নীল অন্ধকার – হর্ষ দত্ত

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……….তরুণীটি সম্ভবত প্রফেশনাল মডেল। কেননা একটু পরেই কাপড়ের টুকরােগুলােকে দেহ থেকে খসিয়ে যেন বাতাসে উড়িয়ে দিল। সম্পূর্ণ এক নগ্নিকা। উদ্ধত স্তন। সে ডান পায়ের উরু দিয়ে আড়াল করেছে যৌনাঙ্গ। ক্যামেরা আর ওয়াইড লেন্সে যাচ্ছে না। বরং মেয়েটির সারা শরীরের প্রােফাইলে আটকে আছে।…..

….শিল্পী যুবকটি প্যালেট আর তুলি ফেলে দিয়ে দ্রুত হাতে ক্রেয়নে তুলে নিচ্ছে সেই নগ্ন সৌন্দর্য। যুবতীটি হাসছে। মৃদু বদল ঘটাচ্ছে দেহ ভঙ্গিমায়। ..……মেয়েটি এবার পেছন ফিরে ধীরে ধীরে সমুদ্রের বুকে নেমে যাচ্ছে। ওর নিতম্বের ওঠা-পড়া ঢেউয়ের মতাে টালমাটাল। ……

…….. এবারে একটি স্টুডিও। শিক্ষানবিশ শিল্পীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আঁকার ক্লাস করছে। এদের মধ্যে সেই তরুণটিও আছে। ঘরের কোণে একটি উঁচু পেডেস্ট্রলে এসে দাঁড়াল সেই মেয়েটি। হয়তাে জামাকাপড়ও খুলে ফেলল। কিন্তু ক্যামেরা সে দিকে ঘুরল না। শিল্পশিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। ইজেলে সাটা অপরিণত ছবিগুলাে নিয়ে আলােচনায় তিনি ব্যস্ত। সমুদ্রতটের তরুণটি কিন্তু মগ্ন নিজের ড্রইং-এ।

ছবি আঁকতে আঁকতে নায়ক ধীরে ধীরে লিজার সঙ্গে শরীরী সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। তবে খুব সাধারণ দৈহিক ক্রীড়া নয়! নায়ক নানা বর্ণের রঙ মাখিয়ে দিচ্ছে লিজার সারা শরীরে। একটু একটু করে। টিউবের, ক্যানের থকথকে রঙ। রঙের প্রলেপে লিজা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। মুখ, গলা, স্তন, উরু, জঙ্ঘা, পায়ের পাতা।……..

……….দেহের সমস্ত আবরণ একটা একটা করে খুলে ফেলছে মার্থা! দ্বিধাহীন, উন্মুখ, উম্মন। মার্থার স্তন অবনতমুখী। বয়স আর ব্যবহারের ছাপ পড়ে গেছে এই যুগলবন্দির সমগ্র সৌন্দর্যে। তবু এরা যেকোনও পুরুষকে চুম্বকের মতাে কাছে টেনে নিতে সক্ষম। নগ্ন মার্থা এগিয়ে আসছে। ধ্বংসের অস্ত্র হাতে নিয়ে। নাইজেলের তুলি থেমে গেছে। ক্যানভাসে নগ্ন অর্ধসমাপ্ত ছবি। মার্থার দেহপ্রতিমার পড়ন্ত সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না শিল্পী। মার্থা নিপুণ হাতে খুলে দিচ্ছে নাইজেলের টি-শার্ট, ট্রাউজার, অন্তর্বাস।……

……ধীরে ধীরে দুহাত বাড়িয়ে দিয়ে মার্থা ডাকল, এসাে।………

Please follow and like us:

Leave a Reply