মঠের সন্ন্যাসিনী ও বােবা চাকর – গিয়ােভানি বােকাসিও

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ অবনী সাহা
উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত

আমাদের এই মফঃস্বল অঞ্চলেই একটা মঠ ছিলো। ছিলাে কি, এখনও আছে। পবিত্রতার জন্য সেটির খ্যাতিও যথেষ্ট। আর পাছে সেটির নামের কোন ক্ষতি হয়, সেজন্য আমি তার নামটা বলতে চাইনে।

বেশী দিনের কথা নয়, এক সময় এই মঠে জনা আটেক সন্ন্যাসিনী আর একজন মঠাধ্যক্ষা ছিলেন। সব ক’জনই যুবতী। তাদের মঠ সংলগ্ন সুন্দর বাগানটির পরিচর্যার জন্য একটি ছােট্ট খাট্টো মানুষ নিযুক্ত ছিলাে। একদিন মাইনে কড়ি নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে মঠের তত্ত্বাবধায়ক বুড়োর মত নিয়ে সে তার গী ল্যাম্পোরেসিওতে ফিরে গেলাে।

গায়ে ফিরতেই গায়ের অনেকে তাকে স্বাগত জানালাে। তাদের মধ্যে গাট্টাগােট্টা ম্যাসেতোও ছিলাে। বেশ শক্তসামর্থ সুদর্শন চেহারার ছােকরা। চাষি ঘরের ছেলে। জনমজুর খেটে খায়।

ভাল মানুষ দুটো দীর্ঘদিন গাঁয়ে ছিলাে না। ম্যাসেজো শুনেছে সে একটা মঠে চাকুরী করতাে। তাই দুটোকে জিজ্ঞেস করলাে, সেখানে তাকে কী কী কাজ করতে হতো। নটো (মঠের সেই চাকরটি) বললাে, কাজ তাে ভালােই ছিলো। একটা সুন্দর বাগানের দেখাশােনা করতাম। কোন কোন সময় আগুনের জন্য কাঠ যােগাড় করতে হতাে, জল তুলতে হতাে, এমনি নানা ধরণের টুকিটাকি কাজ আর কি! কিন্তু নানরা (সন্ন্যাসিনী) যা মাইনে দিতেন তা দিয়ে আমার জুতাের ফিতে কেনার পয়সা হতাে না। এছাড়া, বয়সে সব ছকরী। আমার কাছে তারা এক একটি যেন মতিমতী শয়তান। কারণ তুমি যত কিছুই কৰোনা কেন, তাদের খুসী করতে পারবে না। ধর, বাগানে কাজ করছি, একজন এসে হকুম, করলেন, এটা কর। পরক্ষণেই আর একজন এসে বললেন, না, ওটা কর। আবার অন্য একজন এসে হয়তাে আমার হাত থেকে হাত কোদালিটাই কেড়ে নিলেন। হয়তাে বললেন, বললেন, তুমি ভূলভাবে কাজ করছে।

বলবাে কি, ওরা আমাকে এতো জালাতেন যে আমি আমার হাতের যন্ত্রপাতি নামিয়ে রেখে, সােজা বাগানের বাইরে চলে যেতুম। শেষ পর্যন্ত আমি ঠিক করলাম, ঢের হয়েছে, আর নয়, এবার চাকুরী ছেড়ে দেই বাবা। তত্ত্বাবধায়ক শুনে বললাে, যাচ্ছাে যাও, কিন্তু কথা দিয়ে যাও একজন তােমার মতাে কাজের লােক জোগাড় করে দেবে!

আমি বাপ, শপথ করলাম। কিন্ত, এমন লােক আমি পাই কোথায় বল, যার শক্তি সামর্থ আছে, আর আছে ষাড়ের মতাে ধৈর্য্য।

একথা শুনে ম্যাসেতো ঠিক করলাে, হ্যাঁ, সে যা এতদিন চাইছিলাে, এতাে ঠিক তেমন ধরণের কাজই। সে অবশ্য মনের কথা নটোকে খুলে বললাে না। বরং মুখে বললাে, তুমি ওখান থেকে চলে এসে ভালই করেছে। একগাদা মেয়েছেলের মধ্যে কাজ করা কি একটা জীবন ? সে তাে একদল শয়তানের সঙ্গে বাস করা হে। সাতবারের মধ্যে দু’বার যাদের মতিস্থির নেই। | কিন্তু যখন তাদের কথাবার্তা শেষ হলাে, ম্যাসেত্তো ভাবতে লাগলাে, সে সেখানেই যাবে। তাদের মধ্যেই থাকবে। আর নটো যা বলেছে, সে সক কাজ-কর্ম নিয়ে তার কোন ভাবনাই নেই। ওজন্যে তার চাকুরী যাবে না। যদি যায় । তার ডবকা বয়স আর সুন্দর চেহারার জন্য যাবে। অবশ্য ওখানে এতদ রে কেইবা তাকে চিনবে। যদি সে যােবা সাজে, তাহলে তারা হয়তাে তাকে চাকুরী দিতে দ্বিধা করবে না।

মন স্থির করে সে করলাে কি, একটা জীণ কবল গায়ে চড়ালাে, আর কাঁধে নিলাে একটা কুড়ােল। তারপর কোথায় যাচ্ছে একথা কাউকে কিছু না বলে সে মঠের উদ্দেশ্যে রওনা হলাে।

সেখানে পৌছে সে মঠের চরে ঘােরাফেরা করতে লাগলাে। ভাগ্য ভাল তার সঙ্গেবধায়কের দেখা হয়ে গেলাে। তারপর, একজন বােবা লােক যেমন করে ভাব-ভঙ্গীতে জানায়, সেইভাবে জানালাে যে সে দটো খেতে চায়, আর তার বদলে সে কাঠ কেটে দিতে রাজী আছে।

তত্ত্বাবধায়ক খসী হয়ে তাকে কিছু খেতে দিলো, তারপর তাকে কতক গেলে কাঠের গুড়ি দেখিয়ে দিলাে। নটো কিন্তু তা চিরতে পারে নি। অপক্ষণেই ম্যাসেতো তার কাজ শেষ করলাে। তত্ত্বাবধায়ক তাকে জলে যাবার পথে সঙ্গে নিয়ে গেলে এবং কতকগুলাে গাছের ডাল কাটতে বলল। তাকে একটা গাধাও যােগাড় করে দিয়ে ইসারায় জানালো কাঠগুলাে মঠে নিয়ে যেতে হবে। ছােকরা ম্যাসেত্তে এমন দক্ষতার সঙ্গে সব কাজ শেষ করলাে যে তত্ত্বাবধায়ক আরও কয়েকদিন তাকে কাজে নিলো।

একদিন ম্যাসেতো মঠাধ্যক্ষার নজরে পড়ে গেলাে। তিনি তত্ত্বাবধায়কে জিজ্ঞেস করলেন, এটি কে?

তত্ত্বাবধায়ক উত্তর দিলো, আজ্ঞে ম্যাডাম, এটি একটা হাবাবােবা লােক। একদিন ভিক্ষে মাগতে এসেছিলাে। আমি ওকে খেতে দিলাম। তারপর অনেক কাজ করিয়ে নিলাম। যদি ও বাগানের কাজ বােঝে, আর এখানে থাকতে চায়, আমার মনে হয় আমরা লাভবান হবাে ম্যাডাম। কারণ একজন মালী আমাদের অবশ্যই দরকার, আর এই শক্ত-সামর্থ্য ছােকরা যা বলবাে তা করতে পারবে। তাছাড়া আপনার ঐ কচি বয়সের মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও কোন চিন্তা করতে হবে না।

ম্যাডাম বললেন, আমার বিবাস, তুমি ঠিকই বলেছে। দ্যাখাে ও কি কি কাজ জানে, আর চেষ্টা করে যাতে তােমার কাছে থেকে যায়। ওকে একজোড়া জতে, একটা পুরােনাে শিরস্টাণ দাও, একট, মিষ্টি কথা, একটু আধটু প্রশংসা করাে, আর পেটভরে খেতে দাও।

তত্ত্বাবধায়ক তার নির্দেশ পালন করতে রাজী হলাে। কিন্তু ম্যাসেতো বেশী দরে ছিলাে না। চক্ষরটা ঝাঁট দেওয়ার ভাণ করে সে ওদের কথাবাতা সবই শুনলাে। উল্লাস ভরা মনে নিজে নিজে আউড়ালাে, একবার আমাকে তােমাদের বাগানে ঢুকতে দাও, তারপর দেখবে আমি এমন যত্ন করবাে যা নাকি কেউ কোনদিন করেনি।

তত্ত্বাবধায়ক শীগগিরই আবিষ্কার করলাে ম্যাসেজে একজন অপব মালী। সে তাকে ইঙ্গিতে শুধালাে, তুমি এখানে থাকবে? ম্যাসেতোও ইশারা করে জানালাে, তত্ত্বাবধায়ক যা বলবে, সে তাতেই রাজী।

তত্ত্বাবধায়ক তাকে নিয়ে বাগানের কাজ কী কী করতে হবে তা বুঝিয়ে দিলাে। তারপর মঠের অন্য কাজ করতে চলে গেলাে। ম্যাসাতো একাই রইলাে সেখানে।

ক্রমশঃ, দিন যেতে লাগলো। ম্যাসেজেও ঠিক মতো কাজ করতে লাগলাে। এদিকে সন্ন্যাসিনীরা তাকে যথারীতি জালাতন করতে আরম্ভ করলো। যেমনটা সাধারণত লােকেরা বােবার সঙ্গে করে। তারা তাকে অকপনীয় অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতাে। তাদের ধারণা ও কানেও শুনতে পায় না। তার উপর মঠাধ্যক্ষাও সব ব্যাপার দেখেও দেখতেন না। কারণ তার ধারণা, ও যখন জিহবা হারিয়েছে, ওর কোন জ্ঞান গম্যিই নেই।

একদিন মাসেত্তা খুব খাটনির পর ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে, এমন সময়। যুবতী সন্ন্যাসিনী তার দিকে এগিয়ে এলাে। ওরা বাগানেই বেড়াচ্ছিলো। ম্যাসেতো এমন ভাব দেখালো যেন সে ঘুমিয়ে আছে। ওরা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকালাে। তাদের মধ্যে যেটি অধিকতর বলিষ্ঠা সেটি তার সঙ্গিনীকে বললো, যদি ফাঁস না করে তাহলে আমি একটা মতলবের কথা বলতে পারি । মাঝে মাঝে আমার মনের মধ্যে খেলে যায়। আর আমাদের দুজনের পক্ষেই লাভ জনক।

অপরা বললাে, তুমি নিশ্চিন্তে বলতে পারাে, আমি কাউকে বলবাে না।

তুমি কি ভেবে দেখেছাে আমার এখানে কী কঠোর জীবন যাপন করি। পষে বলতে এখানে কেবল ঐ তত্ত্বাবধায়ক, যেটা একটা বড়ো আর একটি বােব। মালী। অথচ যে সব বাইরের মহিলা আমাদের এখানে বেড়াতে আসেন, তাদের কাছে শুনেছি, জগতে যত সুখ আছে তা পুরুষের সঙ্গসুখের কাছে অকিঞ্চিৎকর। আমি ভাবি কি জান, হাতের কাছে যখন তেমন কোন পুরুষ মানুষ নেই এই বােবাটাকে দিয়ে সেটা পরীক্ষা করি। দেখি সেই মহিলারা সত্য, বলেছেন কিনা। আর যদি তা করতে হয় তাহলে বােরাটার চেয়ে ভাল লােক পাবে না, কারণ ও যদি কোনদিন ঝােলা থেকে বেড়াল বের করতে চায় পারবে । ও কোনদিন তা বুঝতেও পারবে না। এবার বল মতলবটা তােমার কেমন লাগে।

অপরা বললাে, বল কি, তােমার কি মনে নেই, আমরা ঈশ্বয়ের নামে শপথ নিয়েছি আমাদের কোমার্য বজায় রাখবো।

ফু আমরা ঈশ্বরের কাছে কতই না প্রতিজ্ঞা করি, তার কয়টা রাখি। কি যায় আসে যদি এই একটাও আমরা রাখতে না পারি ? তিনি অন্য মেয়েদের কৌমার্য খুজন গে। কিন্তু যদি আমাদের গর্ভ সঞ্চার হয়। তখন কী হবে।

প্রথমা বললাে, তুমি দেখছি যা ঘটেনি তাই নিয়ে ভয় পাচ্ছাে ! আরে আমরা ব্রীজের কাছে গেলে তবে তাে তা পার হওয়ার প্রশ্ন। দ্যাখাে আমরা যদি ফাঁস করি তবেই এটা গােপন থাকবে। আপরা বললো, ঠিক আছে। আসলে সেই এ ব্যাপারে বেশী উৎসুক হয়ে উঠলাে। পুরুষ মানুষ কি বস্তু তা আবিস্কার করার নেশা তাকে পেয়ে বসল। বললাে, কিন্তু এটা কেমন করে করবে ?

প্রথমা বললাে, দ্যাখাে, মনে হয় সবাই এখন ঘুমচ্ছে। আমাদের আরও নিশ্চিত হতে হবে কেউ বাগানে আছে কিনা। যদি দেখা যায়, রাস্তা পরিষ্কার তখন ওকে হাত ধরে ঐ কুড়ে ঘরটায় নিয়ে যেতে হবে, যেখানে বটি এলে ও আশ্রয় নেয়। তারপর একজন ওকে নিয়ে ভেতরে যাবাে, একজন বাইরে নজর রাখবো। ওটা যা বধ, ওকে যা বলবে তাই করবে। | ম্যাসেতো কিন্তু সব কথাই শুনতে পেলাে। সে তাে ওদের কথা মানতে এক পায় খাড়া। এখন ওদের কেউ এসে ওকে ভেতরে নিয়ে গেলেই হয়।

দুই সন্ন্যাসিনী চারদিক ভালো করে দেখলাে। যখন বুঝলো কেউ তাদের লক্ষ্য করছে না, তখন দুয়ের মধ্যে এতক্ষণ যে বেশী কথা বলছিলাে, সে ম্যাসেতোর কাছে এগিয়ে ললাে। তারপর তাকে জাগিয়ে ইসয়ারায় প্রলম্বি করলো। ম্যাসেত্তোও তাতে সাড়া দিলো। মেয়েটি তাকে কুড়ে ঘরে নিয়ে গেলো। আর সেখানে মাসেত্তাকে বেশী খোসামোদ করতে হলাে ।

মেয়েটি যা চেয়েছিলাে তা পরিপুর্ণ ভাবে পােলো। তারপর তার সঙ্গিনীকে সুযােগ দিলাে। ম্যাসেন্তোকে এ মেয়েটিও যা যা করতে বললো, তাই সে করলাে। ঘরে ফেরার আগে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলাে কয়েকবার। তারা বুঝলে মহিলাদের মুখে শোনা কথার চেয়ে অনেক বেশী তৃপ্তিকর এই বােবাটার যৌন আলিঙ্গন। এবং তখন থেকে সযােগ পেলেই তারা এই বােবা লােকটার বাহবন্ধনে ধরা দিতে। | একদিন, এই ঘটনা তাদের এক সঙ্গিনীর নজরে পড়ে গেলাে। সে তার ঘরের জানালা থেকে তাদের এই রতিক্রিয়া দেখতে পেয়ে তার অপর দুই সঙ্গিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলাে। প্রথমে সবাই ঠিক করলো, মঠাধ্যক্ষাকে বিষয়টি জানান যাক। কিন্তু পরে তারা মত পাল্টালো। অন দুজনের সঙ্গে যুক্ত করে তারা ম্যাসেন্তোর উপর তাদের অধিকার বালাে। তারপর এই পাঁচজন একই চুক্তিতে বাকী তিনজনকে আবদ্ধ করলাে।

মঠাধ্যক্ষা তখনও এ ঘটনার কিছু জানতেন না। একদিন গ্রীষ্মকালে বাগানে একা একা বেড়াচ্ছিলেন তিনি। দ্যাখেন ম্যাসেতো একটা বাদাম গাছের নিচে হাত পা জড়িয়ে ঘুমচ্ছে। রাত্তিরের অতিরিক্ত নারী সেেগ তার আর কাজ করার ক্ষমতা ছিলাে না। বাতাসে তার সামনের কাপড় চোপড় এলােমেলাে হয়ে তাকে উলঙ্গ করে ফেলেছিল। আর কেউ নেই দেখে মহিলাটি স্থানর মতাে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। আর তার মনেও সেই মেয়েদের মতাে একটা তীব্র আকাঙ্খ অনুভব করতে লাগলেন। ফলে ম্যাসাত্তোকে জাগালেন তিনি। তারপর তার ঘরে নিয়ে এলেন তাকে। কয়েকদিন নিজের ঘরেই রাখলেন তাকে। ফলে অন্য মেয়েরা তার মুখের উপরই বলতে লাগলাে, লােকটা কেন বাগানের কাজ বন্ধ করেছে আমরা জানি। তাকে তার কোয়াটারে ফেরৎ পাঠাবার আগে তিনি বার বার তাকে দিয়ে আনন্দ লাভ করিয়ে নিলেন। পরিণতিতে, ম্যাসাজে সবার দাবী মেটাতে অক্ষম হয়ে ভেবে ঠিক করলাে। এরপর বােবা সেজে থাকলে সে মারা পড়বে। সুতরাং, একদিন রাতে যখন সে মঠাধ্যক্ষার সঙ্গে শুয়ে, তখন তার জিহ লাগাম ছিড়ে কথা বলে উঠলো।

ম্যাডাম, আন্দিন আমি বুঝতে দিয়েছি একটা মােরগ দশটা মুরগীর পক্ষে যথেষ্ট। দশটা পুরুষ একটা মেয়েকে তৃপ্ত করতে পারে না। অথচ আমি আমার থালায় নয়টি মুরগীকে খেতে দিয়েছি। কিন্তু এটা আমি বেশী দিন চলতে দিতে পারিনে। না কোন টাকার বিনিময়েও নয়। এর ফলে আমি আর ভাল কাজ দেখাতে পারবাে না। সত্রং হয় আমাকে বিদায় দিন, অথবা অন্য কোন ব্যবস্থায় আসুন।

ওকে কথা বলতে দেখে মঠাধ্যক্ষাতাে চমকে উঠলেন, কারণ তার ধারণা ও বােবা। তিনি বললেন, আমি ভেবেছিলাম তুমি বোবা।

ঠিকই ম্যাডাম, আমি তাই ছিলাম। কিন্তু বােবা হয়ে তাে আমি জন্মাইনি। একটা অসুখে আমি কথা কইবার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। ভগবানকে ধন্যবাদ,  আজ রত্রেই আমি আবার কথা বলতে পারলাম।

মহিলাটি তার কথা বিশ্বাস করলেন। বললেন, তোমার পেটে নয়জন বলতে কি বোঝাতে চেয়েছিলে? ম্যাসাতো সব খুলে বললাে। তিনি বুঝলেন, এ ব্যাপারে তার সঙ্গিনীয়া কম চতুর নন। তিনি ভেবে দেখলেন, ম্যাসাকােকে ছেড়ে দিলে সে মঠের এই গল্প বাইরে ছড়াবে। তিনি তখন অবশ্য সঙ্গিনীদের সংগে একটা চুক্তিতে এলেন।

কিছুদিন আগে বন্ধ স্টুয়াডের মত্যু ঘটেছিলো। সুতরাং ম্যাসাত্তোর সম্মতি নিয়ে তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্থির করলাে ( তারা তাে জানে কে কি করে বেড়াচ্ছে (প্রতিবেশীদের বুঝাবে দীর্ঘদিন বাক্যহারা থাকার পর অলৌকিক ভাবে কথা কইবার শক্তি ফিরে এসেছে তার। সন্ন্যাসিনীদের প্রার্থনায় এবং এই মঠের প্রতিষ্ঠাতার পুণ্যেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন তারা তাকে নতুন তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করলেন। তারা এমন ভাবে তার কাজ ভাগ করে দিলাে যাতে সবার উপর সুবিচার হয়। এবং কালক্রমে সে অনেক সন্ন্যাসী শিশুর পিতৃপদ লাভ করলাে। আর যেদিন না মঠাধ্যার মৃত্যু ঘটলাে একথা কেউ জানতে পারেনি। কালক্রমে ম্যাসাতেও বৃদ্ধ হলো। অবশেষে মােটা পেনসন নিয়ে গায়ের বাড়ীতে চলে যেতে মনস্থ করলাে, তার ইচ্ছা সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জুর করা হলাে।

Please follow and like us:

Leave a Reply