গুপ্তচর সিরিজ – অলোক বারী

›› পেপারব্যাক  

গুপ্তচর-০৭ঃ

…….সীমার হাত দুটো অন্ধকারে পােশাকহীন করল বাকারকে। বাকার নিশ্চপ, নিঃসাড়।

“এবার তােমার পালা।”

বড়ই রহস্যময়ী সীমা। অস্ফুটে বাকার উত্তর দিল, “তুমি শােও, সীমা। তুমি শুয়ে পড়াে। আমি উঠি।”

“আচ্ছা।”—সীমা উচ্চারণ করল ফিসফিস করে। সীমা লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল। বাকার উঠে বসল। বাকার সীমার গায়ে হাত দিল। প্রথমে শাড়ী, তারপর ব্লাউজ, তারপর ব্রেসিয়ার, তারপর সবশেষে পেটিকোট। | সীমা কাপছে। সীমা কথা বলতে পারছে না। সীমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। সীমার শরীরে রক্ত ছুটছে। রক্তে ঝড় উঠেছে। জ্বালা, কী আনন্দময়, অসহ্য জ্বালা। সীমার শরীরে শিহরণ। সীমা কাঁপছে। থরথর করে কাঁপছে নরম তুলতুলে দেহটা।

বাকার শুয়ে পড়ল। সীমার বুকে মুখ রাখল বাকার।

ভরাট স্তন। বাকারের মুখ গিয়ে ঠেকল সেখানে। | শির শির করে উঠল সীমার সর্বদেহ। বাকারের মাথাটা আকর্ষণ করল সীমা। নীচের দিকে, নিজের বুকের দিকে।

আরাে অনেক, অনেক পরে সীমা চাপা কণ্ঠে বলে উঠল হাঁপাতে হাঁপাতে, “আহ, রাজা। আমার রাজা। আর পারি না.••••শেষ করাে, প্লিজ.•••••শেষ করাে !”……

………রাত আর বেশী বাকী নেই। বাকারের ঘুম ভাঙল। চোখ মেলে তাকাবার আগেই ও বুঝতে পারল সীমা ওকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রয়েছে। চোখ মেলল বাকার। সীমাকে ও ধরে আছে। সীমা ওকে ধরে আছে। বাকারের মুখ সীমার বুকে। দুজনাই আবরণহীন। একটি চাদরের নীচে দুটি নগ্ন দেহ। একটি যুবক। একটি নারী। ধীরে ধীরে সীমার বাহু বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করল বাকার।……

…….সীমা চোখ মেলে তাকাল। তারপর ধড়মড় করে উঠে বসল বিছানার উপর। বসেই বলে উঠল, “তুমি উঠে পড়েছ..!”—হঠাৎ অপরিসীম লজ্জায় থমকে থেমে পড়ল সীমা। ধড়মড় করে উঠে বসার সময় ওর মনে ছিলনা যে ও সম্পূর্ণ নগ্ন। চাদর গায়ে ছিল, উঠে বসতেই চাদরটা খসে গেছে গা থেকে।

বাকার কয়েক মুহূর্তের জন্যে দেখতে পেল সীমার ধবধবে ফর্সা শরীর, উন্নত স্তন, তাতে বাকারের কামড়ের দাগ। | চাদরটা তুলে নিয়ে দ্রুত শরীর ঢাকল সীমা।………

গুপ্তচর-০৮ঃ

……..বাকার ডলির আপাদমস্তক দেখে নিল আর একবার। মাংসল পা দুটো দেখা যাচ্ছে। উরুর অর্ধেকটায়ও কোনও আবরণ নেই। বাঙালী যুবতীর উরুর স্বাস্থ্য এমন হয় না, বাকার মনে মনে প্রশংসা করে পারল না। ডলি ফর্সাই ছিল, বিদেশে থেকে দুধের সাথে আলতা মেশানো রঙয়ের মতাে করে এসেছে গায়ের রং। আঁটসাট সার্টের ভেতর থেকে ফেপে ওঠা স্তন দুটো নজরে না পড়ে যায় না। | ‘তবে তুমি ওখানেই দাড়িয়ে থাক!’—কৃত্রিম রাগে রেগে উঠে ঘুরে দাঁড়াল ডলি। বাকার হঠাৎ বুঝতে পারল ডলির এটা একটা চাল। কামিনী আসলে নিজের পিছনের শারীরিক সম্পদ দেখাতে চাইছে। ডলির যুগােল নিতম্ব দুটো ঢেউয়ের মতাে তােলপাড় তুলল। বাকার অপলক চোখে তাকিয়ে রইল সেদিকে।………

……..বাকার ডলির ঠোট জোড়ায় চুমু খেল। ডলি বাকারের সার্টের ভিতর দিকে হাত ঢুকিয়ে বগলের দুই পাশে চাপ দিতে দিতে বললে –“আমার সব ভয় তুমি দুর করে দিয়েছ, বাকার। ভয় হয়েছিল, তুমি আমাকে পাত্তা দেবে না।

‘বােকা মেয়ে, নিজের প্রেমের সততার ওপর সন্দেহ করলে ঠকতে। হয়।’—বাকার আকর্ষণ করল ডলির সম্পদশালী দেহটাকে।

‘কথা দাও আজ রাতে আমার সাথে কাটাবে ?-ডলি খিলখিল করে হেসে উঠল কথাটা বলেই।

‘কথা দিচ্ছি আজ রাতে আমি আমার প্রেমিকার বুকে শুয়ে শুয়ে নানারকম খেল-তামাসা দেখাব।’—বাকার হাল্কা রসিকতা করল। তারপর ডলির মিনিস্কাটের ফাস খুলতে খুলতে ও হাসল। হঠাৎ ডলি কৃত্রিম কোপে বলে উঠল “এই! কি হচ্ছে !

‘আমাকে সাহায্য করাে, প্লিজ।

ডলি মিনিস্কার্ট খুলে ফেলল। বাকার ওকে আকর্ষণ করে নিয়ে গেল খাটের ওপর। গায়ের সার্টও খুলে দিল ও ডলির। লাফিয়ে বেরিয়ে পড়তে চাইল ব্রেসিয়ারের ভিতর থেকে একজোড়া সুন্দর এবং ভরাট স্তন। সম্পর্ণ আবরণহীন ডলিকে চিৎ করে শুইয়ে দিল বাকার খাটের ওপর।

‘তুমিও কাপড় খােলো।’—ডলি আদেশ করল। ‘জো হুকুম, মহারাণী।

বাকার প্যান্ট-সার্ট খুলে শুয়ে পড়ল ডলির সুন্দর দেহের পাশে। বাকারের হাত দুটো গিয়ে হাজির হলাে বুকের দুই গােল মাংসপিণ্ডের মাঝখানে।

‘আমাকে আদর করাে, বাকার।’—কথাটা বলে খিলখিল করে হেসে উঠল ডলি। তারপর বলল-“আশ্চর্য, তাই না? কিন্তু সত্যি সত্যি আমায় এতােটুকু লজ্জা লাগছে না। জীবনে এই প্রথম কোনাে পুরুষের সামনে সম্পূর্ণ আবরণহীন দেহে শুয়েছি আমি। অথচ লজ্জা পাচ্ছি না। তােমাকে আমি কতােটুকু ভালবাসি বুঝতে পারছ, বাকার?

বাকার হাসল শুধু। কথা বলল না। ওর একটা হাত ধীরে ধীরে নামতে লাগল ডলির ফর্সা গা বেয়ে। বুক থেকে পেটে, পেট থেকে তলপেট, তলপেট থেকে আরাে নীচে। বাকার চুমাে খেল ডলিকে। ডলি সাড়া দিল। বাকারের তলপেটের নীচে নেমে যাচ্ছে ডলির একটা হাত। চোখ বুজল ডলি। বলল,-“বাকার! এবার আমার সত্যি লজ্জা লাগছে।’

‘লজ্জা পেও না, আমি তােমাকে স্বর্গে পৌছে দেব আজ।’ বাকার ডলির বুকের স্তনে মুখ রাখল। শিরশির করে উঠল ডলির সারা গা। কেঁপে উঠল ও। বাকার বাঁ দিকের ভরাট গালের লাল রঙের ফুলে ওঠা নরম তুলতুলে সুন্দর মাংস মুখের ভিতর পুরাে নিয়ে চুষতে আরম্ভ করল।

‘ওহ ! মাগাে…বাকার !…ওহ,-এই-ই-ই-মাগাে !’—ডলি আনন্দের আতিশয্যে চিৎকার করতে শুরু করল। বাকার বলল ‘তোমাকে দেখবার সাধ হয়েছে হঠাৎ আমার।’

‘দুষ্ট, পাজী!—ডলি খাটের উপর থেকে নামল নীচে, বেশ, দেখে মন ভরে।’

ডলি ভারী দুই নিতম্ব দুলিয়ে রুমের মেঝের উপর দিয়ে ধীর পদক্ষেপে হেটে গেল বাথরুমের বন্ধ দরজার দিকে। দরজা খুলে বাথরুমের ভিতর অদৃশ্য হয়ে যাবার আগে ঘাড় ফিরিয়ে বাকারের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপল ডলি। তারপর দরজা বন্ধ করে দিল ভিতর থেকে।

ডলি বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দেবার পরই বাকার খাট থেকে নেমে পড়ে প্যান্ট সার্ট পরে নিল। জুতাে জোড়া পরা শেষ করে সিধে হয়ে উঠে দাড়াতেই সশব্দে খুলে গেল বাথরুমের দরজা।

দু’পা ফাঁক করে দাড়িয়ে আছে ডলি। সম্পূর্ণ উলঙ্গ। ওর সারা মুখে রহস্যময় একটুকরাে হাসি লেপটে রয়েছে। বাবার তাকিয়ে রইল ডলির দিকে। ডলির হাতে ধরা একটা লগার পিস্তল।

ডলি পিস্তলটা বাকারের বুক লক্ষ্য করে ধরে রেখেছে। 

বাকার হাসল। বলল-“কি ব্যাপার? নাটকের অবতারণা। নাকি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে পিস্তল ধরলে কেমন দেখায় তাই জানতে চাও? যদি জিজ্ঞেস করাে তাহলে বলব, বড় সুন্দর মানিয়েছে তােমাকে ডলি। অমন কদলী কাণ্ডের মত উরু, জংঘা, স্তন—অপূর্ব!’………..

……….রাত বারােটা। যুবতীটির বিছানায় শুয়ে আছে। ঘুম আসছে না ওর। মাঝে মাঝে কান পেতে কি যেন শােনার চেষ্টা করছে। বিছানায় নরম তুলতুলে দেহটা নিশপিশ করছে থেকে থেকে। যুবতীর বয়েস বিশ বাইশ হবে। ভরা যৌবন। দেহ উপচে পড়ছে রূপ। সুগঠিত দুই স্তন। সুগােল নিতম্বদ্বয়। ফর্সা রঙ গায়ের। যুবতীর পরনে পাতলা নাইলনের গাউন। বাইরে থেকে স্পষ্ট দেখা যায় বুকের স্তনরেখা, নিতম্বের খাজ, উরুদ্বয়ের গঠনরেখা।……

…….হােটেল থেকে বেরিয়ে গাড়ীতে উঠল ওরা। ড্রাইভিং সিটে বসল ডেভিড। জন বসল ডবকার সাথে পিছনের সীটে। রায়হান বসল ডেভিডের পাশে। গাড়ী ছুটে চলল তীব্রবেগে। ওদের সকলের মুখে স্বস্তির চিহ্ন এবং উজ্জ্বল হাসি।

ডবকার উরুতে হাত রেখে টিপতে শুরু করল জন। অপর হাতটি দিয়ে ডবকার উন্নত স্তন দুটো মর্দন করতে শুরু করল সে। ডবক। জনের প্যান্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মুঠো করে ধরল বিশেষ একটি জায়গা, ক্রমশ কঠিন হয়ে দাড়ালাে অঙ্গ।………

…..বাকার দেখল দুজন নিগ্রো টেনে হিচড়ে ডলিকে নিয়ে এগিয়ে আসছে ওর দিকে। ডলি ধস্তাধস্তি করছে ওদের সাথে। ডলির পরনে নামে মাত্র পােসাক। স্তন দুটো উন্মুক্ত। ………

গুপ্তচর-১২ঃ

……রুমের ভিতর ঢুকল বাকার যুবতীর পিছু পিছু। যুবতীর বয়স আঠারাের বেশী হবে বলে মনে হলো না বাকারের। সুগঠিত নিতম্ব। হাঁটার সময় ঢেউ খেলে।……..

……….বাকার রুমের ভিতর ঢুকে পড়ল। সােহান দরজা আবার লাগিয়ে দিয়ে বাকারের দিকে তাকাল। সােহানা ব্লাউজ পরেনি এখনও। পেটিকোট পরেছে। কিন্তু নীল রঙয়ের একটি শাড়ী দুই হাতে ধরে বুকের সামনেটা আড়াল করেছে ও। তাহলেও দেখা যাচ্ছে ব্রেসিয়ার ঢেকে রেখেছে যে বিশাল দুই স্তন তার কিনারা।……

 

Please follow and like us:

Leave a Reply