সুদূর ঝর্নার জলে – নীললােহিত – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

পৃ-৩১

…….বিকেলের দিকে পল, আবার এলাে। এবার তার সঙ্গে অন্য একটি মেয়ে। এর বয়েস পচিশ-ছাব্বিশ, বেশ লম্বা, হলুদ রঙের স্কার্ট আর ব্লাউজ পরা। ব্লাউজের সামনের দিকটা এতখানি ভােলা যে সােজাসুজি তাকাতে লজ্জা করে।……….

পৃ-৭৬ঃ

…….বারবারা যা পােশাক পরেছে, তাকে পােশাক না বলে পােশাকের অছিলা বলা যায়। ড্যানি পরেছে একটা শর্টজ আর খালি গা। বারবারারও খালি গা-ই প্রায়, শুধু ফিতের মতন একটা ব্রা-তে প্রগলভ স্তন দুটিকে আটকে রাখার চেষ্টা। …….

পৃ-১১৭ঃ

…….আণ্টি আইমার সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে একজনের সঙ্গে নাচ শুরু করেছে, যাদের জ্ঞান আছে এখনাে, তারা হাততালি দিচ্ছে। ফ্রিজ থেকে খানিকটা বরফ আনবার জন্য আমি উঠে গেলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ডােরি। ওরও বেশ নেশা হয়েছে। চোখ দুটি চকচকে, ধারালাে নাকটি দামাস্কাসের ছুরির মতন খাড়া হয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাে, “কি, কেমন লাগছে?

জড়ানাে গলায় বললাম—গ্রেট! এভরিথিং ইজ গ্রেট!

ডােরি ওর ডান হাতটা উচু করে বগলটা দেখিয়ে বললাে, এখানে একটা চুম দাও।’ ঐ জায়গাটা যে চুম, খাওয়ার পক্ষে একটা আদর্শস্থান, এটা আর কারকে বলতে শুনিনি। ওকে খুশী করার জন্য সম্পর্ণে আলিঙ্গন করে সেখানে একটা চুমু দিলাম। ডােরি খিলখিল করে হেসে উঠলাে। ওর বগলে পাউডার, সেণ্ট আর ওর ঘামের গন্ধে আমার মাথাটা যেন ঘরে উঠলাে! আমি চোখ বড় বড় করে ডােরির দিকে তাকালাম। ওর বুকের জামাটা এতখানি কাটা যে সবই দেখা যায়। সেখানে আমার মুখ নামাতেই ও বললাে, এসাে , হাত ধরে আমাকে নিয়ে এলাে পাশের ঘরে। বিছানা পাতাই ছিল। তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ডােরির পােষাকটা খুলে ফেলা অত্যন্ত সহজ কাজ, কেননা সব কিছুই প্রায়-খােলা, তু, আমি এমন টানাটানি করতে লাগলাম যেন ছিড়েই যাবে : ডোরি শুধু খিলখিল করে হাসছে। ওর শরীরটা দারণ উত্তপ্ত। আমি পাগলের মতন ঝুকে পড়লাম ওর ওপরে, ওর চোখের দিকে চোখ গেল, যেন নীল আলো বেরচ্ছে… সামনেই একটা ড্রেসিং টেবলের আয়না। তাতে আমার মুখটা দেখলাম। এ কে? এ কি সেই আমি আমার মুখখানা একটা জন্তুর মতন দেখাচ্ছে। আমি ডােরির বুকের ওপর শুয়ে আছি।……

পৃ-১২০ঃ

……….বাবাবা কান্না থামিয়ে সােজা আমার দিকে তাকিয়ে বললাে—ইউ ওয়ান্ট টু হ্যাভ মী? হ্যাভ কথাটার কতরকম মানে হয়। আমি যদিও পৃথিবীর হ্যাভ নটসদের দলে, তবু এখানে এই সহজতম বাক্যটি শুনে আমার সারা গায়ে একটা শিহরণ বয়ে গেল। বারবারার দ্বিগুণ আকারের শরীর, অথচ বেঢপ নয় সুগঠিত বুক ও ঊরু—আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতন তাকিয়ে রইলাম।……….

পৃ-১৩১ঃ

…….আস্তে আস্তে খুলে দিলাম ওর জামা ও স্কার্ট। লাজুকভাবে ও আমার বুকে মুখ ডুবিয়ে রেখেছে। ঠিক যেন একটা শিশু। চুমুতে ভরিয়ে দিলাম সারা দেহ। আবার বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চট করে রান্নাঘরে চলে গেলাম শ্যাম্পেনের বােতলটা আনতে। ফিরে এসে দেখি ও পিছন দিকে মুখ ফিরে তাকিয়েছে। চমকে উঠলাম। ও যেন মানুষ নয়, একটা ছবি। ……

Please follow and like us:

Leave a Reply