অভাজনের মহাভারত – মাহবুব লীলেন

›› পৌরাণিক কাহিনী  ›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

…………নকুল-সহদেবরে মহাভারতে হালকার উপর মাদ্রীর পােলা কইলেও কাহিনি পইড়া তাগােরে কুন্তীর সতীনের পােলা মনে হয় না। অনেকেই দাবি করেন তারা কুন্তীরই পােলা। আমারাে তাই মনে হয়। নকুল-সহদেব মাদ্রেয় না; কৌন্তেয়… সেই কালের নিয়ম মতাে কোনাে নারী চাইরজনের বেশি পুরুষের লগে। যৌনতা করলে বেশ্যা বইলা গণ্য হইত। সেই সূত্রমতেই পাঁচ পাণ্ডবের লগে বিছানা ভাগ করার কারণে দ্রৌপদীরে বেশ্যা কইয়া খোঁটা দিছিল কর্ণ… কর্ণ থাইকা অর্জুন পর্যন্ত জন্ম দিতে গিয়া বাইরের চাইরজন আর স্বামী পাণ্ডুরে নিয়া কুন্তীর কিন্তু পাঁচ পুরুষের লগে যৌনতা করা হইয়া যায়… কেউ কেউ কন; শুধু চাইরজনের অধিক পুরুষের বিছানায় সে যায় নাই এইটা প্রমাণ করতেই পরে আর কর্ণের জন্ম স্বীকার যায় না কুন্তী। এর উপরে নকুল সহদেবের গর্ভ স্বীকার করতে গেলে কর্ণের জন্ম লুকাইলেও কুন্তীর পাঁচ পুরুষের বিছানাযাত্রা প্রমাণ হইয়া পড়ে… এর লাইগাই নকুল-সহদেবরে কুন্তী মাদ্রীর পােলা বইলা প্রচার করে। এতে কর্ণরে বাদ দিলে তার পুরুষসঙ্গীর সংখ্যা চাইরের বেশি হয় না……….

আইচ্ছা কর্ণ কি আদৌ কুন্তীর পােলা? সন্দেহ হয় আমার। কওয়া হইছে যে কুন্তী তারে ভাসাইয়া দিবার পর সন্তানহীন সূত অধিরথ তারে কুড়াইয়া আইনা পােষে। কিন্তু অধিরথের তাে আরাে পােলাপান আছে। কুরুযুদ্ধেই তারা যুদ্ধ করে। বলা হয় তারে স্তন্যদান করে সন্তানহীন রাধা। কিন্তু সন্তানহীন বন্ধ্যা নারী কেমনে স্তন্য পান করায়?…………..

…………কিন্তু এই পাটনি সত্যবতী কিছুটা ভিন্ন রকম। ন্যাড়া হইয়া সে একবার বেলতলায় গিয়া বহুত হ্যাপা ঘাঁটাইছে। তার যখন বয়স আরাে কম; বুদ্ধিশুদ্ধিও অতটা পাক্কা হয় নাই। তখন এরকমই আরেকজন তার ঘাটে আইসা কইছিল- শােনাে কইন্যা মুই বশিষ্ঠ পরাশর। মুই তুমার লগে শুইবার চাই…

…..হুড়মুড় কইরা সত্যবতীর নৌকা থাইকা পাব্লিক নাইমা গেলে পরাশর উইঠা নৌকা ছাড়তে কয়। আর হতভম্ব সত্যবতীর নৌকা যখন মাঝ নদী বরাবর তখন পরাশর কয়- কাছে আসাে কইন্যা। নৌকা ভাসুক গাঙ্গে…

পাটনিবিহীন নৌকা ভাসে জলে আর পাটনির গাঙ্গে সাঁতরায় পরাশর। তারপর দুইখান বাণী আর ভংচং আশীর্বাদ দিয়া পরাশর চইলা যায় কিন্তু সেই দিন মাঝ নদীতে গর্ভবতী হওয়া সত্যবতীরে লােকলজ্জার ভয়ে কিছু দিন পর দূরের চরে গিয়া জন্ম দিয়া আসতে হয় নিজের মতাে এক কাইল্যা রঙ্গের পােলা…

………বুইড়াদের কামচক্ষু পড়া সে শিখেছে পরাশর দেইখা। শান্তনুর চোখ ঘােরে তার শরীরের ভাঁজে। পার্থক্য শুধু এই; ব্রাহ্মণেরা কাম ছাড়ে হাটে-মাঠে-ঘাটে আর ক্ষত্রিয়েরা কাম ফলায় ঘরে নিয়া গিয়া। খারাপ না।……..

……শরীরে হুমড়ি খাওয়া শান্তনুর চোখে চোখ রাখে সত্যবতী-রাজার বিয়ার প্রস্তাব কি নদীঘাটে দেওয়া মানায়? বাড়িতে আমার বাপে আছে।……

……..তাে এখন তাে সেই ভীষ্মই আবার শান্তনুর একমাত্র বংশধর। নিয়মমতাে ভাইয়ের বিধবাদের গর্ভে সন্তান জন্ম দিয়া বংশরক্ষার দায়িত্ব আর অধিকার তারই…

নিরুপায় সত্যবতী যাইয়া ভীষ্মরে তেলায় কিন্তু ভীষ্ম নিজের ব্রহ্মচারিত্বের প্রতিজ্ঞা মনে কইরা ভাইয়ের বিধবাদের গর্ভে সন্তান উৎপাদনের লাইগা শাস্ত্রমতে কোনাে ব্রাহ্মণ ভাড়া করার কথা কয়। আর তখনই সত্যবতীর মনে হয় নিজের ঋষিপুত্র রাইখা বাড়তি ব্রাহ্মণ ভাড়া করতে সে কোন দুঃখে যাবে? তার ঋষিপােলার রাজপুত্র হইতে আপত্তি থাকলেও রাজ বংশ উৎপাদন করায় তাে কোনাে অসুবিধা নাই। তাই সত্যবতী তার বিবাহপূর্ব কানীন সন্তান দ্বৈপায়নরেই ডাকে…

দ্বৈপায়নের ঔরসে ছােট ভাইর দুই বিধবার গর্ভে জন্ম নেয় দুইটা পােলা। ছােট ভাইয়ের দাসীর গর্ভেও তিনি জন্ম দেন আরেক সন্তান।………

………সবকিছু জাইনাও কুন্তীরে সতিনের ভাত খাওয়াইছে বুড়ি। বুড়ির কইলজায় একটা খোঁচা মারতে না পারলে কুন্তীর জান ঠান্ডা হইব না। কুন্তী এইবার বেক্কলের মতাে চেহারা নিয়া জিগায়- হ দাদিজান। শাস্ত্রে তাে মুনিঋষি ব্রাহ্মণ ডাইকা বৌয়ের গর্ভে পােলাপান জন্ম দিবার বিধান আছে। আপনে তাে ছােট পােলার বিধবাগাে গর্ভে সন্তান জন্ম দিবার লাইগা আপনের বড়াে পােলা ঋষি দ্বৈপায়নরে পাঠাইছিলেন ছােট ভাইয়ের বৌদের ঘরে। এখন কি আপনি তিনারেই আবার পাঠাইতে চান পুতের বৌয়ের বিছানায়?

প্রকাশ্যে লজ্জা দেখাইলেও কুন্তী মনে মনে হাসে- তুমি কি মনে করাে তােমার বুদ্ধির লাইগা আমি বইসা আছি? আমি বিদুরের শরণাপন্ন হইছি কি না সেইটা তােমার ছানিপড়া চোখে ধরা পড়ার কথা না। বিয়ার আগের পােলারে লুকাইতে পারাে নাই বইলা বুইড়া বিয়া করতে হইছে তােমার। কিন্তু এক পােলা জন্ম দিবার পরেও কুমারী সাইজা স্বয়ংবরা পর্যন্ত করছি আমি।……..

…….বুড়া শান্তনুর জোয়ান পােলার সমবয়সী তরুণী বিমাতা সত্যবতী। কে জানে তাগাে মধ্যে অন্য কিছু আছিল কি না। কুন্তীর মাঝে মাঝে মনে হয় বুড়িরে গিয়া জিগায়- ও দাদি। দাদারে তাে মজাইছিলা রূপরস দিয়া। কিন্তু সতিনের জোয়ান পােলারে ব্রহ্মচারী কইরাও ঘরে বাইন্ধা থুইছ কোন মন্ত্র দিয়া কও তাে শুনি?……

……….কুন্তী এইবার তারে শাস্ত্রের কাহিনি শােনায়- বৌয়ের গর্ভে অন্য কেউ সন্তান দিলেও সেইটা তার পােলা বইলাই সকলে জানে। এই যেমন; আপনে তাে আসােলে পাটনিপুত্র দ্বৈপায়নের পােলা। কিন্তু রাজার বৌয়ের গর্ভে জন্মাইছেন। বইলা রাজপুত্র হইছেন। তাে আপনেরে আমি একখান ঘটনা কই মহারাজ; আমি কিন্তুক কুমারী আছিলাম না বিয়ার সময়। এর আগেই আমার একটা পােলা আছিল। সেই পােলা কিন্তু কোনাে মাইনসের পােলা না। দেবতা সূর্যের পােলা। তাে কেমনে সেই পােলা পাইলাম সেই কাহিনি কই; পােলা পাওনের আগে আমি আছিলাম মুনি দুর্বাসার সেবিকা। মুনি দুর্বাসারে সেবা কইরা কেউ খুশি করতে না পারলেও আমি কিন্তু পারছিলাম। সেই খুশিতে তিনি আমারে একটা মন্ত্র দিয়া যান। মন্ত্রটার জোরে নিজের গর্ভে সন্তান জন্ম দিবার লাইগা আমি যেকোনাে দেবতারে ডাকতে পারি। তাে মন্ত্রের ক্ষমতা পরীক্ষার লাইগা আমি এক দিন হঠাৎ সূর্যরে ডাইকা বসলাম। তারপর দেখি আমার ডাক শুইনা সত্যি সত্যি সূর্যদেব চইলা আসলেন আর আমারেও একটা পােলা দিয়া গেলেন। পরে অবশ্য তারে আমি গাঙ্গে ভাসাইয়া দিছিলাম রাজকন্যার এমন পােলা থাকা উচিত না দেইখা। তাে সেই মন্ত্র কিন্তু এখনাে আমার আছে। আমি কিন্তু দেবতাগােরে ডাইকা আইনা আপনারে পােলাপান দিতে পারি মহারাজ…..

….দুর্বাসা থাইকা দ্বৈপায়ন কোনাে অংশে ছােট ঋষি না। মন্ত্র দিয়া দেবতা ডাইকা মানুষের গর্ভে সন্তান পয়দা করা গেলে নিজে গিয়া দ্বৈপায়ন উঠতেন না ছােট ভাইয়ের বৌদের বিছানায়। কুমারী সেবিকা কুন্তীরে দুর্বাসা মন্ত্র দিছে না পােলা দিছে সেইটা পাণ্ডু ঠিকই বােঝে। কিন্তু রাজি না হইয়াই বা তার কী উপায়? কারণ সমাজে বিবাহিত আঁটকুড়ার কোনাে স্থান নাই…

………..আগের কালে বৌয়ের কুমারীকালের পােলাপানরেও তার স্বামীর সন্তান বইলা ধরা হইত; সেই হিসাবে কুন্তীর গাঙ্গে ভাসান পােলাটা হইতে পারত নিঃসন্তান পাণ্ডুর পােলা। কিন্তু দ্বৈপায়ন থাইকা সেই সিস্টেমও বন্ধ। পুরানা সিস্টেমে দ্বৈপায়ন তার মায়ের স্বামী রাজা শান্তনুর পােলা হিসাবে গণ্য হইবার কথা; কিন্তু তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠা কইরা দিছেন যে তিনি মুনি পরাশরের সন্তান। অবশ্য অন্য সিস্টেমটা তিনি নিজেই চালু রাখছেন মৃত ভাইয়ের বৌদের গর্ভে পােলাদের জন্ম দিয়া। বংশরক্ষার লাইগা সেইটাই এখন পাণ্ডুর একমাত্র উপায়; অন্যরে দিয়া নিজের বৌয়ের গর্ভে সন্তান জন্মদান। সেই ক্ষেত্রে যদি দেবতার নামে পােলা পাওয়া যায় তবে সম্মানটা অবশ্য কিছু বাড়েই বলা যায়…

পাণ্ডুরে সিস্টেম কইরা কুন্তী তার কোলে একটা পােলা তুইলা দেয়- দেখেন দেখেন রাজা। দুর্বাসার দেওয়া মন্ত্রের ক্ষমতায় ধর্ম দেবতার ঔরসে এই সন্তান জন্মাইছে আমার গর্ভে। এই পােলা কিন্তু আপনার প্রথম সন্তান। আপনের পরে এই পােলাই হইব হস্তিনাপুরের রাজা। এর নাম রাখছি যুধিষ্ঠির…

দেবতার নাম কইরা কুন্তী আরাে দুইটা পােলা দেয় পাণ্ডুর কোলে; পবন দেবতার নামে আসে ভীম; দেবরাজ ইন্দ্রের নামে অর্জুন। পাণ্ডু খুবই খুশি। এখন আর তারে নিঃসন্তান কইতে পারব না কেউ। কিন্তু মাদ্রী খেইপা উঠে

কুন্তীর উপর- দেবতারে ডাক দিলা আর তারা আইসা তােমারে পােলা দিয়া গেলাে। সাদা সাদা দেবতারা আইসা তােমারে দিয়া গেলাে ভীম আর অর্জুনের মতাে কালা কালা পােলা? আমারে অত নাদান ভাইব না তুমি। বনবাসে আইসা পােলা জন্মানাের নর্মাল সময়কাল পূরণ হইবার আগেই প্রথম পােলা হইছে তােমার। তুমি যদি মনে করাে যে হস্তিনাপুরে বিদুরের লগে তােমার ঢলাঢলি আমার চোখে পড়ে নাই তবে তুমি ভুলের মইদ্যে আছ। তুমি যে পয়লা পােলার বীজ বিদুরের ঘর থাইকা নিয়া আসছিলা সেইটা তােমার পােলার চেহারাতেই পরমান। আর তােমার দ্বিতীয় পােলা ভীমের চেহারা এইখানকার যেকোনাে পাহাড়ি মানুষের লগে খাপে খাপে মিল; সেইটা কি অস্বীকার করবা তুমি? আর এইখানকার নিষাদ পােলাপানের লগে তােমার তিন নম্বর পােলা অৰ্জুনরে ছাইড়া দিলে তাে তুমি নিজেই তারে আলাদা করতে পারবা না। আমারে ওইসব মন্ত্রফন্ত্র বুঝাইও না। আমি কিন্তু সবাইরে কইয়া দিমু তুমি কেমনে কী করছ এইখানে…

…..কুন্তী হাসে- বেক্কল নারী। বুদ্ধি থাকলে কি নিজের মায়ের পেটের ভাই তােরে নামর্দের কাছে বিক্রি কইরা দেয়? তুই বুদ্ধিমান হইলে তাে ভাইয়ে তাের লাইগা স্বয়ংবরা করত…

মাদ্রীও ঝটকানি দেয়- ভাইয়ে বিক্রি করুক আর দান করুক। এখন আমি পাণ্ডুর রানি। চোখের সামনে তুমি ভংচং কইরা পােলা বিয়াইবা আর আমি আঁটকুড়া হইয়া বইসা থাকুম?

– তােরে পােলা বিয়াইতে নিষেধ করছে কেডায়? সবকিছুই যখন বুঝস তখন যা না; দুই-চারটা পােলাপান তুইও পয়দা কর…

মাদ্রী দইমা যায়- বাচ্চা পয়দা করার সিস্টেম তাে জানি। কিন্তু তুমি যেমনে দেবতা-টেবতার নাম দিয়া সেইগুলা জায়েজ করতে পারাে সেইটা তাে পারি

আমি…

……..এমন অভিযােগ মাদ্রী কল্পনাও করে নাই। বনের ভিতরে স্বামীরে নিয়া ঘােরাঘুরি করার সময় তার প্রতি স্বামীর হঠাৎ খায়েশ জাগে। না না কইরাও আর শেষ পর্যন্ত সে না করতে পারে না। কিন্তু স্বামী তার দুব্বল হার্টের মানুষ। উত্তেজনায় শরীর টানটান হইয়া উঠলে ধুম কইরা তার হৃৎপি-খান বন্ধ হইয়া যায়। মাদ্রী অতটা বােঝে নাই। তয় কামােত্তেজনার সময় যে পাণ্ডুরাজা মরছে সেইটা তাে আর অস্বীকার করতে পারে না। সে মুখ নত কইরা রাখে। কিন্তু কুন্তী আগে বাড়ে আরাে বেশরম বেহায়া নারী। পােলাপানগাে কী বলবি তুই তাদের বাপের মৃত্যুর কারণ? তুই কি তাগাে বলতে পারবি যে তাের লগে যৌনখেলা খেলাইতে নিয়া তাগাে বাপেরে খাইছস তুই?…….

……….তােমার অর্জুন একটা বেশ্যা মাগির পুত। নিজের মায়ে তার শুইছে বারাে মাইনসের লগে তাই আমারেও সে বিলাইয়া দিছে পাঁচ ভাইয়ের বিছানায়। কর্ণ কি মিথ্যা কয় আমি একটা বেশ্যা? একটা বেশ্যারে জুয়ার দানে তুইলা দিতে যুধিষ্ঠিরের যেমন যায় আসে না তেমনি একটা বেশ্যারে কেউ বিবস্ত্র করলে অর্জুনেরও আসে যায় না কিছু…

আমার যদি কেউ থাকত তাইলে কর্ণ আমারে বেশ্যা কইয়া গালি দিতে পারত না। আমার যদি কেউ থাকত তাইলে রাজসভায় কেউ আমার পােশাক খুলতে পারত না। আমার কেউ থাকলে আমারে নগ্ন হইতে দেইখা যুধিষ্ঠির মুখ ঘুরাইতে পারত না। আমার কেউ থাকলে ভীমরে আটকাইতে পারত না অর্জুন। কেউ নাই আমার। কেউ নাই। আমার লাইগা ধর্মও নাই সখা। রাজদরবারে উলঙ্গ হইয়া আমি ভীষ্মের কাছে আশ্রয় চাই- পিতামহ আমারে বাঁচান। গঙ্গাবেশ্যার পােলা ভীষ্ম তখন ধর্ম ভুইলা যায়। আমি চিল্লাইয়া কান্দি- পিতামহ ধর্মের দোহাই অন্তত আমারে বিবস্ত্র হওনের থাইকা বাঁচান। বেজন্মা ভীষ্ম আমারে কয়- ধর্মের ব্যাখ্যা বড়ােই কঠিন। ধর্ম এতই কঠিন রে কৃষ্ণ; বিবস্ত্রা নারীর পােশাক ফিরাইয়া দেওয়া যাইব কি যাইব না; সেই ধর্মব্যাখ্যা আবিষ্কার করতে পারে না কুরুসভার কেউ। দ্রোণ আমারে দেইখা হাসে; পাঞ্চাল রাজের মাইয়ারে হাটে ন্যাংটা হইতে দেখলে ফকিন্নির পুত দ্রোণের হাসবারই কথা। কিন্তু সম্মায়ের শরীর চাইটা খাওয়া নির্বংশ ভীষ্মও তখন ফ্যালফ্যাল কইরা চোখ দিয়া চাটে নাতিবৌর নগ্ন শরীর। আমি একটা বেশ্যারে কৃষ্ণ। আমার নগ্ন শরীর দেখে দেবর শ্বশুর দাদাশ্বশুর আর নিজের পাঁচ-পাঁচটা পােলা। ঘেন্না। কৃষ্ণ ঘেন্না।……….

Please follow and like us:

One thought on “অভাজনের মহাভারত – মাহবুব লীলেন

  1. খাইছে। এইটা কী জাতের রিভিউ? বাপের জন্মেও এমন রিভিউ দেখি নাই

Leave a Reply