রিভেঞ্চ – রাজীব রায়হান

›› পেপারব্যাক  

…..স্ত্রী পুরুষের ঢলাঢলি, গ্লাসের টুংটাং আর মেক্সিকান একটা মেয়ের বিভিন্ন সুরের গান। তার সাথে তার দেহের নানা অংগভঙ্গি। কখনও ভারী বুক, কখনও ভারী নিতম্ব থলথলিয়ে কঁপন তুলছে মেয়েটা। বুকখােলা কাপড় ছিড়ে ওর স্তন দুটো যেন ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইছে। মাঝে মাঝে মেয়েটা তার বগলের সৌন্দৰ্য্য দেখাতেও কসুর করছে না। যদিও ওর বগলটা আবজনামুক্ত নয়। বরং নােংরা। কাউয়ানের খারাপ লাগলেও সে বারে ঠেস দিয়ে বসে থাকে। কান তার খাড়া। শুনতে চেষ্টা করে সব কথা।…..

….একটা মেয়ে সােনোয়ার দিক থেকে আসছে। সােনােরার নদীতে বােধ হয় স্নান করেছে। ছিপছিপে গড়ণের হাল্কা বুকের মেয়েটা পাতলা কাপড়ে ঢাকা ওর মাজিত বুক। অন্তর্বাস না থাকলে অনেক কিছুই হয়তাে উকি দিত। সেই সঙ্গে বেন কাউয়ানও হয়তাে তার ব্যাজের কথা, পদমর্যাদার কথা ভুলে উঝিকি মারার প্রয়াস পেত । এক অজানা স্নিগ্ধ সৌরভ ছড়িয়ে ছিপছিপে মেয়েটা ওকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।

মেয়েটার ছন্দময় ভিজে সপসপে দেহটা বেনকে তার অজান্তেই ঘুরিয়ে দিয়েছে। বেন দেখছে—মেয়েটা ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে হেটে যাচ্ছে। নিতম্বের ওপর ভিজে কাপড় লেপ্টে রয়েছে। প্রত্যেকটা ভাঁজ পর্যন্ত স্পষ্ট। চলার সাথে থর থর করে কাপছে। মেয়েটার ছিপছিপে গড়নের তুলনায় নিতম্বটা অশ্লীল রকমের ভারী, চোখে নেশা ধরায়। হাঁটার তালে তালে অদ্ভুত ভঙ্গিমায় নেচে চলেছে।

মেয়েটা বােধ হয় বেনকে লক্ষ্য করেনি। খুব সাবলীল ভঙ্গিতে হাটছে। দেখতে পেলে হয়তাে লজ্জা পেতো কমপক্ষে ছুটে পালাতে। অথবা ভয় পেতাে। সবার ঘুমাবার নিরালা দুপুর বেছে নিয়েছে একই কারণে। এসময় সে আরাে খােলামেলা ভাবে হাটলে ও কাকপক্ষী ছাড়া কেউ তাকাবার থাকবে না নিশ্চয়।

এক সময় ছিপছিপে গড়নের সেই সুন্দরী ভেজা মেয়েটা বিশাল কিছু গাছের আড়ালে হারিয়ে গেল।……

…..ক্রিস্টিনা রান্নাঘরে। একটা টের ওপর ডিশ সাজাচ্ছে । পাতলা-সাতলা গড়ণ তার। মেক্সিকান মেয়েরা অমন ছিপছিপে হয় না। তবে তাকে ঠিক সেনোরার মেয়ে বলা চলে। তার চাল চলন, ফিগার চৎকার। প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকায় ক্যাটলাে। আর ক্রিস্টিনাও তার ভ্রমর কৃষ্ণ মৃগা অখির গভীর কোণ থেকে এক সুতীব্র দৃষ্টিবান হানে তার দিকে।…..

……ক্যাটলের সেদিকে মন নেই। কি বলছে, তেমন তার কানে গেলনা। সে দেখছে ওর লীলায়িত দেহ ভঙ্গিমা কাজ করছে আর উছলে পড়ছে যেন তার রূপ যৌবন। স্পষ্ট বুকের ভাজ। সুউচ্চ ও দুটে।…..

……রেজিটা আজ সে চড়েছে একটা কালো ঘোড়ায়। বাদামীটার চাইতে কম সুন্দর নয়। হরিণের নরম চামড়ার (বাকক্সিন) সাদা স্কাটটা তার ঝুলে আছে পাশে। হলুদ রংয়ের সিল্কের ব্লাউজ তার গায়ে। শরীরের জলপাই রং যেন ফুটে বেরােচ্ছে তাতে। আকর্ষণীয় ফিগার। নরম তুলতুলে মেদবহুল নগ্ন বাহু! সুউচচ বক্ষ। চক চকে গ্রীবা। লাল টকটকে ওষ্ট। মাথার ঘন কালো চুল আর চোখেও তার অপূর্ব উজ্জ্বলতা।…..

Please follow and like us:

Leave a Reply