আ স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

……….মধুচন্দ্রিমার রাতটি কেমন হবে তা নিয়ে বহুবার কল্পনা করেছে ফ্রিডা। পল দরজা বন্ধ করে তাকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মিষ্টি গলায় ফিসফিস করতে করতে তার জামা-কাপড় খুলবে। সে মুখে পুরে নেবে ফ্রিডার ঠোট এবং নগ্ন শরীরটি আস্তে করে টেনে নিয়ে যাবে বিছানায়, যে রকম বর্ণনার কথা গােপনে ফ্রিডা প্রতিক্রিয়ায় বইতে পড়েছে। পলের পৌরুষ দাড়িয়ে যাবে জার্মান পতাকা দণ্ডের মতাে শক্ত, মােটা এবং তার স্বামী তাকে পাঁজাকোলা করে (হাঁটিয়ে নিয়ে গেলেই বরং পলের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক হবে) তুলে নিয়ে শুইয়ে দেবে শয্যায়। মাইন গট, ফ্রিডা, বলবে সে। তােমার শরীরু আমার খুব পছন্দ হয়েছে । তুমি হাড়-সর্বস্ব মেয়েগুলাের মতাে নও। তােমার দৈহলতা পূর্ণাঙ্গ রমণীর মতাে।

তবে বাস্তবে যা ঘটল তা রীতিমতাে হৃদয়বিদারক এ কথা ঠিক যে ওরা নিজেদের ঘরে ঢােকার পরে দরজায় ছিটকিনি লাগিয়েছিল পল। তারপরে ফ্রিডার স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের কোনাে মিলনই ঘটল না। ফ্রিডা দেখছে ঝটপট শার্ট খুলে ফেলল পল, উন্মােচিত হলাে উঁচু, সরু, লোমহীন বুক । তারপর সে প্যান্ট নামাল কোমর থেকে। তার দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে নেতিয়ে থাক ছােট্ট, খত্নাবিহীন নুনু। ফ্রিডার কাল্পনিক উত্তেজক ছবির সঙ্গে এর কোনাে মিলই নেই। পল হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়, অপেক্ষা করছে স্ত্রীর জন্য । ধীরে ধীরে কাপড় খুলতে লাগল ফ্রিডা। ভাবছে সাইজই তাে সবকিছু নয়। পল নিশ্চয় বিছানায় দারুণ ঝড় তুলবে। একটু পরে শিহরণে কম্পমান বধূ তার বরের সঙ্গে যােগ দিল ফুলশয্যায় । স্বামীর কাছ থেকে রােমান্টিক কিছু শােনার অপেক্ষায় উৎকীর্ণ ফ্রিডা, পল করল কী-এক গড়ান দিয়ে তার শরীরের ওপর চড়াও হলাে, কয়েকটা ধাক্কা মেরে আরেক গড়ান দিয়ে বিচ্ছিন্ন করল নিজেকে। বিমূঢ় বধূ বুঝতেই পারল না কখন ব্যাপারটা শুরু হলো আর শেষ হলাে। শুরুর আগেই যেন ওটা শেষ হয়ে গেল। ……..

………বেচারি পল কাজে লাগতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় নার্ভাস ব্রেক ডাউনের পর্যায়ে চলে যায় যায় অবস্থা। তার ভয় ছিল অতিরিক্ত সেক্স স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাবে কিন্তু নিজ সিদ্ধান্তে অটল ফ্রিডা তাকে ছাড়ল না। ভেতরে ঢােকাও।’ হুকুম করল সে।

‘কীভাবে ঢােকাবাে?’ কাতরে উঠল পল। এটা তাে দাঁড়াচ্ছেই না।’ ফ্রিডা স্বামীর নেতিয়ে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির নুনু হাতে নিয়ে লিঙ্গ ঢেকে রাখা অগ্রভাগের চামড়া টেনে নিচে নামিয়ে নিল । কিন্তু তাতেও কিছু ঘটল না দেখে সে ওটা মুখে পুরে নিল। মাইন গট! ফ্রিডা! করছ কী তুমি?’ কিন্তু জিনিসটা দণ্ডায়মান হওয়া পর্যন্ত চুষে চলল ফ্রিডা তারপর ঢুকিয়ে দিল যােনিতে। পলের বীর্যপাত না হওয়া পর্যন্ত তাকে রেহাই দিল না।

টানা তিন মাস এরকম চলল। তারপর একদিন ফ্রিড়া তার স্বামীকে বলল, এবারে সে বিশ্রাম নিতে পারে। কারণ গর্ভবতী হয়েছে ফ্রিডা।………..

……..একদিন সন্ধ্যাবেলায়, টবির এক ক্লাসমেটের বিবাহিতা বােন, ক্লারা কুনরসের সঙ্গে টবি বাড়ি ফিরছিল গাড়িতে। স্বর্ণকেশী ক্লারা দেখতে আকর্ষণীয় ঔজাড়া ঠাস বুনােট, তার পাশে বসে টবি হঠাৎ কামােত্তেজিত হয়ে পড়ল । ভুয়ে ভয়ে সে ক্লারার কোলে হাত রাখল এবং স্কার্টের নিচে তার আঙুলগুলো কিলবিল করে এগােতে লাগল, যদিও প্রস্তুত মেয়েটা চিৎকার করে ওঠলে সে সরিয়ে নেবে হাত। তবে রেগে যাওয়ার বদলে ক্লারা আমােদ পেল ব্যাপারটিতে। আর টবি যখন প্যান্ট খুলে তার মদনদণ্ডটি বের করে আনল, এটা ভীমাকৃতি দেখে পরদিন বিকেলেই সে টবিকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানল এবং যৌন সঙ্গমে দীক্ষা পেল টবি। এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সাবান মাখাঁ হাতের বদলে টবি নরম, উষ্ণ একটি আধার পেল যে পাত্রটি তার পুরুষাঙ্গ বারবার চেপে ধরে এবং দপদপিয়ে তাকে অনির্বচনীয় সুখ দেয়। ক্লারার শীৎকার এবং চিৎকার বারবার দৃঢ় করে তুলল টবির লিঙ্গ এবং ভেজা, রসালাে, আগুন-গরম পাখির বাসা থেকে নিজেকে একবারও বিযুক্ত না করে সে একের পর এক বীর্যপাত করে চলল । লিঙ্গের অস্বাভাবিক আকৃতির জন্য এতদিন শরমে মরে যেত টবি। তবে আজ থেকে এ জিনিসটি তার পরম অহঙ্কারের বস্তুতে পরিণত হলাে। অবিস্মরণীয় এ অভিজ্ঞতা গােপন রাখল না ক্লারা, ফলে শীঘ্রি টবিকে পড়শীদের অন্তত আধডজন বিবাহিতা নারীর সেবায় নিজেকে নিয়ােজিত করতে হলাে। পরবর্তী দুবছরে টবি তার ক্লাসের প্রায় অর্ধেক মেয়ের কৌমার্য হরণ করল।……….

 

……….টবির প্রাকটিকাল জোকগুলাে কিংবদন্তিতে পরিণত হলাে। তার এক ক্যাথলিক বন্ধু একটি মাইনর অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল । অপারেশন শেষে সে যখন মােটামুটি সুস্থ হয়ে উঠছে এমন সময় একদিন এক অপূর্ব সুন্দরী তরুণী সন্ন্যাসিনী এলাে তার হাসপাতালের ঘরে। সন্ন্যাসিনী টি বন্ধুর কপালে হাত বুলাতে বুলাতে বলল, তােমার শরীর শীতল হবে, ভালাে লাগবে । তােমার ত্বক খুব নরম।’

‘ধন্যবাদ, সিস্টার।’

সন্ন্যাসিনী ঝুঁকে বন্ধুটির মাথার বালিশ ঠিকঠাক করে দিতে লাগল। তার ভরাট, নরম বুক ঘষা খাচ্ছিল বন্ধুটির মুখে সঙ্গে সঙ্গে তার পুরুষাঙ্গ দাঁড়িয়ে গেল। সন্ন্যাসিনী টবির বন্ধুর গায়ের কম্বল ঠিকঠাক করে দিচ্ছে, হাতটা ঘষা খেল শক্ত হয়ে থাকা পুরুষাঙ্গে। বন্ধুটি শরমে মরে যায় আর কী।

‘গুড লর্ড,’ বলল সন্ন্যাসিনী। কী এটা? সে কম্বল তুলে ফেলতে দণ্ডায়মান জিনিসটিকে দেখতে পেল।

‘আ-আমি খুবই দুঃখিত, সিস্টার,’ তােতলাল লােকটি আমি

‘দুঃখিত হবার কিছু নেই। তােমার জিনিসটা দারুন।’ বলল সন্ন্যাসিনী। তারপর মুখ নামিয়ে আনল ওখানে।

মাস ছয় পরে বন্ধুটি জানতে পারল ওটা ছিল টবির শয়তানী। সন্ন্যাসিনীর ছদ্মবেশে এক বেশ্যাকে পাঠিয়েছিল সে তার কাছে।………..

 

………ঘরের মাঝখানে, একটি বিছানায় শুয়ে আছে দুজোড়া নারী পুরুষ। নগ্ন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ, একজন মেক্সিকান আর মেয়ে দুটির একটি শ্বেতাঙ্গ অপরজন কালাে চামড়ার। একজন ক্যামেরাম্যান সেটে আলাে ফেলছে, একটি মেয়ে মেক্সিকানের মুখ মােহন করছে। মেয়েটি এক মুহুর্তের জন্য বিরতি দিল,হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ‘কাম অন, ইউ কক। ব্যাটা খাড়া হ।’

জিলের তখন অজ্ঞান হবার দশা! পাই করে ঘুরল ও, প্যাসেজষ্টে ধরে হাঁটা দিতে গিয়ে লক্ষ্য করল পা চলছে না। কাপছে।……

…….জিলের গায়ে ঝুঁকে পড়ল অ্যালান, ওর বুকে আদর করতে লাগল, উay হাত বুলাল, টেনে তুলছে স্কার্ট, তার আঙুলগুলাে জিলের দুই পায়ের ফাঁকে ব্যস্ত। দারুণ সুখবােধ হচ্ছে জিলের, উত্তেজনা বােধ করছে সে। হঠাৎ আয়লানকে শরীরের ভেতরে চাইল ও।………ডেভিড ওর গা থেকে কাপড়চোপড় খুলে নিচ্ছে, ফিসফিস করে ভালােবাসার কথা বলছে। তারপর ও নিজেকে পুরুষ মানুষটার সঙ্গে বিছানায় আবিষ্কার করল । নগ্ন শরীর নিয়ে এগিয়ে গেল সে জিলের দিকে। একটা উজ্জ্বল আলাে চোখ ধাঁধিয়ে দিল জিলের ।

নাও, এ জিনিসটা মুখে পুরে নাও,’ বলল পুরুষ লােকটা তবে জিলের মনে হলাে কথা বলছে ডেভিড ।

“ওহ, ইয়েস,’ জিনিসটা হাত দিয়ে আদর শুরু করল জিল তারপর মুখে পুরল । ঘরে কে যেন কী বলে উঠল ঠিক শুনতে পেল না জিল। ডেভিড ওর পাশ থেকে সরে গেল। জিলকে জোর করে আলাের দিকে ফেরানাে হলাে। চোখ আঁধানাে আলােয় চোখ পিটপিট করছে ওর। কেউ ওকে চিৎ করে শুইয়ে দিল, ডেভিড আবার চলে এলাে ওর পাশে, ওর শরীরের ভেতরে প্রবেশ করল আবার একই সঙ্গে তার পুরুষাঙ্গ মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে নিল জিল। ডেভিডকে যে ও কত ভালােবাসে। কিন্তু আলেটা ওকে বড্ড বিরক্ত করছে আর কারা যেন পেছনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। মহা বিরক্ত লাগছে জিলের। ইচ্ছে করছে ডেভিডকে বলে সে যেন ওদেরকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। কিন্তু জন্ত্র সুখের সাগরে ভাসছে জিল, ঢেউয়ের মতাে একের পর এক রেতঃপাত শুরু হয়ে গেছে তার, যেন শরীরটা ছিড়ে ফালাফালা হয়ে যাবে। ডেভিড ওকেই ভালোবাসে, সিসিকে নয়, সে ওর কাছে ফিরে এসেছে, ওদের বিয়ে হয়ে গেছে। ওরা চমৎকার একটি মধুচন্দ্রিমা যাপন করছে ।……

….চোখ বুজল ও। গায়ের ওপরের লােকটা ওর নগ্ন শরীর নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করছে। সুখ আর মজা লাগছে জিলের। আবার যখন চোখ মেলল ও, কী করে যেন পুরুষ লােকটা লালচুলাে এক নারীতে পরিণত হলাে। সেই নারী তার বড় বড় দুই বুক ঘষছে জিলের পেটে। এরপরে মহিলা জিভ দিয়ে কী যেন করতে শুরু করল। জিলের চোখ বুজে এলাে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলল সে।………

 

……….জিল কটমট করে তাকাল ফ্রেডের দিকে, নিজেকে মনে হলাে একটা বেশ্যা, ছােকরাকে খুব ঘৃণা হলাে ওর, কিন্তু চেহারায় ফুটতে দিল না ভাবটা। ও নিজের মতাে চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এখন ওদের রাস্তায় চলতে হবে। জামাকাপড়, প্যান্টি সব খুলে ফেলল ও। কাপড় খােলার ঝামেলায় গেল না ফ্রেড । প্যান্টের জিপার খুলে বের করল স্কীত পুরুষাঙ্গ । জিলের দিকে তাকিয়ে হে হে করে হাসল । তােমার পাছাটা ভারি সুন্দর। উপুড় হও।’

কিছুর ওপর ভর দেয়ার জন্য এদিক-ওদিক তাকাল জিল। সামনে দেখতে পেল লাফিং মেশিন, এটা দিয়ে নানারকম হাসির শব্দ বের হয়।

‘কী হলাে, উপুড় হতে বললাম না!

এক মুহূর্ত ইতস্তত করল জিল, তারপর কুঁকল সামনে, মেশিনের ওপর দুই হাত রেখে ভারসাম্য রক্ষা করল। এগিয়ে এলাে ফ্রেড, জিল টের পেল আঙুল দিয়ে ওর নিতম্ব ফাঁক করে ধরছে। পরমুহূর্তে মলদ্বারে ফ্রেডের লিঙ্গের ডগার চাপ খেল ও। ‘দাঁড়াও!’ বলল জিল। ওখানে না! আ-আমি পারব না।’ 

‘চেঁচাও, সুন্দরী। তােমার চিৎকার শুনতে চাই আমি।’ বলে রাম ধাক্কা মারল ফ্রেড । ভয়াবহ ব্যথায় শরীর ছিড়েখুঁড়ে গেল জিলের। ওর প্রতিটি চিৎকারের সঙ্গে গভীর থেকে গভীরে পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে দিতে লাগল ফ্রেড, নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করল জিল। কিন্তু হারামীটা ওর নিতম্ব লৌহ মুষ্ঠিতে চেপে ধরে রেখেছে আর দ্রুত চালনা করছে কোমর। ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল জিল, লাফিং মেসিনের লিভার ধরতে গেছে, আরে চাপ খেল যন্ত্রের গায়ে বসানাে কতগুলাে বােতাম। সঙ্গে সঙ্গে ঘর ভরে উঠল দানবীয় হাসিতে! নিম্নাংগে যেন আগুন জ্বলছে জিলের, শরীর কুঁকড়ে গেল ব্যথা এবং রাগে, হাত বাড়ি খেল মেশিনে। এক মহিলা খিকখিক করে হেসে উঠল, অট্টহাসি হাসতে লাগল কয়েকজন, খিলখিল হাসছে একটি মেয়ে, সেইসঙ্গে অসংখ্য কণ্ঠ বিচিত্র সব সুরে হাসতে লাগল যেন অশ্লীল, গােপন কোনো কৌতুক শুনে সবাই দারুণ মজায় ফেটে পড়েছে হাসিতে। | হঠাৎ পেছনের শরীরটা অতি দ্রুত বার কয়েক ঝাকি খেল তারপর ওর ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা মাংসখণ্ডটি বের করে আনা হলাে। ঘরের হাসিও আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে এলাে। জিল ওভাবেই রইল, চোখ বন্ধ, ব্যথা সইবার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। অবশেষে সিধে হয়ে দাঁড়ানাের শক্তি সঞ্চয় করল ও। ঘুরল। ফ্রেড প্যান্টের ফ্লাই লাগাচ্ছে।

‘তুমি দারুণ, সুইট হার্ট । তােমার চিৎকার আমাকে সত্যি উত্তেজিত করেছে।’………..

……….বিছানায় জিল যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তা এক কথায় ফ্যান্টাসি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সে কাজটা করে, এ জন্য প্রস্তুত করে নেয় নিজেকে যেন অভিনয়ে অংশ নিতে যাচ্ছে।…….জিল তার বিছানার প্রেমিকদের ধীরগতিতে তবে অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সাথে ম্যাসেজ করে দেয় গা! ‘শুয়ে ভাবতে থাকো আমি তোমার শরীর নিয়ে কী করছি।’ ফিসফিস করে বলে সে। স্টুয়ার্ডেসের দেয়া লেশনটি সে লােকটার বুকে মাখে, সেখান থেকে চলে আসে পেটে, তারপর আঙুলের ডগা দিয়ে ছােট ছােট বৃত্ত আঁকতে আঁকতে হাত চলে যায় কুঁচকিতেচাখ বােজো এবং উপভােগ করাে।’

জিলের হাতের আঙুল যেন প্রজাপতির ডানার মতো হালকা, লােকটার সারা শরীরে মসৃণ ছন্দে উড়ে বেড়ায় । যখন উত্তেজিত্সুয়ে পড়ে লােকটা, তার ক্রমে দণ্ডায়মান পুরুষাঙ্গ হাতের মুঠোয় নিয়ে হস্তধৈন করে দিতে থাকে জিল, জিভ বােলায় লােকটার দুই পায়ের মাঝখানে আঁয় সে সুখে কেঁপে ওঠে বারবার। একদম পায়ের আঙুল পর্যন্ত জিভ দিয়ে আদর করে যায় জিল। তারপর লােকটাকে উপুড় করে শােয়ায় সে এবং পেছন থেকে আবার শুরু করে একই প্রক্রিয়া।…….

কারও পুরুষাঙ্গ যদি ঘুমিয়ে থাকে, জিল লিঙ্গের নেতানাে ডগাটা তার যােনির দুই ঠোটের মাঝখানে ঢুকিয়ে দেয়। টের পায় আস্তে আস্তে ওটা মােটা এবং শক্ত  হয়ে উঠছে। যখন কারও বীর্যপাত হবার উপক্রম হয়, চূড়ান্ত মুহূর্তের সময়ে তাকে থামিয়ে দেয় জিল। এভাবে কয়েকবার করে সে। তারপর যখন ওই লােক বীর্যস্থলন করে, অবিশ্বাস্য সুখ অনুভব করে সে। সহকারী পরিচালক, প্রযােজক এদেরকে যে যৌনানন্দ দেয় জিল তার তুলনায় সে ফিল্মে যেসব চরিত্রে অভিনয়ের সুযােগ লাভ করে তা নিতান্তই গৌণ। শহরে ইতােমধ্যে তার নাম হয়ে গেছে ‘রেড-হট পিস অব অ্যাস।’ সবাই তার যৌবনের স্বাদ নেয়ার আশায় উন্মুখ। আর জিল তাদেরকে বঞ্চিত করে না। কিন্তু প্রতিবার শরীর বিলােবার পরে এ লােকগুলাের প্রতি তার ঘৃণা ও তিক্ততা বেড়ে চলে।……….

 

………দুজনের কেউ জানে না প্রথমে কে সাড়া দিয়েছিল। শুরুটা হয়েছিল ধীর গতিতে, মৃদু পদক্ষেপে, ভদ্রজনােচিত আচরণে, তারপর রূপ নিল সংবেদনশীলতায়, পাশবিক চাহিদায় । ক্ষুধার্তের মতাে একে অন্যকে চুমু দেয় ওরা, জিলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে থাকল টবি। জিল টের পেল টবির কঠিন পৌরুষ ওর শরীরে চেপে চেপে বসছে। টবিকে ও এ মুহূর্তে দারুণভাবে চাইছিল । টবি ওর জামাকাপড় খুলে নিচ্ছিল, বিবস্ত্র হতে নিজেই টবিকে সাহায্য করল জিজেন্ধকারে নগ্ন শরীরে জিলের পাশে এসে দাঁড়াল টবি, দুজনের মধ্যেই পরস্পরলৌবার তীব্র ব্যাকুলতা। মেঝেয় শুয়ে পড়ল ওরা। টবি জিলের শরীরে প্রবেশ করল, তার ভীমের গদার মতাে মুগুরের আঘাতে আর্তনাদ করে উঠল জিল, সঙ্গে সঙ্গে টবি পুরুষাঙ্গটা বের করে নিতে চাইল । কিন্তু বাধা দিল জিল। টবিকে আকর্ষণ করল নিজের দিকে, দুহাতের নাগপাশে বন্দি করল ওকে। তারপর ওর সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করল টবি, ওকে ভরিয়ে দিল তীব্র সুখ । প্রচণ্ড সুখে জ্ঞান হারাবার দশা হলাে জিলের । সে  চিৎকার করছিল ‘লাভ মি, টবি! লাভ মি! টবির শরীর জিলের দেহের গভীর থেকে গভীরে ঢুকে যেতে লাগল, এ সময় দুজনে এক হয়ে গেল।…..

..আবার ম্যাসেজ শুরু করে দিল ও। ওর হাত চর্বির হাঁটু ছুঁয়ে ক্রমে ওপরের দিকে উঠতে লাগল। নরম, উত্তেজক স্পর্শে পুরুষই জড়িয়ে যাচ্ছে টবির।

‘ওহ, জীশাস! গুঙিয়ে উঠল সে।  জিলের হাত টবির কুঁচকি স্পর্শ করবির লিঙ্গ আরও শক্ত হলাে। টবির দুপায়ের ফাঁকে হাত চালিয়ে দিল জিল, একটা আঙুল ঢুকিয়ে দিল পায়ুপথে। সঙ্গে সঙ্গে লৌহদণ্ডে পরিণত হলাে টবির ভীমদণ্ড। ‘জলদি, বেবি,’ বলল টবি ‘শিগগির আমার ওপরে উঠে বসে।……….

Please follow and like us:

One thought on “আ স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর – সিডনি শেলডন

Leave a Reply