সঙ্গিনী সুন্দরী – আবু কায়সার

›› পেপারব্যাক  

…….‘তুমি যখন প্লীজ শব্দটি উচ্চারণ করে তােমার ঠোট দু’টি তখন যেন চুম্বনের আমন্ত্রন জানায়।’ বলতে বলতে নিজের মুখটা আবার লিণ্ডার মুখের ওপর নামিয়ে আনে করিম। লিণ্ডা যেন প্রতিরােধ শক্তি হারিয়ে ফেলে। মনে হয় সুগঠিত শ্যামবর্ণ মুখখানা তার ভালাে লাগছে। ত্বকের ওপর একটি হাতের স্পর্শ তার দেহের মধ্যে সঞ্জার করে অনন্য আনন্দ। পামগাছের কাণ্ডে নিজের একটি হাত সজোরে চেপে রেখে মনের উচ্ছাসকে যেন ঢেকে রাখতে চাইছে লিণ্ডা। ইচ্ছে হচ্ছে, দু’টি হাত আলতােভাবে রাখে ওর বলবান, চওড়া কাঁধের ওপর। আঙুলগুলাে নিসপিস করছে ওর শরীর স্পর্শ করার জন্য। করিম ওর সর্বাঙ্গে যেন জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে আজ। ভাবতে ভাৰতে সে কাঠ হয়ে যাচ্ছে যে, বহু বছর চেষ্টা করেও কোনাে পুরুষ যে মেয়েকে বশ করতে পারেনি, মাত্র চব্বিশ ঘন্টায় সেই মেয়ের অত্যন্ত কাছে চলে এসেছে অদ্ভুত মানুষটা। বিস্ময় আর ৰাধ মানে না লিণ্ডার। …….এই মুহুর্তের আগে পর্যন্ত যে শরীয়টি চেলােতে সুমধুর সুর সৃষ্টির একটি যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই ছিলােনা, করিম সেই যন্ত্রে সঞ্চার করেছে যৌবনের উদ্দাম শিহরন। শীতল দেহে সঞ্চার করেছে অনিন্দ্য উত্তাপ। লিণ্ডা তবুও শীতল হয়ে যেতে চাইছে বারবার। কিন্তু পারছে কোথায়? আলিঙ্গনের মধ্যে দাঁড়িয়ে সে বরং লক্ষ্য করলাে তার স্তনের দ্রুত ওঠানামা। কোমল উষ্ণ সেই মাংসপিণ্ড দু’টি যেন বারংবার আছড়ে পড়ছিলাে আল খালিদের বুকের প্রাচীরে।……..

………..কথা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে করিম নিজের বুকের মধ্যে আরো জোরে চেপে ধরে লিণ্ডার বুক। আদিম হিংস্র একটা সরীসৃপ যেন শরীর বেয়ে বেয়ে উঠছে লিণ্ডার।……বলল, বলাে।’ বলতে বলতে লিনডার বুকের বাঁ দিকে নিজের ডান হাতটা নিয়ে গেলো করিম। বাঁ দিককার স্তনটা উন্মুক্ত করলাে আবরণী সরিয়ে।…….

……..করিমের শক্ত আঙুলগুলাে কেবল তার নেকাব সরিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। সাটিনের তৈরী বিয়ের পােশাকের বােতামগুলো খলতে শুরু করেছে একে একে। ধীরে ধীরে একেবারে নগ্ন করলে করিম লিনডাকে। পােশাকগুলাে ছুঁড়ে ফেললো। মেঝের ওপর। যে দিন আমাদের প্রথম দেখা হলাে, এই কাজটির প্রবৃত্তি জন্মেছে আমার মধ্যে সেই দিন থেকেই। বললে করিম। তার উষ্ণ স্পশ এখন লিনডার সমস্ত শরীরে। প্রতিটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিউরে উঠছিলাে লিনডা। যেন একটা পুতুল নিয়ে খেলা করছে করিম। ক্রমে নিজের পােশাকগুলােও খুলে ফেললাে সে। পাথরে খােদাই করা মুতি মতাে নিখত দেহ। লিণ্ডা সেই শক্তিময় সৌন্দর্যের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাে যুগপৎ লজ্জা ও আনন্দের সঙ্গে। দু’টি শরীর হঠাৎ পরস্পরের সংলগ্ন হলাে। লিনডার চিৎ হয়ে শােয়া নগ্ন দেহের ওপর উবু হয়ে শুয়ে পড়লাে উলঙ্গ করিম। তারপর তার জিহবাটা খুব অলসভাবে যেন লেহন করতে শুরু করলাে লিনডার দেহের সর্বত্র। জিহবাটা ক্রমে লিনভর মুখ এবং বুক পেরিয়ে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে লাগলাে। আবেশে দুচোখ বুজে আসতে লাগলাে লিণ্ডার।……. সে পিপাসার্ত পথিকের মতাে মরুদ্যানের সমস্ত পানি চেটে চেটে নিচ্ছে তখন। আস্তে আস্তে উভয়ে যখন মাহেন্দ্ৰ ক্ষণটিতে পৌছলাে—লিণ্ডার আঙ্গুলের নখগুলাে বর্শা ফলকের মতাে বিদ্ধ হতে চাইলে করিমের কাধের মাংসে। প্রচণ্ড আবেগে বার কয়েক লিনডা উচ্চারণ করলাে করিমের নাম। তারপর আর কিছু মনে নেই।………

Please follow and like us:

Leave a Reply