন্ত্রণে অরুণার যুগল স্বর্গ ঝলমল কোরে উঠলো। আর সুকুমার তারি ওপর কান পেতে শুনলাে কোনাে আদিম সমুদ্রের স্বপ্ন সার্থক হবার এক অবিশ্রান্ত জল কল্লোল। ……আস্তে আস্তে উঠে দাড়ালাে সুকুমার আর সমস্ত বাড়ীর স্তব্ধতাকে বিদীর্ণ কোরে রাত বারােটা বাজার শব্দ ভেসে এলাে। সুকুমার দুটি হাতে রজনীগন্ধ্যার মত অরুণার হাল্কা সুরভিত | নিরাবরণ তনুলতাটি তুলে ধােরলল। তারপর মুখের কাছে মুখ | নিয়ে এসে অনেকক্ষণ ধরে কী যেন খুজে বেড়ালাে সে মুখে।……

Leave a Reply