জেমস বন্ড রচনা সমগ্র – ইয়ান ফ্লেমিং

›› অনুবাদ  

অনুবাদঃ উত্তম ঘােষ

ক্যাসিনাে রয়্যাল

…বন্ড ভেসপারের সারা শরীরটার দিকে একবার দৃষ্টি বুলিয়ে নেয়। ভেসপারের উদ্ধত বুকের | দিকে বন্ডের দৃষ্টি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে যায়। তারপর সে সােজা হয়ে দাড়িয়ে ভেসপারকে কাছে টেনে নিয়ে প্রথমে দুই গালে চুমু দেয়। এরপর বন্ড একহাতে দরজাটা বন্ধ করে অন্য হাতে ভেসপারকে টেনে নিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।  চুম্বন-প্রদান নতুন করে শুরু হল। বন্ড ভেসপারের নিম্ন ওষ্ঠটি এবার নিজের দুই ওষ্ঠের মধ্যে রাখে। ভেসপারও বন্ডকে প্রবল কামনায় জড়িয়ে ধরে।….

…..ওরা দুজনে আলিঙ্গনাবদ্ধ। বন্ড বলে — আজকে আমাদের সুখ, আনন্দে ডুবে যাবার এক স্বর্গীয় স্থান পেয়েছি। ডারলিং, মাই সুইট ডারলিং —

কামনাতাড়িত ভেসপারের চোখ জ্বলছে। বন্ড এবার আরও জোরে ভেসপারের দেহটা দুই বাহু দিয়ে নিজের শরীরের সাথে চেপে ধরে। আবার চুম্বন দিতে দিতে বন্ড এবার তার মুখ ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামাতে থাকে। বুকের স্তনযুগলের মাঝে এখন বন্ডের মুখ। বন্ড বাঁ হাত দিয়ে ভেসপারের জামার চেনটা টেনে দেয়।

ভেসপার এখন স্মার্ট, সপ্রতিভ। বন্ডের ভালােবাসার উত্তর দিতে তার এখন কোনাে জড়তা নেই। সে-ও এবার বন্ডকে দাঁড় করিয়ে তার টাই, জামার বােতাম খুলে দিচ্ছে। …….

…….ভেসপার নিজের জামাটা খুলে ফেলে। বন্ডকে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যায়। বন্ডের মাথাটা ধরে তার দম্ভভরা দুই স্তনের মধ্যে চেপে ধরে। ভোরের পরনে শুধু রঙিন ব্রেসিয়ার।..….

…..বুকে মুখ ঘর্ষণরত বন্ড আচমকাই ভেসপারকে জেঁড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর ভেসপারের দিকে তাকিয়ে বলে — সরি ডারলিং। এখনই না ……..

…..ওরা উভয়ই উভয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু প্রত্যেকের শরীরের মধ্যে বয়ে চলেছে দেহজ কামনার নীরব ঝড়। বন্ড ঝুঁকে পড়ে ভেসপারের ঠোটে, বুকে ঘনঘন চুম্বন এঁকে দিল। ৩বিপর একটা লম্বা শ্বাস ফেলে কী যেন খুঁজতে লাগল। ভেসপারের পরনে এখন শুধু ব্রা আর প্যান্টি। কোমরের খাজ পিছন থেকে আরও চিত্তাকর্ষক মনকে মাতাল করে তােলে।………

…….পিঠের ওপর ব্রেসিয়াবের স্ক্রিপে হাত রাখে। এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ভেসপারকে। সবল হাতেব আলিঙ্গনে ভেসপারের যৌবনপুষ্ট দেহটা সামান্য কেঁপে ওঠে। ঠোট থেকে সিগারেটটা পড়ে যায়। বন্ড তার ঠোট রাখে ভেসপারের নগ্ন কোমল কাঁধে। ব্রেসিয়ারের হুক খুলে দেয়। ………এবার নিজেকে পুরােপুরি উন্মুক্ত করে দিল ভেসপার। বন্ডকে অবাক করে দিয়ে সে এক ঝটকায় ব্রেসিয়ারটা খুলে ফেলে দিল। পাগলের মতাে বলে উঠল — কাম অন, কাম অন ডারলিং।…….

……মুগ্ধ বিস্ময়ে বন্ড তাকিয়ে রইল ভেসপারের দিকে। ভেসপারের চোখ নয়, যেন তার গর্বোদ্ধত স্তনদ্বয় তাকে সুখক্রীড়ায় নীরব আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ভেসপার বন্ডের একটা হাত তুলে তার নিজের বুকের ওপর রাখে।……একী! বন্ড কাপছে। দুর্দম, কঠিন জেমস বন্ডের হাত কাঁপছে কেন? কপালে ঘাম ফুটে উঠছে। চরম আবেগে ভেসপার জড়িয়ে ধরে বন্ডকে। বন্ডের নগ্ন বক্ষে এখন ভেসরে শরীরের এক পরম সুখসম্পদ গভীরভাবে ঘসে চলেছে। বন্ডও এখন পাগল হয়ে গেছে।………ভেসপার বলে ~~~ বিছানায় চল। এখানে নয়। বন্ড ওর দুই স্তনের মাঝে মুখ বেখে বলে — এখন নয় জটিং। আমি তাে তােমার সঙ্গেই আছি।……..

…….বন্ডের দুই হাত ভেসপারের কাধে। ভেসপার এক হাত বন্ডের এক হাতের ওপর রেখে অন্য হাতের আঙুল দিয়ে বন্ডের বুকে আলপনা আঁকতে আঁকতে বলে – বেশ, তুমি যা বলবে। এক কাজ করা। তুমি তােমার ঘরে যাও। আমি ততক্ষণ স্নান সেরে আসি। তারপর তুমি। | ভেসপারের ঘর থেকে বেরােতে গিয়ে দরজার কাছে এসে বউ আবার ঘুরে দাঁড়াল। ভেসপার ততক্ষণে গায়ে তার জামাটা দিয়ে জড়িয়ে নিয়েছে। …………

লিভ অ্যান্ড লেট ডাই

……হাততালির দাপটে কান ফেটে যাবার অবস্থা। প্রথমে ঢুকল দুটি বিশাল চেহারার নিগ্রো । | তাদের কোমরে শুধু একফালি কাপড়। তাদের কাঁধের ওপর একটি মেয়ে, সেতুতে ওদের গলা জড়িয়ে আছে। পালকে ঢাকা পােশাক, মুখে কালাে মুখােশ। মেয়েটি সামনে এসে দাড়াতেই পালকের পােশাক যেন পেখম মেলল। পরনে শুধু তিন কোনা কালাে লেসুেরক্ষ্মাঙিয়া, দুই স্তনবৃন্তের ওপর জ্বলজ্বলে চুমকি বসানাে দুটি তারা। সারা দেহে তৈলাক্ত কিছু মাখা যার জন্য তার সুন্দর ফিগার চকচক করছে।…..

……..নাচ শুরু। প্রথমে পেটের পেশি, পরে সারা শরীব বাজনার তালে দুলছে, ময়ূর পেখম উড়ছে। | বাজনার তালে তালে সে সারা অঙ্গের সামান্যতআবরণগুলাে টেনে ছুঁড়ে ফেলতে থাকল। পালকের সাজ উড়ে গেল। ডান ও বাম বুক থেকে এস একে একে চুমকি বসানাে তারাগুলাে টেনে খুলে দর্শকদের দিকে ছুঁড়ে দিল। সারা দেহে ঘাম, কোমরের লেসের টুকরােটাও খুলে ফেলা হল। এবার তার যৌনাঙ্গে ওপর শুধু জি-স্ট্রিংগ!

দর্শকদল উন্মত্ত — খােললা খােলাে, ওটাও খুলে ফেল।……..

…….মেয়েটি শ্বেতকায়। কিন্তু চামড়ায় একটু বিবর্ণভাব। নীল চোখ, উদ্ধত দৃষ্টি, বাবা ছিলেন খুব সম্ভবত ফরাসি। বুকের অর্ধাংশ অনাবৃত। কানে হিরের দুল। স্বভাবতই বন্ডের দৃষ্টি মেয়েটির বুকের দিকে।……..

……ট্রেনের স্পিড় আরও বেড়েছে। বন্ড এবার দু হাতে গলা জড়িয়ে ধরল মেয়েটির। দীর্ঘস্থায়ী চুম্বন। ভাঙা হাতের জন্য ভালােভাবে আদর করতে পারছিল না বন্ড। তবু ডান হাত দিয়েই সলিটেয়রের সারা অঙ্গে আদর ছড়িয়ে গেল। স্তনে, স্তনবৃন্তে, পিঠে, শিরদাঁড়ার নীচে। ………

……… শরীর যতই আহত হােক, শেষ দুপুরটা কাটবে বিছানায় বেশ সুন্দর এই কটেজটা আরও সুন্দর স্নিগ্ধ ঠান্ডা শয়নকক্ষ! আরও আরামের সাদা চাদর পাতা শয্যা যেখানে ভালােবাসার অতল জলের আহ্বান। সেইখানেই বসুনমুক্ত নগ্ন সলিটেয়ারের রূপ সৌন্দর্যকে মুগ্ধ হয়ে দেখার সময় পাবে বন্ড তার ঠোটে যতখুশি চুম্বন করতে পারবে। আহত হাতেই তার দুই স্তন আদরে আদরেমথিত করতে পারবে। সেই হাত নিয়ে যাবে আরওনীচেতলপেটের গভীরে।নিম্নাঙ্গের আমন্ত্রণে সাড়া দেবে তার হাত এবং বলা বাহুল্য বলিষ্ঠ উপযুক্ত অঙ্গ। ……….

……আদরে মথিত সলিটেয়রকে উপুড় করতে গিয়েই চমকে ওঠে বন্ড। অজস্র আঘাতে বহু ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে ওরফর্সা পিঠে।এখানে হাত বুলানােও বিপদজনক!যন্ত্রণার সৃষ্টি হতে পারে।তবুনিরাপদ জায়গায় ঠোট ছোঁয়াল বন্ড।

সলিটেয়র বলল — ভালাে লাগছে। কিন্তু সাবধান। চমকে উঠল বন্ড ~~~কীসের সাবধান! — আরে আমার পিঠটা তাে আগে সারাতে হবে মশাই! তারপর যত খুশি আদর করাে।……..

মুনরেকার

………মিস ব্রান্ড ‘হ্যা’ বা ‘না’ ছাড়া কথাই বলেনি। ওর সঙ্গে ভালাে করে আঁলাপ করার আশা ত্যাগ করল বন্ড। গাম্ভীর্যটা বাড়াবাড়ি বটে, কিন্তু প্রকৃতই সুন্দরী। উচু স্তন, রেকর্ডে লেখা ছিল ৩৮। তাই হবে নিশ্চয়। পারফেক্ট ফিগারে পারফেক্ট একজোড়া বক। ডান বুকে তিল থাকার কথা।……….

……মেয়েটি পঞ্চাশ ফুট উঁচু মুনরেকারের দিকে তাকিয়ে আছে। পাতলা সাদা সার্টের তলা থেকে ওর দুই স্তন উদ্ধত গর্ব নিয়ে যেন মুনরেকারকে ছুঁতে চাইছে। অত সুস্পষ্ট স্তন না হলে, ওকে স্কুলের কোন বাচ্চা মেয়ে বলে মনে হত।……….

………হঠাৎ হুস্ করে ঠিক তার পেছনে জল থেকে উপরে উঠল বন্ড। কোমর পর্যন্ত। দুহাতে পেছন থেকে আলিঙ্গনে বেঁধে ফেলল গালাকে। গালা ভালাে করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মুখ টেনে নিয়ে চুমু খেল।…..বন্ডের মনে পড়ল গালার উদ্ধত দুই স্তন তার বুকে পিষ্ট হয়েছিল যদি মুহূর্তের জন্য ! নীল আকাশ, মাটিতে স্বচ্ছ পােশাকে প্রায় নগ্ন কন্যা!……….

ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ

……..একটি মেয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে এখন মেয়েটির পরনে শর্ট নীল স্কার্ট। হাতে ছােটো একটা ব্যাগ। লােকটির কাছে এ সে জুতাে খুলল তারপর শার্টের বােতামগুলাে একে একে খুলল সোর্টের নীচে ব্রা নেই। তার গায়ের | ত্বক তামাটে, সুন্দর কাঁধ, উদ্ধত দুই স্তন।

এবার স্কার্টের বােতাম খুলল সে। নিম্নাঙ্গে সাঁতারের ছােটো জাঙ্গিয়া। অপূর্ব ফিগার, সরু কোমর। যৌবনধনা গ্রাম্য সুন্দরী। দু’হাত উপরে তুলতেই তার বগলের নীচে সােনালি লােমৱাজি ঝকঝক করে উঠল।……স্কার্ট খুলে ভাজ করল সে। লােকটির পাশে নিলডাউন হয়ে বসে হাতব্যাগের মধ্য থেকে একটা তরল পদার্থের শিশি বের করল। গােলাপের গন্ধ মেশানাে অলিভ অয়েল। লােকটার কাধে-ঘাড়ে ম্যাসেজ শুরু হল।…..

……….সেদিক থেকে ক্লেব যৌন-উদাসীন। দেহ উপভােগে আনন্দ? হ্যা, তা হয়। কিন্তু তাতে কী! এতে নিষ্ঠুরতা পােষণে বাধা কোথায়? এখন তার বয়েস প্রায় পঞ্চাশ। মােটা চেহারা, পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি হাইট। ইউনিফর্মের উপর দিয়ে তার দুই স্তনের রূপ বােঝা ভার। তবে, ক্রনস্টিনের চোখে মনে হচ্ছে, বিশাল বস্তার মধ্যে একগাদা বালি ঠেসে ভরে রাখা হয়েছে।………

……সুন্দরী কর্পোরাল তাতিয়ানা, শুধু মুখ নয়, তার শরীরও খুব সুন্দর। লম্বা, সুগঠিত ফিগার! হাঁটার স্টাইলটা ছন্দোময়। লেনিনগ্রাদে একটা স্কুলে সে ব্যালে নাচ শিখেছিল। বরফ স্টেডিয়ামে স্কেটিং করত সে। হাত | দুটি সুন্দর, দুই স্তন অপূর্ব, নিখুত মাপের, উদ্ধত। নিয়মিত এক্সারসাইজ করে, তাই পশ্চাদদেশটার পেশি সুদৃঢ়।……

……বন্ড দেখল- মেয়ে দুটি সুন্দরী। পরনে রং-বাহারি পােশাক। একজনের হাড় বেশ মােটা। বােধহয়, তারই গায়ের শক্তি বেশি। চোখ দুটির্তে অবশ্য বুদ্ধির চিহ্ন নেই। তবু তাকে সিংহীর সঙ্গে তুলনা করা যায়। বড়াে বড়াে স্তন।।…..

………জোরা শেষ পর্যন্ত হাতের পাচ আর হাঁটু দিয়ে ভিদার হাত থেকে বাঁচাল নিজেকে। বিধ্বস্ত ভিদার ছিন্নভিন্ন পােশাকের ভিতরে জ্বলজ্বল করছে তার মােহময়ী শরীরটা। জোরা আক্রমণ করল আবার। জামাটা আরও ছিড়ে গেল। সবল হাত দিয়ে ভিদাকে সে প্রচণ্ড জোরে চেপে ধৱল। নিজেকে ছাড়াবার প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগল সে। আচমকা আর্তনাদ। জোয়ার বুকটা ভিদা ক্ষণিকের সুযােগে কামড়ে দিয়েছে। আর এই সুযােগে ভিদা পাগলের মতাে খামচাতে লাগল। যুদ্ধরত মেয়ে দুটি তখন বক্সারদের মতাে পিছু হটে লম্বা শ্বাস ফেলছে। তাদের ছিন্নভিন্ন জামার মধ্য দিয়ে শরীর বেরিয়ে পড়েছে। জোরার স্তন থেকে রক্ত ঝরছে। এক সময় তারা দর্শকদের দিকে ছুড়ে দিল তাদের পােশাকের ছেড়া টুকরােগুলাে।

মেয়ে দুটির প্রায় নগ্ন দেহ দেখে বন্ডের পাশে বসা করিম অবশ্যই চরম উত্তেজিত। বন্ড চোখ ঢাকল এক হাত দিয়ে। বন্ড বুঝতে পারল, উপস্থিত সকলের এখন কী অবস্থা।……….

…….এবার তাকাতেই হল। সাদা চাদরের নীচে একটি মেয়ে। অন্ধকারে যতটুকু দেখা যায়, তাতেই সুস্পষ্ট, সেই দীর্ঘদেহী, বাদামি চুল বালিশে ছড়িয়ে পড়েছে। মুখও চাদরে ঢাকা, তবে | চাদর ধরা হাতের সুন্দর চম্পাকলি আঙুলগুলাে দেখা যাচ্ছে। চাদরের তলায় দুই স্তন, উদ্ধত একজোড়া পাহাড়চূড়াকে মনে করিয়ে দেয়, তুষারধবল।……..

……..তাতিয়ানাকে বুকের ওপর টেনে নিল বন্ড। তারপর চুমুর পর চুমু! অইনি, অশেষ চুম্বন। শেষ হয় না।……….একটা হাত রাখল তাতিয়ানার বাম স্তনের উপর। স্তনের বোঁটা উত্তেজনায় কঠিন হয়ে উঠেছে। এবার পেটের উপর দিয়ে হাত নামল নীচের দিকে। তাতিয়ানার দু-পা কাঁপছে।

চাদরটা ওর গা থেকে খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিল বন্ড। সত্যিই, তাতিয়ানার শরীবে গলার রিবনটা ছাড়া কিছু নেই। পায়ে কালাে মােজা ছিল অবশ্য। তাতিয়ানা বন্ডেব সারা শরীর হাতড়াতে লাগল ।…………

ডক্টর নাে

…….এক নিগ্রো, হাতে পিস্তল, এক গুলিতে তালাটা ভেঙে ফেলেছে সে। কয়েকপা এগিয়ে এসে মেরির দিকে তাকিয়ে হাসল একটা বুক-পানাে হাসি, পরের মুহুর্তে রিভলবারের মুখটা মেরির বা স্তনের চারপাশে ঘুরিয়ে তিনবার গুলি চালালাে।……

………একটা আওয়াজে। কে যেন চলে গেল। এরপর যে দৃশ্য বন্ডের চোখে পড়লাে তাতে তার পাগল হয়ে যাওয়ার কথা। হ্যা সামুদ্রিক আঙ্গরের পাতার ভেতরে একটি অর্ধনগ্ন মেয়ে। কোমরে একটা চামড়ার কোমরবন্ধ। আছে একটা শিকারি ছুরি! অসাধারণ শরীরের গঠন। শরীরের উপরের অংশ খােলা। দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে কী যেন দেখছে সে। দুরে লতাপাতার মধ্যে লুকিয়ে আছে একটা ছােটো নৌকা। বােধ হয় খুব হালকা হবে সেটা কিন্তু মেয়েটা এখানে এলাে কী ভাবে?……..মেয়েটার নাম জানা গেল। পুরাে নাম হানিচালিঝেইডার। লােকে হানি বলে ডাকে। বুন্ডের সঙ্গে গম্ভীর ভাবে কিছু কথা বলে গেল ! জানতে চাইলাে বন্ডের নৌকা কোথায়। বালিতে এদের আসার চিহ্ন নেই কেন ইত্যাদি। হঠাৎ তার মনে হল সে যে প্রায় নগ্ন! এখুনি পােশাক পরা দরকার। সাঁতারের মুখােশটা দোলাতে দোলাতে সে বলল “- আমি এখন আসছি,…..

…….এই ঘরের পরিবেশটা এখন একটু অন্য রকম। দুই যুবক যুবতি অর্থাৎ বন্ড ও হানি একে অপরকে জাপটে ধরল। কামনার আগুন ওদের চোখে। উৎকট যৌন চিন্তায় একে অপরের দেহকে চুমু খেতে শুরু করেছে। মেয়েটার বুক দুটোকে প্রায় চ্যাপ্টা করে দিতে চাইছে বন্ড। কিন্তু এই সময়ে এ সব করা ঠিক কি? বন্ড যেন নিজেকে জিজ্ঞেস করল। হানি কিন্তু বন্ডকে উত্তেজিত করেই চলেছে। কিন্তু না। আগে বাঁচতে হবে। তারপর ওসব।…….

…….বাথরুম থেকে স্নান সেরে বেরিয়ে এসেছে। মুখে একটা হাসি। বন্ডের দিকে তাকিয়ে একটা রসিকতা করতে করতে ড্রেস করার জন্য এগিয়ে গেল। নতুন পােশাকে হানিকে দারুণ দেখাচ্ছে। বুকের খানিকটা খােলা জায়গা দেখা যাচ্ছে। চুলগুলাে ফুলিয়ে কাঁধের উপর ছড়িয়ে দিয়েছে। বন্ড খানিকটা অবাক হয়ে দেখলাে, বলল, “তােমার দেহের খােলা অংশগুলাে ঢেকে দাও হানি। এখন এসব করার সময় নয়।………

গােল্ডফিঙ্গার

……ঘরের সামনে ব্যালকনির কাছে একটা টেবিল টেনে তার ওপর দুটো গদি রেখে বসেছে মেয়েটি সামনে রাখা বেশ শক্তিশালী লেন্সসম্পন্ন একটা দূরবিন। ব্রা ও প্যান্টি-পরা অবস্থায় সে নেলপালিশ করছিল।……...বন্ড তার নেক্সট শট রেডি করতে করতে বলে- আমার মামাজেমস বন্ড।~-বলে ব্রা পরা সুন্দরীটির দিকে তাকিয়ে দেখতে থাকে। উচ্চতা – ৫.৪-র মতাে, সােনালি চুল। কালাে ব্রেসিয়ারের মধ্যে তার স্তনদ্বয় যেন বন্ডকে আহ্বান করছে।…..

……মেয়েটি এগিয়ে এসে বন্ডের একটা বাহু টেনে নিয়ে নিজের স্তনের সাথে স্পর্শ করিয়ে বলে দেখ, তুমি কি এটা করবেই? তাহলে আমার ভাগ্যে না জানি কী পাওনা আছে। শোন, তােমার মতাে পুরুষ আমি জীবনে পাই নি। আমি কথা দিচ্ছি, আমি তােমার জন্য আছি। তুমি যা বলবে… দয়া করে, গােল্ডফিঙ্গারকে ছেড়ে দাও। মেয়েটির বুকের ওপর থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে বস্তু বলল- আমি দুঃখিত সুন্দরী।……

…..বন্ড ও যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মেয়েটির পিঠের ওপর তার অর্ধেক দেহটা। বন্ড শরীরে উত্তেজনা অনুভব করে। মেয়েটিকে চিৎ করে সে শুইয়ে দেয়। জ্ঞানহীন টিলির দুহাত পাশে ছড়ানাের কালাে সােয়েটারে ভেতর থেকে তার উদ্ধত স্তনযুগল বন্ডকে খানিক বশ করে দেয়। বন্ডের হুঁশ ফেরে টিলির জ্ঞান ফিরে আসায়।…….

থান্ডারবল

…….মেয়েটি যে খেলাধুলাে করে তা তার চেহারা দেখে বন্ড সহজেই অনুমান করে নিল। মেয়েটি হয় টেনিস খেলে অথবা স্কেটিং করে। এর মুখশ্রী খুব যে একটা সুন্দর তা নয়। কিন্তু তার ঠোট জোড়া তার মুখকে খুব আকর্ষণীয় করে তুলেছে। অন্য সকলের মতো এরও পরনে ধবধবে সাদা পােশাক। সেই পােশাক তার সুউচ্চ বুক এবং পাছার খানা-খন্দ এতটাই প্রকট করে তুলেছে যে, এটা কষ্ট যে এর ভেতরেও এগুলােকে সযত্বে রক্ষা করছে অন্য পােশাক। এই রকম চেহারা বন্ডের চিরকালের কাম্য।….

………..মেয়েটির গাড়ি চালনা যে পুরুষদের মতাে তাঁর কারণ দেখা গেল  সারা পথ সে বন্ডের সঙ্গে একটা কথা বলেনি। ফলে তাকে ভালােভাবে নিরীক্ষণ করার সুযােগ পেল বঙ। তার সুন্দর উজ্জ্বল ও উদ্ধত মুখটি। কামনায় ভরপুর। বিছানায় শােবার প্রথম পর্যায় সে দাপাদাপি করবে, কামড়াবে, আঁচড়াবে কিন্তু পরবর্তীকালে তীব্র উষ্ণতায় তার আত্মসমর্পণ। তখন ঐ সুন্দর দুটো ঠোট ঈষৎ ফাক হয়ে সাদা দাঁত বের হয়ে পড়বে।…….

…….মেয়েটিকে পাশ থেকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। তার চোখের কালাে তারা দেখা যাচ্ছে। সব কিছুর মধ্যে যেন একটা রাজকীয় উগ্রতা ! তার দেহটা রূপকথার রাজকন্যার মতাে। তার স্বাস্থ্য সুপুষ্ট । উদ্ধত স্তনদুটির মাঝে গভীর খাদ।……

……..বল্ড সব দেখে শুনে বুঝল মেয়েটি একটি স্বেচ্ছাচারী উত্তেজক রমণী -আরবি ঘােটকী — যে চায় তার সওয়ার হবে যে বীর তার উরু হবে ইস্পাতের মতো কঠিন আর স্পর্শ হবে কোমল।….

……মেয়েটির নরম ঠোট দুটো চেপে ধরল, তারপর ছাড়িয়ে নিয়ে বললে  পুরস্কারটা আগে না নিলে চলছিল না?

জমা রইল বলে বড় মেয়েটির ডান বুকের ওপর তার হাতটা চেপে রেখে মেয়েটাকে গাছের ছায়ায় নিয়ে গিয়ে চিৎ করে শুইয়ে দিল। মেয়েটি তার হাত দুটো মাথায় রাখল তার এলাে চুলগুলােকে বালি থেকে বাঁচাবার জন্য। মেয়েটি চিৎ হয়ে অপেক্ষা করছে-তার চোখ দুটো তার ঘন পাতার আড়ালে লুকোনাে।…….

…… বিকিনির উদ্ধত অর্ধচন্দ্রাকৃতি অন্তবাস যেন বন্ডকে কিছু বলতে চাইছে। আঁটোসাঁটো কাঁচুলীর ভেতর উদ্ধত স্তনদুটোও যেন তাৱ আর দুটো চোখ বন্ড বুজতে পারছে তার সংযমের বাঁধ ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। সে তাই বলল—- উপুড় হয়ে শােও। বন্ডের কথামতাে উপুড় হয়ে শুল। বন্ড তার ডান পাটা ভাজ করে কোলের ওপর তুলে নিল। যেন একটা ছােট্ট বন্দি পাখি। কয়েক কুচি বালি মুছে দিল। তার পায়ের তলাটা যেন ফুলের পাপড়ি। বল্ড সেখানে তার মুখ দিয়ে জোরে চুষতে লাগল। একটা কাটা তার মুখে চলে আসতে সেটা ফেলে দিয়ে বললে তােমায় একটু কষ্ট না দিলে সারাদিন এভাবে নষ্ট করতে পারব না। কি ঠিক তাে?

বন্ড দেখল মেয়েটার পিঠের পেশিগুলাে যন্ত্রণার জন্যে শক্ত হয়ে উঠেছে সে কোনাে রকমে বলল  ঠিক আছে।

বন্ড কাটার চারপাশের মাংসে তার দাঁত ফুটিয়ে দিয়ে চাপ দিল জোরে। মেয়েটা পা টা ছাড়াবার জনা নাড়াচাড়া করতে লাগল। চামড়ার ওপর দুটো দাঁতের দাগ দেখা গেল দুটো রক্তবিন্দু। সেটা চেটে নিয়ে বন্ড বললে জীবনে প্রথম একটা মেয়েকে খাচ্ছি। বেশ খেতে। ‘

মেয়েটা চিৎ হয়ে শুলে বল্ড দেখল যন্ত্রণায় মেয়েটার চোখের পাতা ভেজা। হাত দিয়ে চোখ মুছে বলে “তুমিই আমার জীবনে প্রথম পুরুষ যে আমায় কাদালে?” বলে সে তার দুহাত সামনে বাড়িয়ে দিল সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের ভঙ্গিমায়।…….

……….বন্ড নীচু হয়ে তাকে তুলে নিল, কিন্তু তার ঠোট দুটোকে বিরক্ত করল না। নিয়ে চলল সেই কুঁড়েঘরের সামনে। কোন ঘরে ঢুকবে পুরুষ না মহিলার বন্ড পুরুষ-যত্নেকে তার সার্টটা মাটিতে ফেলে তার ওপর মেয়েটাকে আস্তে করে দাঁড় করল। আর মেয়েটি বন্ডের গলা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রইল যতক্ষণ না বল্ড মেয়েটির উদ্ধত স্তনদুটোকে মুক্তি দিলজার কাঁচুলীর শেষ বােম সে খুলে দিয়ে আর তার বিকিনির দড়িটা খুলে তলায় নামিয়ে দিল শেষে তার ছােটো প্যান্টটা খুলে লাথি মেরে দুরে সরিয়ে দিল।……

দ্য স্পাই হু লাভড্ মি

…….দুপাশে দুটো বাক্স। একটাতে আমরা বসলাম  ছ’ফুট বর্গক্ষেত্রের জায়গা। ভেতরে ঢুকেই ডেরেক তার চেয়ারটা আমার চেয়ারের পাশে টেনে আনল। ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার মধ্যে ডেরেক আমার পাশে বসে আমায় জড়িয়ে ধরে চুমােয় চুমােয় ভরিয়ে দিচ্ছিল আর তার হাতটা আমার শরীরের সমস্তটা জুড়ে খেলা করে বেড়াতে লাগল।

আমার মনে হল – হায় কপাল, এইখানেই তাহলে ও ওর মেয়েবন্ধুদের নিয়ে আসে। এরপর যাকে বলে গলে যাওয়া — আমারও তাই হল।

এইবার ওর হাত আমাৰ শবীরের অনেক কিছুই না জানা জায়গা খুঁজে বেড়াতে লাগল। কিন্তু ওর ছোঁয়া এত মিষ্টি যে, তা বলবার নয়। আর এটা একটা বাইরের জায়গা বলে আমার কিছুটা লজ্জা লজ্জা করছিল। ওর কাধে মুখ লুকোলাম। সারা শরীরূটা এতশিরশির করছিল যে, সেটাকে রুখতে নিজের ঠোটটা কামড়ে ধরলাম। ও ওর কাজ করোল – আমার তরফে কোনাে বাধা নেই  বেশ ভালােই লাগছে। একসময় ও তার কাজ শেষ করল — আমার সারা শরীরের ভেতরটা যেন জ্বলে যাচ্ছে। আমার চোখের জর্লেওর জামার কলার ভিজে গেল।………..

………মনে হতে লাগল এটা একটা বেশ্যাবাড়ির বিছানা। যেখানে রাতের পর রাওঁ বৃহ-বহু প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের সুন্দর দেহ তার ওপর রেখে মনের সুখে রতি খেলায় নিজেদের মগ্ন রেখেছিল। এখন আর এখান থেকে চলে আসার কোনাে মানে হয় না। তবে এই কাজ করার জন্য এই বৃক্ষকুঞ্জটি খুবই মনােমুগ্ধকর। | ডেরেক আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। সে তার পেটটা খুলে মাটিতে পেতে দিল। আর আমি শুতে না শুতেই সে তার কাজ শুরু করে দিল। প্রায় উন্মাদের মতাে তার হাত দিয়ে ……..

………বাথরুমে গিয়ে শাওয়ারটা পরীক্ষা করলাম না ঠিক আছে। প্রথম দিকের ঘরগুলাে জলাধারের কাছে রয়েছে অতএব জলও প্রচুর। নিজের সমস্ত জামাকাপড় খুলে ফেলাম। শাওয়ারের তলায় দাঁড়ালাম। ক্যামে’ ফরাসি সুরভিযুক্ত সাবানের নতুন প্যাকেট খুলে সারা গায়ে বেশ ঘসে ঘসে মাখলাম। প্রচুর ফেনা হল। অবশ্য কাটা-ছড়া জায়গাগুলাে বাদ দিয়ে । | শাওয়ারের নীচে জলের তলায় দাঁড়িয়ে আছি, সে যে ঢুকেছে খেয়ালই করিনি। হঠাৎ অনুভব করলাম দুটো বলিষ্ঠ হাত সুন্দর ভাবে আমার গায়ের ময়লা ধুয়ে দিতে সাহায্য করছে। আরও অনুভব করলাম আমার দেহে আর একটি নগ্ন শরীরের স্পর্শ। ঘাড় ঘুরিয়ে তার বলিষ্ঠ মুখের দিকে চেয়ে হেসে উঠলাম। তার গা থেকে আর বারুদের মিষ্টি গন্ধ পেলাম। এখন সব কিছুই ভালাে লাগছে। সে আমায় তার বাহুবন্ধনে বেঁধে ফেলল। আমাদের দুটো ঠোট দুজনে মিলিত হল নিজেদের মধুর আস্বাদ নিতে, ………আমার যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমায় পাশে সরিয়ে দিল। আবার আমরা দুজনে দুজনকে বেশ মিষ্টি করে ধীরে ধীরে চুমু খেতে লাগলাম। জেমক্ষে হাতটা এবার আমার সারা শরীরে তার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আমার সারা শরীর শিরশির করে উঠল তন্দ্রার মতাে এসে যাচ্ছে।

হাসতে হাসতে তাকে শাওয়ারের নীচে নিয়ে এলাম। বললাম বেশ তাই হবে। আমি কিন্তু আস্তে করতে পারব না  যখন আমার বারাে বছর বয়স তখনই শেষ কাউকে স্নান করিয়েছি।

– একটা টার্টু ঘােড়া। আমি বুঝতে বা দেখতে পাচ্ছি না তােমার শরীরের কোথায় হাত দিচ্ছি কি না। – সাবান নিয়ে বললাম — মুখটা নীচে নামাও। যাতে তােমার চোখে বেশি সাবান লাগে চেষ্টা করব। -~~ যদি লাগে-এ তবে-~~ হাত দিয়ে তার কথা বলা বন্ধ করে দিলাম। তার মুখ, চুল, বুক সব সাবান দিয়ে বেশ ভালাে করে সাবান দিয়ে দিলাম। সে জলের পাইপ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল।………অতএব আমার কাজ শুরু করলাম। নীচু হয়ে ওকে সাবান মাখাতে লাগলাম। হলে কী হবে? আবার আমরা দুজনে দুজনের মধ্যে বাঁধা পড়ে গেলাম। শাওয়ারের জলে দুজনের গায়ের সব ময়লা সাবান দিয়ে ধুয়ে যেতে লাগল। জল বন্ধ করে, তােয়ালে দিয়ে বহুক্ষণ ধরে আমার শরীর মুছিয়ে দিতে লাগল। আর আমিও তার হাতের ওপর হেলান দিয়ে তার মধুর স্পর্শ অনুভব করে যেতে লাগলাম। এরপর আমিও কে ভােয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দিলাম। আর দেরি করা মূখামি। তাই সে আমার নগ্ন শরীর তার কোলে তুলে নিয়ে শােবার ঘরে এসে বিছানায় শুইয়ে দিল। আর আমি আধ খােলা চোখ দিয়ে সে যে জানলা পর্দা টানছে, দরজা বন্ধ করছে তার সেই সুন্দর সুঠাম নগ্ন দেহটা চোখ ভরে দেখলাম ।……..

……..দুটো বলিষ্ঠ হাত আর ঠোট দিয়ে যেন বিদ্যুৎ খেলে যাচ্ছে। আমি যখন বুকে চেপে ধরে আলিঙ্গন করে রেখেছি মনে হচ্ছে কত স্নেহ ঝরছে। কিন্তু কর্মক্ষমষ্ঠায় দারুণ হিংস্র, দারুণ পটু। | সে ধীরে ধীরে আমায় গ্রাস করতে লাগল। সেই গ্রাসূকে নিজেকে মুক্ত করতে কোনাে ইচ্ছেই হচ্ছে না। আরও গ্রাস করুক আমায়। সেই সি এওঁ মধুর, এত মিষ্টি তা জানি না। মনে হচ্ছে ক্রমশ ‘কোথায় যেন ডুবে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে সে-ও আমার সঙ্গে নিশ্চয়ই সেই ‘কোথায় যেন ডুবে যাচ্ছে। আমি সেই গ্রাস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাইছি না। কিন্তু সেই গ্রাসের চরম মুহুর্ত যখন এল তখন আমি আর নিজেকে স্থির বাখতে পারলাম না। আনন্দে কী না জানিনা কেঁদে ফেললাম। আমার হাতের নখ দিয়ে তার পিঠে বিধিয়ে দিয়ে নিশ্চিত হলাম যে, সে-ও আমাৰ সঙ্গে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। দুজনেই স্থির হলাম।…….

……….আমাকে বেশ কিছুক্ষণ এইভাবে সে তার বুকের মধ্যে আমায় চেপে ধরে রাখল। আমার শরীর থেকে উত্তাপ নিয়ে নিজেকে উষ্ণ করতে লাগল। পরে আমায় তুলে বিছানায় আলতাে ভাবে বসিয়ে দিল। তারপর তার মধ্যে সেই আদিমতার প্রকাশ পেল। প্রায় নির্মমভাবে আমায় কাছে টেনে নিল। তাতে আমার শরীরের ভেতর থেকে আবাব ‘কী যেন একটা জিনিস বেরিয়ে এল। আমরা পাশাপাশি শুয়ে আমার উদ্ধত স্তন দুটো ওর বুকের উদ্দামতা গ্রহণ করল। আমিও আর ঠিক থাকতে পারলাম না। আমার ডান হাত দিয়ে তার মাথার এক গােছা চুল চেপে ধরলাম। আমার হাতের মুঠো আলগা করলাম। জিজ্ঞেস করলাম –~~~ ‘আচ্ছা জেমস, বিশ্বে মানে কি?……….

অন হার-ম্যাজেস্টিজ সিক্রেট-সার্ভিস

………হঠাৎ দুজন বিকিনি পরা দুই যুবতি দৌড়ে এসে বন্ডের পাশ দিয়ে সিঁড়িতে পা রাখল। এরা ফরাসি যুবতি—এদের নাভির কাছটা, বন্ডের মনে হল, পুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি। বন্ডের কাছে এসে এরা শরীরগুলােকে একটু নাচাতে নাচাতে যেন চলে গেল। …….

………জেমসের শরীরে নতুন আনন্দেব ধারা বইছে যেন। আরাে একটু মদ গলায় ঢেলে দিয়ে ধীরে ধীরে পঁয়তাল্লিশ নম্বর ঘরের দরজা ঠেলে ভেতরে এল। স্বল্প পােশাকে ঢাকা ট্রিসি তার সুন্দর দেহটা যেন বিছানায় মেলে ধরেছে। বস্তু এসে পাশে বসল। স্তবকের মতাে উঁচু বাঁদিকের শুনে হাতটা রেখে আলতাে ওর ঠোটে একটা চুম্বন করল। বন্ড জানতে চাইল উন্মাদের মতাে গাড়ি চালানাে, জুয়ার আসরে টাকা ধার করতে চাওয়া, এসবের মানে কী? ট্রেসির জীবনটা কী একটা নিরাশার অন্ধকারে ঢাকা।

কিন্তু ট্রেসির যেন এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নেই। দেহের প্রতিটি অঙ্গে কাজের। জোয়ার বইছে। বলল, “না! অন্য কোনাে কথা নয়। তুমি পুরুষ এবং বলবান। আমার পােশাকটা খুলে মন ভরে দেখ আমাকে। এই দেহটাকে নিয়ে যা ভালাে লাগে করে যাও। প্লিজ দেরি করাে না। আর সইতে পারছিনা। এসো, আমাকে তােমার কোলে বসাও।”………

…….অন্ধকার ঘর। রুবি বলল  “কে?” বন্ডের উত্তর, “আমি  স্যার হিলারি।” অন্ধকার ঘরের বিছানায় শুয়ে রুবি। ওর দেহে হাত রাখতেই বােঝা গেল ও নগ্ন হয়ে আছে। বন্ড ও পােশাক।খুলে রুবিকে জাপটে ধরে বলল “তােমার মতন সুন্দরীকে না পেলে জীবনটাই মিথ্যে !” রুবিও বন্ডকে সজোরে চেপে চুম্বন করল। বেশ কিছুক্ষণ যৌনলীলা চলল । অবশেষে দুজনেই যেন ক্লান্ত। বন্ড তৈরি হয়ে বলল, “ভারলিং এবার আমি যাই। রুবি, “হ্যা যাও”। বলে যেন ঘুমিয়ে পড়ল।……..

দ্য মান উইথ দ্য গােল্ডেন গান

……..বন্ড এখন ঘরে বিছানায়। হঠাৎ মনে পড়ে গেল মেরি গুডনাইটের কথা কল্পনায় সে দেখতে পেল, মেরির নগ্ন বুকে মুখ গুঁজে সে রয়েছে। মেরি তাকে দু’বাহ বন্ধনে আবেশে ডুবিয়ে রেখেছে।…….

……..বাজনা শুরু হয়ে গেল। চারটে মােটা মতন মেয়ে এসে গেয়ে কিছু নেই বললেই চলে, অশ্লীল ভঙ্গিতে নাচ শুরু করে দিল। ওদের নাচ শেষ হতেই সেউজ অন্ধকার। বাজনা চলছে।

এবার স্টেজের মাঝখানে আলাে জুলতেই দেখা যায় নারকেল মাখা সর্বাঙ্গে, একটি মেয়ে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নাচতে শুরু করল। সবাই উত্তেজিত। নগ্ন মেয়েটিকে পাবার বাসনা কেউ ত্যাগ করতে পারছে না। বঙের মনে হল, মেয়েটির শরীরে চিনা রক্ত বইছে। আদিরসাত্মক এই নাচ দেখলে সাধুও নড়েচড়ে বসবেন। আর এখানে তাে সব আলাে নিভে গেল। মেয়েটি চলে গেল। আবার আলাে। স্কাবমাঙ্গা ব্যান্ড মাস্টাবকে ডেকে উলার গুজে দিল। বন্ড বুঝল, রাতে মেয়েটিকে সেবা করতে হবে।………….

Please follow and like us:

Leave a Reply