ক্রীতদাসী – অমরেন্দ্র দাস

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….মেয়েটির চোখ দুটি অন্ধকারে জ্বলছে। যেন দুটি ডাগর চোখে কি এক আগুনের শিখা। মেয়েটির পরণে সালােয়ার কামিজ, কামিজটা বুক থেকে খানিক সরিয়ে দিয়েছে। মেয়েটি ফর্সা। দুধের মত গায়ের রঙ। কোমল নিটোল শরীর। স্বাস্থ্যবতী। এক মাথা ঢেউ খেলানাে চুলের রাশি বুকের ওপর তুলে নিয়েছে। ফোলা ভারী বুক। হাসছে মেয়েটি। শাণিত অধরে মুক্তার মত জাতের সারি মেলে হাসছে।…….

…….হীরা পরেছে সুন্দর পােষাক। শাড়ী পরেছে একটি। জরি বসানাে গাঢ় নীল রঙের। প্রসাধন চর্চিত মুখ। অপরূপ স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যের ঔজ্জ্বল্যে শরীরের রমণীয় বাঁকগুলি কেমন যেন স্পষ্ট। হীরা হঠাৎ দুলে দুলে খিল খিল করে হেসে উঠল !……

…….তাই যায় দিগগা রিবেলী। প্রত্যহ রাতটা সারাদিনের পরিশ্রমের পর কারাে ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর সেখানে কিছুক্ষণ একটি নরম কোমল শরীরকে লােফালুফি করে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে। আর মাঝে মাঝে যায় সরমার কাছে।…..

………মেয়েদের যৌবন এই এদেশের জীবন নিয়ে অনেক ভােগ করেছে। ঐ মরিয়ম, অহল্যাবাঈ, সরমা, আলভা, তারা যেন আজ আবর্জনার মত। তার চল্লিশটি রক্ষিতা। তাদের শরীর ছুতে চুতে তাদের শরীরের সব রহস্য জানা হয়ে গেছে। যেন নদীর স্রোতের মত সব তরল হয়ে গেছে। দু’চার-দিন একটি মেয়ের ঘরে রাত কাটালে আর তার কাছে যেতে ইচ্ছে করে না। এমন কেন হয় সে জানে না।……..

……..নােঙর ফেলে বাড়িয়েছিল। সেই দিকে তাকিয়ে মেয়েটি কি ভাবল। ওড়নাটা জাহাজকে নিশানা করতে গিয়ে হাত থেকে জলে পড়ে গেছে। ভাটি বুকটির দিকে সম্পূর্ণ লােলুপ দৃষ্টিতে এক চোখ কাণা সাহেবটা তাকিয়ে আছে।……..

Please follow and like us:

Leave a Reply