সুন্দর অপমান – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..সে সাঁতরে কলসি ধরে ফেলে। তারপর কলসিতে জল নিয়ে মাথায় করে হাঁটে। আগে কুসম। সে পিছনে। ভিজা শাড়িতে কুমের শরীর টগবগ করে ফুটতে থাকে—নিতম্ব এত ভারি হয় মেয়েদের, কুসুমকে ভিজা শাড়িতে না দেখলে টেরই পেত না। পায়ে রুপাের মল, শাড়ি সামান্য উঠে গেছে। সাদা ডিমের মতো ঊরর কাছাকাছি সব সৌন্দর্য তাকে বিভাের করে দেয়।….

….লতিকা কিছুটা লজ্জায় পড়ে গিয়ে বলল, কি দেখছেন। লতিকা বউদি তুমি বড় সুন্দর। তােমার সব কিছুই খুব সুন্দর, তাই না!……এ কি অসভ্য কথাবার্তা। মাথার সত্যি ঠিক নেই, হট করে চলে এসেছে, তার তাে আসার কথা নয়। সাহস পেলে আরও কিছু, যে করে বসবে না কে জানে। লতিকার সুন্দর জিনিসগুলি নেড়েচেড়ে দেখলে তার খুব ভাল লাগবে এমনও বায়না করতে পারে।….

…..রুপাতাে বিয়ের ফলশয্যাতেই তাকে কেন যে অসভ্য বলেছিল বােঝে না। সে রপার বুকে হাত দিতেই কি ক্ষোভ! হাত সরিয়ে দিয়েছে। বলেছিল, তুমি খুব অসভ্য। আমার লজ্জা করে।….

…..লতিকা বউদির হাতে নাইলনের কারুকাজ করা ব্যাগ। খােপায় লাল গােলাপ। টান টান শরীর। শরীরের ভাঁজ খুবই প্রকট। সে লতিকা বউদির শরীর বাঁচিয়ে হাঁটছে । বাজারে ঢুকতে বেশ ভিড়।…..

…..বাজা মেয়ের শরীরে গরম বেশি না কম সে জানে না তবে দাদাবাব, যে কাহিল হয়ে পড়ে বুঝতে কষ্ট হয় না। বউদির যা শরীর, দাদাবাবর পক্ষে সামলানােই দায়। বউদির পাশে দাদাবাবুকে বড় বোপা লাগে।…..

Please follow and like us:

Leave a Reply