জেমস হ্যাডলী চেজ রচনা-সমগ্র ৩

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

নেভার সে গুডবাই

…….চেট কীগান। খাই খাই চেহারার ছুড়ীদের ভীষণ পছন্দ করে। মেয়েদের ফাদে ফেলার উপযুক্ত জায়গা হল বিউটি কম্পিটিশন। শীলার বুক, পাছা ও কোমর সবই কীগ্যানের চোখে সুন্দর।…….লম্বা ছিমছাম চেহারা, একটা ঔজ্জ্বল্য আছে শরীরে, ভরাট লাল ঠোট, নীল দুটি চোখ বড়াে বড়াে। শীলা যে এর আগে কোন পুরুষের সঙ্গে এক বিছানায় শোয়নি সেটা চেট কীপ্যান জানে ।…………

………কীগ্যানের মতে, ধর হাতুড়ী মার পেরেক। মেয়েদের বিছানায় তােলার আগে পটাতে হয় সেটা সে বিশ্বাস করেনা। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মালকড়ি খরচ করে, ধীরে ধীরে বরফ গলানাে কীগ্যানের পােষায় না। মেয়ে মানুষের ইচ্ছে হয়, সে তোমার সঙ্গে শােবে। ব্যস ব্যাপার মিটে গেল। শীলা একটা সাদা ব্রা আর সতীর লাল টাইট ফিটিং গ্যাস পরেছে। বারের ওপর বুকে একটা জলপাই তুলতে গেল শীলা ।

কীগান আর নিজেকে আয়ত্তে রাখতে পারলাে না। সে শীলার প্যান্টের কোমরের ইলাস্টিক ধরে টান দিল। প্যান্টে বােতাম নেই, ইল্যাস্টিক ধরে টানলেই প্যান্টের মধ্যে হাত ঢােকানাে যায়। কীগ্যানের আঙ্গুল এখন শীলার প্যান্টের তলায়, নরম থলথলে পাছা দুটো টিপছে।

শীলা এক লহমার জন্য হতভম্ব হয়ে গেল। কি রে বাবা!অপরিচিত একটা লােক তার প্যান্টের ভেতর হাত ঢুকিয়ে পাছা টিপছে! ব্যাপারটা বুঝতে শীলার একটু সময় লেগে গেল। ভয়ে তার বুকের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।………….

……..যে সব মেয়েদের বয়স চব্বিশের নীচে আর দেখতে খুব সুন্দর, এমন ধরনের মেয়েকে ক্লাবে রাখা হয়েছে। তাদের কেউ বেশ্যা, কেউ হাফগেরস্ত-যারা এখানে আছে উত্তেজনার লােভে। ওদের পেছনে যে পুরুষ লাগতে যাবে তাকে অতি সহজেই ওরা শায়েস্তা করতে পারে।

ওদের পােষাক বুকে এক টুকরাে ব্রেসিয়ার ঢাকা অথচ মেয়েলি বুক যতটা দেখানাে যায় এমনই ধরনের ব্রেসিয়ার। হাফ-প্যান্টের চেয়েও ছােট সিল্কের প্যান্টি, নাভির নীচে পরে। পায়ে সােনালী রঙের হাই হিল জুতাে, সার্জিকেল টেপ দিয়ে আঁটা ফুল নাভিদেশ আর ওদের প্রত্যেকের প্যান্টের পাছায় বড় বড় অক্ষরে ছাপা শ্লোগান।…………

জাস্ট এ মােমেন্ট

………ও শুধু বিস্ময়ে হতবাক হয়ে হা হয়ে সেই নারীকে দেখছিল। যে নারীর প্রতিটি মাংসপিন্ডের টুকরাে টুকরােয় মধুর ভাণ্ডার। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শুধু অপরূপ সুন্দরের অজস্র রসের শাখা-প্রশাখা। দেখতে দেখতেই ঠাণ্ডা মেরুদণ্ড উত্তপ্ত হয়েছিল। কী এক অনাস্বাদিত কামনাবাসনা কিলবিল করে নড়েচড়ে বেড়াতে শুরু করেছে দেহের শিরা-উপশিরায়।……….

……..না শুনলে বিশ্বাসই হােত না যে ওই সুন্দর দেহের মধ্যে কণ্ঠটি এমন বিচ্ছিরি। কিন্তু ন্যাশের কানে তাও যেন মধুবৰ্ষণ করছিল। তখন ওর শুধু একটিমাত্র ইন্দ্রিয়ই কাজ করে চলেছে। কীরূপসী, কী বাহারি চেহারা, চব্বিশ পচিশের তন্বী যুবতী। ডেস্টারের থেকে কম হলেও বছর পনেরাের ছোটই হবে। তামাটে রং, রেশম চুল, ঘাড় পর্যন্ত ছড়ানাে। দেহের রঙ মাখনের মতাে স্নিগ্ধ। লালসাবিলােল দুটি সবুজ চোখ, সবুজের সমারােহ। গলাবন্ধ আঁটোসাটো পােষাকে সুউন্নত স্তনযুগল। আরাে প্রকট, আরাে নিটোল। সরু কটিবন্ধে একটিমাত্র সােনার চেন ছাড়া গায়ে কোন অলঙ্কার নেই। না থাকুক, কিনা থাকলেও মােহরী, মনােহারিণী।ক্ষুরিত নাসারজের নিচে পাতলা রক্তিম অধর পাকা বেদানার ন্যায় টসটস করছে। দেখে দেখে ন্যাশ ইফিয়ে ওঠে।……

……….মিসেস ডেস্টার তখন হাসির গমক তুলে এগিয়ে গেছে ঘর সংলগ্ন বার-এর দিকে। ঘরের মৃদুমধুর নিয়ন আলােয় তার দেহের খাঁজে লুকোচুরি খেলা। ভারী নিতম্ব আরাে ভারী দেখাচ্ছে। আর ন্যাশের দেহে আদিম এক বাসনা মৃদু জলতরঙ্গের ন্যায় শিন শিন্ করতে লাগল। দেহ যত দোলে হৃৎপিণ্ডের ফান তত বাড়ে। বাড়ে প্রতিজ্ঞা। শােফারের কাজটা যেন ওর চাই-ই চাই। ওকে ওই দেহের কাছাকাছি থাকতেই হবে। হ্যা, থাকতেই হবে।……..

…….ইতিমধ্যে মিসেস ডেস্টার দেয়াল আলমারি থেকে ব্রান্ডির বােতল তুলে এনেছেন। তা থেকে গ্লাসে মদ ঢেলে নিয়ে একটু হেলে প্রশস্ত টেবিলে কনুইয়ের ভর রেখে দাঁড়ালেন,ডানদিকের বুকের কিছুটা এমনভাবে উচিয়ে রইল যে, ন্যাশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসতে লাগল।….

………ন্যাশের যেন কোন তাড়া নেই। রিং-মাস্টার যেমন বাঘিনীকে খাচায় পুরে নাচায় তেমনি মিসেস ডেস্টাবের লম্ফঝম্ফ দেখে নিজের দু’পা নাচাতে নাচাতে ধোয়া ছাড়তে লাগল। আর তারিয়ে তাবিয়ে তন্বী যুবতীর চুল থেকে আরম্ভ করে সমস্ত পিলউপত্যকা লেহন করতে লাগল। যত ঝাঝ তত মজা। বহুদিন ও এমন ঝাঝালাে সুরার স্বাদ পায়নি।……

……..গ্লোরী পুরুষের ভালবাসার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল অনেকদিনই, কিন্তু একদিন ছিল যখন আয়নার সামনে দাড়িয়ে ওর দীঘল কালাে কেশ বিন্যস্ত করত, দুটি আয়ত চোখে সুদুরের আহ্বান ছড়িয়ে দিত, চিকণ নাসারন্ধ্র স্ফুরিত হতাে, পাতলা দুটি গােলাপ রাঙা ঠোট পুরুষের কামনাকে উস্কে দিত, পীনােম্নত বক্ষযুগল পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তুলে ছাড়ত। স্কার্টের নিচে সুডৌল পদযুগল পুরুষের বুকে দামামা বাজাত, তখন গ্লোরী অনতিক্রম্য কোন উতঙ্গ শিখরদেশের অহমিকায় আপ্লুত হতাে।……

………নিনা জানালার খিলানে মাথা রেখে কাৎ হলাে। নিটোল পীনপয়ােধর তীরের ফলার ন্যায় তী হয়ে উঠল। দেখে ন্যাশের বুকের ভেতর শিরশির করে উঠল।……

সেফার ডেড

………ঢারিয়ান ক্লাব। মৃদু আলােয় উপচে পড়া ভীড়। রিসেপশনিটের লাে কাট ফ্রক হাঁটুর উপরে। সামনের বুকটা অনেকখানি উম্মুক্ত, বুকের স্বেতপদ্ম দুটি প্রস্ফুটিত, ঘ্রাণ নিতে ইচ্ছে করে।….

শ্যাডাে শ্যাডাে বিউটি

………ইনা সােমেকারের কথামত উঠে দাড়াল। মেলভিন তার পেছু পেছু গেল। গত দু-রাত্রি তারা পরস্পরের সঙ্গে মিলেছে। ইনার রুদ্ধ যৌন বাধ-ভাঙা বন্যার মতাে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল মেলভিনকে।

ইনা নিজেও ভেসে গিয়েছিল। কিন্তু ইনা আর হেলেনায় অনেক তফাৎ। সত্যি মিথ্যে যাই মােক হেলেনা তার অতীত জীবনের অনেক কথাই বলেছিল। ইনার মুখ থেকে কিন্তু একটা কথাও বেরােয়নি। ইনা শুধু তার বর্তমানের দুঃসহ এবং বিকৃত জীবনটার কথাই বলেছে।

সােমেকার তার নারীদেহটাকে নিয়ে পৈচাশিক উল্লাসে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। নগ্ন দেহটার ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার চালায়। স্তন, জঙঘা, উরুদেশে নখরাঘাত করে। ফুটে ওঠে রক্তের ক্ষীণ লেখা। লালসার দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করে সােমেকার।……..

Please follow and like us:

Leave a Reply