মাস্টার অভ দ্য গেম – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

…….পর্দা ফেলা ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ, যেটিকে মার্গারেট নিজের বেডরুম হিসেবে ব্যবহার করে, সেখানে দেয়ালে ঝােলানাে ছােট, গােল একটি আয়নায় নিজের মুখ দেখল সে। নিজের চেহারা সম্পর্কে কোনাে বিভ্রান্তি নেই মার্গারেটের। জানে সে সুন্দরী নয়। তবে কুশ্রীও নয়। তার চোখ সুন্দর, গালের হনু দুটো উঁচু। ফিগারটা চমৎকার। আয়নার আরও সামনে এসে দাঁড়াল মার্গারেট । ইয়ান ট্রাভিস তার মধ্যে কী দেখেছিল? সে কাপড় খুলতে লাগল। মনে হলাে ইয়ান ট্রাভিস তার সঙ্গেই আছে, এ ঘরেই। তাকে দেখছে। কাপড় খুলে তার সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়াল মার্গারেট। ট্রাভিস তার সুডৌল বুকে হাত বুলাল, স্পর্শ করল দৃঢ় স্তনযুগল। মার্গারেট ওর সমতল পেটে হাত রাখল, ট্রাভিসের হাত মিশে গেল তার হাতের সঙ্গে, তলপেট বেয়ে নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে। হাতজোড়া এখন মার্গারেটের দুই পায়ের ফাঁকে, উরুসন্ধিতে, স্পর্শ করছে, আঙুল বুলাচ্ছে, ঘষছে, ক্রমে দ্রুততর হয়ে উঠল হস্ত চালনা, শক্ত আঙুলগুলাে ঢুকে যাচ্ছে ভেতরে, আরও দ্রুত হলাে গতি । শেষে তীব্র সুখের একটা বিস্ফোরণ ঘটল মার্গারেটের শরীরে, সে শীক্কার দিয়ে উঠল, ট্রাভিসের নামটা একবার উচ্চারণ করে এলিয়ে পড়ল বিছানায়।……..

…….আবার ওকে চুম্বন করল জেমি। চুমু খেতে খেতে মার্গারেটের বডিসের হুক খুলে ফেলল । এক মুহূর্ত পরে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে গেল মার্গারেট । ওকে ধীরে ধীরে জমিনের ওপর শুইয়ে দিল জেমি। বালিকা থেকে রমণীতে রূপান্তরের ঢেউয়ের মতাে কম্পমান পথটুকু দারুণ উত্তেজিত করে তুলল মার্গারেটকে, নিজেকে দারুণ জীবন্ত মনে হলাে। এরকম অনুভূতির সঙ্গে আগে কখনও পরিচয় ঘটেনি ওর। এ মুহূর্তটি সারাজীবন মনে রাখব আমি, মনে মনে বলল সে। পাতার বিছানায় শুয়ে আছে সে, নগ্ন ত্বকে শিরশিরে আদর বুলিয়ে দিচ্ছে ফুরফুরে হাওয়া, বাওবাব গাছের ছায়া ঢেকে রেখেছে ওদেরকে। আবার প্রেম করল ওরা। এবারের মিলনপর্ব আরও বেশি সুখকর লাগল মার্গারেটের। এই লােকটিকে আমি এতােটাই ভালােবাসি, এরকম ভালােবাসা কোনাে নারীর পক্ষে বাসা সম্ভব নয়, সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে মনে মনে বলছিল ও।…..

………মানসচক্ষে মেয়ের নগ্ন শরীর দেখতে পেল ভ্যান ডার, ওই লােকটার সঙ্গে রতিক্রিয়া করছে, জানােয়ারের মতাে উপগত হচ্ছে এবং কী আশ্চর্য এসব কথা ভাবতেই সে কামােত্তেজনা বােধ করল।……..

……..ওরা লাইব্রেরিতে বসে কথা বলছে যেখানে ব্রান্ডি পান করতে করতে আলােচনা করতে পছন্দ করত জেমি। ডেভিড বলছিল মধুচন্দ্রিমা করার মতাে সময় ওদের হাতে নেই। কিন্তু ওর যুক্তি মানতে রাজি নয় কেট। সে ডেভিডের কোলে চেপে বসে আছে। পাতলা কাপড় ভেদ করে ওর শরীরের উষ্ণতা টের পাচ্ছিল ডেভিড । ওরা দুজনে মিলে যেসব ডকুমেন্টে চোখ বুলাচ্ছিল সেগুলাে এ মুহূর্তে লুটোপুটি খাচ্ছে মেঝেয়। দুহাত দিয়ে ডেভিডের গলা জড়িয়ে ধরল কেট । আস্তে আস্তে নিতম্ব ঘষছে ডেভিডের গায়ে। ওর আহ্বানে সাড়া দিল ডেভিড। কোল থেকে নেমে পড়ল কেট। খুলে ফেলল ড্রেস। কেটের অপূর্ব শরীর মুগ্ধ হয়ে দেখছে ডেভিড। ভাবছে এতদিন কী করে ও চোখে ঠুলি পরেছিল? ডেভিডের কাপড় খুলছে কেট! হঠাৎ তীব্র কামনাবােধ করল ডেভিড। ওরা দু’জনেই এখন সম্পূর্ণ নগ্ন, দুটি দেহ চেপে আছে পরস্পরের সঙ্গে। কেটকে আদর করতে শুরু করল ডেভিড। তার আঙুল হালকাভাবে ছুঁয়ে গেল কেটের মুখ, ঘাড়, নেমে এল সুডৌল এবং উদ্ধত দুই বক্ষে। সুখে গােঙাচ্ছে কেট। ডেভিডের হাত কেটের বুক, পেট, তলপেট বেয়ে ক্রমে নেমে গেল আরও নিচে। স্পর্শ পেল দুই উরুর মাঝখানের মখমল স্বর্গ। ওখানে আঙুল ঘষছে ডেভিড, ফিসফিস করল কেট, আমাকে নাও, ডেভিড,’ ওরা নরম কম্বলের ওপর শুয়ে পড়ল। কেটের ওপরে উঠে এল ডেভিড। ওর কঠিন, শক্ত পৌরুষ টের পেল কেট। ওর শরীর যেন ভরে গেল। ডেভিডের সঙ্গে তাল দিতে লাগল কেট। এ যেন এক জলােচ্ছ্বাসের ঢেউ, ক্রমে ওপর থেকে আরও ওপরে উঠছে কেট, শেষে মনে হলাে তীব্র এ সুখ আর বুঝি সহ্য করতে পারবে না ও।………..

………অ্যানেট নামে ছােটখাট গড়নের সুগােল বক্ষের এক কৃষ্ণকেশী যার পিউবিক হেয়ারগুলাে লাল এবং পেটভর্তি ফুটকি;….

……পনের মিনিট পরে গােসল সেরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এল ডােমিনিক গায়ে শুধু একটি তােয়ালে জড়ানাে। কাঁধে লুটাচ্ছে সােনালী ভেজা চুল। তার ফিগার খুবই সুন্দর। পরিপূর্ণ একজোড়া বক্ষ, সরু কোমর, লম্বা, সুঠাম পদযুগল। টনির কাছে ডােমিনিক এতদিন স্রেফ একটি মডেল ছিল, সে তার নগ্নদেহের ছবি এঁকেছে ক্যানভাসে। কিন্তু ডােমিনিকের গায়ের ভােয়ালেটা সব কেমন গােলমাল করে দিল। অসাধারণ লাগছে ওকে। টনির গা দিয়ে হঠাৎ যেন ভাপ বেরুতে লাগল৷………..

…….লিনস্টান ফাউডের পাশেই ছেলেদের সামরিক স্কুল। ইভ মাত্র সতেরােতে পা দিয়েছে, ইতিমধ্যে মিলিটারি স্কুলের প্রায় প্রতিটি ছাত্র এবং ইনস্ট্রাক্টরদের অর্ধেকেরও বেশির সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। সে যার তার সঙ্গে মাখামাখি করে, শয্যাসঙ্গী বাছাইয়ে কোনাে বাছ-বিছার নেই, তবে এবারে সে সাবধানেই এসব কাজ করছে। কারণ আবারও গর্ভবতী হয়ে পড়ার শখ নেই ইভের । সেক্স উপভােগ করে ইভ কারণ সেক্সের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে সে। সেক্সের সময় সে-ই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। ছেলেরা তার দিকে সতৃষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে এ ব্যাপারটা খুব উপভােগ করে ইভ। এদেরকে সে বড়শিতে গাঁথা মাছের মতাে খেলায়, দেখে ওরা যৌন ক্ষিদেয় কী রকম ছটফট করছে। এরা বলে এরা ইভের জন্য জান কোরবান করতে পারে । ইভ জানে মিথ্যা কথা কিন্তু এ মিথ্যা কথাটা শুনতে মজা লাগে তার। সে স্রেফ চুম্বন করে যে কোনাে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে। এদেরকে ইভের প্রয়ােজন নেই, ওদেরই বরং ইভের প্রয়ােজন। সে যে ওদেরকে পুরােপুরি নিয়ন্ত্রণ কছে, এটাই ইভকে চরম সুখ দেয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে সে একজন পুরুষের শক্তি এবং দুর্বলতা চিনে নিতে পারে। তার চোখে পৃথিবীর সকল পুরুষই হাঁদারাম……

…….মিলিটারি স্কুলের ছেলেরা প্রায়ই ইভকে নিয়ে সপ্রশংস আলােচনা করে। ‘যখন কাজ শেষ হয়ে গেল, আমি আর নড়াচড়া করতেই পারছিলাম না…

অমন পাছা জীবনে দেখি নাইরে, ভাই….’ ‘ওর পুসি যেন কথা বলে…’ ‘গড, বিছানায় যেন ও এক বাঘিনী।’

ইভের যৌনশক্তি নিয়ে যখন কমপক্ষে দু’ডজন ছাত্র আর হাফ ডজন শিক্ষক প্রশংসা করতে লাগল, গােপন এ ব্যাপারটি আর গােপন রইল না। মিলিটারি স্কুলের, একজন ইন্সট্রাক্টর এ গসিপের গল্প করছিল লিন্সটাট ফাউডের এক শিক্ষকের কাছে এসে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস কলিন্সের কাছে সব ফাস করে দিল।…………

……….কাউন্ট ইভের চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলেন কী ধরনের ভালােবাসার কথা বলছে ইভ। তিনি খুবই নার্ভাস বােধ করলেন। মেয়েটির বয়স মাত্র একুশ আর তিনি মধ্যবয়স্ক, বিবাহিত একজন সুখী পুরুষ। আজকালকার তরুণী মেয়েগুলােকে মােটেই বুঝতে পারেন না কাউন্ট। তিনি এই অসম্ভব রূপবতী যুবতীটির সামনে বসে থাকতে খুব অস্বস্তি বােধ করছিলেন । ইভ হলুদ রঙের স্কার্ট আর সবুজ সােয়েটার পরেছে । সােয়েটার ভেদ করে তার ভরাট দুই বুক যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে। ও ভেতরে নিশ্চয় ব্রা পরেনি,’ অনুমান করলেন কাউন্ট কারণ দৃঢ়, বর্তুলাকার স্তনদ্বয়ের পরিষ্কার আভাস টের পাওয়া যাচ্ছে। অত্যন্ত সরল, মিষ্টি মুখখানার দিকে তাকিয়ে কথার খেই হারিয়ে ফেললেন কাউন্ট। তুমি তুমি তাে আমাকে ভালাে করে চেনােই না।…….

………ইভের অধরে, পাগলের মতাে চুষছে জিত।

ওহ মাই গড!’ গুঙিয়ে উঠল ইভ । নিজের জ্যাকেট খুলতে শুরু করল জর্জ। তাকে সাহায্য করল ইভ। ট্রাউজার্স এবং ফ্রেঞ্চ শর্টস মুক্ত হয়ে নগ্ন হয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে থাকল জর্জ। এমন ব্যায়ামপুষ্ট, সুগঠিত শরীর খুব কমই দেখেছে ইভ। জর্জের পুরুষাঙ্গ ভীষণ শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে ।

জলদি,’ বলল ইভ। আমার সঙ্গে প্রেম করাে।’ সে বিছানায় পা বাড়াল, শরীরে আগুন জ্বলছে। হুকুম করল জর্জ। ঘােরাে। আমার দিকে পাছাটা দাও।’ জর্জের দিকে তাকাল ইভ। আ-আমি পারব না।’ ওর মুখে মারল জর্জ । হতভম্ব হয়ে গেল ইভ। ‘ঘােরাে।’

 আবার আঘাত করল জর্জ। আরও জোরে। ইভের চোখের সামনে বনবন করে ঘুরতে শুরু করল ঘর ।

প্লিজ, নাে৷’।

আবারও মারল জর্জ। অনেক জোরে । তারপর ওকে হামাগুড়ি দেয়ার ভঙ্গিতে হাঁটার ওপর ভর করে উপুড় করিয়ে দিল।

‘ফর গডস শেক,’ আঁতকে উঠল ইভ। থামাে! নইলে কিন্তু আমি চিৎকার দেব।’

ইভের ঘাড়ের পেছনে দড়াম করে আছড়ে পড়ল জর্জের শক্ত হাত । ইভ জ্ঞান হারাতে শুরু করল। আবছা টের পেল ওর পাছাদুটো ধরে ওপর দিকে তােলা হচ্ছে। জর্জ ওর মাংসল নিতম্ব জোড়া দু’হাতে টেনে ফাক করল। তারপর পুরুষাঙ্গ ঠেসে ধরল ওখানটায়। তারপরই প্রচণ্ড এক ধাক্কায় ঢুকে গেল ভেতরে। ভয়াবহ যন্ত্রণায় বিকট চিৎকার দিতে গিয়েও দিল না ইভ, ভয়ে জর্জ যদি আরও ভয়ংকর কিছু করে বসে।

সে কেঁদে ফেলে বলর, ‘ওহ প্লিজ, তুমি আমাকে ব্যথা দিচ্ছ…’

জর্জকে গায়ের ওপর থেকে ঠেলে সরিয়ে দিতেও ব্যর্থ হলাে ইভ। শক্ত হাতে ওর নিতম্ব চেপে ধরে রেখেছে জর্জ, কোমর দিয়ে বারবার ধাক্কা মারছে, ভীমের গদার মতাে মাংসের লৌহসম মুষলটা দিয়ে ইভের ভেতরটা ছিড়েখুড়ে ফর্দাফাই করে ফেলছে। ভয়াবহ এ ব্যথার সঙ্গে কোনাে কিছুর তুলনা করা যায় না।

“ওহ, গড়, নাে! ফিসফিস করল ইভ। স্টপ ইট । প্লিজ, স্টপ ইট

কিন্তু ওর অনুনয়ে কান দিল না জর্জ, তার কোমর চালনা আরও দ্রুত হয়ে উঠল, ইভের গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করছে সে, জ্ঞান হারানাের পূর্ব মুহূর্তে ইভ শুনতে পেল কামােত্তেজিত গোঁ গোঁ শব্দ করছে জর্জ। তার শীকার ইভের কানে বিস্ফোরণের মতাে বাজল। তারপর আর কিছু মনে নেই ওর। ………..

……..ওরা দু’জনে বিছানায় শুয়ে আছে। নগ্ন। জর্জের মতাে সুন্দর জানােয়ার দ্বিতীয়টি দেখেনি ইভ। এবং বিপজ্জনক। তবে জর্জকে নিয়ন্ত্রণ করার অস্ত্র সে পেয়ে গেছে। ইভ জর্জের গায়ে হাত বুলাচ্ছে, গায়ে ছােট ছােট কামড় দিচ্ছে, মুখটা ক্রমে নেমে এল কুচকিতে। ইভের মিষ্টি মধুর কামড় জর্জের পুরুষাঙ্গ দৃঢ় এবং উদ্ধত করে তুলল।

‘ফাক মি, জর্জ,’ বলল ইভ। ‘উপুর হয়ে শােও।’ বলল জর্জ।

বললাম না আমার মতাে করে করব।’ ‘আমি ওতে মজা পাই না।’

‘জানি । তুমি আমাকে বালক ভেবে পায়ুকাম করেছিলে তাই না, ডার্লিং। কিন্তু আমি বালক নই। আমি একজন নারী। আমার ওপরে উঠে এসাে।’

ইভের গায়ে উঠে এল জর্জ, স্ফীত পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে দিল ওর ভেতর। এভাবে আমার তৃপ্তি আসে না, ইভ।’

হেসে উঠল ইভ। তাতে আমার কিছু আসে যায় না, সুইটহার্ট। আমি তৃপ্তি পাই।’
নিজের নিতম্ব নাড়তে শুরু করল ইভ, কোমরটা বারবার ওপরে তুলে দিচ্ছে, টের পাচ্ছে জর্জ ওর শরীরের গভীর থেকে গভীরে ঢুকে যাচ্ছে। একের পর এক রেতপাত হতে লাগল ইভের আর দেখছে বিরস চেহারা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জর্জ । জর্জের ইচ্ছে করছে ইভকে ব্যথা দিতে যাতে তার অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতাে হয়। কিন্তু সাহস পেল না ।

‘আবার’ হুকুম করল ইভ। আবার জোরে জোরে ইভকে ধাক্কা দিতে লাগল জর্জ। ইভ গভীর আশ্লেষে গুঙিয়ে না ওঠা পর্যন্ত থামল না। আ-হ-হ-ঠিক আছে। আর দরকার নেই।’
ইভকে ছেড়ে ওর পাশে শুয়ে পড়ল জর্জ। ওর বুকের দিকে হাত বাড়াল।……….

……..অসামান্য রূপবতী আলেকজান্দ্রা মাথা খারাপ করা একটি ফিগার নিয়ে এ মুহূর্তে জর্জ মেলিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এই সুন্দর দেহলতা কচলে ছিন্নভিন্ন করে দেয়ার তীব্র একটা ইচ্ছা জাগল জর্জের। ইচ্ছে করছে ওকে আঘাত করে, শ্বাসরােধ করে, ওকে চিৎকার দিতে বাধ্য করে। কিন্তু ইভের সাবধানবাণী মনে পড়তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করল জর্জ।

সে কাপড় খুলে আলেকজান্দ্রার শরীরের সঙ্গে শরীর মিশিয়ে দাঁড়াল। ওরা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর জর্জ আলেকজান্দ্রাকে আলতাে করে শুইয়ে দিল বিছানায় । ওকে আদর করে চুমু খেতে লাগল । তাের জিভ এবং আঙুল আলেকজান্দ্রার অপরূপ দেহের প্রতিটি বাঁক আবিষ্কার করে চলল । শেষে আর অপেক্ষা করতে পারল না আলেকজান্দ্রা।

“ওহ্, প্লিজ, কাতরে উঠল সে। এখন, এখন!”
ওর শরীরের ওপর উঠে এল জর্জ, অসহ্য
এক সুখের জগতে প্রবেশ করল আলেকজান্দ্রা। মিলন শেষে জর্জের বাহুর ওপর মাথা রেখে শুয়ে হাপাতে হাঁপাতে আলেকজান্দ্রা বলল, ওহ, মাই ডার্লিং, তুমিও নিশ্চয় খুব মজা পেয়েছ।’……..

…….কেউ তাকে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করছিল সবকিছু মন ঘটল স্লো মােশনে। তার শুধু মনে পড়ে সে ধাক্কা মেরে উপুড় করে ফেলেছিল ইভকে, তার নিতম্ব জোড়া হাত দিয়ে টেনে ফাক করে ফেলেছিল এবং ব্যথায় চিৎকার দিয়ে উঠেছিল ইভ। মনে পড়ে সে বারবার কিছু একটাতে প্রবল ধাক্কা মারছিল এবং তাতে তার প্রবল সুখবােধ হচ্ছিল।

একের পর এক তার বীর্যপাত ঘটে চলছিল এবং সে তীব্র সুখের আতিশয্যে আত্মহারা | হয়ে ভাবছিল “ওহ্ গডআমি এ মুহূর্তটির জন্য কতদিন ধরে অপেক্ষা করেছিলাম। জর্জ শুনতে পাচ্ছিল দূরে কেউ যেন চিৎকার করছে, আর্তনাদ করছে ব্যথায়, গােঙাচ্ছে। চোখের সামনে লাল পর্দাটা আস্তে আস্তে সরে গেল, নিচের দিকে তাকাল জর্জ। বিছানায় চিৎ হয়ে পড়ে আছে ইভ।…………

Please follow and like us:

Leave a Reply