কাম ইজি গো ইজি – জেমস হ্যাডলী চেজ

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………যখন আমি যন্ত্রপাতির ব্যাগটা মেঝেতে নামিয়ে রাখছিলাম তখন আমার নজরে পড়লাে পাশের লম্বা সােফাতে একটি মেযে শুয়ে আছে। পরনে সাদা সান্ধ্য পােশাক। পােশাকের গলার কাছটা এতাে বেশী উন্মুক্ত যে মেয়েটির উদ্ধত গােলাপী স্তনের ঊর্ধ্বাংশ সহজেই নজরে পড়ছে। তার মাদকতায় পরিপূর্ণ রক্তিম ঠোটের ফঁাকে জলন্ত সিগারেট, চোখ তুলে কৌতূহলী দৃষ্টিতে ও আমার দিকে তাকালাে।

মেয়েটিকে দেখে আমার জেনির কথাই মনে পড়ে গেল। কারণ ওর চুলের রঙ ও পায়ের সুন্দর গড়ন অনেকটা জেনিরই মতাে, কিন্তু এই মেয়েটির মধ্যে এমন একটা আভিজাত্যের ছাপ লক্ষ্য করলাম যা জেনির মধ্যে নেই। এটা স্বীকার করতেই হয় যে জেনির দৈহিক গঠন চঞ্চল করে তােলে দেহের প্রতিটি রক্ত কণিকাকে, ওর ব্যক্তিত্ব, ভারী নিতম্বের ছন্দোময় হিল্লোল, পুরুষের হৃদয়ে তােলে তুমুল ঝড়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণই নিছক সস্তা চটক।……….

………..মেয়েটির পরনে একটা চাপা প্যান্ট, আর লাল সাদা চেক টানা শার্ট। ও দেওয়ালে হেলান দিয়ে উত্তেজনায় হাঁপাতে লাগলাে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ওর উন্নত স্তনদ্বয় একবার উঠছে, একবার নামছে।………..

………..হঠাৎ পেছনে সামান্য শব্দ হতেই চমকে ফিরে দাঁড়ালাম। রান্নাঘরের খােলা জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে। ওর চোখের দৃষ্টিতে ঝরে পড়ছে সীমাহীন কৌতুহল। মেয়েটির মাথা ভর্তি একরাশ লাল চুল, কামনা মন্দির পুরু ঠোট, তিরিশ বসন্তের শরীরে ভরন্ত যৌবন। তার পান্না সবুজ টলটলে চোখ রক্তে নেশা ধরায়, মেয়েটিকে দেখার পর কোনাে পুরুষের পক্ষেই ওর যৌবনের হাতছানিকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। ওর পরনে একটা সাদা গাউন : শরীরের সঙ্গে যেন ভেজা কাপড় হয়ে লেপটে আছে। | মেয়েটি আমার দিকে এগিয়ে এলাে। লক্ষ্য করলাম ওর গাউনের নীচে কোনাে অন্তর্বাসের বালাই নেই।…………

………..একটু পরে লােলা জানলার কাছে এসে গাউনের বােম খুলতে শুরু করলাে.সাদা গাউনটা মেঝেতে খসে পড়লাে। ও হাত বাড়িয়ে জানলা বন্ধ করে দিল। ঘষা কাচের পাল্লায় ভাসতে লাগলাে ওর নগ্ন শরীরের নিখুত প্রতিচ্ছবি।……..

………….লােলা একটুকরাে কাপড় নিয়ে কাউন্টারের ওপরটা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছে। ওর পরনে খুব ‘ছছাটো একটা লাল প্যান্ট। গায়ে হলদে চোলি। এই পােশাকে লােলা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই স্বল্প পােশাকের বিরুদ্ধে যেন বিদ্রোহ করছে ওর উদ্ধত যৌবন। মনে মনে জেনসনকে হিংসা করলাম।……….লােলা প্রথমে আমাকে দেখতে পায়নি। হঠাৎ আমার দিকে চোখ পড়ায় লক্ষ্য করলাম মুখে বিরক্তির ভাব। কাউন্টারের ওপর ঝুঁকে পড়ে ও সামনের দিকটা ঘষতে লাগলাে। ঝুঁকে পড়ায় চোখে পড়লাে ওর সুগঠিত দুই স্তন—অন্তর্বাসের অনুপস্থিতি………..

Please follow and like us:

Leave a Reply