দ্য টিন ড্রাম – গুন্টার গ্রাস

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ প্রমিত হােসেন

………মারিয়া, অন্য দিকে, ছিলাে প্রকৃতির সন্তান: সবচেয়ে দুঃসাহসী কাজগুলােও সে অবলীলায় করতাে আমার সামনেই। শােবার ঘরের মেঝে মােছার আগে সে মােজা খুলে ফেলতাে, উরুর অর্ধেক পর্যন্ত বেরিয়ে যেতাে এমন উঁচুতে তুলে খুঁজে নিতাে স্কার্ট। এক শনিবার দোকান বন্ধ করবার পর-ম্যাটজেরাথ কাজে গিয়েছিলাে স্থানীয় পার্টি সদর দপ্তরে মারিয়া তার স্কার্ট ও ব্লাউজ খুলে ফেললাে, আমার পাশে দাঁড়ালাে পরিষ্কার পেটিকোট পরে, এবং স্কার্ট ও কৃষিসিল্কের ব্লাউজ থেকে কিছু দাগ মুছতে লাগলাে পেট্রোল দিয়ে।

মারিয়া যখন তার ওপরের পােশাক খুলে ফেলতােতখন তার গা থেকে ভ্যানিলার গন্ধ আসতাে কেন? ওই ধরনের কিছু নির্যাস কি শরীরে ঘষতাে সে?……

……….ব্রোসেনে এক পাউণ্ড চেরি কিনলাে মারিয়া, আমার হাত ধরলাে ভালােই জানতাে কেবল সেই এর জন্যে অনুমতিপ্রাপ্ত এবং পাইন গাছের ভিতর দিয়ে আমাকে স্নানাগারের দিকে নিয়ে চললাে। যদিও আমার বয়স ষােলাে বছর এ্যাটেন্যান্ট সেটা বুঝতেই পারলাে না— মহিলাদের বিভাগে প্রবেশের অনুমতি পেলাম আমি। পানি : ৬৫, ব্ল্যাকবাের্ডে লেখা, বাতাস : ৮০; প্রবাহ : পূর্ব; পূর্বাভাস : ভালাে। আমাদের কেবিনটার সংখ্যা ৫৩। কেবিনটার কাঠ উষ্ণ, শুষ্ক, এবং স্বাভাবিক নীলচে-শাদা রঙের। জানলার পাশে ঝুলছে একটা আয়না।

প্রথমে পােশাক খুললাে অস্কার। দেয়ালের দিকে মুখ করে এটা আমি করলাম এবং খুব অনিচ্ছার সাথেই এ ব্যাপারে সাহায্য করতে দিলাম মারিয়াকে। তারপর মারিয়া আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে নিলাে, আমার নতুন বাথিং স্যুটটা বের করলাে, আর আঁটো পােশাকটা পরিয়ে দিলাে জোর করে । কাঁধের স্ট্যাপের বােতাম লাগাতে না লাগাতেই সে আমাকে তুলে দিলাে কেবিনের পিছনের দেয়াল-ঘেঁষা বেঞ্চির ওপর। আমার কোলের ওপর রাখলাে ড্রাম ও ড্রাম স্টিক, এবং শুরু করলাে, দ্রুত উদ্যমশীল গতিময়তায়, পােশাক খুলতে।

প্রথমে আমি অল্প ড্রাম বাজালাম। তারপর ড্রাম বাজানাে থামালাম। আমার কাছে অদ্ভুত লাগলাে মারিয়া ঠোট ছুঁচলাে করে কেন শিষ দিচ্ছে জুতাে খােলার সময়, এবং মােজা খােলার সময়, দুইবার উঁচু সুরে, দুইবার নিচু সুরে। ট্রাকের ড্রাইভারের মতো শিস দিতে দিতে ফুলের নকশাতােলা পােশাকটা খুললাে সে, পেটিকোট খুলে রেখে দিলাে পােশাকের স্তুপের ওপর, ব্রেসিয়ার ফেলে দিলাে, উন্মত্তের মতাে শিস দিতে লাগলাে প্যান্টি টেনে নামানাের সময়, হাঁটুর নিচে নামিয়ে মেঝের ওপর সেটা পড়তে দিলাে দুই পা গলে, এক পায়ে লাথি মেরে শর্টসটা ছুঁড়ে দিলাে এক কোণায়।

মারিয়ার লােমশ ত্রিভূজ ভীত করে তুললাে অস্কারকে। তার হতভাগীনি মায়ের কাছ থেকে সে জানতাে মেয়েরা ওই জায়গায় ন্যাড়া হয় না, কাজেই তার ভয় পাওয়ার কিছু ছিলাে না, কিন্তু মারিয়া তার কাছে অবশ্যই সেই ধরনের চেতনায় মেয়ে মানুষ ছিলাে না যে চেতনায় তার মা মেয়ে মানুষ ছিলাে ম্যাটজেরাথ অথবা ইয়ান ব্রনস্কির কাছে। এবং সাথে সাথে আমি তাকে চিনতে পরলাম । আমার বাথিং স্যুটের নিচে প্রচণ্ড কামনা, লজ্জা, ঘূণামিশ্রিত ক্রোধ, হতাশা আমাকে ড্রাম আর ড্রামস্টিকের কথা ভুলিয়ে দিল নতুন এক স্টিক এত দিন ধরে আমি যার উন্নয়ন করেছি।

অস্কার লাফিয়ে উঠলাে আর ঝাপটে ধরলাে মারিয়াকে। তার চুলের ভিতর মুখ ডুবিয়ে দিলাে। মারিয়া হেসে উঠলাে আর তাকে টেনে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করলাে। মারিয়াকে আমার আরাে কাছে টেনে নিলাম। ভ্যানিলার গন্ধের উৎস খুঁজলাম। মারিয়া তখনাে হাসছিলাে ।………..

………..পিঠের ওপর থেকে ফিজ পাউডার তুলে নেয় মারিয়া। যে মাত্র বুদবুদ উঠতে থাকে, তার পা দুটো কাঁপতে আর আছড়াতে শুরু করে এবং তার নাইটগাউন, প্রথম উত্তেজনার পর কখনাে কখনাে, তার দুই উরুর ওপরে উঠে আসে। দ্বিতীয়বার ফিজের সময়, নাইটগাউন সাধারণত তার পেটের ওপর দিয়ে উঠে স্তনের নিচে জড়াে হয়ে থাকে। কয়েক সপ্তাহ তার বাঁ হাত ভর্তি করার পর এক রাতে আমি পাউডার ঢালি তার নাভিতে। রাসপুতিন অথবা গ্যেটের সাথে আলােচনা করার সুযােগ ছিলাে না আমার। মারিয়া প্রতিবাদ করার আগেই তাতে লালা মিশিয়ে দিই । বুদবুদের ক্রিয়া শুরু হলে প্রতিবাদ করার সব হারিয়ে ফ্যালে মারিয়া। ফেনায়িত নাভির প্রচুর সুবিধা মাথার তালু পর্যন্ত এটা সেই একই ফিজ পাউডার, আমার লালা আমার লালাই থাকে, উত্তেজনাও আলাদা কিছু নয়, কিন্তু অনেক তীব্র, অনেক বেশি তীব্র। উত্তেজনা এমন এক পর্যায়ে পৌছে যায় যে মারিয়ার পক্ষে তা সহ্য করা কঠিন হয়। সামনে নত হয়ে ঝুঁকে পড়ে সে; যেন জিভ দিয়ে ছেটে নিতে চায় তার নাভির ওপর বুদবুদ-ওঠা রাস্পবেরি যেমনভাবে ছেটে নিতাে হাতের তালু থেকে। কিন্তু তার জিভ অতাে লম্বা নয় । তার পেটের বােতামটা আফ্রিকা অথবা তিয়েরা দেল ফুয়ােগাের চেয়েও অনেক দূরে। আমি, যাই হােক, ছিলাম মারিয়ার পেটের বােতামের খুব কাছে; রাস্পবেরির খোজে তাতে আমি আমার জিভ ডুবিয়ে দিই আর প্রচুর খুঁজে পাই; আমি অনেক দূর পর্যন্ত ভ্রমণ করি, এমন জায়গায় পৌছাই যেখানে রাস্পবেরি তােলার অনুমতি পত্র চাইবার জন্যে কোনাে ফরেস্টার নেই; সেখানে আর কিছুই নেই শুধু রাস্পবেরি আমার চোখে, আমার মনে, আমার হৃদয়ে, আমার কানে, বিশ্বে যা কিছুর গন্ধ আমি পাই তা রাস্পবেরির। অস্কার নিজেকে বলে : মারিয়া তােমার প্রগাঢ় অভিনিবেশে সন্তুষ্ট। সে জন্যেই সে লাইট অফ করে দিয়েছে। সে জন্যেই সে মন আস্থার সাথে ঘুমের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এবং তােমাকে রাস্পবেরি তােলার অনুমতি দিয়েছে; যেহেতু রাস্পবেরিতে সমৃদ্ধ ছিলাে মারিয়া ।………

Please follow and like us:

Leave a Reply